সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পেন্টাগনের নতুন প্রধান ক্রিস্টোপার মিলার বললেন, অন্যদেশে যুদ্ধরত মার্কিন সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। শনিবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য সরিয়ে আনতে পারেন তিনি। বিদেশে যুদ্ধে মার্কিন সম্পৃক্ততা বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির অংশ হিসেবেই এই বার্তা দেন তিনি। মার্কিন সেনাবাহিনীর উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আমাদের সর্বোচ্চ দিয়েছি। এখন, বাড়ি ফেরার সময়। আমরা চিরস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারি না। -ডয়েচে ভেলে
তিনি বলেন, আমাদের পূর্বসূরীরা যার জন্য লড়েছেন এবং আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সব যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তবে এই সময় মিলার আরো বলেন, আমরা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই করা বন্ধ করবো না। যুক্তরাষ্ট্র্র শুধুমাত্র অতীতের যুদ্ধ লিপ্ত হওয়ার কৌশলগত ভুলগুলো শুধরে নেবে। সাবেক স্পেশাল ফোর্সের অফিসার ও কাউন্টার টেরোরিজম বিশেষজ্ঞ মিলারকে গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দেন ট্রাম্প। নির্বাচনে হারার দুই দিন পরই পূর্ববর্তী পেন্টাগন প্রধানকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। মিলার ট্রাম্প আমলের চতুর্থ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পূর্বে ট্রাম্প অনেকবার আফগানিস্তান থেকে ক্রিসমাসের মধ্যে মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট ওব্রেইন বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ২ হাজার ৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। তবে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেছিলেন, তালেবান সহিংসতা বন্ধ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৪ হাজার সৈন্য দেশটিতে অবস্থান করবে।
সূত্র.ইনকিলাব ডেস্ক
*********************
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ.
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
তার কথার সূত্র ধরে আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই-
১. সে বলেছে-
আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আমাদের সর্বোচ্চ দিয়েছি। এখন, বাড়ি ফেরার সময়। আমরা চিরস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারি না।
২. সে বলেছে-
আমরা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই করা বন্ধ করবো না। যুক্তরাষ্ট্র্র শুধুমাত্র অতীতের যুদ্ধ লিপ্ত হওয়ার কৌশলগত ভুলগুলো শুধরে নেবে।
দ্বিতীয়ত: তোমাদের দেশে তো আল-কায়েদার সরব উপস্থিতি নেই। তাহলে তোমরা কিভাবে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে? এর দ্বারা কি তোমরা আল-কায়েদাকে আমেরিকাতে যাবার দাওয়াত দিচ্ছ?
ঠিক আছে, আল্লাহর ইচ্ছায় আল-কায়েদা আবারও তোমাদের আমেরিকাতে আরেকটি নাইন ইলেভেন নিয়ে ফিরে যাবে, ইনশাআল্লাহ। তোমরা অপেক্ষায় থাক, আমরাও অপেক্ষায় রইলাম।
সে আরেকটি কথা বলেছে যে, তারা অতীতের যুদ্ধ থেকে কৌশলগত ভুলগুলো শুধরে নেবে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য যদি এই হয় যে, আর কোন মুসলিম দেশে আগ বেড়ে যুদ্ধ করতে যাবে না, তাহলে তো খুব ভাল কথা। তোমাদের এই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, সেটা আমরাও কামনা করি।
৩. এখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বর্তমানে পরাশক্তির দাবিদার আমেরিকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলো- আল-কায়েদা। তাহলে আল্লাহর ফযলে আল-কায়েদার শক্তিমত্তা কতদূর এগিয়ে গেছে? আর এর দ্বারা এটাও বুঝা গেল যে, আল-কায়েদার যুদ্ধ কৌশল কত উন্নত, যার সামনে আমেরিকার মত রাষ্ট্র মাথা নুয়াতে বাধ্য হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, আল কায়েদা দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে, হবে এবং অচিরেই কালিমার ঝাণ্ডাকে উড্ডীন করবে বিশ্বময়।
তাই হে বিশ্ব মু’মিন মুসলমান! হতাশা ঝেড়ে ফেলে আল-কায়েদার পতাকা তলে সমবেত হোন...ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিজয়কে ত্বরান্বিত করুন। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজ এখানেই ইতি টানলাম।
মনের কিছু অগোছালো কথা বললাম। তাই লেখার ভুল-ক্রটি শুধরে দেবার অনুরোধ থাকলো।
দু‘আর দরখাস্ত...ওয়াসসালাম
Comment