কুফফার সংবাদ-
ওসামা বিন লাদেনআন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পাঁচ বছর পরও জঙ্গিবাদ তাড়া করছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তা সামাল দিতে এখনো ব্যতিব্যস্ত মার্কিন প্রশাসন।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। লাদেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কাছের একটি বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন। পাকিস্তানকে না জানিয়েই দেশটির ভেতর ঢুকে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হত্যার অভিযান চালায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর লাদেন মার্কিন প্রশাসনের চোখে বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ও টুইন টাওয়ারে চালানো ওই হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার দায় চাপে বিন লাদেনের ওপর। এর পরই যুক্তরাষ্ট্র শুরু করে লাদেনবিরোধী অভিযান।
আফগানিস্তানের দুর্গম অঞ্চলে ঘাপটি মেরে থাকা বিন লাদেন আর তাঁর সংগঠন আল–কায়েদাকে নির্মূল করতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরু হয় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় পুরো পশ্চিমা বিশ্ব এক হয়ে এ নির্মূল অভিযানে নামে। পুরো বিশ্বের রাজনীতি পাল্টে যায়। ইরাক-আফগানিস্তানে অভিযান চালানো হয়। লাখো মানুষের রক্তের বন্যা বয়ে যায় এসব অভিযানে।
পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার নাটকীয় ঘোষণায় উত্তেজনাও ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে ওসামাকে হত্যার দৃশ্য দেখেন। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন, ওসামাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘোষণায় স্বস্তির নিশ্বাস ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে। সঙ্গে এই প্রত্যাশা ছড়িয়েছিলে যে, বিন লাদেন হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবতা কী? বাস্তবতা হলো লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পরও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিকে সন্ত্রাসবাদ এখনো তাড়া করছে। বিন লাদেন–পরবর্তী জঙ্গিবাদ নতুনভাবে মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের।
বিন লাদেনকে হত্যার পর উত্থান ঘটেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামি স্টেটের (আইএস)। বিন লাদেনের সংগঠন আল–কায়েদার জঙ্গি ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ আবু বকর আল বাগদাদিকে খলিফা ঘোষণা করে আইএস আত্মপ্রকাশ করে। সিরিয়া ও ইরাকের অঞ্চল বিশেষ দখল করে নেয় জঙ্গি এ সংগঠনটি। ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, শিরশ্ছেদসহ পশ্চিমাদের স্থাপনায় একের পর এক সফল হামলা পরিচালনা করে আইএস এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো থেকে ফ্রান্সের প্যারিস, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং আফ্রিকার মিসর ও নাইজেরিয়াতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সারা বিশ্বকে উৎকণ্ঠায় ফেলে দিয়েছে এই আইএস। সারা বিশ্বে ‘জিহাদের’ নামে সন্ত্রাসী ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি।
প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে শুরু করে আধুনিকতা এবং নিষ্ঠুরতায় আইএস এখন বর্তমান সভ্যতার সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠন। সংগঠনটি সারা বিশ্বে তাদের সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। বিন লাদেনের শুরু করা কাজকেই আইএস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পূর্তিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে চলমান আলোচনায় নিহত লাদেনকে এভাবেই মনে করা হচ্ছে।
বিন লাদেনের অনুসারীরা সিরিয়াতে সংগঠিত হয়ে জাবাত আল নুসরা নামের জিহাদি সংগঠন গড়ে তোলে। জঙ্গিবাদ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক বিশেষজ্ঞ ব্রুস হফম্যান এনবিসিকে বলেছেন, জাবাত আল নুসরা গোষ্ঠী আইএস থেকেও ভয়ংকর সংগঠন। বিন লাদেনের আল–কায়েদা ছিল ছড়িয়ে থাকা, পালিয়ে বেড়ানো সংগঠন। এখন একই ভাবাদর্শে গড়ে ওঠা আইএস এবং পূর্ব-পশ্চিমে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই বসে নেই, রীতিমতো খেলাফত ঘোষণা করে শাসন করতে শুরু করেছে। দেশে দেশে ভাবাদর্শের গোপন অনুসারী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
বিন লাদেনকে হত্যার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রকাশ্য উদ্যোগ ছিল গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা বন্ধ করে দেওয়া। বিভিন্ন দেশ থেকে বিনা বিচারে আটক রাখা এবং নির্যাতন করার জন্য সভ্যতার কলঙ্ক হয়ে উঠেছে গুয়ানতানামো বন্দিশালা। কিন্তু লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পরও ওবামা গুয়ানতানামো বন্ধের চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারেননি। আল–কায়েদা অনুসারীদের সদস্য সংগ্রহের জন্য গুয়ানতানামো কারাগারের নির্যাতন ও নির্মমতাকেই এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মার্কিন সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। আইএসসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদীদের চলমান উত্থানে এখনো আলোচনার শীর্ষে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নিহত সেই ওসামা বিন লাদেন।
ওসামা বিন লাদেনআন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পাঁচ বছর পরও জঙ্গিবাদ তাড়া করছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তা সামাল দিতে এখনো ব্যতিব্যস্ত মার্কিন প্রশাসন।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। লাদেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কাছের একটি বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন। পাকিস্তানকে না জানিয়েই দেশটির ভেতর ঢুকে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হত্যার অভিযান চালায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর লাদেন মার্কিন প্রশাসনের চোখে বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ও টুইন টাওয়ারে চালানো ওই হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার দায় চাপে বিন লাদেনের ওপর। এর পরই যুক্তরাষ্ট্র শুরু করে লাদেনবিরোধী অভিযান।
আফগানিস্তানের দুর্গম অঞ্চলে ঘাপটি মেরে থাকা বিন লাদেন আর তাঁর সংগঠন আল–কায়েদাকে নির্মূল করতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরু হয় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় পুরো পশ্চিমা বিশ্ব এক হয়ে এ নির্মূল অভিযানে নামে। পুরো বিশ্বের রাজনীতি পাল্টে যায়। ইরাক-আফগানিস্তানে অভিযান চালানো হয়। লাখো মানুষের রক্তের বন্যা বয়ে যায় এসব অভিযানে।
পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার নাটকীয় ঘোষণায় উত্তেজনাও ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে ওসামাকে হত্যার দৃশ্য দেখেন। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন, ওসামাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘোষণায় স্বস্তির নিশ্বাস ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে। সঙ্গে এই প্রত্যাশা ছড়িয়েছিলে যে, বিন লাদেন হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবতা কী? বাস্তবতা হলো লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পরও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিকে সন্ত্রাসবাদ এখনো তাড়া করছে। বিন লাদেন–পরবর্তী জঙ্গিবাদ নতুনভাবে মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের।
বিন লাদেনকে হত্যার পর উত্থান ঘটেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামি স্টেটের (আইএস)। বিন লাদেনের সংগঠন আল–কায়েদার জঙ্গি ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ আবু বকর আল বাগদাদিকে খলিফা ঘোষণা করে আইএস আত্মপ্রকাশ করে। সিরিয়া ও ইরাকের অঞ্চল বিশেষ দখল করে নেয় জঙ্গি এ সংগঠনটি। ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, শিরশ্ছেদসহ পশ্চিমাদের স্থাপনায় একের পর এক সফল হামলা পরিচালনা করে আইএস এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো থেকে ফ্রান্সের প্যারিস, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং আফ্রিকার মিসর ও নাইজেরিয়াতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সারা বিশ্বকে উৎকণ্ঠায় ফেলে দিয়েছে এই আইএস। সারা বিশ্বে ‘জিহাদের’ নামে সন্ত্রাসী ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি।
প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে শুরু করে আধুনিকতা এবং নিষ্ঠুরতায় আইএস এখন বর্তমান সভ্যতার সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠন। সংগঠনটি সারা বিশ্বে তাদের সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। বিন লাদেনের শুরু করা কাজকেই আইএস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পূর্তিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে চলমান আলোচনায় নিহত লাদেনকে এভাবেই মনে করা হচ্ছে।
বিন লাদেনের অনুসারীরা সিরিয়াতে সংগঠিত হয়ে জাবাত আল নুসরা নামের জিহাদি সংগঠন গড়ে তোলে। জঙ্গিবাদ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক বিশেষজ্ঞ ব্রুস হফম্যান এনবিসিকে বলেছেন, জাবাত আল নুসরা গোষ্ঠী আইএস থেকেও ভয়ংকর সংগঠন। বিন লাদেনের আল–কায়েদা ছিল ছড়িয়ে থাকা, পালিয়ে বেড়ানো সংগঠন। এখন একই ভাবাদর্শে গড়ে ওঠা আইএস এবং পূর্ব-পশ্চিমে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই বসে নেই, রীতিমতো খেলাফত ঘোষণা করে শাসন করতে শুরু করেছে। দেশে দেশে ভাবাদর্শের গোপন অনুসারী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
বিন লাদেনকে হত্যার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রকাশ্য উদ্যোগ ছিল গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা বন্ধ করে দেওয়া। বিভিন্ন দেশ থেকে বিনা বিচারে আটক রাখা এবং নির্যাতন করার জন্য সভ্যতার কলঙ্ক হয়ে উঠেছে গুয়ানতানামো বন্দিশালা। কিন্তু লাদেন হত্যার পাঁচ বছর পরও ওবামা গুয়ানতানামো বন্ধের চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারেননি। আল–কায়েদা অনুসারীদের সদস্য সংগ্রহের জন্য গুয়ানতানামো কারাগারের নির্যাতন ও নির্মমতাকেই এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মার্কিন সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। আইএসসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদীদের চলমান উত্থানে এখনো আলোচনার শীর্ষে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে নিহত সেই ওসামা বিন লাদেন।
Comment