বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
ইন্নাল হামদুলিল্লাহ ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লাম তাসলিমান কাসীরা, ‘আম্মা বা’আদ
মালিকুল মুলক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন -
হে নবী, আপনি বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করুন ক্বিতালের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফিরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। [আল-আনফাল, ৬৫]
হে আমার ভাইরা সুসংবাদ গ্রহন করুন, মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, অধিক পরিমানে আল্লাহ আর-রাহমান, আল মুজিব উদ-দু’আকে স্মরন করুন, দৃঢ়পদ থাকুন, নিজের কাজে অধিকতর মনোযোগের আত্বনিয়োগ করুন, শুনুন ও আনুগত্য করুন, তানযিম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের এই বরকতময় মানহাজের সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখুন যে মানহাজের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য এর ঘোরতর শত্রুদের মুখ থেকেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বের করেন, এবং বারবার আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন, যিনি বলেছেন -
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। [আল-আনফাল, ১৫]
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। [আল-আনফাল, ৪৫]
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত “Bangladesh Says It Now Knows Who’s Killing the Bloggers” [প্রকাশিত ৮ই জুন, ২০১৬] রিপোর্টে বাংলাদেশে ২০১৩ থেকে শুরু হওয়া এবং ২০১৫ থেকে বেগবান হওয়া জঙ্গি তৎপরতা, বিশেষ করে ব্লগার ও সমকামী অধিকার কর্মী হত্যা নিয়ে আলোচনা উঠে এসেছে। এ রিপোর্টে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গিদের দ্বারা সঙ্ঘটিত হত্যাকান্ড সহ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জঙ্গি ফ্যাক্টরটি ঠিক কি ধরনের ভূমিকা রাখছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। এ রিপোর্টে নবগঠিত CTTC (Counter Terrorism And Trans National Crime) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামের বরাত দিয়ে দীর্ঘ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
এ রিপোর্টের মাধ্যমে দেশীয় শত্রুর চোখে বাস্তবতা চিত্রিত করা হয়েছে আন্তরজাতিক শত্রুদের সামনে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরার জন্য। আর যে চিত্রায়ন তারা করেছে তা আবারও প্রমান করে কেন তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের মানহাজই উম্মাহর উত্তরনের জন্য শ্রেষ্ঠ মানহাজ ইনশা আল্লাহ, এবং আলহামদুলিল্লাহ আনসার আল ইসলাম এই বরকতপূর্ণ মানহাজের উপরই দৃঢ় আছে।
এই রিপোর্টে শত্রুর মুখ থেকেই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে আনসার আল ইসলামের বিজয়ের কথা ফুটে উঠেছে। শত্রু নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে –
“তারা সতর্কতার সাথে তাদের টার্গেট নির্ধারনের চেষ্টা করেছে যাতে করে জনসমর্থন আদায় করা যায়...সাধারনভাবে মানুষ এখন মনে করছে তারা যা করেছে ঠিকই করেছে, এবং ব্লগার, সমকামী এবং অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের হত্যা করা অযৌক্তিক কিছু না।“
মনস্তাত্ত্বিক যে যুদ্ধে আমাদের হারাবার জন্য তারা এবং তাদের কাফির প্রভুরা প্রতিনিয়ত, মিডিয়া এবং ভাড়াটে সুশীলদের পেছনে অজস্র অর্থ ব্যয় করছে, যে যুদ্ধে আমাদের হারাবার জন্য বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা প্রতিনিয়ত আমাদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে, আজ তারা নিজেরাই স্বীকার করছে এই যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত তাদের পরাজয় হয়েছে। এবং সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই।
মূলত এ রিপোর্টটি লেখা হয়েছে মনিরুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে, এবং প্রকৃতপক্ষে সে আইন শৃংখলা বাহিনি তথা প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবেই এ কথাগুলো বলেছে। তার কথায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশয় উঠে এসেছে –
১) তারা মনে করছে দুটো পৃথক জঙ্গিদল বর্তমানে কাজ করছে
২) এদের উদ্দেশ্য এক, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে মেরুকরন ঘটানো
৩) আনসার আল ইসলাম এ উদ্দেশ্যে টার্গেত নির্ধারন ও হামলার বাস্তবায়নের দিক দিয়ে অধিকতর পেশাদার
৪) যেকারনে তারা জনসমর্থন তাদের দিকে নিতে সক্ষম হয়েছে, এবং জনসাধারনের সামনে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও যারা ধর্মনিরপেক্ষ তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছে
৫) সাধারন জনগন আনসারের হামলা গুলোকে সমর্থন করে, এবং এ জাতীয় হামলার গ্রহনযোগ্যতা সমাজে রয়েছে।
৬) আইএস(যেটাকে তারা জেএমবি বলছে) হামলা বাস্তবায়ন টার্গেট নির্ধারনের ক্ষেত্রে একই রকম মুন্সীয়ানা দেখাতে পারে নি। যেকারন জনসমর্থন তাদের অনুকূলে নেই
৭) পেশাদারিত্বের অভাবের কারনে তাদের অনেক সদস্য হামলার পরপরই ধরা পরেছে।
৮) হামলার যে গ্রহনযোগ্যতা সমাজে আনসার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে এবং যার কারনে সমাজে যে মেরুকরন ঘটছে তার ফলে সরকার রক্ষনাত্বক ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছে
৯) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট আওয়ামী লিগ বনাম বিএনপি, চেতনা বনাম রাজাকার থেকে, ধর্মনিরপেক্ষ বনাম ইসলামপন্থীতে পরিনত হয়েছে।
১০) যদি দলগুলোর নেতাদের ধরাও হয় তথাপি এসব হামলা থামানো যাবে না যদি না মূল আদর্শকে (তাদের ভাষায় “ইসলামী মৌলবাদ) থামানো না যায়।
মনিরুলের এ স্বীকারোক্তি থেকে একদিকে প্রমানিত হয় আল্লাহর ইচ্ছায় আনসার আল ইসলামের সফল হামলা সমূহের মাধ্যমে সমাজের চিন্তাধারাতেই এবং জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি পরিবর্তন হচ্ছে, নিঃসন্দেহে এটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নুসরাত। যারা আল্লাহ রাসূলের ﷺ সম্মান রক্ষার্থে এগিয়ে এসেছে, যারা আল্লাহর রাসূলকে ﷺ নিজের চোখা না দেখেও, আল্লাহর রাসূলের ﷺ সংস্পর্শের সৌভাগ্য না পেয়েও আল্লাহর রাসূলের ﷺ আনসার হবার জন্য, আল্লাহর রাসূলের ﷺ প্রতি ভালোবাসার প্রমান দেওয়ার জন্য সাহাবাদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা, আর ‘আব্দুল্লাহ ইবন আতীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া আজমাইনের অনুসরন করছে, নিজেদের জান ও মালকে আল্লাহর রাস্টায় উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞা করেছে, আল্লাহ তার সে দুর্বল বান্দাদের সাহায্য করছেন। সকল প্রশংসা আর রাহমান আর রাহীম আল্লাহর, এবং সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর পক্ষ থেকেই। অতএব সুসংবাদ গ্রহন করুন, আনন্দিত হোন, এই বরকতময় পথে দৃঢ়পদ থাকুন।
“নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তারাই লাঞ্ছিতদের দলভূক্ত। আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।“ [আল মুজাদিলাহ, ২০,২১]
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। [আত-তাওবাহ, ১৭]
অন্যদিকে এও প্রমানিত হয় নিছক সহিংসতার খাতিরে সহিংসতা কিংবা তাড়াহুড়ো, কিংবা মিডিয়াতে শোরগোল সৃষ্টি করার জন্য কাজ করা, সঠিক শার’ই বিশ্লেষণসহকারে ও মূলনীতি অনুযায়ী অগ্রসর না হওয়া- এধরনের প্রবনতা দীর্ঘমেয়াদে নানা ধরনের ক্ষতি ডেকে আনে, যেমনটা আইএসের অপারেশানের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। শুরুতেই জনগন থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য এবং সাধারন মুসলিম জনগণের জন্য ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। অতএব সতর্ক হোন নিজের কাজে অধিকতর মনোযোগের আত্বনিয়োগ করুন, শুনুন ও আনুগত্য করুন, তানযিম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের এই বরকতময় মানহাজের সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখুন, এবং জিহাদের সাধারন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের চিন্তা ও তরবারীসমূহকে শানিত করুন।
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন (৮/৩৯)
সকল প্রশংসা একমাত্র জগতসমূহের অধিকর্তা আল্লাহরই, সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ, তার পরিবার ﷺ, এবং তার ﷺ সাহাবাগণের উপর।
ইন্নাল হামদুলিল্লাহ ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লাম তাসলিমান কাসীরা, ‘আম্মা বা’আদ
মালিকুল মুলক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন -
হে নবী, আপনি বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করুন ক্বিতালের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফিরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। [আল-আনফাল, ৬৫]
হে আমার ভাইরা সুসংবাদ গ্রহন করুন, মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, অধিক পরিমানে আল্লাহ আর-রাহমান, আল মুজিব উদ-দু’আকে স্মরন করুন, দৃঢ়পদ থাকুন, নিজের কাজে অধিকতর মনোযোগের আত্বনিয়োগ করুন, শুনুন ও আনুগত্য করুন, তানযিম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের এই বরকতময় মানহাজের সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখুন যে মানহাজের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য এর ঘোরতর শত্রুদের মুখ থেকেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বের করেন, এবং বারবার আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন, যিনি বলেছেন -
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। [আল-আনফাল, ১৫]
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। [আল-আনফাল, ৪৫]
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত “Bangladesh Says It Now Knows Who’s Killing the Bloggers” [প্রকাশিত ৮ই জুন, ২০১৬] রিপোর্টে বাংলাদেশে ২০১৩ থেকে শুরু হওয়া এবং ২০১৫ থেকে বেগবান হওয়া জঙ্গি তৎপরতা, বিশেষ করে ব্লগার ও সমকামী অধিকার কর্মী হত্যা নিয়ে আলোচনা উঠে এসেছে। এ রিপোর্টে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গিদের দ্বারা সঙ্ঘটিত হত্যাকান্ড সহ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জঙ্গি ফ্যাক্টরটি ঠিক কি ধরনের ভূমিকা রাখছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। এ রিপোর্টে নবগঠিত CTTC (Counter Terrorism And Trans National Crime) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামের বরাত দিয়ে দীর্ঘ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
এ রিপোর্টের মাধ্যমে দেশীয় শত্রুর চোখে বাস্তবতা চিত্রিত করা হয়েছে আন্তরজাতিক শত্রুদের সামনে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরার জন্য। আর যে চিত্রায়ন তারা করেছে তা আবারও প্রমান করে কেন তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের মানহাজই উম্মাহর উত্তরনের জন্য শ্রেষ্ঠ মানহাজ ইনশা আল্লাহ, এবং আলহামদুলিল্লাহ আনসার আল ইসলাম এই বরকতপূর্ণ মানহাজের উপরই দৃঢ় আছে।
এই রিপোর্টে শত্রুর মুখ থেকেই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে আনসার আল ইসলামের বিজয়ের কথা ফুটে উঠেছে। শত্রু নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে –
“তারা সতর্কতার সাথে তাদের টার্গেট নির্ধারনের চেষ্টা করেছে যাতে করে জনসমর্থন আদায় করা যায়...সাধারনভাবে মানুষ এখন মনে করছে তারা যা করেছে ঠিকই করেছে, এবং ব্লগার, সমকামী এবং অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের হত্যা করা অযৌক্তিক কিছু না।“
মনস্তাত্ত্বিক যে যুদ্ধে আমাদের হারাবার জন্য তারা এবং তাদের কাফির প্রভুরা প্রতিনিয়ত, মিডিয়া এবং ভাড়াটে সুশীলদের পেছনে অজস্র অর্থ ব্যয় করছে, যে যুদ্ধে আমাদের হারাবার জন্য বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা প্রতিনিয়ত আমাদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে, আজ তারা নিজেরাই স্বীকার করছে এই যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত তাদের পরাজয় হয়েছে। এবং সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই।
মূলত এ রিপোর্টটি লেখা হয়েছে মনিরুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে, এবং প্রকৃতপক্ষে সে আইন শৃংখলা বাহিনি তথা প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবেই এ কথাগুলো বলেছে। তার কথায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশয় উঠে এসেছে –
১) তারা মনে করছে দুটো পৃথক জঙ্গিদল বর্তমানে কাজ করছে
২) এদের উদ্দেশ্য এক, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে মেরুকরন ঘটানো
৩) আনসার আল ইসলাম এ উদ্দেশ্যে টার্গেত নির্ধারন ও হামলার বাস্তবায়নের দিক দিয়ে অধিকতর পেশাদার
৪) যেকারনে তারা জনসমর্থন তাদের দিকে নিতে সক্ষম হয়েছে, এবং জনসাধারনের সামনে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও যারা ধর্মনিরপেক্ষ তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছে
৫) সাধারন জনগন আনসারের হামলা গুলোকে সমর্থন করে, এবং এ জাতীয় হামলার গ্রহনযোগ্যতা সমাজে রয়েছে।
৬) আইএস(যেটাকে তারা জেএমবি বলছে) হামলা বাস্তবায়ন টার্গেট নির্ধারনের ক্ষেত্রে একই রকম মুন্সীয়ানা দেখাতে পারে নি। যেকারন জনসমর্থন তাদের অনুকূলে নেই
৭) পেশাদারিত্বের অভাবের কারনে তাদের অনেক সদস্য হামলার পরপরই ধরা পরেছে।
৮) হামলার যে গ্রহনযোগ্যতা সমাজে আনসার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে এবং যার কারনে সমাজে যে মেরুকরন ঘটছে তার ফলে সরকার রক্ষনাত্বক ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছে
৯) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট আওয়ামী লিগ বনাম বিএনপি, চেতনা বনাম রাজাকার থেকে, ধর্মনিরপেক্ষ বনাম ইসলামপন্থীতে পরিনত হয়েছে।
১০) যদি দলগুলোর নেতাদের ধরাও হয় তথাপি এসব হামলা থামানো যাবে না যদি না মূল আদর্শকে (তাদের ভাষায় “ইসলামী মৌলবাদ) থামানো না যায়।
মনিরুলের এ স্বীকারোক্তি থেকে একদিকে প্রমানিত হয় আল্লাহর ইচ্ছায় আনসার আল ইসলামের সফল হামলা সমূহের মাধ্যমে সমাজের চিন্তাধারাতেই এবং জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি পরিবর্তন হচ্ছে, নিঃসন্দেহে এটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নুসরাত। যারা আল্লাহ রাসূলের ﷺ সম্মান রক্ষার্থে এগিয়ে এসেছে, যারা আল্লাহর রাসূলকে ﷺ নিজের চোখা না দেখেও, আল্লাহর রাসূলের ﷺ সংস্পর্শের সৌভাগ্য না পেয়েও আল্লাহর রাসূলের ﷺ আনসার হবার জন্য, আল্লাহর রাসূলের ﷺ প্রতি ভালোবাসার প্রমান দেওয়ার জন্য সাহাবাদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা, আর ‘আব্দুল্লাহ ইবন আতীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া আজমাইনের অনুসরন করছে, নিজেদের জান ও মালকে আল্লাহর রাস্টায় উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞা করেছে, আল্লাহ তার সে দুর্বল বান্দাদের সাহায্য করছেন। সকল প্রশংসা আর রাহমান আর রাহীম আল্লাহর, এবং সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর পক্ষ থেকেই। অতএব সুসংবাদ গ্রহন করুন, আনন্দিত হোন, এই বরকতময় পথে দৃঢ়পদ থাকুন।
“নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তারাই লাঞ্ছিতদের দলভূক্ত। আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।“ [আল মুজাদিলাহ, ২০,২১]
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। [আত-তাওবাহ, ১৭]
অন্যদিকে এও প্রমানিত হয় নিছক সহিংসতার খাতিরে সহিংসতা কিংবা তাড়াহুড়ো, কিংবা মিডিয়াতে শোরগোল সৃষ্টি করার জন্য কাজ করা, সঠিক শার’ই বিশ্লেষণসহকারে ও মূলনীতি অনুযায়ী অগ্রসর না হওয়া- এধরনের প্রবনতা দীর্ঘমেয়াদে নানা ধরনের ক্ষতি ডেকে আনে, যেমনটা আইএসের অপারেশানের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। শুরুতেই জনগন থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য এবং সাধারন মুসলিম জনগণের জন্য ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। অতএব সতর্ক হোন নিজের কাজে অধিকতর মনোযোগের আত্বনিয়োগ করুন, শুনুন ও আনুগত্য করুন, তানযিম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের এই বরকতময় মানহাজের সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখুন, এবং জিহাদের সাধারন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের চিন্তা ও তরবারীসমূহকে শানিত করুন।
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন (৮/৩৯)
সকল প্রশংসা একমাত্র জগতসমূহের অধিকর্তা আল্লাহরই, সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ, তার পরিবার ﷺ, এবং তার ﷺ সাহাবাগণের উপর।
Comment