ইসলাম আমরাই রক্ষা করবো, মাওলানারা নয়’
সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারা কাফের এবং ইসলামের শত্রু। তাদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করার দাবি করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, একমাত্র আমরাই পারবো তাদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে, তথাকথিত মাওলানারা তা পারবেন না।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জঙ্গিবাদ হত্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট’ নামের একটি সংগঠন এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ যে জঙ্গি হামলা হচ্ছে তা আইএস বা তালেবানের কাজ নয়। এই হামলার সঙ্গে জামায়াত-শিবির সরাসরি জড়িত। তারাই এ হামলাগুলো করছে এবং তাদেরকে সহযোগিতা করছে বিএনপি।’
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশনে চলবে না, তাই তাদের প্রেসক্রিপশনে কোনো লাভ হবে না।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, ‘এরা ২০১৩ সালে সংলাপের কথা বলতে বলতে পাগল হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। আসলে এরা দু’জন মুক্তিযোদ্ধা নামে কলঙ্ক।’
গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধীদের দখলে ছিল। আমাদের সাত বছরের ক্ষমতায় এদেরকে হটিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। যারা এখনো ঘাঁপটি মেরে প্রশাসনের ভেতরে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবিরোধী যুদ্ধে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কেবল স্বাধীনতাবিরোধীরা ছাড়া।’
জুজুর ভয় দেখিয়ে বিদেশিরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রগুলো জুজুর ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মাতব্বারি করতে চায়। কিন্তু ফ্যান্স, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্থানসহ-পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে যখন জঙ্গি হামলায় নিহত হয় তাদের মুখ থেকে কোনো কথা বের হয় না।’
কামরুল বলেন, ‘আমি বিদেশিদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের দেশে কোনো আইএস নেই। মূল জঙ্গি হলো জামায়াত-শিবির। আর এদের সহযোগী হলো বিএনপি। জঙ্গি হিসেঙ্গবে যাদেরকে পুলিশ আটক করেছে তারা আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।’
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম ফরীদউদ্দীন মাসঊদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুল রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির উপসম্পাদক এম. এ. করিম প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস
Comment