Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুফফার নিউজ || প্রথম আলো

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুফফার নিউজ || প্রথম আলো






    ‘সিরিয়ার লাখো শিশুর প্রতিনিধি ওমরান’



    ছোট্ট শরীরের পুরোটা ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন। ধূলি-ধূসর মাথাভর্তি চুলের মধ্য থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। সেই রক্ত মুখের ওপর এসে ধুলার সঙ্গে মিশে পেস্ট হয়ে গেছে। রক্তের ছোপ ছোপ দাগ শরীরের অন্যান্য অংশেও। বাঁ হাতটা তুলে প্রথমে তালুর পেছন দিকটা, পরে সামনের দিকটা মুখের ওপর বুলিয়ে আনল। এরপর হাতটা চোখের সামনে ধরতেই যেন একটু চমকে উঠল। তারপর চেয়ারে ঘষে হাতের রক্ত মুছে ফেলল।

    এত কিছুর পরও কেমন যেন শান্ত পাঁচ বছরের শিশু ওমরান দাকনিশ। কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি নেই। তবে পরিস্থিতির আকস্মিকতায় সে কিছুটা বিমূঢ়।

    এর একটু আগেই তাকে উদ্ধার করা হয় সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে। এরপর তাকে এনে বসানো হয় কমলা রঙের অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চেয়ারে।

    আলেপ্পোর কাতেরচি এলাকায় গত বুধবার বিমান হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। ওই দিন সেখানে বিমান হামলায় একটি বাড়ি ধসে পড়ে। তার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা লোকজনের মধ্যে ছিল কয়েকটি শিশু।

    ওমরানকে উদ্ধারের দৃশ্যটি ধারণ করেন স্থানীয় সাংবাদিক মুস্তফা আল-সারৌত। সরকার ও বিদ্রোহী—দুই পক্ষের লড়াইয়ে সিরিয়ার অধিবাসীরা যে অবর্ণনীয় কষ্টের মাঝে দিন যাপন করছে, তারই যেন প্রতীক হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই ভিডিও বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

    মুস্তফা আল-সারৌত বলেন, ‘আমি বহু শিশুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করতে দেখেছি। কিন্তু এই নিষ্পাপ শিশুটিকে দেখার পর মনে হলো, যেন সে জানেই না একটু আগে তার সঙ্গে কী ঘটে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই শিশুদের ওপর প্রতিদিনই বোমা পড়ে। আজকের এই ঘটনা কোনো ব্যতিক্রম কিছু নয়। সিরিয়ার লাখো শিশুর প্রতিনিধি এই শিশু।’

    গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের উপকূলের সৈকতে পড়ে ছিল সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির লাশ। যুদ্ধের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া আয়লানের মৃতদেহের সেই ছবি বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলে। আয়লানের পর ওমরান দাকনিশের এই ছবিকে অন্যতম মর্মস্পর্শী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
    কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

  • #2








    আয়লানকে স্মরণ করিয়ে দিল যে ছবি





    আন্তর্জাতিক
    আরব বিশ্ব

    আয়লানকে স্মরণ করিয়ে দিল যে ছবি
    অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ২২:২৪, আগস্ট ১৮, ২০১৬









    রক্ত ও ধুলো মাখামাখি অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সের একটি আসনে বসে আছে ছোট্ট শিশুটি। নিস্পৃহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। গতকাল বুধবার রাতে সিরিয়ার মানবাধিকারকর্মীরা এই হৃদয়বিদারক ছবিটি প্রচার করার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবিটি দেখে মর্মাহত লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন থেকে ওমরান দাকনিশ নামের পাঁচ বছর বয়সী এই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    ওমরানের এই ছবিটি সিরিয়ার আরেক শিশু আয়লান কুর্দির কথাই মনে করিয়ে দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ছেড়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যায় তিন বছর বয়সী আয়লান। তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে পড়ে থাকা আয়লানের নিথর দেহ বিশ্ববিবেককে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়।

    ওমরানের ছবিটি তুলেছেন আল জাজিরার আলোকচিত্রী মাহমুদ রাসলান। সংবাদ সংস্থা এপিকে তিনি বলেছেন, আহত শিশুটিকে উদ্ধারের আগে তিনি তিনটি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন।
    স্থানীয় একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়েছে।
    ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটির মা-বাবা ও তিন ভাইবোন বেঁচে আছেন।
    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার বাণিজ্যিক ও শিল্প শহর হিসাবে খ্যাত আলেপ্পোতে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনীর হামলা–পাল্টাহামলা বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত হামলায় শত শত মানুষ মারা গেছে।
    বিরোধী পক্ষ–সমর্থিত আলেপ্পো মিডিয়া সেন্টার গতকাল মধ্যরাতে শিশুটির ছবি এবং উদ্ধারের ভিডিও প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বিদ্রোহী অধ্যুষিত আলেপ্পোর কাতারজি জেলা থেকে ওমরানকে উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় ওই রাতে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১২ জন।
    ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন থেকে উদ্ধারকারী মেডিকেল দলের একজন শিশুটিকে বের করে নিয়ে এসে একটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনের একটি আসনে বসিয়েছেন। শিশুটির মুখমণ্ডল রক্তাক্ত এবং সারা শরীর ধুলোমাখা। উদ্ধারকারী শিশু ওমরানকে বসিয়ে চলে যাওয়ার পর সে চরম সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে চুপ করে বসেছিল। আসনে বসে কান্নার আগে সে তার মুখে হাত বুলিয়ে এনে রক্তমাখা হাতের দিকে তাকিয়েছিল।
    Last edited by polashi; 08-21-2016, 07:33 AM.
    কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

    Comment


    • #3
      কুফফাররা নিজেরাই ওদেরকে মারছে আবার যখন বিশ্ব একটু জেনে যাচ্ছে তখন আবার নিজেরাই মায়া কান্না জুড়ে দিচ্ছে।
      একেই বলে দাজ্জালী ফিৎনা। বিস্ময় তোদের উপর হে কুফফার !
      কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

      Comment


      • #4
        কুনদুজের খানাবাদ তালেবানের দখলে




        আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুনদুজ প্রদেশের খানাবাদ জেলা তালেবান জঙ্গিরা গতকাল শনিবার দখল করে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করলে সরকারি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

        প্রাদেশিক রাজধানী কুনদুজ শহরটি গত সেপ্টেম্বরেই আংশিক নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এটি ওই এলাকায় গত ১৪ বছরে জঙ্গিদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি বাহিনীর গোলাবারুদ ও শক্তিবৃদ্ধির অভাবের কারণেই খানাবাদের পতন হয়েছে।

        আন্তর্জাতিক বাহিনী ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে সক্রিয় তৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে তালেবান জঙ্গিরা ধীরে ধীরে আবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে।


        কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

        Comment


        • #5
          তাগুত মানব জমিন



          জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার সাংবাদিকদের


          জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন সাংবাদিকরা। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জেগে ওঠ দেশবাসী, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ স্লোগানে মানববন্ধন করেন তারা। যৌথভাবে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ। এক ঘণ্টার ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, কোনো অপশক্তি সাংবাদিকদের প্রতিবাদ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো বিভাজন নেই। আমি এটিকে সমর্থন জানাই। সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক। ধর্মের অপব্যাখ্যার নামে হত্যা, সন্ত্রাস করা চলবে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গোটা বাংলাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন জেলা প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো এই কর্মসূচি পালন করছে। বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আজকে জঙ্গিবাদ জাতি ও রাষ্ট্রকে সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ইসলামের নামে যারা সহিংসতা করছে, তারা প্রকৃত ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিক ও মানুষ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএফইউজের (একাংশ) মহাসচিব ওমর ফারুক, বিএফইউজের (একাংশ) সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

          কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

          Comment


          • #6



            সিরিয়ান বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে নুসরা ফ্রন্ট!

            মানবজমিন ডেস্ক | ১৯ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার | সর্বশেষ আপডেট: ৭:০৮

            সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নুসরা ফ্রন্টকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিছু দিন আগে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্কে ইতি টানার ঘোষণা দেয় নুসরা ফ্রন্ট। বর্তমানে নিজেদের নামও পাল্টেছে এ সংগঠনটি। ২৮শে জুলাই জাবাত ফাতেহ আল-শাম (জেএফএস) নামধারণ করে সাবেক নুসরা ফ্রন্ট। জঙ্গি সংগঠনটির নেতৃত্বস্থানীয় এক নেতা প্রথমবারের মতো একটি বৃটিশ টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ঐক্যপ্রচেষ্টার ব্যাপারে তিনি বৃটিশ টিভি চ্যানেল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আলাদা থাকার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্যেই আমরা বেশি শক্তিশালী।’
            স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে জেএফএস অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। ফলে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ছাড়া সরকারবিরোধী অন্যান্য ডজন ডজন বিদ্রোহী গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করবে। খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে এ উদ্যোগের দ্রুত ও চমকপ্রদ প্রভাব দেখা গেছে। ঐক্যের দরুন সম্মিলিতভাবে আলেপ্পোর অবরোধ ভাঙ্গা সম্ভব হয়েছে।
            শেখ মোস্তাফা মাহামেদ নামে ওই জেএফএস নেতা আলেপ্পো থেকেই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। খবরে বলা হয়, তিনি ইংরেজিভাষী, বয়স ৩৫ বছরের মতো এবং উচ্চ শিক্ষিত। পড়ালেখা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ফলে পশ্চিমারা কীভাবে চিন্তা, বিবেচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ব্যাপারে প্রখর জ্ঞান রয়েছে তার। জেএফএস থেকে তাকে বিদেশী গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ দেয়া হয়েছে। দলে তার ডিরেক্টরের পদমর্যাদা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে এ কাজ দেয়া ও বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা শুরুর মাধ্যমে জেএফএস দৃশ্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে, এ যুদ্ধে পশ্চিমা গণমাধ্যমও প্রয়োজনীয় হতে পারে।
            এদিকে আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন করলেও, জেএফএস’র সঙ্গে কাজ করতে বিশেষ করে মার্কিন সরকার অস্বস্তি বোধ করছে। ইতিমধ্যে দেশটি বলেছে, আল নুসরা ফ্রন্টের নাম বদলানোটা স্রেফ রিব্রান্ডিং। ভেতরে এখনও একই চরমপন্থী মূল্যবোধ ও এজেন্ডা রয়েছে তাদের।
            প্রকৃতপক্ষে, এ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব ও শীর্ষস্তরের নেতৃবৃন্দ ঠিক আগের মতো কট্টর মনোভাবই ধারণ করেন। কিন্তু শেখ মোস্তাফা আহমেদ দাবি করেন, আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন করাটা তার গ্রুপের আন্তরিকতা বৈ কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘এটি অবশ্যই সাময়িক কিছু নয়। সিরিয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর খুবই দরকারী পুনরেকত্রীকরণের জন্য এটি প্রয়োজনীয় এক পদক্ষেপ। আল নুসরা ফ্রন্ট প্রথমে বিলুপ্ত করে জেএফএস সৃষ্টির এটিই অন্যতম প্রধান কারণ। ঐক্যপ্রক্রিয়ার সফলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে এমন সব বাধা দূরীকরণের জন্যই এটি করা হয়েছে। যেমন, অপ্রয়োজনীয় স¤পর্ক (অ্যাফিলিয়েশনও) এ ধরণের বাধা।’
            তার বিশ্বাস, বেশিরভাগ মানুষ যা চায়, ঠিক তেমনটাই ছিল তাদের প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই ¯পষ্ট, পশ্চিমারা অনুমান করছে যে, আমাদের আদর্শ সিরিয়ার জনসাধারণের কাছে একেবারেই এলিয়েন-সদৃশ কিছু একটা। আমরা এমন ধারণা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করি। যদি পশ্চিমা সরকার চায় যে, আমরা এগিয়ে আসি এবং যদি বলে যে, তারা উদারপন্থী, পশ্চিমা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র চায়, তাহলে তাদের বুঝতে হবে যে, মুসলিম সমাজ হিসেবে আমাদের মূল বিশ্বাস ও মূল্যবোধই আমাদের জীবনের সব স্তরকে সংজ্ঞায়িত করে। এটিই আমাদের পরিচয়কে রূপ দেয়। এর মাধ্যমে এমন ধরণের শাসনব্যবস্থা তৈরি হয় যার মাধ্যমে নির্যাতন দূরীভুত হবে এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হবে।’
            এর অর্থ শরিয়া আইনের প্রচলন। জেএফএস দাবি করছে, পশ্চিমারা এর নেতিবাচক দিকটি দেখতে পাচ্ছে। ইতিবাচক দিক নয়। শেখ মোস্তাফা মাহামেদের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জানিয়েছেন, শিক্ষা ও পুন:শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগ রয়েছে তার। এ কারণেই হয়তো তিনি পশ্চিমা গণমাধ্যমকে খবর জানানোর কাজ হাতে নিয়েছেন। শিক্ষা ও ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞানের ওপর দু’টি মাস্টার্স রয়েছে তার। তার পরিবার স¤পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে সিরিয়ায় যা ঘটছে, সে ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাকে উৎসাহী মনে হয়েছে। আলেপ্পোর অবরোধ ভাঙ্গার দিকে সব বাহিনীর মনোযোগ দেখে তিনি হতাশ বলে জানা যায়। কেননা, একই সময়ে আরও অনেক শহরেও দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে।
            তবে আলেপ্পো অবরোধ ভাঙ্গার কাজে বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয় ও এতে জেএফএস’র সংযুক্তির ব্যাপারে নতুন তথ্য দিয়েছেন শেখ মোস্তাফা মোহামেদ। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর আলেপ্পো। আল আসাদ ও তার মিত্ররা প্রায় ৩ লাখ বেসামরিক মানুষের জন্য রসদ সরবরাহের একমাত্র পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ওই পথের মাধ্যমে মানবিক ত্রাণবাহী গাড়ি যেত।’ তিনি বলেন, ‘এটিই ছিল সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে বড় দলগুলোর সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের সমন্বিত সহযোগ। শ’ শ’ সেনা, সবচেয়ে অভিজ্ঞ সামরিক কমান্ডার, সব প্রচেষ্টা একসঙ্গে জড়ো হয়েছে সিরিয়ার মহাদুর্যোগের চার হোতা Ñ আসাদ সরকার, রাশিয়া, ইরান ও হেজবুল্লাহ মিলিশিয়ার প্রচেষ্টা নষ্ট করে দিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে জেএফএস’র অখ- ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে। যেমন, শক্তিশালী ব্যূহ ভেদ করে আমাদের বিশেষ বাহিনী আর্টিলারি অ্যাকাডেমি দখল করেছে। আমি একে দারুণ বীরত্বপূর্ণ বলবো, কারণ এ সেনারা শত্রু শিবিরে ঢুকেছে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে। তারা ভেতরে গিয়ে লড়াই করেছে যাতে করে অতিরিক্ত সৈন্য ঢুকে মিশন সমাপ্ত করতে পারে। তাদেরকে ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না।’
            সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী এ যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর ঐক্য। তবে আলেপ্পোর অবরোধ ভাঙ্গার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি অনুগত বাহিনী আরও হিংস্র আক্রমণ শুরু করেছে। শ’ শ’ রকেট ও বিমান হামলা চালিয়েছে সরকারী বাহিনী ও তাদের মিত্ররা। তারা আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রন আবারও নিজেদের হাতে নিতে চায়।


            http://www.mzamin.com/article.php?mz...A7%8D%E0%A6%9F!
            কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

            Comment


            • #7




              এক মাসে সাড়ে ১৩ লাখ ছররা ব্যবহার কাশ্মীরে

              নয়া দিগন্ত অনলাইন

              ২০ আগস্ট ২০১৬,শনিবার, ০৭:৪৪



              ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক অস্থিরতা সামলাতে সেদেশের আধা সামরিক বাহিনী এক মাসে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ ছররা ব্যবহার করেছে। একই সময়ের মধ্যে সাড়ে আট হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটিয়েছে বিক্ষোভ সামাল দিতে।

              আধা সামরিক বাহিনীর ছোঁড়া ছররা গুলি বা কাঁদানে গ্যাসে ৬৬ জন মারা গেছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে অন্ধ হয়ে গেছেন।
              আদালতে দায়ের করা এক মামলার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী নিজেরাই এই হিসাব দিয়ে বলেছে ছররা বন্দুক ব্যবহার না করে যদি তারা গুলি ব্যবহার কর, তাতে অনেক বেশি মৃত্যু হতে পারত।

              ভারত-শাসিত কাশ্মীরে উগ্রপন্থী কমান্ডার বুরহান ওয়ানির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলিতে মৃত্যুর পর থেকেই সেখানে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। ওই বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ আর অর্ধ সৈনিক বাহিনীগুলি ব্যাপকহারে ছররা গুলি ব্যবহার করেছিল।
              ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৬৬ জন মারা গেছেন। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলছে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ছররা গুলিতে। আদালতে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে তারা ১১ অগাস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ শুরুর ৩৪ তম দিন পর্যন্ত তিন হাজার ছররা গুলির কার্তুজ ছুঁড়েছে, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তেরো লাখ ছররা ছোঁড়া হয়েছে।
              ওই একই সময়ে সাড়ে আট হাজার কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়েছে। কাশ্মীরের হাসপাতাল প্রশাসন বলছে এখন পর্যন্ত ছররায় আহত ৬০০ মানুষের অপারেশন করা হয়েছে যাদের মধ্যে ১১২ জনের চোখে ছররা লেগেছে। আহতদের অনেকের পরিবার বলছে অপারেশনের পরেও আহতরা চোখে দেখতে পাচ্ছেন না।

              চিকিৎসকেরা বলছেন অনেক ক্ষেত্রেই ছররা গুলি বন্দুকের গুলির থেকেও মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
              রাজা হরি সিং হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ড. জাভেদ বিবিসিকে বলছিলেন, গুলির আঘাত শুধু মাত্র একটি-ই হয়, কিন্তু ছররা মানুষের শরীরে একই সঙ্গে অনেকগুলি আঘাত বা ছিদ্র তৈরি করে দেয়। অপারেশনের সময়ে দেহে থেকে যাওয়া সবগুলি ছররার সন্ধান পাওয়াও কঠিন। এর ফলে আহতের মৃত্যুও হতে পারে।
              গত মাসে ভারত শাসিত কাশ্মীরে এক সফরে এসে ঘোষণা করেছিলেন যে ছররা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাহিনীগুলিকে সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছররা কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠিত হয়েছে।

              তবে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র রাজেশ যাদব বলছেন, পরিস্থিতি এমনিই হয়ে গেছে কেউ পাথর ছুঁড়ছে, কেউ পেট্রল বোমা ছুঁড়ছে, আবার অনেক জায়গায় তো গ্রেনেডও ছোঁড়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন যদি বাহিনীর সদস্যদের বলতে হয় সংযত হওয়ার কথা তাতে তো বাহিনীর মনোবলই ভেঙ্গে যাবে। সব কিছুর তো একটা সীমা থাকে।
              একসময়ে শিকার করার জন্য এধরণের ছররা গুলি ব্যবহার করা হত। ছোট ছোট ধাতব বলের ভেতরে বারুদ ভরে তারপরে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন দিয়ে একেকটি ছররা তৈরি হয়। একেকটি কার্তুজে সাড়ে চারশো ছররা থাকে – যেটা বন্দুক থেকে ছোঁড়া হলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীদের আহত করে।
              এই একই ছররা বিএসএফও বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবহার করছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে এই ছররা বন্দুক দেয়া হচ্ছে সীমান্ত রক্ষীদের। এই ছররা গুলিতেও সীমান্তে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন গত কয়েক বছরে– যাদের বেশিরভাগকেই বিএসএফ চোরাচালানকারী বলে অভিহিত করে।


              Last edited by polashi; 08-21-2016, 07:42 AM.
              কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

              Comment

              Working...
              X