পাতারটেকে ‘অপারেশন শরতের তুফানে’ ৭ ‘জঙ্গি’ নিহত
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১:৪৮,
অক্টোবর ০৮, ২০১৬
গাজীপুরের পাতারটেক এলাকার এই বাড়িতে চালোনো হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ছবি: আমানুর রহমান রনি গাজীপুরের নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে সাত ‘জঙ্গি’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এটি একইদিনে গাজীপুরে চালানো জঙ্গিবিরোধী দ্বিতীয় অভিযান। এদিকে, অভিযান শেষে জানা গেছে, এই অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন শরতের তুফান’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোয়াত, বম্ব ডিস্পোজাল টিম, কাউন্টার টেররিজম, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, দোতলা ওই বাড়িটির মালিক সোলায়মান সরকার। তিনি সৌদি আরবে থাকেন। বাড়িটি দেখাশোনা করেন তার ভাই ওসমান গনি। ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মাস তিনেক আগে বাড়িটি ভাড়া নেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তারা বাসা থেকে বের হতো না।
নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগের কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও তার সহযোগীরা সেখানে অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওই আস্তানাটি ঘিরে ফেলে সিটিটিসির সদস্যরা।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভেতরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে তাদের কাছে।
এদিন, বিকাল পৌনে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, 'তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর আকাশের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্ত তা না করে তারা উল্টো পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, পাতারটেকে জেএমবি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলি শেষে ওই বাড়ি থেকে সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। জব্দ হয়েছে তিনটি অস্ত্র , কয়েকটি চাপাতি ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার। গোলাগুলির মধ্যে ১৪টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কী ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তাৎক্ষণিক ভাবে সেগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, এ সময় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে একজন সদস্য আহত হয়। তার হাতে গুলি লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এছাড়াও সিটিটিসি সদস্যরা জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া আরও একজনের গায়ে গুলি লাগে। তবে লাইফ জ্যাকেট পরা থাকায় তিনি অক্ষত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে এদিন পশ্চিম হাড়িনালের পৃথক আরেকটি ‘জঙ্গি আস্তানা’য় শনিবার ভোরে অভিযান চালায় র*্যাব। সেখানে র*্যাবের অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র*্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১:৪৮,
অক্টোবর ০৮, ২০১৬
গাজীপুরের পাতারটেক এলাকার এই বাড়িতে চালোনো হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ছবি: আমানুর রহমান রনি গাজীপুরের নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে সাত ‘জঙ্গি’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এটি একইদিনে গাজীপুরে চালানো জঙ্গিবিরোধী দ্বিতীয় অভিযান। এদিকে, অভিযান শেষে জানা গেছে, এই অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন শরতের তুফান’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোয়াত, বম্ব ডিস্পোজাল টিম, কাউন্টার টেররিজম, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, দোতলা ওই বাড়িটির মালিক সোলায়মান সরকার। তিনি সৌদি আরবে থাকেন। বাড়িটি দেখাশোনা করেন তার ভাই ওসমান গনি। ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মাস তিনেক আগে বাড়িটি ভাড়া নেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তারা বাসা থেকে বের হতো না।
নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগের কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও তার সহযোগীরা সেখানে অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওই আস্তানাটি ঘিরে ফেলে সিটিটিসির সদস্যরা।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভেতরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে তাদের কাছে।
এদিন, বিকাল পৌনে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, 'তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর আকাশের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্ত তা না করে তারা উল্টো পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, পাতারটেকে জেএমবি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলি শেষে ওই বাড়ি থেকে সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। জব্দ হয়েছে তিনটি অস্ত্র , কয়েকটি চাপাতি ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার। গোলাগুলির মধ্যে ১৪টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কী ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তাৎক্ষণিক ভাবে সেগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, এ সময় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে একজন সদস্য আহত হয়। তার হাতে গুলি লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এছাড়াও সিটিটিসি সদস্যরা জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া আরও একজনের গায়ে গুলি লাগে। তবে লাইফ জ্যাকেট পরা থাকায় তিনি অক্ষত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে এদিন পশ্চিম হাড়িনালের পৃথক আরেকটি ‘জঙ্গি আস্তানা’য় শনিবার ভোরে অভিযান চালায় র*্যাব। সেখানে র*্যাবের অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র*্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Comment