চট্টগ্রাম:
শোলাকিয়া ঈদ জামাতের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এক লাখ আলেম জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা পৃথিবীর কোনো দেশ পারেনি। শোলাকিয়ায় হামলার পর আলেম ওলামা থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এখন এ অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল পাঁচটায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চকরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম সুচিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুচিন্তা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন, এখন ইসলামের নামে অপব্যাখা দেওয়ার সুযোগ নেই। সীতাকুণ্ডের বাড়ির মালিকই জঙ্গিদের ব্যাপারে পুলিশকে খবর দিয়েছে। এটা ইরাক ও সিরিয়া নয়, এটা বাংলাদেশ। এখানে সন্ত্রাসী করে মানুষ মেরে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারবে না। এদেশের জনগন, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সরকার এক হয়েছে। এ কারণে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে না।
ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার বিষয়ে বলেন, এখন আরেকটা সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আত্মঘাতী বোমা হামলা। যারা আত্মহত্যা করে, তাদের জানাজা পড়া হারাম। তাই বলবো ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ পছন্দ করি না। আমরা জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই। মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একসঙ্গে থাকতে চাই। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ হবে-এটাও চাই। তাই জঙ্গিবাদ রুখতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশেনের প্রতিনিধি সিরাজ উদ দৌলাহ, উম্মেহাতুল মোমেনিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসেন আনসারী, পালাকাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল হোছাইন, মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আবছার সিদ্দিকী, বাটাখালী নুরীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি মনজুরুল ইসলাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য বোখারী আজম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কমরউদ্দিন আহমদ, সদস্য জিএম আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, সহসভাপতি সরওয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক, জামাল উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা শফিউল বাহার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন, সহসভাপতি মুজিবুল হক, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম সাঈফি, আবদুল মান্নান রানা, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউছুফ জয় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এআর/টিসি
info:http://www.banglanews24.com/daily-ch...562805.details
Comment