সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করাটা আর যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার নয়। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আসাদ শান্তির জন্য বাধা। কিন্তু আগের মতো তাকে সরানোটা যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার নয় এখন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে চায় তার দেশ। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, আগে আমেরিকান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলতেন সিরিয়ায় শান্তি স্থাপন করতে হলে আসাদকে অবশ্যই যেতে হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ওই অবস্থান থেকে সরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। এবার আর রাখঢাক না করে তা জানিয়েও দেয়া হলো। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে অবশ্য আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশসমূহের সঙ্গে একযোগে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য কাজ করবে ওয়াশিংটন। হ্যালে সাংবাদিকদের এ কথা বলার পর মার্কিন কর্মকর্তারা তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে আসাদ সিরিয়ার বৈধ শাসক নন। কিন্তু তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র উদ্বেগও নন। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন এমন পরিবেশ তৈরি করতে চায় যাতে সিরিয়ার জনগণ নিজেরা নিজেদের সরকার গঠন করতে পারে। তার মতে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে আইএস’র হুমকি নির্মূল করা ও ইরানের প্রভাব কমানো। এদিকে তুরস্ক সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও আসাদের ক্ষমতায় থাকা, বা না থাকা নিয়ে মন্তব্য করেন। টিলারসন বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট আসাদ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন কিনা তা নির্ধারণ করবে সিরিয়ার জনগণ।’ অনেকদিন ধরে আসাদের মিত্র রাশিয়ার সুর এমনটাই ছিল। তবে নিকি হ্যালের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলো। সিরিয়ার যুদ্ধের বিদ্রোহী পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী হাই নেগোশিয়েশন্স কমিটির মুখপাত্র মোনজের মাখোস বলেন, বাশার আল আসাদের কোনো ভূমিকা কোনো পর্যায়ে বিদ্রোহীরা মেনে নেবে না। (দৈনিক মানব জমিন:২/৪/১৭)
আমেরিকা তথাকথিত শান্তি কায়েমের জন্য আসাদকে হাটাতে চেয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া যে করেই হোক আসাদকে বহাল রাখতে চেয়েছিল। আমেরিকা ব্যর্থ হয়ে এখন সূর পাল্টিয়েছে। রাশিয়ার দাবী মেনে নিচ্ছে। এখন পৃথিবীর সমস্ত পরাশক্তিই আসাদকে বহাল রাখতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা চান কিনা সেটা হল দেখার বিষয়। আশা করি আল্লাহর সৈনিকদের সাথে পৃথিবীর তাবত পরাশক্তি কুলিয়ে উঠতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। অচিরেই সব পরাশক্তিকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করতে হবে ইনশা আল্লাহ।
আমেরিকা তথাকথিত শান্তি কায়েমের জন্য আসাদকে হাটাতে চেয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া যে করেই হোক আসাদকে বহাল রাখতে চেয়েছিল। আমেরিকা ব্যর্থ হয়ে এখন সূর পাল্টিয়েছে। রাশিয়ার দাবী মেনে নিচ্ছে। এখন পৃথিবীর সমস্ত পরাশক্তিই আসাদকে বহাল রাখতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা চান কিনা সেটা হল দেখার বিষয়। আশা করি আল্লাহর সৈনিকদের সাথে পৃথিবীর তাবত পরাশক্তি কুলিয়ে উঠতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। অচিরেই সব পরাশক্তিকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করতে হবে ইনশা আল্লাহ।
Comment