বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে ভারতের ক্যাম্পেইন এগেনস্ট এট্রোসিটিজ অন মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ (ক্যাম্ব) নামের একটি সংস্থা।
পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনি ও রোববার সংস্থাটির সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আগামী দিনের কর্তব্য নির্ধরণ করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের দুই সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সম্মেলনে বক্তরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের ওপর সব হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ ও সহিংসতাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে হেট ক্রাইম এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার খর্ব করার বিষয় বিচারের জন্য আলাদা শাখা গঠন এবং বৈষম্যমূলক আইসিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সম্মেলনে বাজেয়াপ্ত ও দখল করে নেওয়া হিন্দু সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবির পাশাপাশি সরকার যাতে ইসলাম তোষণ বন্ধ করে এবং সংখ্যালঘু নিধন বন্ধ করে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
ক্যাম্ব নামের সংস্থাটির সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে মঠ-মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, জমিজমা দখল ও উচ্ছেদ, নারী ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(কলকাতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভাষণ দিচ্ছেন ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায়। ১ এপ্রিল, ২০১৭। )
সম্মেলনের শুরুতে ক্যাম্বের আহ্বায়ক মোহিত রায় বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে বিভিন্ন বক্তা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপর জোর দিলেও সম্মেলনের ঘোষণা পত্রে বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার উপর আস্থা রাখা হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে দেশ বিভাগের সময় থেকে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি ঘটনাক্রম উল্লেখ করে বলেছেন কীভাবে হিন্দুরা বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সচেতন ও জাগরুক হতে হবে। তবেই ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মানবাধিকারকর্মী শীতাংশু গুহ আভিযোগ করেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের কোনও বিচার হয় না। প্রশাসন উল্টে সহায়তা করে দুষ্কৃতকারীদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাতে হিন্দুদের উপর নির্যাতন না হয় তা নিশ্চিত করুন মোদি সরকার।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষও মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা যদি সজাগ হন এবং বাংলাদেশের সমস্যা নিজের মনে করে এগিয়ে আসেন তবেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আন্দোলন সফল হবে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও এমপি উষাতন তালুকদার বলেছেন, চট্টগ্রামের আদিবাসিদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসনে তাদের অংশিদারিত্বের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সম্মেলনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদানকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আলোচকরা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ২৩ লাখই হিন্দু। সম্মেলন শেষে যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনি ও রোববার সংস্থাটির সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আগামী দিনের কর্তব্য নির্ধরণ করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের দুই সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সম্মেলনে বক্তরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের ওপর সব হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ ও সহিংসতাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে হেট ক্রাইম এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার খর্ব করার বিষয় বিচারের জন্য আলাদা শাখা গঠন এবং বৈষম্যমূলক আইসিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সম্মেলনে বাজেয়াপ্ত ও দখল করে নেওয়া হিন্দু সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবির পাশাপাশি সরকার যাতে ইসলাম তোষণ বন্ধ করে এবং সংখ্যালঘু নিধন বন্ধ করে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
ক্যাম্ব নামের সংস্থাটির সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে মঠ-মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, জমিজমা দখল ও উচ্ছেদ, নারী ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(কলকাতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভাষণ দিচ্ছেন ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায়। ১ এপ্রিল, ২০১৭। )
সম্মেলনের শুরুতে ক্যাম্বের আহ্বায়ক মোহিত রায় বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে বিভিন্ন বক্তা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপর জোর দিলেও সম্মেলনের ঘোষণা পত্রে বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার উপর আস্থা রাখা হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে দেশ বিভাগের সময় থেকে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি ঘটনাক্রম উল্লেখ করে বলেছেন কীভাবে হিন্দুরা বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সচেতন ও জাগরুক হতে হবে। তবেই ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মানবাধিকারকর্মী শীতাংশু গুহ আভিযোগ করেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের কোনও বিচার হয় না। প্রশাসন উল্টে সহায়তা করে দুষ্কৃতকারীদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাতে হিন্দুদের উপর নির্যাতন না হয় তা নিশ্চিত করুন মোদি সরকার।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষও মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা যদি সজাগ হন এবং বাংলাদেশের সমস্যা নিজের মনে করে এগিয়ে আসেন তবেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আন্দোলন সফল হবে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও এমপি উষাতন তালুকদার বলেছেন, চট্টগ্রামের আদিবাসিদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসনে তাদের অংশিদারিত্বের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সম্মেলনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদানকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আলোচকরা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ২৩ লাখই হিন্দু। সম্মেলন শেষে যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।
Comment