স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূলে গাজীপুরের টঙ্গীতে রবিবার চিরুনী অভিযান শুরু করেছে জেলা পুলিশের ৫শতাধিক সদস্য। রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর ১৫ ওয়ার্ডে এ অভিযান একযোগে শুরু করা হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত একটানা এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযানকালে বিভিন্ন অভিযোগে ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ অভিযান শুরুর আগে দুপুরে টঙ্গী মডেল থানার ওসির কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর পাশে থাকায় গাজীপুরের শিল্প শহর টঙ্গীতে জঙ্গী সংগঠনের নেতা-কমী, মাদক ব্যবসায়ী, ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা অবস্থান করতে পারে এমন আশঙ্কায় এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
গাজীপুর সিটির টঙ্গী এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডকে ৬০ভাগে বিভক্ত হয়ে ৫শতাধিক পুলিশ দুপুর তিনটার দিকে একযোগে অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে পুলিশ সদস্যরা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যাবে। বাড়ির মালিকদের সহযোগিতায় ভাড়াটিয়াদের ফ্ল্যাট বা কক্ষে তল্লাশি চালাবে। যেসব বাড়িতে বাড়িওয়ালাদের পাওয়া যাবে না সেসব বাড়িতে পুলিশ সরাসরি প্রবেশ করবে।
এসব এলাকার যেসব বাড়িতে বাড়ির মালিকরা থাকেন না সেখানে কারা, কতদিন ধরে অবস্থান করছেন, তাদের পেশা কি এবং কখন বাড়িতে যাওয়া আসা করেন এসব বিষয় মাথায় রেখে একযোগে তল্লাশী অভিযান চালানো হবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে। এ অভিযান পর্যায়ক্রমে পুরো জেলায় অব্যহত থাকবে।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ আরো বলেন, টঙ্গীতে হাজার হাজার বাড়িতে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করেন। প্রতিদিন টঙ্গী থেকে অগনিত মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করেন। টঙ্গী, রাজধানীর কাছের নগরী হওয়ায় অপরাধীরা টঙ্গীতে আশ্রয় নিয়ে থাকে নিরাপদ ভাবে। ইতোপূর্বে টঙ্গী থেকে হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এছাড়া আরো বিভিন্ন অভিযানে ইতিপূর্বে টঙ্গী থেকে অনেক জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে। এই জেলায় ৬টি জেলখানা রয়েছে। অপরাধীরা অপরাধ করে এসব জেলখানার আশপাশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, আমরা এই অভিযানের মাধ্যমে এই ম্যাসেজ জনগণের কাছে দিতে চাই যে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ও জঙ্গীদের সমাজে কোন ঠাঁই নেই, বিশেষ করে গাজীপুরের পুরো জেলায়। আজ থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানের মাধ্যমে শিল্প নগরী টঙ্গী এলাকার হাজার হাজার বাসা বাড়িতে কোন্ ধরনের লোকজন বসবাস করে তা আমরা সচক্ষে পরীক্ষা করে দেখবো।
টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, অভিযানের সময় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বা পুলিশ সদস্যরা যাতে কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় সেজন্যই সমাজের সর্বস্তরের লোকজনদের নিয়ে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, সন্ধ্যায় পর্যন্ত পুলিশের এ চিরুনী অভিযান চলছে। অভিযানকালে টঙ্গীর আরিচপুর এলাকা থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/detai...A6%BE%E0%A6%A8
গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ অভিযান শুরুর আগে দুপুরে টঙ্গী মডেল থানার ওসির কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর পাশে থাকায় গাজীপুরের শিল্প শহর টঙ্গীতে জঙ্গী সংগঠনের নেতা-কমী, মাদক ব্যবসায়ী, ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা অবস্থান করতে পারে এমন আশঙ্কায় এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
গাজীপুর সিটির টঙ্গী এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডকে ৬০ভাগে বিভক্ত হয়ে ৫শতাধিক পুলিশ দুপুর তিনটার দিকে একযোগে অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে পুলিশ সদস্যরা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যাবে। বাড়ির মালিকদের সহযোগিতায় ভাড়াটিয়াদের ফ্ল্যাট বা কক্ষে তল্লাশি চালাবে। যেসব বাড়িতে বাড়িওয়ালাদের পাওয়া যাবে না সেসব বাড়িতে পুলিশ সরাসরি প্রবেশ করবে।
এসব এলাকার যেসব বাড়িতে বাড়ির মালিকরা থাকেন না সেখানে কারা, কতদিন ধরে অবস্থান করছেন, তাদের পেশা কি এবং কখন বাড়িতে যাওয়া আসা করেন এসব বিষয় মাথায় রেখে একযোগে তল্লাশী অভিযান চালানো হবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে। এ অভিযান পর্যায়ক্রমে পুরো জেলায় অব্যহত থাকবে।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ আরো বলেন, টঙ্গীতে হাজার হাজার বাড়িতে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করেন। প্রতিদিন টঙ্গী থেকে অগনিত মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করেন। টঙ্গী, রাজধানীর কাছের নগরী হওয়ায় অপরাধীরা টঙ্গীতে আশ্রয় নিয়ে থাকে নিরাপদ ভাবে। ইতোপূর্বে টঙ্গী থেকে হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এছাড়া আরো বিভিন্ন অভিযানে ইতিপূর্বে টঙ্গী থেকে অনেক জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে। এই জেলায় ৬টি জেলখানা রয়েছে। অপরাধীরা অপরাধ করে এসব জেলখানার আশপাশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, আমরা এই অভিযানের মাধ্যমে এই ম্যাসেজ জনগণের কাছে দিতে চাই যে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ও জঙ্গীদের সমাজে কোন ঠাঁই নেই, বিশেষ করে গাজীপুরের পুরো জেলায়। আজ থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানের মাধ্যমে শিল্প নগরী টঙ্গী এলাকার হাজার হাজার বাসা বাড়িতে কোন্ ধরনের লোকজন বসবাস করে তা আমরা সচক্ষে পরীক্ষা করে দেখবো।
টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, অভিযানের সময় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বা পুলিশ সদস্যরা যাতে কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় সেজন্যই সমাজের সর্বস্তরের লোকজনদের নিয়ে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, সন্ধ্যায় পর্যন্ত পুলিশের এ চিরুনী অভিযান চলছে। অভিযানকালে টঙ্গীর আরিচপুর এলাকা থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/detai...A6%BE%E0%A6%A8
Comment