হা হা হা... আগে কতক্ষণ হেসে নিই, তারপর বলি।
আমরা গ্রামগঞ্জে মহিলাদের দেখতাম ছোট বাচ্চারা দুষ্টমি করলে বা না ঘুমালে বলতেন- এই! ভুত আইয়ে... কামর দিবো...!! তখন বাচ্চারা ভুতের ভয়ে চুপ করে ঘুমিয়ে পড়ত। ঠিক এমন-ই একটি ভুতের ডরে গত দু’দিন যাবত বাংলাদেশের এলিট ফোর্সের(!) খাওয়া-দাওয়া, পায়খানা-পেসাব সব বন্ধ। দুই চোখ একত্র করলেই দেখে সেই কল্লাকাটা ভুত কোদাল কোদাল দাঁত বের করে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে। কী যে মহা মুশকিলে পড়েছে, বলে বোঝানো কঠিন। যেদিকে তাকায় সেদিকেই ভুত। ঘুমাতে গেলে ভুত, খেতে গেলে ভুত, টয়লেটে গেলেও ভুত। খালি ভুত আর ভুত।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটে। দু’দিন আগে স্কলার্সহোম স্কুল অ্যাড কলেজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সিঁড়ির নিচে একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে এলিট ফোর্স (র*্যাব)-কে খবর দেওয়া হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে র*্যাব-পুলিশ। র*্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাল, এটি অনেক শক্তিশালী একটি বোমা! যদি ফোটে তাহলে পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্বাবনা আছে। তাই খুব সাবধানে বিশেষ কৌশলে সেই প্রতিষ্ঠানের সব ছাত্র-শিক্ষককে নিরাপদে বের করে আনা হয়। এতে সবাই র*্যাবের ভূয়সী প্রশংসা করে। করলে কী হবে, বেচারাদের তো ঘুম আসছে না। সবাই পেরেশান, এত কড়া নিরাপত্তা সত্বেও এত্ত শক্তিশালী বোমাটি এখানে আসলো কিভাবে??? কেউ কুলকিনারা করতে পারছে না। অবশেষে র*্যাব সদর দপ্তর থেকে উন্নত প্রযুক্তিসহ বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে নিয়ে আসা হয়। তারা দীর্ঘ দুই দিন যাবত অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে এটি কোনো বোমা নয়। বরং পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি খেলনা বিশেষ। ওই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ‘মজা করার জন্য’ বস্তুটি ভবনের ভেতর রেখেছিল। আর এটি তৈরি করে ওই প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্র। র*্যাব আটক করেছে তাদের।
বস্তুটি বোমা নয়, জানার পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্কলার্সহোমের অধ্যক্ষ জোবায়ের সিদ্দিকী জানান, ‘স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা দেখে কৌতূহলবশত খেলার ছলে এ কাজ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এদিকে, র*্যাব-৯ এর তদন্ত টিমের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ওই স্কুলেরই ৩ জন ছাত্রকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বন্ধু মিলে বাসায় বসে স্কুলের ভেতর রেখে মজা দেখার উদ্দেশ্যে এই বোমা সদৃশ তৈরি করে। আটককৃতরা হলো, দক্ষিণ সুরমার চান্দাই নিবাসী ও বর্তমানে ৬১, করফুল ভিলা, সাপ্লাই এলাকার বাসিন্দা আনসার আলীর ছেলে মো. শাহীনুর আহম্মেদ মাহী (১৪), শ্রীমঙ্গল উপজেলার মো আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এবাদুর রহমান (১৪) এবং জকিগঞ্জ উপজেলার লৎফুর রহমানের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ (১৭) ।
দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের সদস্য বৃন্দের জন্য মূল সংবাদটি উল্লেখ করা হলো-
মজা দেখাতে গিয়ে তিন ছাত্র শ্রীঘরে : স্কলার্সহোমে বোমাসদৃশ বস্তুটি বোমা নয়
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা দু দিনই কেটেছে বোমা আতঙ্কে। নগরীর শাহি ঈদগাহস্থ স্কলার্সহোম স্কুল অ্যাড কলেজে আতঙ্কে বন্ধ রাখা হয়। পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়ার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালের পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বেসরকারি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে র*্যাব-পুলিশ। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরক হতে পারে, বলে প্রাথমিক ধারণা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
তবে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায়, এটি কোনো বিস্ফোরক নয়। ওই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ‘মজা করার জন্য’ বস্তুটি ভবনের ভেতর রেখেছিল। আর এটি তৈরি করে ওই প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্র। র*্যাব আটক করেছে তাদের।
বস্তুটি বোমা নয়, জানার পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্কলার্সহোমের অধ্যক্ষ জোবায়ের সিদ্দিকী জানান, ‘স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা দেখে কৌতূহলবশত খেলার ছলে এ কাজ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী এখন র*্যাবের হেফাজতে রয়েছে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, বোমাসদৃশ বস্তুটি রাখার কথা সে স্বীকার করেছে।
এদিকে, শবে মেরাজ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে ব্যতিক্রম সিলেটের স্কলার্সহোম। বেসরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি খোলা ছিল এই দিন।
অপরদিকে, বোমা সদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধারের পর আতঙ্ক কেটেছে স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। টেপ মোড়ানো বস্তুটি বোমা নয়-র*্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এমন ঘোষণা দেয়ার পর স্বস্তি ফিরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেটি উদ্ধার করে নিশ্চিত হয়েছে সেটি বোমা নয়। এরপর এ নিয়ে আর কারো মধ্যে কোনো আতঙ্ক থাকার কথা নয়। তাই আজ বৃহস্পতিবার থেকে ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হবে এবং যথারীতি পাঠদান শুরু হবে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিঁড়ির নিচে বোমা সদৃশ্য একটি বস্তু দেখতে পেয়ে র*্যাব-পুলিশে খবর দেয়া হয়। র*্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে সেটিকে বোমা বলে দাবি করেছিল।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় র*্যাব-৯ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র*্যাব সদর দপ্তর থেকে উন্নত প্রযুক্তিসহ বোমা বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এসে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি কোনো বোমা বা বিস্ফোরক নয়। র*্যাব-৯, এর তদন্ত টিমের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ওই স্কুলেরই ৩ জন ছাত্রকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়। তাদের জিঙ্গাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বন্ধু মিলে বাসায় বসে স্কুলের ভেতর রেখে মজা দেখার উদ্দেশ্যে এই বোমা সদৃশ তৈরি করে। আটককৃতরা হলো, দক্ষিণ সুরমার চান্দাই নিবাসী ও বর্তমানে ৬১, করফুল ভিলা, সাপ্লাই এলাকার বাসিন্দা আনসার আলীর ছেলে মো. শাহীনুর আহম্মেদ মাহী (১৪), শ্রীমঙ্গল উপজেলার মো আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এবাদুর রহমান (১৪) এবং জকিগঞ্জ উপজেলার লৎফুর রহমানের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ (১৭) ।
গ্রেফতারকৃতদের মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন র*্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণ্যমাধ্যম) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী।
আমরা গ্রামগঞ্জে মহিলাদের দেখতাম ছোট বাচ্চারা দুষ্টমি করলে বা না ঘুমালে বলতেন- এই! ভুত আইয়ে... কামর দিবো...!! তখন বাচ্চারা ভুতের ভয়ে চুপ করে ঘুমিয়ে পড়ত। ঠিক এমন-ই একটি ভুতের ডরে গত দু’দিন যাবত বাংলাদেশের এলিট ফোর্সের(!) খাওয়া-দাওয়া, পায়খানা-পেসাব সব বন্ধ। দুই চোখ একত্র করলেই দেখে সেই কল্লাকাটা ভুত কোদাল কোদাল দাঁত বের করে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে। কী যে মহা মুশকিলে পড়েছে, বলে বোঝানো কঠিন। যেদিকে তাকায় সেদিকেই ভুত। ঘুমাতে গেলে ভুত, খেতে গেলে ভুত, টয়লেটে গেলেও ভুত। খালি ভুত আর ভুত।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটে। দু’দিন আগে স্কলার্সহোম স্কুল অ্যাড কলেজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সিঁড়ির নিচে একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে এলিট ফোর্স (র*্যাব)-কে খবর দেওয়া হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে র*্যাব-পুলিশ। র*্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাল, এটি অনেক শক্তিশালী একটি বোমা! যদি ফোটে তাহলে পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্বাবনা আছে। তাই খুব সাবধানে বিশেষ কৌশলে সেই প্রতিষ্ঠানের সব ছাত্র-শিক্ষককে নিরাপদে বের করে আনা হয়। এতে সবাই র*্যাবের ভূয়সী প্রশংসা করে। করলে কী হবে, বেচারাদের তো ঘুম আসছে না। সবাই পেরেশান, এত কড়া নিরাপত্তা সত্বেও এত্ত শক্তিশালী বোমাটি এখানে আসলো কিভাবে??? কেউ কুলকিনারা করতে পারছে না। অবশেষে র*্যাব সদর দপ্তর থেকে উন্নত প্রযুক্তিসহ বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে নিয়ে আসা হয়। তারা দীর্ঘ দুই দিন যাবত অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে এটি কোনো বোমা নয়। বরং পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি খেলনা বিশেষ। ওই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ‘মজা করার জন্য’ বস্তুটি ভবনের ভেতর রেখেছিল। আর এটি তৈরি করে ওই প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্র। র*্যাব আটক করেছে তাদের।
বস্তুটি বোমা নয়, জানার পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্কলার্সহোমের অধ্যক্ষ জোবায়ের সিদ্দিকী জানান, ‘স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা দেখে কৌতূহলবশত খেলার ছলে এ কাজ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এদিকে, র*্যাব-৯ এর তদন্ত টিমের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ওই স্কুলেরই ৩ জন ছাত্রকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বন্ধু মিলে বাসায় বসে স্কুলের ভেতর রেখে মজা দেখার উদ্দেশ্যে এই বোমা সদৃশ তৈরি করে। আটককৃতরা হলো, দক্ষিণ সুরমার চান্দাই নিবাসী ও বর্তমানে ৬১, করফুল ভিলা, সাপ্লাই এলাকার বাসিন্দা আনসার আলীর ছেলে মো. শাহীনুর আহম্মেদ মাহী (১৪), শ্রীমঙ্গল উপজেলার মো আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এবাদুর রহমান (১৪) এবং জকিগঞ্জ উপজেলার লৎফুর রহমানের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ (১৭) ।
দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের সদস্য বৃন্দের জন্য মূল সংবাদটি উল্লেখ করা হলো-
মজা দেখাতে গিয়ে তিন ছাত্র শ্রীঘরে : স্কলার্সহোমে বোমাসদৃশ বস্তুটি বোমা নয়
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা দু দিনই কেটেছে বোমা আতঙ্কে। নগরীর শাহি ঈদগাহস্থ স্কলার্সহোম স্কুল অ্যাড কলেজে আতঙ্কে বন্ধ রাখা হয়। পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়ার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালের পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বেসরকারি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে র*্যাব-পুলিশ। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরক হতে পারে, বলে প্রাথমিক ধারণা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
তবে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায়, এটি কোনো বিস্ফোরক নয়। ওই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ‘মজা করার জন্য’ বস্তুটি ভবনের ভেতর রেখেছিল। আর এটি তৈরি করে ওই প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্র। র*্যাব আটক করেছে তাদের।
বস্তুটি বোমা নয়, জানার পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্কলার্সহোমের অধ্যক্ষ জোবায়ের সিদ্দিকী জানান, ‘স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা দেখে কৌতূহলবশত খেলার ছলে এ কাজ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’
দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী এখন র*্যাবের হেফাজতে রয়েছে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, বোমাসদৃশ বস্তুটি রাখার কথা সে স্বীকার করেছে।
এদিকে, শবে মেরাজ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে ব্যতিক্রম সিলেটের স্কলার্সহোম। বেসরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি খোলা ছিল এই দিন।
অপরদিকে, বোমা সদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধারের পর আতঙ্ক কেটেছে স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। টেপ মোড়ানো বস্তুটি বোমা নয়-র*্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এমন ঘোষণা দেয়ার পর স্বস্তি ফিরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেটি উদ্ধার করে নিশ্চিত হয়েছে সেটি বোমা নয়। এরপর এ নিয়ে আর কারো মধ্যে কোনো আতঙ্ক থাকার কথা নয়। তাই আজ বৃহস্পতিবার থেকে ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হবে এবং যথারীতি পাঠদান শুরু হবে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিঁড়ির নিচে বোমা সদৃশ্য একটি বস্তু দেখতে পেয়ে র*্যাব-পুলিশে খবর দেয়া হয়। র*্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে সেটিকে বোমা বলে দাবি করেছিল।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় র*্যাব-৯ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র*্যাব সদর দপ্তর থেকে উন্নত প্রযুক্তিসহ বোমা বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এসে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি কোনো বোমা বা বিস্ফোরক নয়। র*্যাব-৯, এর তদন্ত টিমের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ওই স্কুলেরই ৩ জন ছাত্রকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়। তাদের জিঙ্গাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বন্ধু মিলে বাসায় বসে স্কুলের ভেতর রেখে মজা দেখার উদ্দেশ্যে এই বোমা সদৃশ তৈরি করে। আটককৃতরা হলো, দক্ষিণ সুরমার চান্দাই নিবাসী ও বর্তমানে ৬১, করফুল ভিলা, সাপ্লাই এলাকার বাসিন্দা আনসার আলীর ছেলে মো. শাহীনুর আহম্মেদ মাহী (১৪), শ্রীমঙ্গল উপজেলার মো আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এবাদুর রহমান (১৪) এবং জকিগঞ্জ উপজেলার লৎফুর রহমানের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ (১৭) ।
গ্রেফতারকৃতদের মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন র*্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণ্যমাধ্যম) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী।
Comment