পুলিশের ‘গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া’ ময়মনসিংহের একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক শহীদুল্লাহ সরকারের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মাওলানা শহীদুল্লাহর মা জহুরা খাতুন তাঁর কোল থেকে নিয়ে যাওয়া ছেলেকে কোলে ফিরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে শহরের খাগডহর এলাকার বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাওলানা শহীদুল্লাহর মাকে বলা হয়, সকালে ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে। বুধবার দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে কেউ তাঁর কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। পরে তাঁর মা জহুরা খাতুন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অবশ্য সেটিতে জিডি নম্বর দেওয়া নেই।
বুধবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে শহীদুল্লাহকে উদ্ধারের দাবি জানায় ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী। শহীদুল্লাহ সরকার ওই সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি কওমি মাদ্রাসা ছাওতুল হেরার শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন মিফতাহুল জান্নাত নামের মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
পরিবারের আকুতি
আজ দুপুরে কথা হয় নিখোঁজ শহীদুল্লাহ সরকারের পরিবার ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে। তাঁর মা জহুরা কোল থেকে নিয়ে যাওয়া ছেলেকে কোলে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানান।
বড় মেয়ে সিফতা শহীদ যুলফা (মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী) বলে, ‘ঘুমাইয়াছিলাম। খুব জোরে জোরে বাসার গেটে শব্দ করছিল। মনে হয় ভেঙে ফেলবে। ভয়ে আমরা দোয়া পড়ছিলাম। আমি আমার বাবাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।’
বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই ফুফিয়ে কাঁদতে শুরু করে শহীদুল্লাহর মেঝো মেয়ে শাম্মী শহীদ তারান্নুম (মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী)।
সহকর্মীর বক্তব্য
শহরতলির মাইজবাড়ি এলাকায় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মাদ্রাসা ছাওতুল হেরা মাইজবাড়ি। চার বছর ধরে শহীদুল্লাহ সরকার ওই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। মাদ্রাসায় গিয়ে পাওয়া গেল ভাইস প্রিন্সিপাল ফরিদ হাবিবুল্লাহ রুশদীকে। তিনি বলেন, শহীদুল্লাহর দোষ থাকলে বিচার হবে। নির্দোষ হলে অবশ্যই তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য
ময়মনসিংহ র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র*্যাব) ১৪-এর উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ইফতেখার রাকীব বলেন, বুধবার পরিবারটি তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি মাওলানা শহীদুল্লাহর নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছেন। গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
শহীদুল্লাহ সরকারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব জায়গায় আমরা খোঁজ নিয়েছি। তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা কেউ জানায়নি। আমরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
মাওলানা শহীদুল্লাহর মা জহুরা খাতুন তাঁর কোল থেকে নিয়ে যাওয়া ছেলেকে কোলে ফিরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে শহরের খাগডহর এলাকার বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাওলানা শহীদুল্লাহর মাকে বলা হয়, সকালে ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে। বুধবার দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে কেউ তাঁর কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। পরে তাঁর মা জহুরা খাতুন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অবশ্য সেটিতে জিডি নম্বর দেওয়া নেই।
বুধবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে শহীদুল্লাহকে উদ্ধারের দাবি জানায় ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী। শহীদুল্লাহ সরকার ওই সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি কওমি মাদ্রাসা ছাওতুল হেরার শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন মিফতাহুল জান্নাত নামের মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
পরিবারের আকুতি
আজ দুপুরে কথা হয় নিখোঁজ শহীদুল্লাহ সরকারের পরিবার ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে। তাঁর মা জহুরা কোল থেকে নিয়ে যাওয়া ছেলেকে কোলে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানান।
বড় মেয়ে সিফতা শহীদ যুলফা (মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী) বলে, ‘ঘুমাইয়াছিলাম। খুব জোরে জোরে বাসার গেটে শব্দ করছিল। মনে হয় ভেঙে ফেলবে। ভয়ে আমরা দোয়া পড়ছিলাম। আমি আমার বাবাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।’
বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই ফুফিয়ে কাঁদতে শুরু করে শহীদুল্লাহর মেঝো মেয়ে শাম্মী শহীদ তারান্নুম (মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী)।
সহকর্মীর বক্তব্য
শহরতলির মাইজবাড়ি এলাকায় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মাদ্রাসা ছাওতুল হেরা মাইজবাড়ি। চার বছর ধরে শহীদুল্লাহ সরকার ওই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। মাদ্রাসায় গিয়ে পাওয়া গেল ভাইস প্রিন্সিপাল ফরিদ হাবিবুল্লাহ রুশদীকে। তিনি বলেন, শহীদুল্লাহর দোষ থাকলে বিচার হবে। নির্দোষ হলে অবশ্যই তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য
ময়মনসিংহ র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র*্যাব) ১৪-এর উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ইফতেখার রাকীব বলেন, বুধবার পরিবারটি তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি মাওলানা শহীদুল্লাহর নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছেন। গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
শহীদুল্লাহ সরকারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব জায়গায় আমরা খোঁজ নিয়েছি। তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা কেউ জানায়নি। আমরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
Comment