প্রকাশ : ২৫ জুন, ২০১৭
সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রথম বৈঠক দু’নেতার * ভারতীয় নেতার সম্মানে প্রথম নৈশভোজ ট্রাম্পের * ভারতকে অত্যাধুনিক ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের আগে বেশ বড় ‘উপহারই’ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপহার হিসেবে ‘এমকিউ-৯ রিপার’ নামে একটি প্রিডেটর গার্ডিয়ান ড্রোন পাঠিয়েছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ভারতে অনুরূপ ২২টি প্রিডেটর ড্রোন বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। এর দাম পড়বে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। খবর এপির।
মোদির সঙ্গে এই বৈঠককে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনও। রোববার সকাল ছয়টা নাগাদ ওয়াশিংটনে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। রেড কার্পেটে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের পক্ষে জানানো হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ মোদি ও ট্রাম্পের দেখা হবে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কথা বলবেন মোদি ও ট্রাম্প। পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। সেদিন হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রনেতার সম্মানে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন করছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির আসন্ন বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে সন্ত্রাসবাদ এবং এইচ-ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ। পাশাপাশি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে দুই শীর্ষ প্রধানের কথা হবে বলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
ড্রোন পেতে আমেরিকার কাছে গত বছর তিনবার আবেদন জানিয়েছিল ভারত প্রশাসন। অবশেষে শুক্রবার ট্রাম্প এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মনুষ্যবিহীন এসব ড্রোন কিনতে অবশ্য ভারতকে সিনেটের অনুমোদনও পেতে হবে। তবে সেটা কঠিন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার আগ মুহূর্তে ট্রাম্পের ড্রোন বিক্রির অনুমোদনকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে মনে করছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই অস্ত্র চুক্তির ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। ‘এমকিউ-৯ রিপার’ ড্রোনগুলো ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ১,৭৪৬ কেজি ভর নিয়ে একটানা ২৭ ঘণ্টা ধরে উড়তে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ড্রোনগুলোর মাধ্যমেই ভারত তার সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার উপকূল রেখায় নজরদারি চালাবে। ‘জেনারেল অ্যাটমিক্স’ নির্মিত এই প্রিডেটর ড্রোন আমেরিকা ছাড়া সম্প্রতি ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকতে চলেছে ভারতের নামও। মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা ভারত। নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে ‘ন্যাটো’ জোটের বাইরে থাকা কোনো দেশের সঙ্গে এই প্রথম এ ধরনের চুক্তি করবে আমেরিকা।
ভারত মহাসাগরে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নজরদারির জন্য এসব ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ২০০৮ সাল থেকে ভারত আমেরিকার সঙ্গে ১৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি করেছে। এর মধ্যে সি-১৩০জে, সি-১৭ সামরিক পরিবহন বিমান, পি-৮ আই মেরিটাইম প্যাট্রোল বিমান, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং অ্যাপাচি ও চিনুক হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টিও রয়েছে। চীনকে মোকাবেলায় আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে ভারত। মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ নিয়ে চারবার আমেরিকায় সফর করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে মোদি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
সূত্র:
সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রথম বৈঠক দু’নেতার * ভারতীয় নেতার সম্মানে প্রথম নৈশভোজ ট্রাম্পের * ভারতকে অত্যাধুনিক ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের আগে বেশ বড় ‘উপহারই’ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপহার হিসেবে ‘এমকিউ-৯ রিপার’ নামে একটি প্রিডেটর গার্ডিয়ান ড্রোন পাঠিয়েছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ভারতে অনুরূপ ২২টি প্রিডেটর ড্রোন বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। এর দাম পড়বে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। খবর এপির।
মোদির সঙ্গে এই বৈঠককে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনও। রোববার সকাল ছয়টা নাগাদ ওয়াশিংটনে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। রেড কার্পেটে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের পক্ষে জানানো হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ মোদি ও ট্রাম্পের দেখা হবে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কথা বলবেন মোদি ও ট্রাম্প। পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। সেদিন হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রনেতার সম্মানে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন করছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির আসন্ন বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে সন্ত্রাসবাদ এবং এইচ-ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ। পাশাপাশি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে দুই শীর্ষ প্রধানের কথা হবে বলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
ড্রোন পেতে আমেরিকার কাছে গত বছর তিনবার আবেদন জানিয়েছিল ভারত প্রশাসন। অবশেষে শুক্রবার ট্রাম্প এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মনুষ্যবিহীন এসব ড্রোন কিনতে অবশ্য ভারতকে সিনেটের অনুমোদনও পেতে হবে। তবে সেটা কঠিন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার আগ মুহূর্তে ট্রাম্পের ড্রোন বিক্রির অনুমোদনকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে মনে করছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই অস্ত্র চুক্তির ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। ‘এমকিউ-৯ রিপার’ ড্রোনগুলো ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ১,৭৪৬ কেজি ভর নিয়ে একটানা ২৭ ঘণ্টা ধরে উড়তে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ড্রোনগুলোর মাধ্যমেই ভারত তার সাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার উপকূল রেখায় নজরদারি চালাবে। ‘জেনারেল অ্যাটমিক্স’ নির্মিত এই প্রিডেটর ড্রোন আমেরিকা ছাড়া সম্প্রতি ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকতে চলেছে ভারতের নামও। মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা ভারত। নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে ‘ন্যাটো’ জোটের বাইরে থাকা কোনো দেশের সঙ্গে এই প্রথম এ ধরনের চুক্তি করবে আমেরিকা।
ভারত মহাসাগরে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নজরদারির জন্য এসব ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ২০০৮ সাল থেকে ভারত আমেরিকার সঙ্গে ১৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি করেছে। এর মধ্যে সি-১৩০জে, সি-১৭ সামরিক পরিবহন বিমান, পি-৮ আই মেরিটাইম প্যাট্রোল বিমান, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং অ্যাপাচি ও চিনুক হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টিও রয়েছে। চীনকে মোকাবেলায় আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে ভারত। মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ নিয়ে চারবার আমেরিকায় সফর করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে মোদি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
সূত্র:
Comment