Announcement

Collapse
No announcement yet.

জেহাদবিরোধী সংবাদ বন্ধ ও নারীকর্মীদের অব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জেহাদবিরোধী সংবাদ বন্ধ ও নারীকর্মীদের অব

    জেহাদবিরোধী সংবাদ বন্ধ ও নারীকর্মীদের অব্যাহতি চায় ‘আনসারউল্লাহ’


    এবার ‘আনসারউল্লাহ বাংলা টিম’র নামে ই-মেইল বার্তায় গণমাধ্যম ও ব্লগারদের হুমকি দেয়া হয়েছে। ইসলামের পথে না চললে পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গণমাধ্যমকে ছয় দফা ‘নির্দেশনা’ দেয়া হয়েছে। জেহাদ বিরোধী সংবাদ প্রকাশ না করতে আহ্বানের পাশাপাশি গণমাধ্যম থেকে নারী কর্মীদের অব্যাহতি দিতে বলা হয়েছে।
    ই-মেইল বার্তায় বলা হয় ‘আমাদের নির্দেশনা আজ থেকে আপনাদের জন্য আইন। ইসলামের পথে না চললে আপনাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। উঁচু উঁচু ভবন সব ধুলায় লুটাবে, আপনাদের শির লুটাবে ইসলামের সেনানিদের পদতলে।’ নারীদের ঘরের বাইরে চাকরি করা ইসলামী শরীয়াহ মতে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ বলে দাবি করা হয়েছে ওই বার্তায়।

    সোমবার দুপুরের পর ansarullahbanglabd@gmail.com আইডি থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে এ ই-মেইল পাঠানো হয়।
    বার্তার উপরে ঠিকানা লেখা হয়েছে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, প্রধান কার্যালয়, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। শেষে প্রেরকের জায়গায় লেখা হয়েছে আবদুল্লাহ বিন সালিম, প্রচার সমন্বয়ক, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ তুলে কয়েকজন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
    গণমাধ্যমকে হুমকি দিয়ে এতে বলা হয়, “আপনারাও যদি নাস্তিক্যবাদীর সহায়তাকারী হন তবে কাউকে ছাড়া হবে না। আপনাদের বাক স্বাধীনতা যদি আমাদের বেঁধে দেয়া সীমা না মানে তবে আমাদের ক্রোধ প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য প্রত্যেক সংবাদ মাধ্যম যেন প্রস্তুত থাকে।”

    প্রথমত নারীদের চাকরিচ্যুত করার দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “যেহেতু নারীদের ঘরের বাইরে চাকুরি করা, বেপর্দা হয়ে ঘোরাঘুরি করা ইসলামি শরীয়াহ মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাই যারা এদের চাকুরি দিচ্ছেন, করাচ্ছেন, তারাও সমানভাবে দোষী।” “সকল সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান করছি নারীদের চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিন,” বলা হয়েছে এতে।

    তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ইসলামবিরোধী, নাস্তিক্যবাদী শক্তির কোনো প্রকার প্রচারণায় শামিল হওয়া যাবে না। ইসলামের সেনানিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অপপ্রচার চালানো যাবে না। তাদের যে কোনো জেহাদি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। পত্রিকার বিজ্ঞাপনে নারী মডেলের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। কোনো নারীর বেপর্দা ছবি পত্রিকায় ছাপানো যাবে না। বিনোদন পাতা, নৃত্য, গীত, নাটক, সিনেমা এমন যে কোনো ইসলামী শরীয়তবিরোধী যা সমাজে ‘ফিতনা’ ছড়ায়, যুবক-যুবতীদের মনে যৌনতা উস্কে দেয় তা প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোনো নাস্তিকের মৃত্যুর পরে পত্রিকায় কোনো প্রকারের জেহাদবিরোধী সংবাদ করা যাবে না। করলে সে পত্রিকায় চাকুরিরত এবং মালিক পক্ষকে নাস্তিক, নাস্তিক্যবাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে গণ্য করে সমূলে উপড়ে ফেলা হবে।

    চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, “আমাদের লক্ষ সেনানী প্রস্তুত হচ্ছে ইসলামের পবিত্র এই ভূমির আনাচে কানাচে। আমাদের প্রস্তুতি শেষের প্রায় চূড়ান্ত। যে কোনো দিন খেলাফত কায়েমের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বো আমরা।” বিদেশে অবস্থানরত নয়জন এবং দেশে বসবাসরত ছয়জন ব্লগারের নাম তুলে দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, “যারা বিদেশে আছেন তাদের দেশে ফেরার সাথে সাথে আর যারা দেশের অভ্যন্তরে গা ঢাকা দিয়ে আছেন তাদের সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথে হত্যা করা হবে।”

    নির্দিষ্ট কোনো ‘হত্যা তালিকা’ বা হিট লিস্ট নেই জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “ফেইসবুক, ব্লগসহ যে কোনো মাধ্যমে যে আল্লাহ, নবী, রাসুল, সাহাবি, ওলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, ধর্মপ্রাণ মুসলমান, উম্মুল মোমেনিনদের চরিত্র দিয়ে প্রশ্ন তুলবে, বাজে কথা বলবে তার আজরাইল হিসেবে রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রেরণ করবেন। সুযোগ পাওয়া মাত্র ইসলামের বীর সেনানিরা তাদের কতল করবে।

    “এই মর্মে হুঁশিয়ারি প্রদান করা যাচ্ছে যে, দেশ কিংবা বিদেশে পালিয়ে থাকা নাস্তিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কেউ যেন নাস্তিকতার দিকে ঝুঁকে না পড়েন। নইলে পরিণতি হবে নিলয় নীল কিংবা ওয়াশিকুর বাবু, অভিজিৎ রায়ের মত। একটি নাস্তিককেও বেঁচে থাকতে দেওয়া হবে না। এদের হত্যা করা আল্লাহ রাসুলের বিধান মতে ওয়াজিব।”
    এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন পত্রিকায় আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের মেইলের খবরটি আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। “আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং কারা এর পিছনে, কোথা থেকে এসেছে তা তদন্ত করছি।”

    সম্প্রতি দুই বিদেশি খুন হওয়ার পর আইএসের দায় স্বীকারের খবর নিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়। তবে ওই দুই খুনে আইএসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি জানিয়ে সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আইএস বা এ ধরনের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা নেই। অবশ্য গত এক বছরেরও কম সময়ে চারজন ব্লগার খুনের সঙ্গে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের নামে নানাজনকে হুমকি সম্বলিত বার্তা এর আগেও গণমাধ্যমে এসেছে।

    ওই তালিকায় আসিফ মহিউদ্দিন, আরিফুর রহমান, ওমরা ফারুক লাক্স, ফারজানা কবির স্নিগ্ধা, হাসিব মাহমুদ, চরম উদাস, হোরাস সূর্যদেব, সায়মুম সুলতান, আরিফ কবিরের নাম রয়েছে। এরাসহ আরও অনেককে ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ ব্লগার হিসেবে চিহ্নিত করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া ওই ই-মেইলে অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, আজম খান, সবাক পাখি, মারুফ রাসুল ও ইমরান এইচ সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে।

    http://anonym.to/?http://www.amardes...0#.ViZGbVLLfkc

  • #2
    আবারো gimf থেকে নতুন বিবৃতি আসছে, আমরা আর কত বিবৃতি দেব ???
    আর পারছি না, ফোরামে আমাদের এই অ্যাকাউন্টও ইনশাআল্লাহ বন্ধ করে দেব।
    gimf ছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে সব বিবৃতি ভুয়া।
    যারা আনসারুল্লাহ বাংলা'র নাম করে বিবৃতি দিচ্ছে, তারা আসলে কারা ? কি চায় ? তার সামনে এসে বলুন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে তাদের সংযোগ কোথায় ? কেন অন্যদের নাম ব্যবহার করছে?
    আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিক।

    Comment


    • #3
      এটি অতি-উৎসাহী কোন ভাই/ভাইদের কাজ অথবা ফিল্ডে অপারেশনাল কোন গ্রুপের কাজ।

      যদি এটি ফিল্ডে অপারেশনাল কোন গ্রুপ করে থাকেন তাহলে আপনারা আনসারুল্লাহ বাংলার নাম ব্যাবহার না করায় ভালো কারণ আনসারুল্লাহ বাংলার যার অধীনস্থ সেই gimf বলেছে আনসারুল্লাহ শুধুমাত্র একটি মিডিয়া। সুতরাং, ভাইরা আপনারা ফিতনা বাড়াবেন না এবং যদি আনসার আল-ইসলাম বা আনসারুল্লাহ নাম ব্যাবহার করতেই চান তাহলে তাদের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে অনুমতি নিয়ে নিবেন।

      জাযাকাল্লাহ
      আলহামদুলিল্লাহ ফর এভরিথিং !

      Comment

      Working...
      X