মহান আল্লাহ তায়লা কুরআনের সুরা আনফালের ১৫/১৬ নম্বর আয়াতে বলেন,”

গাজওয়ায়ে হিন্দের যুদ্ধে পিছু হটলেই জাহান্নামী দেখুন হাদীস


আরব দেশে যুদ্ধ হবে পিছু হটলেই জাহান্নামী দেখুন হাদীস
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] – এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি কিছু নির্দিষ্ট ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে এই দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হবে, যার শুরুতে মুসলিমরা থাকবে খুবই দুর্বল আর এই যুদ্ধ শেষ হবে মুসলিমদের দ্বারা পুরো দুনিয়া শাসিত হবার মাধ্যমে। এটা হবে সবচেয়ে মারাত্মক ফিতানের সময় আবার একই সাথে সবচেয়ে বেশি বরকতময় সময়। এই সময়েই আল মাহদী এবং ঈসা [আলাইহিস সালাম] আসবেন এবং এই সময়েই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। এখন একথাগুলোর অর্থ এই না যে সব রোমানরাই ইসলামের শত্রু হবে। কারণ ইসলাম প্রতিনিয়ত মানুষের হৃদয় জয় করে নিচ্ছে। এই ব্যাপারটা খুবই কৌতুহল উদ্দীপক যে যদিও রোমানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করছে এবং আমরা হাদীস থেকে জানি রোমান আর্মি মুসলিমদেরকে ওইসব রোমানদের হস্তান্তর করতে বলবে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মুসলিমরা বলবে, “আমরা কখনোই আমাদের ভাইদের তোমাদের হাতে তুলে দেবো না”। যদিও তাঁদের বর্ণ এবং জাতীয়তা ভিন্ন তাও তাঁরা আমাদের ভাই, কারণ এখন তাঁরা মুসলিম এবং ইসলাম প্রতি আনুগত্য অন্য যেকোন পরিচয়ের চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত আছে। এবং এ ব্যাপারে বুখারী ও মুসলিম শরীফে সাহীহ হাদীস বর্ণিত আছে, যেমন মুসলিম শরীফের একটি হাদীস হলঃ রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- রোমানরা তোমাদের আক্রমণ করবে এবং আস শামের আল আমাকে তাঁবু খাটাবে (অবস্থান গ্রহণ করবে)। মদিনা থেকে একটি বাহিনী তাঁদের মোকাবেলা করতে যাবে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেন – “এবং তাঁরা হবে তাঁদের সময়কার শ্রেষ্ঠ মুমিন” এবং এই মুসলিম বাহিনী তাঁদের অবস্থান গ্রহণ করবে, এবং রোমানরা তাঁদের বলবে – “ আমাদের লোকদের আমাদের হাতে তুলে দাও”, অর্থাৎ ওইসব রোমান যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মুসলিমরা বলবে, “ আমরা কখনোই আমাদের ভাইদের তোমাদের হাতে তুলে দেবো না”। সুতরাং উভয় দল যুদ্ধ যুদ্ধ করবে, মুসলিম বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ হার স্বীকার করে পালিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – “আল্লাহ্ কখনোই তাঁদের তাওবাহ কবুল করবেন না”। জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া কবীরা গুনাহর একটি [সাহীহ বুখারী – কিতাব ৫১, হাদীসঃ২৮]। জিহাদের ময়দান থেকে পালানো সাতটি কবীরা গুনাহর একটি। “আল মু’বিকাত” – “মুবিক” অর্থ এমন কিছু যা পূর্বের সব আমল ধ্বংস করে দেয়। তাই আপনি সারা জীবন আল্লাহ-র আনুগত্য করার পর যদি মাত্র একটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান, তাহলে আপনি আপনার পূর্বের সকল আমল হারাবেন। সুতরাং আল্লাহ্ এই একতৃতীয়াংশের তাওবাহ কখনো কবুল করবেন না। “এবং এই বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ নিহত হবে, এবং তাঁরা হবে আল্লাহ-র নিকট শ্রেষ্ঠ শহীদ” “এবং অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে”। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – এই এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে এবং কোন ফিতনাই তাঁদের দমাতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- “এবং তাঁরা অগ্রসর হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা কনস্টান্টিনোপল জয় করবে”। কনস্টান্টিনোপল হল ইস্তামবুল। অর্থাৎ ইস্তাম্বুল দু’বার বিজিত হবে। প্রথম ইস্তাম্বুল বিজিত হয়েছিলো মুহাম্মাদ আল ফাতীহ-এর সময় এবং আবার বিজিত হবে, নতুন করে আল মালহামার সময়। অর্থাৎ আস শাম পর্যন্ত সব এলাকা রোমানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইতিমধ্যেই সেখানে পশ্চিমাদের আর্মি বেইস আছে। শুধু সেখানেই না, সব জায়গাতেই তাঁদের আর্মি বেইস ছড়িয়ে আছে। তো মুসলিমরা যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করবে এবং গানীমাহ ভাগাভাগি করতে থাকবে। তখন তাঁরা একটি কন্ঠ শুনতে পাবে যা ঘোষণা করবে মাসীহ আদ-দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটেছে, তাই তাঁরা আবার আস শামে ফিরে যাবে এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবে ঘোষণাটা মিথ্যা ছিল। এটা হবে একটা মিথ্যা গুজব। কিন্তু তখন ঈসা বিন মারইয়াম [আলাইহিস সালাম] অবতরন করবেন এবং এই সময়েই আদ-দাজ্জাল আবির্ভূত হবে এবং ঈসা [আলাইহিস সালাম] নিজ হাতে তাঁকে হত্যা করবেন [সাহীহ মুসলিম, কিতাব ৪, হাদীস নং ৬৯২৪]।
উপরোক্ত হাদীস ও কুরআনের আয়াত থেকে বুজতে পারা যাচ্ছে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে আমাদের মূত্যূ নিশ্চিত জেনেও অগ্রসর হতে হবে নতুবা আমাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল করুন আমিনমহান আল্লাহ তায়ালা সুরা সফ এর ৪ নম্বর আয়াতে বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ [٦١:٤]
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
﴿٤﴾
চলবে ---------------
হয়তো শরিয়ত নয়তো শাহাদাৎ
বি:দ্র: জিহাদী ট্রেনিং নিন এখন থেকে ফোরামে জিহাদী ট্রেনিং সংবলিত পোস্ট গুলো্ দেখুন

গাজওয়ায়ে হিন্দের যুদ্ধে পিছু হটলেই জাহান্নামী দেখুন হাদীস


আরব দেশে যুদ্ধ হবে পিছু হটলেই জাহান্নামী দেখুন হাদীস
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] – এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি কিছু নির্দিষ্ট ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে এই দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হবে, যার শুরুতে মুসলিমরা থাকবে খুবই দুর্বল আর এই যুদ্ধ শেষ হবে মুসলিমদের দ্বারা পুরো দুনিয়া শাসিত হবার মাধ্যমে। এটা হবে সবচেয়ে মারাত্মক ফিতানের সময় আবার একই সাথে সবচেয়ে বেশি বরকতময় সময়। এই সময়েই আল মাহদী এবং ঈসা [আলাইহিস সালাম] আসবেন এবং এই সময়েই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। এখন একথাগুলোর অর্থ এই না যে সব রোমানরাই ইসলামের শত্রু হবে। কারণ ইসলাম প্রতিনিয়ত মানুষের হৃদয় জয় করে নিচ্ছে। এই ব্যাপারটা খুবই কৌতুহল উদ্দীপক যে যদিও রোমানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করছে এবং আমরা হাদীস থেকে জানি রোমান আর্মি মুসলিমদেরকে ওইসব রোমানদের হস্তান্তর করতে বলবে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মুসলিমরা বলবে, “আমরা কখনোই আমাদের ভাইদের তোমাদের হাতে তুলে দেবো না”। যদিও তাঁদের বর্ণ এবং জাতীয়তা ভিন্ন তাও তাঁরা আমাদের ভাই, কারণ এখন তাঁরা মুসলিম এবং ইসলাম প্রতি আনুগত্য অন্য যেকোন পরিচয়ের চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত আছে। এবং এ ব্যাপারে বুখারী ও মুসলিম শরীফে সাহীহ হাদীস বর্ণিত আছে, যেমন মুসলিম শরীফের একটি হাদীস হলঃ রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- রোমানরা তোমাদের আক্রমণ করবে এবং আস শামের আল আমাকে তাঁবু খাটাবে (অবস্থান গ্রহণ করবে)। মদিনা থেকে একটি বাহিনী তাঁদের মোকাবেলা করতে যাবে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেন – “এবং তাঁরা হবে তাঁদের সময়কার শ্রেষ্ঠ মুমিন” এবং এই মুসলিম বাহিনী তাঁদের অবস্থান গ্রহণ করবে, এবং রোমানরা তাঁদের বলবে – “ আমাদের লোকদের আমাদের হাতে তুলে দাও”, অর্থাৎ ওইসব রোমান যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মুসলিমরা বলবে, “ আমরা কখনোই আমাদের ভাইদের তোমাদের হাতে তুলে দেবো না”। সুতরাং উভয় দল যুদ্ধ যুদ্ধ করবে, মুসলিম বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ হার স্বীকার করে পালিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – “আল্লাহ্ কখনোই তাঁদের তাওবাহ কবুল করবেন না”। জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া কবীরা গুনাহর একটি [সাহীহ বুখারী – কিতাব ৫১, হাদীসঃ২৮]। জিহাদের ময়দান থেকে পালানো সাতটি কবীরা গুনাহর একটি। “আল মু’বিকাত” – “মুবিক” অর্থ এমন কিছু যা পূর্বের সব আমল ধ্বংস করে দেয়। তাই আপনি সারা জীবন আল্লাহ-র আনুগত্য করার পর যদি মাত্র একটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান, তাহলে আপনি আপনার পূর্বের সকল আমল হারাবেন। সুতরাং আল্লাহ্ এই একতৃতীয়াংশের তাওবাহ কখনো কবুল করবেন না। “এবং এই বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ নিহত হবে, এবং তাঁরা হবে আল্লাহ-র নিকট শ্রেষ্ঠ শহীদ” “এবং অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে”। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – এই এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে এবং কোন ফিতনাই তাঁদের দমাতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- “এবং তাঁরা অগ্রসর হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা কনস্টান্টিনোপল জয় করবে”। কনস্টান্টিনোপল হল ইস্তামবুল। অর্থাৎ ইস্তাম্বুল দু’বার বিজিত হবে। প্রথম ইস্তাম্বুল বিজিত হয়েছিলো মুহাম্মাদ আল ফাতীহ-এর সময় এবং আবার বিজিত হবে, নতুন করে আল মালহামার সময়। অর্থাৎ আস শাম পর্যন্ত সব এলাকা রোমানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইতিমধ্যেই সেখানে পশ্চিমাদের আর্মি বেইস আছে। শুধু সেখানেই না, সব জায়গাতেই তাঁদের আর্মি বেইস ছড়িয়ে আছে। তো মুসলিমরা যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করবে এবং গানীমাহ ভাগাভাগি করতে থাকবে। তখন তাঁরা একটি কন্ঠ শুনতে পাবে যা ঘোষণা করবে মাসীহ আদ-দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটেছে, তাই তাঁরা আবার আস শামে ফিরে যাবে এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবে ঘোষণাটা মিথ্যা ছিল। এটা হবে একটা মিথ্যা গুজব। কিন্তু তখন ঈসা বিন মারইয়াম [আলাইহিস সালাম] অবতরন করবেন এবং এই সময়েই আদ-দাজ্জাল আবির্ভূত হবে এবং ঈসা [আলাইহিস সালাম] নিজ হাতে তাঁকে হত্যা করবেন [সাহীহ মুসলিম, কিতাব ৪, হাদীস নং ৬৯২৪]।
উপরোক্ত হাদীস ও কুরআনের আয়াত থেকে বুজতে পারা যাচ্ছে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে আমাদের মূত্যূ নিশ্চিত জেনেও অগ্রসর হতে হবে নতুবা আমাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল করুন আমিনমহান আল্লাহ তায়ালা সুরা সফ এর ৪ নম্বর আয়াতে বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ [٦١:٤]
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
﴿٤﴾
চলবে ---------------
হয়তো শরিয়ত নয়তো শাহাদাৎ
বি:দ্র: জিহাদী ট্রেনিং নিন এখন থেকে ফোরামে জিহাদী ট্রেনিং সংবলিত পোস্ট গুলো্ দেখুন
Comment