Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাহাড়ে আ. লীগের নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক - Shontu Larma In ACTION - Al keep silence

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাহাড়ে আ. লীগের নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক - Shontu Larma In ACTION - Al keep silence

    পাহাড়ে আ. লীগের নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক
    সূত্র : বাংলাট্রিবিউন



    রাঙামাটিতে গত কয়েকদিনে আওয়ামী লীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন জুরাছড়ি উপজেলার কর্মী। পাশের বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতেও আওয়ামী লীগ কর্মীদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে জেলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ওপর হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে এখন ‘জীবন বাঁচাতে’ তারা দল ছাড়ছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীদের অনেকে।এদিকে আওয়ামী লীগের অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীরা পাহাড়িদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) হুমকিতে ও আতঙ্কে পদত্যাগ করছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস দাবি করেছে, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়ছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এখানে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।

    গত ৫ ডিসেম্বর বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাম চরণ মারমা ওরফে রাসেল মারমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ১০-১২ জনের একটি দল। ওই দিনই রাত ৮টার দিকে জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৬ ডিসেম্বর মধ্য রাতে কিছু যুবক ঘরে ঢুকে মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা ও তার পরিবারের আরও দুই সদস্য কুপিয়ে জখম করে।

    আরও আগে গত ২০ নভেম্বর বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার চাকমা, যুবলীগ নেতা রিগান চাকমা, ইউপি সদস্য অমৃত কান্তি তংচজ্ঞ্যা, কেংড়াছড়ি মৌজার হেডম্যান সমতোষ চাকমাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

    আওয়ামী লীগের বাইরে এক ইউপিডিএফ নেতাকেও হত্যার ঘটনা ঘটে। ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সাবেক ইউপি মেম্বার ও ইউপিডিএফ সদস্য অনাদি রঞ্চন চাকমাকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। নানিয়ার চরের চিরঞ্জিব দজরপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করা হয় তাকে।

    এরমধ্যে ইউপিপিএফ সদস্য হত্যাকাণ্ড ছাড়া বাকি সবগুলো ঘটনার জন্য সন্দেহের তীর ওঠে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরকারী আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এর দিকে। বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি জেএসএস নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা হওয়ায় তাদেরই এসব নাশকতার জন্য দায়ী করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এসব ঘটনায় দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় জেএসএস এর ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সহিংসতার এসব ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও জেলা আওয়ামী লীগ এখন মুখোমুখি অবস্থানে। একাধিক সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফেসবুকে ইনবক্সে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে।

    এরকম হুমকি পাওয়ার পর থেকেই জুরাছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় শতাধিক পাহাড়ি আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো থেকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগ করছেন। ৯ ডিসেম্বর বাঘাইছড়ি পৌর আওয়ামী লীগের তিনজন ও উপজেলা কৃষক লীগের এক জন পদত্যাগ করেছেন।

    জুরাছড়ি উপজেলার স্থানীয় এক সাংবাদিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে একদিকে পদত্যাগের হিড়িক এবং অন্যদিকে মামলার ভয়ে লোকজন এলাকাছাড়া। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি সব পাহাড়ি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই এখন কার আগে কে পদত্যাগ করবে তারই প্রতিযোগিতা চলছে।’

    বাঘাইছড়ি উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ির ঘটনার পর আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এর হুমকির কারণে এখানে কিছু পাহাড়ি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। আবার অনেকে জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাঙামাটি অথবা খাগড়াছড়িতে পালিয়ে আছেন। অনেক পাহাড়ি নেতাকে আগের মত দলীয় অফিসেও দেখা যাচ্ছে না।’

    জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা বলেন, ‘আমরা পাহাড়িরা আঞ্চলিক সংগঠনের কাছে জিম্মি। ভয়ে ও আতঙ্কে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করছেন। সবার তো জীবনের মায়া আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুরাছড়ি উপজেলা একসময় জেএসএস এর নিয়ন্ত্রাধীন এলাকা ছিল। আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজের কারণে সাধারণ পাহাড়িরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে। এতে তাদের ভোটব্যাংক হাতছাড়া। তাই তারা নিরীহ পাহাড়িদের পদত্যাগে বাধ্য করছে। জীবন বাঁচাতে পাহাড়িরাও পদত্যাগের পথই বেছে নিচ্ছেন।’

    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বাংলা টিবিউনকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে স্থানীয় আঞ্চলিক দল জেএসএস আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের, বিশেষ করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠি যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘গত ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির দুই দশক পূর্তি উদযাপনের সময় জেএসএস এর সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র রোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) প্রকাশ্যে তিন পার্বত্য জেলায় আগুন জ্বালানোর হুমকি দিলে ৫ ডিসেম্বর থেকে রাঙামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি ও জুরাছড়িতে দলীয় নেতা কর্মীদের ওপর হামলা শুরু হয়।’

    তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শুনেছি জুরাছড়িতে যারা পদত্যাগ করছেন তারা তাদের পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করছেন। এখানে আমাদের দোষারাপ কেন করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আর আমাদের নেতাকর্মী অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া।’

  • #2
    এরা কিন্তু জঙ্গি নয় !!!

    Comment


    • #3
      এক্ষেত্রে আমরা মুসলিমদের পক্ষেই থাকবো ইনশাআল্লাহ। বোদ্ধদের সাথে থাকে বা তাদের পক্ষে কথা প্রশ্নই আসে না।

      Comment


      • #4
        ভয়ানক কিছু একটা ঘটনার আবাস পাওয়া যাচ্ছে হে আল্লাহ তোমি আমাদের যথা সময় জিহাদে অংশগ্রহন করা তৈৗফিক দাও
        কারণ সামনে আমাদের জন্য আর কি অবস্থা অপেক্ষা করছে তা শুধুমােএ তোমিই জান হে আল্লাহ তোমি আমাদের ইমারার ভাইদের জিহাদের সকল চাহিদা পূরণ করে আমার এই কমেন্ট যারা দেখছেন সেই সকল ভাইদের বলব আপনারা মহান রবের দরবারে ২ রাকাত ণামজ পড়ে মুজিাহিদিনদের জন্য দোযা করতে বলবেন বলা তো যায না হতে পারে মহান আল্লাহ আপনার দোয়ার বরকতে আল্লাহ তায়ালা অনেক কিছু করতে পারেন

        يا مخنث العزم اين انت والطريق طريق تعب فيه آدم وناح لاجله نوح ورمى في النار الخليل واضجع للذبح اسماعيل وبيع يوسف بثمن بخس ولبث في السجن بضع سنين ونشر بالمنشار زكريا وذبح السيد الحصور يحيى وقاسى الضر أيوب وزاد على المقدار بكاء داود وسار مع الوحش عيسي وعالج الفقر وأنواع الأذى محمد تزهي انت باللهو واللعب
        ওহে! দুর্বল সংকল্পের অধিকারী তুমি কোথায়? আরে এটিতো সে পথ, যে পথে চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়েছে আদম (আ ক্রন্দন করতে হয়েছে নুহ কে। আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে খালিলুল্লাহ ইব্রাহিম কে। জবেহ করতে চিৎ করে শোয়ানো হয়েছে ইসমাঈল কে। খুব সল্প মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে ইউসুফ কে। কারাগারে কাটাতে হয়েছে জীবনের দীর্ঘ কয়েকটি বছর। করাত দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে জাকারিয়া কে। জবেহ করা হয়েছে সাইয়্যেদ ইয়াহইয়া কে, দু:খ দুরদসা ভোগ করেছেন আইয়ুব। অনেক অনেক বেশি করন্দন করেছেন দাউদ। বন্য প্রাণীর নেয় জীবন যাপন করেছেন ঈসা [আলইহিমুস সালাতু অস সালাম] নানা ধরনের কষ্ট সহ্য করেছেন মুহাম্মাদ [] আর তুমি খেল তামাসায় মত্য?!!!!!
        Last edited by কালো পতাকা; 12-15-2017, 07:07 AM.
        ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

        Comment


        • #5
          হিন্দু-বৌদ্ধদের মনের আকাঙ্খা পার্বত্য চট্রগ্রামকে বিছিন্ন করার পূর্বে সেখানে একটি পৃথক স্বতন্ত্র ভূমির আন্দোলন জোরদার করা।
          মনে হচ্ছে এটা সন্তু লারমাদের সেই অনুযায়ীই একটি সূদুরপ্রসারী পদক্ষেপ।

          Comment

          Working...
          X