ফ্লোরিডার হাইস্কুলে গুলি, নিহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে গুলি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যার পর স্কুলটির সাবেক এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে মিয়ামি থেকে ৭২ কিলোমিটার উত্তরের মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা পার্কল্যান্ডের মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে এ গুলির ঘটনা ঘটে বলে খবর রয়টার্সের।
স্কুল ছুটির খানিক আগে ১৯ বছর বয়সী নিকোলাস ক্রুজ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে স্কুলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ক্রুজ স্কুলটির সাবেক ছাত্র; শৃঙ্খলাজনিত কারণে তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
গুলির ঘটনায় নিহতরা ছাড়াও আরও ডজন খানেক আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে শুনে ফ্লোরিডার দুই সিনেটরও পরে গণমাধ্যমকে ঘটনার বিবরণ জানান। বলেন, বন্দুকধারী ক্রুজ গ্যাস নিরোধক মুখোশ পরে, অ্যাসল্ট রাইফেল, গুলির কার্তুজ ও হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে ছুটির কিছুক্ষণ আগে স্কুল ভবনে প্রবেশ করে ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে হলওয়েতে আসতে বাধ্য করে।
“এরপরই শুরু হয় নৃশংসতা,” সিএনএনকে বলেন সিনেটর বিল নেলসন। সিনেটর মার্কো রুবিও পরে টুইটারে ঘটনার প্রায় একই রকম বর্ণনা দেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্কুলটির কর্মচারী ও আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা গুলি শুরু হওয়ার পরপরই ফায়ার অ্যালার্মের শব্দ শুনতে পান বলে জানান। এরপর মুহুর্তের মধ্যে তিন হাজার তিনশ শিক্ষার্থীর স্কুলজুড়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়; সবাই হলরুমের দিকে ছুটলেও পরে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে লুকিয়ে পড়তে সাহায্য করেন।
সিবিএস নিউজে সম্প্রচারিত এক মোবাইল ভিডিও ক্লিপে স্কুলটির শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ওই ভিডিওতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে , গুলির মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল আতঙ্কিত তীব্র চিৎকার।
স্কুল ভবনের ভেতর থেকে ১২ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানান তিনি। ভবনের বাইরে পাওয়া যায় আরও দুটি লাশ, রাস্তায় মেলে একটি। আহতদের মধ্যে পরে দুজন হাসপাতালে মারা যান।
নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বেশ কয়েকজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি আছেন জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় দিতে পারেননি তিনি।
কাছাকাছি দুটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুলির ঘটনায় আহত ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়ার কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
Comment