এই হলো ডিজিটাল নিরাপত্তার নমুনা
মোবাইল ফোন সংযোগ থেকে সমস্ত সামাজিক প্রকল্পে আধার সংযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে সরকার৷ কিন্তু বারবার সেই তথ্য-*ভাণ্ডারে হানা দিচ্ছে অদৃশ্য দস্যুরা৷ এর ফলে ভারতে ব্যক্তি নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে৷
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঝুঁকি সামলে ভবিষ্যতের জন্য তিল তিল করে অর্থ সঞ্চয় করেন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মচারীরা৷ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার জন্য তাদের ভরসা একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘*এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন’ *অথবা ইপিএফও৷ মাসিক সঞ্চয়ের অর্থের পাশাপাশি কোটি কোটি মানুষের গোপন তথ্যও জমা থাকে ইপিএফও-*র সরকারি পোর্টালে৷ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর সেই ওয়েবসাইট হ্যাক করে তথ্য চুরি করেছে কেউ বা কারা৷ এই ওয়েবসাইটে ইপিএফ সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও পেশাগত ইতিহাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রাখা থাকে৷
গত চার বছর ধরে দেশকে ডিজিটাল করে গড়ে তুলতে এই পোর্টালটিকে কাগজবিহীন করার চেষ্টায় কোটি কোটি কর্মচারীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ আসল গলদটা এখানেই৷ ইন্টারনেট ব্যবহার সুরক্ষিত না করে জবরদস্তি সাধারণ মানুষের তথ্য ডিজিটাল করার প্রয়াস বহু ক্ষেত্রেই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে তথ্য-*ভাণ্ডারকে৷ এর সঙ্গে ‘*মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’-*এর মতো যুক্ত হয়েছে আধার সংযোজন বাধ্যতামূলক করার ফরমান৷
ক'*দিন আগেই গোটা দেশের ২ কোটি ৭০ লক্ষ গ্রাহকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দিয়েছে হ্যাকাররা৷ ইপিএফও-র পোর্টাল aadhaar.epfoservices.com-*এর দখল নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পোর্টালটি বন্ধ করে রাখে হ্যাকাররা৷ প্রথমে মনে হয়েছিল বিষয়টি গুজব৷ হইচই শুরু হয়৷ তারপর ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার ড.* ভি পি জয় নিজেই৷ এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে ড.* জয় লিখেছেন, ‘*‘*ইপিএফও-র আধার সংক্রান্ত পোর্টাল থেকে তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা৷’’
মন্ত্রকের প্রযুক্তি-*টিমকে কাজে লাগিয়ে ওই ইপিএফও-*র পোর্টালটিকে স্বাভাবিক করার আর্জি জানান তিনি৷ চিঠিতে কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার লিখেছেন, ‘*‘আধার সংযোগের কারণে পোর্টালটি থেকে তথ্য চুরি হয়েছে৷ সরকারের নিজস্ব ‘*ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’ এই খবর ইপিইফও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পোর্টালটি ঠিক কতটা নিরাপদ রয়েছে, তা যেন ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হয়৷ না হলে ভবিষ্যতে আবারও হ্যাকারদের খপ্পরে পড়তে হতে পারে কর্মীদের অবসরকালীন সুযোগ-*সুবিধা প্রদানকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থার পোর্টালটি৷’’
যদিও চিঠিটিকে ‘গোপনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ তারপরেও সে চিঠি গোপন থাকেনি৷ চিঠি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্র থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ মুখ পুড়েছে সরকারের৷ কিন্তু তাতে কী?* এতকিছুর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য চুরির সত্যতা স্বীকার করতে নারাজ৷ ‘*এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন'* প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, টুইট করে জানাচ্ছে, কোনো তথ্য চুরি হয়নি৷ সরকারের বক্তব্য, **সার্ভার বন্ধ করে দিয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইপিএফও৷ তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ‘*কমন সার্ভিস সেন্টারে’ বা সিএসসি-*এর মাধ্যমে আধার সংযোগ পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে৷
২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতে মোট ১১৪টি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে৷
তথ্য ফাঁস বা চুরি প্রসঙ্গে মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে সবকটি বিরোধী দল৷ সিপিআই (*এম)*-*এর লোকসভার উপনেতা মহম্মদ সেলিম জানান, ‘*‘*আমাদের দেশে সরকার জোর জবরদস্তি করে তথ্য সংগ্রহ করছে৷ তারপর এমন সব কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করছে তাতে তথ্য কেনাবেচার খবর আসছে৷ এতে ব্যক্তি নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা এমননি জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছ৷ এর ফলে বিপন্ন হতে পারে সাধারণ মানুষের জীবন৷ অথচ সংসদে, আদালতে যখনই প্রশ্ন করা হয়েছে, তখনই সরকার শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়েছে৷ মুর্খতা ছাড়া আর কি-*ই বা বলা যেতে পারে৷’’*
ভবিষ্যনিধির তথ্য চুরি নিয়ে দেশজুড়ে হইচই চলছেই৷ বিরোধী শিবিরে নিন্দার ঝড়৷ এমনকি সংসদের আগামী বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারকে তথ্য চুরি ইস্যুতে কোনঠাসা করার তোড়জোড় শুরু করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই(*এম)*, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, এনসিপি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি-*র মতো দলগুলি৷ বলা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি জোর গলায় আধার কার্ডের বিরোধিতা করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকরাই সর্বক্ষেত্রে আধার সংযোগ বাদ্যতামূলক করেছে৷ এ বিষয়ে মামলা চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে৷
উল্লেখ্য, যে কোনো সংস্থা তাদের কর্মচারীদের বেতনের ১২ শতাংশ ভবিষ্যনিধি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে প্রতি মাসে জমা দেয়৷ গত ৬ এপ্রিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ তবে এ যাত্রায় ইপিএফও-*র পোর্টাল হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ঠিক কতজন গ্রাহকের গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে কথা এখনও জানা যায়নি৷ বিষয়টি খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থাটি৷ বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট ২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের চাকরি ও ব্যক্তি জীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা৷ সেইসঙ্গে তাদের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে, সেই তথ্যও চুরি গেছে৷
এই হলো ডিজিটাল নিরাপত্তার নমুনা
মোবাইল ফোন সংযোগ থেকে সমস্ত সামাজিক প্রকল্পে আধার সংযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে সরকার৷ কিন্তু বারবার সেই তথ্য-*ভাণ্ডারে হানা দিচ্ছে অদৃশ্য দস্যুরা৷ এর ফলে ভারতে ব্যক্তি নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে৷
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঝুঁকি সামলে ভবিষ্যতের জন্য তিল তিল করে অর্থ সঞ্চয় করেন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মচারীরা৷ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার জন্য তাদের ভরসা একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘*এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন’ *অথবা ইপিএফও৷ মাসিক সঞ্চয়ের অর্থের পাশাপাশি কোটি কোটি মানুষের গোপন তথ্যও জমা থাকে ইপিএফও-*র সরকারি পোর্টালে৷ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর সেই ওয়েবসাইট হ্যাক করে তথ্য চুরি করেছে কেউ বা কারা৷ এই ওয়েবসাইটে ইপিএফ সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও পেশাগত ইতিহাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রাখা থাকে৷
গত চার বছর ধরে দেশকে ডিজিটাল করে গড়ে তুলতে এই পোর্টালটিকে কাগজবিহীন করার চেষ্টায় কোটি কোটি কর্মচারীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ আসল গলদটা এখানেই৷ ইন্টারনেট ব্যবহার সুরক্ষিত না করে জবরদস্তি সাধারণ মানুষের তথ্য ডিজিটাল করার প্রয়াস বহু ক্ষেত্রেই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে তথ্য-*ভাণ্ডারকে৷ এর সঙ্গে ‘*মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’-*এর মতো যুক্ত হয়েছে আধার সংযোজন বাধ্যতামূলক করার ফরমান৷
ক'*দিন আগেই গোটা দেশের ২ কোটি ৭০ লক্ষ গ্রাহকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দিয়েছে হ্যাকাররা৷ ইপিএফও-র পোর্টাল aadhaar.epfoservices.com-*এর দখল নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পোর্টালটি বন্ধ করে রাখে হ্যাকাররা৷ প্রথমে মনে হয়েছিল বিষয়টি গুজব৷ হইচই শুরু হয়৷ তারপর ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার ড.* ভি পি জয় নিজেই৷ এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে ড.* জয় লিখেছেন, ‘*‘*ইপিএফও-র আধার সংক্রান্ত পোর্টাল থেকে তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা৷’’
মন্ত্রকের প্রযুক্তি-*টিমকে কাজে লাগিয়ে ওই ইপিএফও-*র পোর্টালটিকে স্বাভাবিক করার আর্জি জানান তিনি৷ চিঠিতে কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার লিখেছেন, ‘*‘আধার সংযোগের কারণে পোর্টালটি থেকে তথ্য চুরি হয়েছে৷ সরকারের নিজস্ব ‘*ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’ এই খবর ইপিইফও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পোর্টালটি ঠিক কতটা নিরাপদ রয়েছে, তা যেন ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হয়৷ না হলে ভবিষ্যতে আবারও হ্যাকারদের খপ্পরে পড়তে হতে পারে কর্মীদের অবসরকালীন সুযোগ-*সুবিধা প্রদানকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থার পোর্টালটি৷’’
যদিও চিঠিটিকে ‘গোপনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ তারপরেও সে চিঠি গোপন থাকেনি৷ চিঠি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্র থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ মুখ পুড়েছে সরকারের৷ কিন্তু তাতে কী?* এতকিছুর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য চুরির সত্যতা স্বীকার করতে নারাজ৷ ‘*এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন'* প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, টুইট করে জানাচ্ছে, কোনো তথ্য চুরি হয়নি৷ সরকারের বক্তব্য, **সার্ভার বন্ধ করে দিয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইপিএফও৷ তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ‘*কমন সার্ভিস সেন্টারে’ বা সিএসসি-*এর মাধ্যমে আধার সংযোগ পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে৷
২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতে মোট ১১৪টি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে৷
তথ্য ফাঁস বা চুরি প্রসঙ্গে মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে সবকটি বিরোধী দল৷ সিপিআই (*এম)*-*এর লোকসভার উপনেতা মহম্মদ সেলিম জানান, ‘*‘*আমাদের দেশে সরকার জোর জবরদস্তি করে তথ্য সংগ্রহ করছে৷ তারপর এমন সব কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করছে তাতে তথ্য কেনাবেচার খবর আসছে৷ এতে ব্যক্তি নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা এমননি জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছ৷ এর ফলে বিপন্ন হতে পারে সাধারণ মানুষের জীবন৷ অথচ সংসদে, আদালতে যখনই প্রশ্ন করা হয়েছে, তখনই সরকার শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়েছে৷ মুর্খতা ছাড়া আর কি-*ই বা বলা যেতে পারে৷’’*
ভবিষ্যনিধির তথ্য চুরি নিয়ে দেশজুড়ে হইচই চলছেই৷ বিরোধী শিবিরে নিন্দার ঝড়৷ এমনকি সংসদের আগামী বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারকে তথ্য চুরি ইস্যুতে কোনঠাসা করার তোড়জোড় শুরু করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই(*এম)*, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, এনসিপি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি-*র মতো দলগুলি৷ বলা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি জোর গলায় আধার কার্ডের বিরোধিতা করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকরাই সর্বক্ষেত্রে আধার সংযোগ বাদ্যতামূলক করেছে৷ এ বিষয়ে মামলা চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে৷
উল্লেখ্য, যে কোনো সংস্থা তাদের কর্মচারীদের বেতনের ১২ শতাংশ ভবিষ্যনিধি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে প্রতি মাসে জমা দেয়৷ গত ৬ এপ্রিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ তবে এ যাত্রায় ইপিএফও-*র পোর্টাল হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ঠিক কতজন গ্রাহকের গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে কথা এখনও জানা যায়নি৷ বিষয়টি খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থাটি৷ বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট ২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের চাকরি ও ব্যক্তি জীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা৷ সেইসঙ্গে তাদের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে, সেই তথ্যও চুরি গেছে৷
এই হলো ডিজিটাল নিরাপত্তার নমুনা
Comment