এ কোন পৃথিবীতে বাস আমাদের ?? ইসলামকে নিয়ে উপহাস আর ঠাট্টা বিদ্রুপ করার নিত্য নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হচ্ছে যে পৃথিবীতে । যে পৃথিবীতে মালিকের ধর্মাদর্শকে প্রতিদিনই লাঞ্ছিত করা হচ্ছে । যে পৃথিবীর ইসলামের নামধারী ঝান্ডাবাহীরা কুফফারদের সাথে সমঝোতা-চুক্তি ও তাদের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত । তাদের নরপশু প্রভুরা যখন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র চরিত্রের উপর আঘাত হানে তখন তারা চুপটি মেরে বসে থাকে অথবা কেউ বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিছু তেল মাখা কথা বলেই নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করে । কুফফাররা যখন বাইতুল মাকদিসে রক্ত পানে ব্যস্ত সময় কাটায় তখন তারা সেই কুফফারদেরকেই পৃথিবীর জন্য রহমত হওয়ার মত ন্যাক্কারজনক ঘোষণা দেয় । যখন সিরিয়া - আফগান - সোমালিয়া - ইয়ামান - কাশ্মীরে মুসলিম মায়েদের নাড়িছেড়া শিশু পুত্রদের জবাই করে আনন্দোল্লাস করা হয় তখন তারা তাদের প্রভুদের সাথে তাল মিলিয়ে একে জঙ্গিবাদ দমন অভিযান বলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে ।
এ সব কিছুর সাথে এবার যোগ হল নতুন মাত্রা । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন ও মুসলিম হত্যার সাথে এবার যোগ হল কালিমার অপমান । সম্প্রতি জার্মানির একটি মদপ্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের মদের বোতলের সিপিতে ( মুখ ) কালিমায়ে তাওহীদ ব্যবহার করেছে । কোম্পানিটির নাম ইচবাম( #eichbaum ) ।
তাদের দাবি হল ," আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সবগুলোর দেশের পতাকাই তাদের মদের বোতলে ব্যবহার করছে । আর যেহেতু সৌদি আরবও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী একটি দেশ তাই তাদের কালিমাখচিত পতাকাও ব্যবহার করা হয়েছে । এতে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথা নয় ।"
কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে , কালিমায়ে তাওহীদ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী কোনো কুফুরী রাষ্ট্রের পতাকার লোগো নয় । কালিমায়ে তাওহীদ লক্ষ কোটি মুমিনের হৃদয়ের তীব্র স্পন্দনের নাম । কালিমায়ে তাওহীদ শত সহস্র নবী রাসূলদের আজীবন মিশনের নাম । এ কালিমা রক্ষার জন্যই রাসূলদের ছাড়তে হয়েছে আপন আপন ভূমি । এ কালিমার জন্য বদর উহুদ আর খন্দকের সূচনা হয়েছিল । এই কালিমাই আমাদের অস্তিত্বের প্রতিক । আমাদের চেতনার বাতিঘর । আমাদের প্রাণের উৎস । যদিও তারা ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকেই যায় এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় ??
মদের বোতলে কালিমার লোগো ব্যবহার করে আমাদের হৃদস্পন্দনে আঘাত করা হয়েছে । উম্মাহর সে সকল ঝান্ডাবাহীদের বলতে ইচ্ছে করছে : হাদীসের মসনদ থেকে কাফেরদের প্রশংসা করে অসংখ্য বিবৃতি আসে । তাহারাত সালাত যাকাতের হাজারো মাসআলা বয়ান করা হয় । কিন্তু কাফেরদের এ দৌরাত্ম্য দেখে কেন চুপ করে থাকা হয় ?? শিআরে ইসলাম , কালিমায়ে ইসলামের অপমান দেখেও কেন মুখে কুলুপ এটে রাখা হয় ?? নাকি এটাও কোনো হেকমতের অংশবিশেষ ? ইসলাম ও ইসলামের নবীকে নিয়ে তিরস্কারকারীদের কী শাস্তি নির্ধারণ করেছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতহে মক্কার দিন ??
ফাতহে মক্কার দিন চারজন পুরুষ ও দুজন নারীর ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ ছিল :
اقتلوهم و إن وجدتموهم متعلقين بأستار الكعبة
তাদেরকে হত্যা করো । যদিও তারা কাবার গিলাফে জড়িয়ে থাকে ।
( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া খন্ড:৪ পৃষ্ঠা : ৫৪৯-৫৫১ )
তাদের মধ্যে একজন ছিল আব্দুল্লাহ বিন সাদ বিন আবু সারহ যে ইসলাম গ্রহণের পর মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল । তার ব্যাপারে হত্যার নির্দেশ জারী হওয়ার পর সে উসমান রা: এর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয় । তিনি আশ্রয় দেয় । পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তাওবার জন্য যায় । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে তাকে মাফ করে দেন । পরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্যকরে বলেছিলেন :
أما فيكم رجل رشيد يقوم إلى هذا حين رآني قد صمت فيقتله
তোমাদের মধ্যে কি বুদ্ধিমান কেউ নেই ?? আমাকে চুপ থাকতে দেখে তাকে কেন হত্যা করলে না ??
( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া খন্ড:৪ পৃষ্ঠা : ৫৪৯-৫৫১ )
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে :
عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل مكة يوم الفتح و على رأسه المغفر فلما نزعه جاء رجل فقال ابن خطل متعلق بأستار الكعبة فقال اقتله
আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতহে মক্কার দিন মক্কায় প্রবেশ করেন । তখন তার মাথায় শিরস্ত্রাণ ছিল । যখন তিনি তা খুললেন তখন এক ব্যক্তি এসে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ ! ইবনে খাতাল কাবার গিলাফ জড়িয়ে আছে । তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তাকে এই অবস্হাতেই হত্যা করো ।
( সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪২৮৬ )
তাদেরকে এ শাস্তি কেন দেয়া হয়েছিল ?? কারণ তারা ইসলাম, ঈমান,আল্লাহ, রাসূল ও কালিমা নিয়ে তিরস্কার ও ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলত ও কবিতা আবৃত্তি করত । তাহলে কেন আজ আমরা কালিমার অবমাননা দেখে চুপ করে আছি ??
আজো মনে পড়ে শার্লি এবদো-তে আক্রমণকারী রাসূল প্রেমিক জানবাজ মুজাহিদদের কথা । আজ আবারো সময় এসেছে ইসলাম প্রেমে নিজেকে সঁপে দেবার । কালিমার অবমাননার প্রতিশোধ নেবার । শার্লি এবদোর জানবাজরা !! কোথায় তোমরা ?? আমাদের অন্তরকে শান্ত করো । ওদের রক্তে লাল করে দাও খোদার যমিন ।
হে আল্লাহ ! আমাদের হৃদয়ের আকুতি শুধুই তোমার কাছে । কালিমার অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে তুমি কোনো শরীফ কোশি ও সায়্যিদ কোশির মত বীর মুজাহিদ দাড় করিয়ে দাও ।
و من يعظم شعائر الله فإنها من تقوى القلوب
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে । তা আন্তরিক তাকওয়ার নিদর্শন । সূরা হাজ ।
এ সব কিছুর সাথে এবার যোগ হল নতুন মাত্রা । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন ও মুসলিম হত্যার সাথে এবার যোগ হল কালিমার অপমান । সম্প্রতি জার্মানির একটি মদপ্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের মদের বোতলের সিপিতে ( মুখ ) কালিমায়ে তাওহীদ ব্যবহার করেছে । কোম্পানিটির নাম ইচবাম( #eichbaum ) ।
তাদের দাবি হল ," আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সবগুলোর দেশের পতাকাই তাদের মদের বোতলে ব্যবহার করছে । আর যেহেতু সৌদি আরবও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী একটি দেশ তাই তাদের কালিমাখচিত পতাকাও ব্যবহার করা হয়েছে । এতে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথা নয় ।"
কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে , কালিমায়ে তাওহীদ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী কোনো কুফুরী রাষ্ট্রের পতাকার লোগো নয় । কালিমায়ে তাওহীদ লক্ষ কোটি মুমিনের হৃদয়ের তীব্র স্পন্দনের নাম । কালিমায়ে তাওহীদ শত সহস্র নবী রাসূলদের আজীবন মিশনের নাম । এ কালিমা রক্ষার জন্যই রাসূলদের ছাড়তে হয়েছে আপন আপন ভূমি । এ কালিমার জন্য বদর উহুদ আর খন্দকের সূচনা হয়েছিল । এই কালিমাই আমাদের অস্তিত্বের প্রতিক । আমাদের চেতনার বাতিঘর । আমাদের প্রাণের উৎস । যদিও তারা ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকেই যায় এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় ??
মদের বোতলে কালিমার লোগো ব্যবহার করে আমাদের হৃদস্পন্দনে আঘাত করা হয়েছে । উম্মাহর সে সকল ঝান্ডাবাহীদের বলতে ইচ্ছে করছে : হাদীসের মসনদ থেকে কাফেরদের প্রশংসা করে অসংখ্য বিবৃতি আসে । তাহারাত সালাত যাকাতের হাজারো মাসআলা বয়ান করা হয় । কিন্তু কাফেরদের এ দৌরাত্ম্য দেখে কেন চুপ করে থাকা হয় ?? শিআরে ইসলাম , কালিমায়ে ইসলামের অপমান দেখেও কেন মুখে কুলুপ এটে রাখা হয় ?? নাকি এটাও কোনো হেকমতের অংশবিশেষ ? ইসলাম ও ইসলামের নবীকে নিয়ে তিরস্কারকারীদের কী শাস্তি নির্ধারণ করেছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতহে মক্কার দিন ??
ফাতহে মক্কার দিন চারজন পুরুষ ও দুজন নারীর ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ ছিল :
اقتلوهم و إن وجدتموهم متعلقين بأستار الكعبة
তাদেরকে হত্যা করো । যদিও তারা কাবার গিলাফে জড়িয়ে থাকে ।
( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া খন্ড:৪ পৃষ্ঠা : ৫৪৯-৫৫১ )
তাদের মধ্যে একজন ছিল আব্দুল্লাহ বিন সাদ বিন আবু সারহ যে ইসলাম গ্রহণের পর মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল । তার ব্যাপারে হত্যার নির্দেশ জারী হওয়ার পর সে উসমান রা: এর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয় । তিনি আশ্রয় দেয় । পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তাওবার জন্য যায় । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে তাকে মাফ করে দেন । পরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্যকরে বলেছিলেন :
أما فيكم رجل رشيد يقوم إلى هذا حين رآني قد صمت فيقتله
তোমাদের মধ্যে কি বুদ্ধিমান কেউ নেই ?? আমাকে চুপ থাকতে দেখে তাকে কেন হত্যা করলে না ??
( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া খন্ড:৪ পৃষ্ঠা : ৫৪৯-৫৫১ )
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে :
عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل مكة يوم الفتح و على رأسه المغفر فلما نزعه جاء رجل فقال ابن خطل متعلق بأستار الكعبة فقال اقتله
আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতহে মক্কার দিন মক্কায় প্রবেশ করেন । তখন তার মাথায় শিরস্ত্রাণ ছিল । যখন তিনি তা খুললেন তখন এক ব্যক্তি এসে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ ! ইবনে খাতাল কাবার গিলাফ জড়িয়ে আছে । তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তাকে এই অবস্হাতেই হত্যা করো ।
( সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪২৮৬ )
তাদেরকে এ শাস্তি কেন দেয়া হয়েছিল ?? কারণ তারা ইসলাম, ঈমান,আল্লাহ, রাসূল ও কালিমা নিয়ে তিরস্কার ও ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলত ও কবিতা আবৃত্তি করত । তাহলে কেন আজ আমরা কালিমার অবমাননা দেখে চুপ করে আছি ??
আজো মনে পড়ে শার্লি এবদো-তে আক্রমণকারী রাসূল প্রেমিক জানবাজ মুজাহিদদের কথা । আজ আবারো সময় এসেছে ইসলাম প্রেমে নিজেকে সঁপে দেবার । কালিমার অবমাননার প্রতিশোধ নেবার । শার্লি এবদোর জানবাজরা !! কোথায় তোমরা ?? আমাদের অন্তরকে শান্ত করো । ওদের রক্তে লাল করে দাও খোদার যমিন ।
হে আল্লাহ ! আমাদের হৃদয়ের আকুতি শুধুই তোমার কাছে । কালিমার অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে তুমি কোনো শরীফ কোশি ও সায়্যিদ কোশির মত বীর মুজাহিদ দাড় করিয়ে দাও ।
و من يعظم شعائر الله فإنها من تقوى القلوب
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে । তা আন্তরিক তাকওয়ার নিদর্শন । সূরা হাজ ।
Comment