সফলতা ও বিজয় আসে একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই পক্ষ হতে
সফলতা ও বিজয় আসে একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই পক্ষ হতে।তা কোন শক্তি আর লোক বলে আসেনা। তাইতো আজ কুফ্ফার বিশ্ব কত ছোট ছোট দলের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বশক্তি ব্যয় করেও বিজয় লাভ করতে পারছে না!
মহান রবের অনুগ্রহে গত ২০১৮ সাল ছিলো আফগান মুসলিমদের জন্য একটি বিজয় ও সফলতার বছর। যেখানে পরাজিত ও লাঞ্চিত হয়েছে কুফ্ফার জোট ও তাদের গোলামরা, এখন সেই পরাজয় ও লাঞ্চনা ঢাকার আয়োজন করে যাচ্ছে আগ্রাসী কুফফার জোট!
গত বছর আফগানিস্তানে তালেবানদের তীব্র হামলার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে সুপার পাওয়ারের দাবিদার আমেরিকা। একে একে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পিছু হটতে থাকে অহংকারী আমেরিকা।
যার প্রমাণ্য চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে ২০১৮ সালের আফগান যুদ্ধের রিপোর্টে।
গত ২০১৮ সালে তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত ১০,৩৬৮ টি অভিযানের মধ্য দিয়ে কাফেরদের পরাজয়ের শেষ চিত্র ফুটে উঠে।
মুজাহিদদের ঐসকল হামলায় নিহত হয় ২২,৮৪৩ হাজার
জমানার ফিরাউন তুল্য আমেরিকা ও তাদের গোলাম আফগান সেনারা।
নিহত সেনাদের মধ্যে রয়েছে জমানার হুবাল আমেরিকার ২৪৯ সন্ত্রাসী সেনা।
আর নিহত সেনাদের মধ্যে তাদের গোলাম আফগান সেনা রয়েছে ২২,৫৯৪। যাদের পিছনে ব্যয় করতে হয়েছে মোটা অংকের অর্থ ও রসদপত্র।
মুজাহিদীনের এসকল হামলায় আহত হয়েছে ১৪,২১৬ কুফ্ফার সেনা।
আহত সেনাদের মধ্যে রয়েছে ১৫৩ মার্কিন সন্ত্রাসী এবং রয়েছে ১৪,০৬৩ আফগান ভাড়াটে গোলাম সেনা।
যাদের চিকিৎসার বিশাল এই খরচটাও বহন করতে হচ্ছে জমানার হুবাল আমেরিকাকে।
এর থেকে বাদ পড়ছেনা হতাহত সেনাদের পরিবারদের খরচটাও!
মুজাহিদগণ ধ্বংস করেছেন কুফ্ফার বাহিনীর ৩,৬১৩ টি সামরিকযান।
ভূপাতিত করা হয়েছে ১৪ টি হেলিকপ্টার,৮টি অনুসন্ধানী ড্রোন এবং একটি C-130।
এসকল সামরিকযান আর ড্রোনের জন্যও গুণতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ, যা তাদের অর্থনীতিতে ধ্বস নামিয়ে দিচ্ছে।
নিশ্চয়ই সফলতা, বিজয় ও সম্মান তো মুমিনদের জন্যই। আর পরাজয় ও লাঞ্চনার গ্লানি কাফেরদেরই জন্য।
শত জুলুম, নির্যাতন চালানো হোক না কেন, যত কঠিন বাধার প্রাচীরই মুমিনদের সম্মুখে আসুক না কেন, বিজয়ের শেষ হাসি অবশ্যই মুমিনরা হাসবে, বিইযনিল্লাহ।
Comment