অবশেষে শেষ হলো দোহায় তালেবান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বৈঠক!!!
কাতারের দোহায় গত ছয়দিন যাবৎ আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর সমাধানের পথ খোঁজতে (মার্কিনীরা পলায়নের পথ বের করতে) তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসে অহংকারী আমেরিকা। অবশেষে গতাকাল ২৬ জানুয়ারী শনিবার শেষ হয় উভয় দলের মধ্যকার উক্ত বৈঠক।
তালেবান কর্তিপক্ষ জনায় যে, আফগানিস্তান থেকে বহিরাগত সেনা বের হয়ে যাওয়াসহ আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় এবং অনেকটা অগ্রগতিও হয়। কিন্তু এখানে অনেকগুলো জটিল বিষয় সামনে আসে, যেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বভিষ্যতে আবারো বৈঠক বসবে উভয় প্রতিনিধী দল। যাতে করে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে উভয় প্রতিনিধী দল নিজ নিজ নেতাদের সাথে আলোচনা করতে পারে এবং তাদের নির্দেশিকা পাওয়ার মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের পথ বের করতে পারে।
তবে এই অমীমাংসিত বিষয়গুলো কি ছিলো সে বিষয়ে তালেবানের পক্ষ হতে কোন কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি, কিন্তু বিভিন্ন আরব ভিত্তিক ও BBC এর মত সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায় যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে মুল বিষয় ছিলো আল-কায়দার সাথে তালেবানদের সম্পর্ক নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আল-কায়দার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তালেবান পূর্বের বৈঠকগুলোর মতই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তবে এবার হয়তো তালেবান তাদের নেতৃবৃন্দদের সাথে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পথ বের করবেন, এমনটাই ধারণা করছেন বিশ্লেসকরা।
এছাড়াও অমীমাংসিত আরেকটি বিষয় ছিলো আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রেরর দূতাবাস থাকা নিয়ে। তালেবান এক্ষেত্রেও অসন্তোষ প্রকাশ করে।
মুলত এই বৈঠকে তিনটি বিষয়ের উপরই আলোচনা জোরদার করেছিল তালেবান প্রতিনিধী দল।
১) আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশী সেনা পত্যাহার করা।
২) উভয় বাহিনীর সকল বন্দীদেরকে মুক্ত করে দেওয়া।
৩) আফগানিস্তে মার্কিনীদের বোমা হামলা বন্ধ করা।
এছাড়াও পাকিস্তানের ড. আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তির বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলাদাভাবে আলোচনা তুলে তালেবান প্রতিনিধী দল। যাকে আল-কায়দার সহযোগী বলে বন্দী করা হয়েছিলো।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলমী খলিলিজাদ তালেবানদের সাথে আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতি ঘোষণা করে বলে যে, সাম্প্রতিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে উভয় দলের মধ্যে খুব শীঘ্রই আবারো আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, এসময় খলিলজাদ জানায় যে, সে তাদের গোলাম কাবুল সরকারের সাথে পরামর্শ করার জন্য আফগানিস্তান যাবে।
তবে সরবশেষ বৈঠকে একটি বিষয় তালেবান স্পষ্টভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধীদের-কে বলে দিয়েছেন যে, যতক্ষণ না আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সকল সেনা পত্যাহার করা না হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে তালেবানদের সাথে একমত না হচ্ছে, ততক্ষণ অন্যান্য বিষয়গুলিতে অগ্রগতি অসম্ভব।
সূত্র:http://gazwah.net/?p=17370
কাতারের দোহায় গত ছয়দিন যাবৎ আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর সমাধানের পথ খোঁজতে (মার্কিনীরা পলায়নের পথ বের করতে) তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসে অহংকারী আমেরিকা। অবশেষে গতাকাল ২৬ জানুয়ারী শনিবার শেষ হয় উভয় দলের মধ্যকার উক্ত বৈঠক।
তালেবান কর্তিপক্ষ জনায় যে, আফগানিস্তান থেকে বহিরাগত সেনা বের হয়ে যাওয়াসহ আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় এবং অনেকটা অগ্রগতিও হয়। কিন্তু এখানে অনেকগুলো জটিল বিষয় সামনে আসে, যেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বভিষ্যতে আবারো বৈঠক বসবে উভয় প্রতিনিধী দল। যাতে করে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে উভয় প্রতিনিধী দল নিজ নিজ নেতাদের সাথে আলোচনা করতে পারে এবং তাদের নির্দেশিকা পাওয়ার মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের পথ বের করতে পারে।
তবে এই অমীমাংসিত বিষয়গুলো কি ছিলো সে বিষয়ে তালেবানের পক্ষ হতে কোন কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি, কিন্তু বিভিন্ন আরব ভিত্তিক ও BBC এর মত সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায় যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে মুল বিষয় ছিলো আল-কায়দার সাথে তালেবানদের সম্পর্ক নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আল-কায়দার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তালেবান পূর্বের বৈঠকগুলোর মতই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তবে এবার হয়তো তালেবান তাদের নেতৃবৃন্দদের সাথে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পথ বের করবেন, এমনটাই ধারণা করছেন বিশ্লেসকরা।
এছাড়াও অমীমাংসিত আরেকটি বিষয় ছিলো আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রেরর দূতাবাস থাকা নিয়ে। তালেবান এক্ষেত্রেও অসন্তোষ প্রকাশ করে।
মুলত এই বৈঠকে তিনটি বিষয়ের উপরই আলোচনা জোরদার করেছিল তালেবান প্রতিনিধী দল।
১) আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশী সেনা পত্যাহার করা।
২) উভয় বাহিনীর সকল বন্দীদেরকে মুক্ত করে দেওয়া।
৩) আফগানিস্তে মার্কিনীদের বোমা হামলা বন্ধ করা।
এছাড়াও পাকিস্তানের ড. আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তির বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলাদাভাবে আলোচনা তুলে তালেবান প্রতিনিধী দল। যাকে আল-কায়দার সহযোগী বলে বন্দী করা হয়েছিলো।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলমী খলিলিজাদ তালেবানদের সাথে আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতি ঘোষণা করে বলে যে, সাম্প্রতিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে উভয় দলের মধ্যে খুব শীঘ্রই আবারো আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, এসময় খলিলজাদ জানায় যে, সে তাদের গোলাম কাবুল সরকারের সাথে পরামর্শ করার জন্য আফগানিস্তান যাবে।
তবে সরবশেষ বৈঠকে একটি বিষয় তালেবান স্পষ্টভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধীদের-কে বলে দিয়েছেন যে, যতক্ষণ না আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সকল সেনা পত্যাহার করা না হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে তালেবানদের সাথে একমত না হচ্ছে, ততক্ষণ অন্যান্য বিষয়গুলিতে অগ্রগতি অসম্ভব।
সূত্র:http://gazwah.net/?p=17370
Comment