হেলমান্দের “শোরাব” (বোস্তান) শত্রুঘাঁটিতে তালিবান মুজাহিদদের হামলার সর্বশেষ রিপোর্টঃ নিহত ৩৯৭, আহত আরো ৮৮ কুফ্ফার শত্রুসেনা।
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র ক্বারী মুহাম্মদ ইউসূফ আহমাদী হাফিজাহুল্লাহ শোরাব ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত ৪৬ ঘন্টার বরকতময়ী সফল অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।
গত ১লা মার্চ শুক্রবার আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মার্কিন ও আফগান মুরতাদ বাহিনীর সর্ববৃহৎ “শোরাব” (যাকে বোস্তান ঘাঁটিল বলা হয়) ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার ৯ জন জানবাজ ইস্তেশহাদী মুজাহিদ তাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান শুরু করেন।
প্রথমে জানবায মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর এই মজবুত ঘাঁটিতে তিনদিক থেকে প্রবেশ করতে সক্ষম হন, এরপর ক্রুসেডার ও মুরতাদ আফগান বাহিনীর সদর দফতরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে টার্গেটকৃত স্থানগুলোতে পৌঁছতে সক্ষম হন।
মুজাহিদগণ অভিযানের সময় কুফ্ফার বাহিনীর যানবাহন, যুদ্ধ সরঞ্জামাদি, ইনস্টেলেশনের উপর নজর রাখেন। প্রথমে মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিয়ন্ত্রনে নেন, এরপর তাদের গুদাম, গোলাবারুদ ও বিমানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন।
এরপর শুরু হয় ঈমান ও কুফর বিপরীত মতাদর্শী যোদ্ধাদের মধ্যকার তীব্র লড়াই। প্রকম্পিত হয়ে উঠে “শোরাব” ঘাঁটির আশপাশের এলাকাগুলো। ঘাঁটি হতে আগুনের আগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাতাসের সাথে উপরের দিকে উঠতে থাকে, আলোকিত হয়ে উঠে রাতের শোরাব ঘাঁটির আশপাশের এলাকা। প্রতি মুহূর্তেই বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হতে থাকে মার্কিন বাহিনীর অস্ত্রের ভান্ডারগুলো।
এভাবেই চলতে থাকে ঘাঁটির ভিতরে তীব্র লড়াই, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ প্রতিমুহূর্তেই ঘাঁটির ভিতরের সংবাদ পাঠাতে থাকেন ইমারার দায়িত্বশীলদের নিকট। রাত যখন ১০ টা যুদ্ধ তখন ৪৬ ঘন্টা পার হয়েছে, হঠাৎ ইমরার দায়িত্বশীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শোরাব ঘাঁটিতে লড়াইরত মুজাহিদদের।
এরপর ইমারার দায়িত্বশীলদের বুঝতে আর বাকি রইলোনা, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ এখন কোন অবস্থানে আছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে হয়তো শাহাদাতের মর্যাদা দান করেছেন, (আমাদের ভাইদের ক্ষেত্রে আমরা এমনটাই ধরণা রাখি)।
তবে যোগাযোগ বিচ্চিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা বীরত্বের সাথে কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন, জানতে পারিনি দীর্ঘ এই ৪৬ ঘন্টা লড়াইয়ে আমাদের ভাইরা কি আহার করেছেন, সামান্যও কি বিশ্রাম নিতে পেরেছেন, হয়তো কোনটিরই সুযোগ হয়নি উম্মাহর এই অতন্দ্র প্রহরী আমাদের এই প্রিয় জানবায মুজাহিদ ভাইগুলোর। ৪৬ ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের মাঝেও উম্মাহকে আপডেট সংবাদ জানাতে তাঁরা ভুল করেননি, শাহাদাতের আগ পর্যন্ত তাঁরা ইমারার কাছে আপডেট সংবাদ জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
মুজাহিদদের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্টগুলোতে কুফ্ফার বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলোঃ
৪৬ ঘন্টার এই বরকতময়ী অভিযানে মুজাহিদদের হামলায় সর্বমোট ৩৯৭ কুফ্ফার শত্রুসেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো ৮৮ শত্রুসেনা।
মুজাহিদদের এই সফল বীরত্বপূর্ণ অভিযানের ফলে জাহান্নামে পৌঁছে ১৩৭ ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী শত্রুসেনা, যার মধ্যে রয়েছে ১৫ পাইলট এবং ১৮ বিমান প্রকৌশলী।
আহত হয় আরো ১৯ মার্কিন শত্রুসেনা।
এছাড়াও আফগান মুরতাদ বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্নেল সিরাজুদ্দীন ও বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক মানসূর সহ ২৬০ আফগান মুরতাদ শত্রুসেনা নিহত হয়, এদের মাঝে রয়েছে ১৪২ আফগান বিশেষ বাহিনীর সৈন্য, এবং ১১৮ সাধারণ আফগান সৈন্য। আহত হয় আরো ৭৩ মুরতাদ শত্রুসেনা।
এমনিভাবে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর অনেক বিমান ও সামরিকযান ধ্বংস করেন মুজাহিদগণ।
ধ্বংস করা হয় ২টি হেলিকপ্টার, বিধ্বস্ত হয় আরো ২টি হেলিকপ্টার। ধ্বংস হয়ে যায় ৩৩টি হাম্বি, ১৯টি অত্যাধুনীক ট্যাংক, ২৭টি বাস ও রেঞ্জার গাড়ি, ২১টি গাড়ি, ৭টি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স, ১১টি জ্বালানী ভর্তি ট্যাংকার, ১টি খাদ্য গুদাম, ১টি গোলাবারুদভর্তি গুদাম, ১টি বিমানের ওয়ার্কশপ, ২টি ট্যাংক ও রেঞ্জার গাড়ির ওয়ার্কশপ।
এছাড়াও অনেকগুলো সামরিক তাবু যা খাদ্য ও সামরিক সরঞ্জামাদি দ্বারা পূর্ণ ছিল তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস করা হয় কুফ্ফার বাহিনীর একটি রাডার সিস্টেম, এছাড়াও আরো অনেক যুদ্ধাস্ত্র মুজাহিদগণ ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
অন্যদিকে কুফ্ফার বাহিনীর ঘাঁটিতে মৌজুদ ৪০% সামরিক সরঞ্জামাদিই ধ্বংস করে ফেলেন মুজাহিদগণ। অপারেশনের সময় মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদেরই বিপুল সংখ্যক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা তার প্রিয় বান্দাদেরকে জান্নাতের সু-উচ্চ মাক্বাম দান করুন, সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে ক্ববুল করুন আমিন।
সূত্র:http://gazwah.net/?p=19035
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র ক্বারী মুহাম্মদ ইউসূফ আহমাদী হাফিজাহুল্লাহ শোরাব ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত ৪৬ ঘন্টার বরকতময়ী সফল অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।
গত ১লা মার্চ শুক্রবার আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মার্কিন ও আফগান মুরতাদ বাহিনীর সর্ববৃহৎ “শোরাব” (যাকে বোস্তান ঘাঁটিল বলা হয়) ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার ৯ জন জানবাজ ইস্তেশহাদী মুজাহিদ তাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান শুরু করেন।
প্রথমে জানবায মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর এই মজবুত ঘাঁটিতে তিনদিক থেকে প্রবেশ করতে সক্ষম হন, এরপর ক্রুসেডার ও মুরতাদ আফগান বাহিনীর সদর দফতরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে টার্গেটকৃত স্থানগুলোতে পৌঁছতে সক্ষম হন।
মুজাহিদগণ অভিযানের সময় কুফ্ফার বাহিনীর যানবাহন, যুদ্ধ সরঞ্জামাদি, ইনস্টেলেশনের উপর নজর রাখেন। প্রথমে মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিয়ন্ত্রনে নেন, এরপর তাদের গুদাম, গোলাবারুদ ও বিমানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন।
এরপর শুরু হয় ঈমান ও কুফর বিপরীত মতাদর্শী যোদ্ধাদের মধ্যকার তীব্র লড়াই। প্রকম্পিত হয়ে উঠে “শোরাব” ঘাঁটির আশপাশের এলাকাগুলো। ঘাঁটি হতে আগুনের আগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাতাসের সাথে উপরের দিকে উঠতে থাকে, আলোকিত হয়ে উঠে রাতের শোরাব ঘাঁটির আশপাশের এলাকা। প্রতি মুহূর্তেই বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হতে থাকে মার্কিন বাহিনীর অস্ত্রের ভান্ডারগুলো।
এভাবেই চলতে থাকে ঘাঁটির ভিতরে তীব্র লড়াই, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ প্রতিমুহূর্তেই ঘাঁটির ভিতরের সংবাদ পাঠাতে থাকেন ইমারার দায়িত্বশীলদের নিকট। রাত যখন ১০ টা যুদ্ধ তখন ৪৬ ঘন্টা পার হয়েছে, হঠাৎ ইমরার দায়িত্বশীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শোরাব ঘাঁটিতে লড়াইরত মুজাহিদদের।
এরপর ইমারার দায়িত্বশীলদের বুঝতে আর বাকি রইলোনা, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ এখন কোন অবস্থানে আছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে হয়তো শাহাদাতের মর্যাদা দান করেছেন, (আমাদের ভাইদের ক্ষেত্রে আমরা এমনটাই ধরণা রাখি)।
তবে যোগাযোগ বিচ্চিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা বীরত্বের সাথে কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন, জানতে পারিনি দীর্ঘ এই ৪৬ ঘন্টা লড়াইয়ে আমাদের ভাইরা কি আহার করেছেন, সামান্যও কি বিশ্রাম নিতে পেরেছেন, হয়তো কোনটিরই সুযোগ হয়নি উম্মাহর এই অতন্দ্র প্রহরী আমাদের এই প্রিয় জানবায মুজাহিদ ভাইগুলোর। ৪৬ ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের মাঝেও উম্মাহকে আপডেট সংবাদ জানাতে তাঁরা ভুল করেননি, শাহাদাতের আগ পর্যন্ত তাঁরা ইমারার কাছে আপডেট সংবাদ জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
মুজাহিদদের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্টগুলোতে কুফ্ফার বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলোঃ
৪৬ ঘন্টার এই বরকতময়ী অভিযানে মুজাহিদদের হামলায় সর্বমোট ৩৯৭ কুফ্ফার শত্রুসেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো ৮৮ শত্রুসেনা।
মুজাহিদদের এই সফল বীরত্বপূর্ণ অভিযানের ফলে জাহান্নামে পৌঁছে ১৩৭ ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী শত্রুসেনা, যার মধ্যে রয়েছে ১৫ পাইলট এবং ১৮ বিমান প্রকৌশলী।
আহত হয় আরো ১৯ মার্কিন শত্রুসেনা।
এছাড়াও আফগান মুরতাদ বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্নেল সিরাজুদ্দীন ও বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক মানসূর সহ ২৬০ আফগান মুরতাদ শত্রুসেনা নিহত হয়, এদের মাঝে রয়েছে ১৪২ আফগান বিশেষ বাহিনীর সৈন্য, এবং ১১৮ সাধারণ আফগান সৈন্য। আহত হয় আরো ৭৩ মুরতাদ শত্রুসেনা।
এমনিভাবে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর অনেক বিমান ও সামরিকযান ধ্বংস করেন মুজাহিদগণ।
ধ্বংস করা হয় ২টি হেলিকপ্টার, বিধ্বস্ত হয় আরো ২টি হেলিকপ্টার। ধ্বংস হয়ে যায় ৩৩টি হাম্বি, ১৯টি অত্যাধুনীক ট্যাংক, ২৭টি বাস ও রেঞ্জার গাড়ি, ২১টি গাড়ি, ৭টি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স, ১১টি জ্বালানী ভর্তি ট্যাংকার, ১টি খাদ্য গুদাম, ১টি গোলাবারুদভর্তি গুদাম, ১টি বিমানের ওয়ার্কশপ, ২টি ট্যাংক ও রেঞ্জার গাড়ির ওয়ার্কশপ।
এছাড়াও অনেকগুলো সামরিক তাবু যা খাদ্য ও সামরিক সরঞ্জামাদি দ্বারা পূর্ণ ছিল তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস করা হয় কুফ্ফার বাহিনীর একটি রাডার সিস্টেম, এছাড়াও আরো অনেক যুদ্ধাস্ত্র মুজাহিদগণ ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
অন্যদিকে কুফ্ফার বাহিনীর ঘাঁটিতে মৌজুদ ৪০% সামরিক সরঞ্জামাদিই ধ্বংস করে ফেলেন মুজাহিদগণ। অপারেশনের সময় মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদেরই বিপুল সংখ্যক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা তার প্রিয় বান্দাদেরকে জান্নাতের সু-উচ্চ মাক্বাম দান করুন, সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে ক্ববুল করুন আমিন।
সূত্র:http://gazwah.net/?p=19035
Comment