সিরিয়ায় চলমান লড়াইয়ে মুজাহিদদের হামলায় প্রায় এগারো শত কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী নিহত !
আজকের সিরিয়ার মূল সংবাদ জানানোর আগে কয়েকটি বিষয় জানিয়ে নিচ্ছি পাঠকদের-কে।
শাম বা সিরিয়া, বর্তমান যুদ্ধের এক উত্তপ্ত ময়দানের নাম। এই যুদ্ধের ময়দানটিতে বর্তমানে অবস্থান করছে ভিন্ন ভিন্ন আক্বীদাহ্* ও মানহাযের কয়েকটি বাহিনী। এদের মধ্যে রয়েছে-
১) মুজাহিদ বা জিহাদী গ্রুপ (আল-কায়দা ও তাহরীরুশ শামের অনুগত)। যারা শামে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছে।
২) মডারেট বা এরদোগান পন্থি (বিদ্রোহী) গণতান্ত্রীক দল। যারা স্বাধীন একটি গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছে।
৩) কুর্দি বাহিনী, যারা নিজেদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুদ্ধ করছে, এই দলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কমিউনিষ্ট চিন্তাধারার অধিকারী। তবে সাধারণ কুর্দিরা সবাই কমিউনিষ্ট পন্থি না, তাদের মাঝে অনেক সুন্নী মুসলিমও আছেন।
৪) কসাই আসাদ ও তার কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা সিরিয়াকে মুসলিম শূন্য একটি শিয়া রাষ্ট্র গঠন করতে চাচ্ছে, এই দলটিকে বর্তমানে সহায়তা করছে প্রায় ৪২টি শিয়া সংগঠন, সাথে আছে ইরান ও রাশিয়া।
এবার আজকের মূল সংবাদঃ
মুসলিমদের রক্তখেকো রাক্ষস কসাই আসাদ তার মিত্র দেশ ও শিয়া জোটগুলো গত এক সপ্তাহ যাবৎ এক হয়ে অভিযান চালাচ্ছে সিরিয়ার দক্ষিণ হামা ও লাতাকিয়াতে।
এদিকে, হামা ও লাতাকিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আল-কায়দা শাখা তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন ও তাদের মানহাযের আরো কয়েকটি গ্রুপ, আছে সিরিয়ার বর্তমান সবচাইতে বড় গ্রুপ তাহরীরুশ শাম ও তার অনুগত দলগুলো। এছাড়াও এখন হামা সিটির ফ্রন্টলাইনে দু’টি বিদ্রোহী গ্রুপও রয়েছে।
বর্তমানে লাতাকিয়া সিটির কিবানাহ, জাবালুশ-শাহশাবুতে তাহরীরুশ শামের সাথে মিলে নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আল-কায়দা শাখা তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন। এছাড়াও হুররাসুদ-দ্বীন সামনে অগ্রসর হয়ে আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত তিল-আলুশ অঞ্চলেও অভিযান চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হামা সিটির কাফরান-বুদাহ অঞ্চল ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি, তাহরীরুশ শাম ও তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন এর পরিচালিত অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ।
কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনী গত এক সপ্তাহের লাড়াইয়ে মুজাহিদ ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রিত উত্তর হামা সিটির ৩টি বড় এলাকাসহ মোট ৮টি গ্রাম দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
অপরদিকে, লাতাকিয়াতেও নুসাইরী বাহিনী অগ্রসর হওয়ার জন্য তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ্*, সেখানে বর্তমানে তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন ও আল-কায়দা মানহাযের মুজাহিদ গ্রুপগুলো মজবুত অবস্থানে দাড়িয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৩ই মে মুজাহিদ গ্রুপগুলোর তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধে কম্পক্ষে ১০০ এরও অধিক কুখ্যাত নুসাইরী মুরতাদ নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরো অনেক। ১৩-১৪ তারিখ মধ্যরতে NORS তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায় যে, সিরিয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ চলা এই লড়াইয়ে আসাদ বাহিনীর নিহত সেনাদের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাবে, আর আহত সেনা সংখ্যা আরো কয়েকগুণ হবে।
এদিকে, আসাদ, রাশিয়া, ইরান ও শিয়া জোটবাহিনীগুলো যখন উত্তর হামা ও লাতাকিয়া যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত তখন দক্ষিণ হামায় মুজাহিদ গ্রুপগুলো নতুন এক ফ্রন্টলাইন খুলেছেন। কুফ্ফার বাহিনী দক্ষিণ হামাতে অনেকটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল, আর এ সুযোগটাই কাজে লাগালো মুজাহিদ গ্রুপগুলো, তারা এখানে নতুন ফ্রন্টলাইন খুলে অনেকটাই চাপের মুখে ফেলে দেয় কুখ্যাত কসাই আসাদ বাহিনীকে।
নতুন এই ফ্রন্টলাইনটিতে মুজাহিদদের সম্মিলিত বাহিনী গত ১৩ই মে রাত ১০:৩০ মিনিটের সময় অভিযান চালানো শুরু করেন। রাত যখন ১২:৪৩ বাজে তখন সংবাদ আসে যে, মুজাহিদগণ তাদের এই কৌশলে কয়েক ঘন্টার যুদ্ধে কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ৫টি গ্রাম বিজয় করে নিয়েছেন।
বর্তমানে মুজাহিদগণ নুসাইরীদের মজবুত ঘাঁটি ও অনেক বড় অঞ্চল কার্নায দখল করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, ইতিমধ্যে শহরটির ভিতরেও প্রবেশ করে হামলা চালানো শুরু করেছেন মুজাহিদগণ।
লাতাকিয়াতে তানযীম হুররাসুদ-দ্বীনের পরিচালিত “ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীন” অপারেশন রুমের মুজাহিদদের হামলায় নিহত হওয়া কিছু নুসাইরী মুরতাদ সেনা ও তাদেরকে টার্গেট করে হত্যা করার দৃশ্য।
শাম বা সিরিয়া, বর্তমান যুদ্ধের এক উত্তপ্ত ময়দানের নাম। এই যুদ্ধের ময়দানটিতে বর্তমানে অবস্থান করছে ভিন্ন ভিন্ন আক্বীদাহ্* ও মানহাযের কয়েকটি বাহিনী। এদের মধ্যে রয়েছে-
১) মুজাহিদ বা জিহাদী গ্রুপ (আল-কায়দা ও তাহরীরুশ শামের অনুগত)। যারা শামে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছে।
২) মডারেট বা এরদোগান পন্থি (বিদ্রোহী) গণতান্ত্রীক দল। যারা স্বাধীন একটি গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করছে।
৩) কুর্দি বাহিনী, যারা নিজেদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুদ্ধ করছে, এই দলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কমিউনিষ্ট চিন্তাধারার অধিকারী। তবে সাধারণ কুর্দিরা সবাই কমিউনিষ্ট পন্থি না, তাদের মাঝে অনেক সুন্নী মুসলিমও আছেন।
৪) কসাই আসাদ ও তার কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা সিরিয়াকে মুসলিম শূন্য একটি শিয়া রাষ্ট্র গঠন করতে চাচ্ছে, এই দলটিকে বর্তমানে সহায়তা করছে প্রায় ৪২টি শিয়া সংগঠন, সাথে আছে ইরান ও রাশিয়া।
এবার আজকের মূল সংবাদঃ
মুসলিমদের রক্তখেকো রাক্ষস কসাই আসাদ তার মিত্র দেশ ও শিয়া জোটগুলো গত এক সপ্তাহ যাবৎ এক হয়ে অভিযান চালাচ্ছে সিরিয়ার দক্ষিণ হামা ও লাতাকিয়াতে।
এদিকে, হামা ও লাতাকিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আল-কায়দা শাখা তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন ও তাদের মানহাযের আরো কয়েকটি গ্রুপ, আছে সিরিয়ার বর্তমান সবচাইতে বড় গ্রুপ তাহরীরুশ শাম ও তার অনুগত দলগুলো। এছাড়াও এখন হামা সিটির ফ্রন্টলাইনে দু’টি বিদ্রোহী গ্রুপও রয়েছে।
বর্তমানে লাতাকিয়া সিটির কিবানাহ, জাবালুশ-শাহশাবুতে তাহরীরুশ শামের সাথে মিলে নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আল-কায়দা শাখা তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন। এছাড়াও হুররাসুদ-দ্বীন সামনে অগ্রসর হয়ে আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত তিল-আলুশ অঞ্চলেও অভিযান চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হামা সিটির কাফরান-বুদাহ অঞ্চল ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি, তাহরীরুশ শাম ও তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন এর পরিচালিত অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ।
কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনী গত এক সপ্তাহের লাড়াইয়ে মুজাহিদ ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রিত উত্তর হামা সিটির ৩টি বড় এলাকাসহ মোট ৮টি গ্রাম দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
অপরদিকে, লাতাকিয়াতেও নুসাইরী বাহিনী অগ্রসর হওয়ার জন্য তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ্*, সেখানে বর্তমানে তানযীম হুররাসুদ-দ্বীন ও আল-কায়দা মানহাযের মুজাহিদ গ্রুপগুলো মজবুত অবস্থানে দাড়িয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৩ই মে মুজাহিদ গ্রুপগুলোর তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধে কম্পক্ষে ১০০ এরও অধিক কুখ্যাত নুসাইরী মুরতাদ নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরো অনেক। ১৩-১৪ তারিখ মধ্যরতে NORS তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায় যে, সিরিয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ চলা এই লড়াইয়ে আসাদ বাহিনীর নিহত সেনাদের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাবে, আর আহত সেনা সংখ্যা আরো কয়েকগুণ হবে।
এদিকে, আসাদ, রাশিয়া, ইরান ও শিয়া জোটবাহিনীগুলো যখন উত্তর হামা ও লাতাকিয়া যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত তখন দক্ষিণ হামায় মুজাহিদ গ্রুপগুলো নতুন এক ফ্রন্টলাইন খুলেছেন। কুফ্ফার বাহিনী দক্ষিণ হামাতে অনেকটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল, আর এ সুযোগটাই কাজে লাগালো মুজাহিদ গ্রুপগুলো, তারা এখানে নতুন ফ্রন্টলাইন খুলে অনেকটাই চাপের মুখে ফেলে দেয় কুখ্যাত কসাই আসাদ বাহিনীকে।
নতুন এই ফ্রন্টলাইনটিতে মুজাহিদদের সম্মিলিত বাহিনী গত ১৩ই মে রাত ১০:৩০ মিনিটের সময় অভিযান চালানো শুরু করেন। রাত যখন ১২:৪৩ বাজে তখন সংবাদ আসে যে, মুজাহিদগণ তাদের এই কৌশলে কয়েক ঘন্টার যুদ্ধে কুখ্যাত নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ৫টি গ্রাম বিজয় করে নিয়েছেন।
বর্তমানে মুজাহিদগণ নুসাইরীদের মজবুত ঘাঁটি ও অনেক বড় অঞ্চল কার্নায দখল করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, ইতিমধ্যে শহরটির ভিতরেও প্রবেশ করে হামলা চালানো শুরু করেছেন মুজাহিদগণ।
লাতাকিয়াতে তানযীম হুররাসুদ-দ্বীনের পরিচালিত “ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীন” অপারেশন রুমের মুজাহিদদের হামলায় নিহত হওয়া কিছু নুসাইরী মুরতাদ সেনা ও তাদেরকে টার্গেট করে হত্যা করার দৃশ্য।
হামা সিটিতে মুরতাদ নুসাইরী সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন ফ্রন্টলাইনের উদ্দেশ্যে অভিযানে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তের কিছু দৃশ্য!
Comment