মুজাহিদীন নিউজ ll ২২ যিলহজ, ১৪৪০ হিজরী ll 2৪ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

মাহমান্দ এজেন্সীতে মুজাহিদদের হামলায় ১ নাপাক সেনা নিহত।
পাকিস্তান ভিত্তিক জিহাদী জামাআত “হিজবুল আহরার এর মুজাহিদগণ গত ২৩ আগস্ট পাকিস্তানের মাহমান্দ এজেন্সীর “তুর্খাইল” এলাকায় দেশটির নাপাক মুরতাদ বাহিনীকে টার্গেট করে স্নাইপার হামলা করেন।

আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদদের সফল স্নাইপার হামলায় নাপাক মুরতাদ বাহিনীর ১ সেনা নিহত হয়। বাকিরা ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে।

[Al-Firdaws News]

সিরিয়ায় মুজাহিদদের সম্মিলিত অভিযানে ৪০০ এরও অধিক কুফ্ফার ও মুরতাদ সেনা হতাহত।

সিরিয়া বা শাম, মুমিনদের জন্য এক বড় আশ্রয়স্থল, যার বরকতের জন্য আল্লাহর রাসূল দোআ’ করেছেন, যেখানে সংগঠিত হবে আল-মারহামাতুল কুবরা বা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বলা হয় হাদীসে বর্ণিত সেই মালহামতুল কুবরার ময়দানই প্রস্তুত হচ্ছে শামে। যেখানে বর্তমানে প্রতিনিয়ত আগের দিনের তুলনায় পরের দিন যুদ্ধের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে সকল ধরণের অত্মাধুনিক মারণাস্ত্র।
যেখানে এখন চলছে কুফর ও ইসলাম, হক ও বাতিল, মুজাহিদ বনাম কাফের বাহিনীর মাঝে এক রক্তক্ষয়ী লড়াই। উভয় বাহিনীই তাদের পূর্ণ শক্তি ব্যায় করছে এই যুদ্ধে।

এই যুদ্ধের ময়দানটিতে গতাকাল অর্থাৎ ২৩ আগষ্ট মুজাহিদদের বিপক্ষে কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী প্রায় ৮৯৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে। যার মধ্যহতে ৬৫০টি অভিযানই চালানো হয়েছে লাতাকিয়া সিটিতে। বাকিগুলো চালানো হয়েছে দক্ষিণ হামা ও উত্তরাঞ্চলীয় হামা সিটিতে।

সার্বশেষ সংবাদ মতে উত্তরাঞ্চলীয় হামা ও দক্ষিণ ইদলিবের অবরুদ্ধ এলাকা গতকাল পরিপূর্ণভাবে দখলে নিয়ে নিয়েছে কুফ্ফার রাশিয়া, ইরান ও কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া জোট বাহিনীগুলো। তবে দখল করার পূর্বেই মুজাহিদগণ ঐসব এলাকা হতে সকল জনসাধরণকে ইদলিবে নারাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, যারা এখন উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিছে বসবাস করেছেন।

নুসাইরী সন্ত্রাসীদের তথ্যমতে গতকাল দক্ষিণ ইদলিব ও হামায় মুজাহিদদের সাথে তীব্র লড়াইয়ে কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া মুরতাদ বাহিনীর ৫০ সেনা নিহত ও ৯০ সেনা আহত হয়েছে। তবে হতাহত মুরতাদ সেনাদের এই সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি হবে বলে মনে করেছেন বিশ্লেষকরা, কেননা সেখানে গতকাল মুজাহিদগণ তাদের সর্বটুকু দিয়েই নুসাইরীদের উপর কঠিন থেকে কঠিনতর হামলা চালিয়েছেন।

অন্যদিকে লাতাকিয়া সিটিতে বিষেশত কাবিনাহ শহরে গতকাল থেকে তীব্র হামলা চালাতে শুরু করেছে কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী, ইদলিব ও হামার পর এবার তাদের লক্ষ্য লাতাকিয়ার এই মরণ-ফাদ খেত এই সিটিটি। যেখানে বারবার অভিযান চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছে কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী।

এই অঞ্চলটিতে বর্তমানে কঠিন ও মুজবুত অবস্থানে দাড়িয়ে আছে কুফারদের জন্য আতংক ক্ষুদ্র একটি দল, আল-কায়দার হাতে বায়াতবাদ্ধ তানযিম হুররাসুদ-দ্বীন ও তাদের অপারেশন রুমের খোদা ভীরু জানবায লড়াকু বীর মুজাহিদগণ।

নুসাইরীদের নিজেদের সংবাদ মাধ্যমই একথা স্বীকার করে যে, তারা গতকাল সেখানে তাদের সবচাইতে শক্তিশালী ব্যাটেলিয়ন নিয়েই অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেখানে তারা কোন বিজয় পায়নি, তাদেরই দেওয়া তথ্যমতে গতকাল লাতাকিয়া সিটিতে মুজাহিদদের তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধের ফলে তাদের ৬০ সেনা নিহত ও ২০০ সেনা আহত হয়েছে। নিহত হয়েছে আরো ৭ উচ্চপদস্থ কমান্ডার, যাদেরকে বাচাই করে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল। যদিও হতাহতের বাস্তব সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

এছাড়াও মুজাহিদদের হামলায় কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর ৪টি ট্যাংক, ৩টি ব্লোডোজার, একটি অত্মাধুনিক রাশিয়ান তৈরী সামরিকযান ধ্বংস হয়ে যায়।

[Al-Firdaws News]

আফগানিস্তানে তালেবান মুজাহিদদের হামলায় ৩৬০ কুফ্ফার ও মুরতাদ সেনা নিহত!

আল-ফাতাহ অপারেশনের ধারাবাহিকতায় গত ২২ আগষ্ট আফগানিস্তান জুড়ে ১৯৪টি অভিযান পরিচালনা করেছেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালেবান মুজাহিদগণ।

আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদদের পরিচালিত ঐসকল সফল হামলায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের গোলাম আফগান মুরতাদ বাহিনীর ২১০ এরও অধিক সেনা নিহত হয়, এবং আহত হয় আরো ১৫০ ক্রুসেডার ও মুরতাদ সেনা।

এসকল সফল অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ মুক্ত করেন ১টি সামরিক ঘাঁটি ও ৩ এরও অধিক চেকপোস্ট।

মুজাহিদদের তীব্র হামলার ফলে ধ্বংস হয়ে যায় কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর ১টি বিমান ১২টি গাড়ি ও ২২টি ট্যাংক। এছাড়াও মুজাহিদগণ বিপুল যুদ্ধাস্ত্র গনিমত লাভ করেন।

হঠাৎ তালেবান মুজাহিদদের হামলে বেড়ে যাওয়া চিন্তিত ক্রুসেডার আমেরিকা ও আফগান মুরতাদ বাহিনী।

বিশ্লেষকরা মনে করেন হঠাৎ তালেবানদের হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পিছনে মুল কারণ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচারন ও আফগান নির্বাচান। কারণ একদিকে তারা দোহায় দফায় দফায় তালেবানদের সাথে সেনা পত্যাহার ও আফগানের স্থিতিশীলতার কথা বলছে, অন্যদিকে আফগান পুতুল সরকারের অধিনে নির্বাচনেরও আয়োজন করে যাচ্ছে।

[Al-Firdaws News]

সোমালিয়ায় মুজাহিদদের হামলায় মার্কিন বাহিনীর সামরিকযান ধ্বংস, ক্রুসেডারসহ অনেক মুরতাদ সেনা হতাহত!

আল-কায়দা সোমালিয়ান শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ গত ২৩ আগষ্ট সোমালিয়ার বিভিন্ন স্থানে ক্রুসেডার আমেরিকা ও স্বদেশীয় মুরতাদ বাহিনীর উপর বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন।

যার মাঝে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় সোমালিয়ার “কাসমায়ু” শহরে। এখানে মুজাহিদদের হামলার শিকার হয় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর একটি সেনা ইউনিট।

আলহামদুলিল্লাহ্, মার্কিন বাহিকে টার্গেট করে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের পরিচালিত এই অভিযানে ক্রুসেডারদের একটি সামরিকযান ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতি-সহ কতক মার্কিন ক্রুসেডার নিহত ও আহত হওয়ার ব্যাপারেও ধারণা করা হয়। যেহেতু হামলার পর ঘটনাস্থলে ততক্ষণাৎ কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই হতাহতের নির্দিষ্ট কোন সংখ্যাও জানা যায়নি।

রাজধানী মোগাদিশুর “রাকশিদ” শহরে মুজাহিদদের অন্য একটি হামলায় নিহত হয় সোমালিয় মুরতাদ বাহিনীর ১ সেনা। এমময় মুজাহিদগণ নিহত উক্ত সেনার অস্ত্র গনিমত হিসাবে গ্রহন করেন।

এদিকে দক্ষিণ সোমালিয়ার “জুবা” প্রদেশে বড়ধরণের একটি সফল অভিযানও পরিচালনা করেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ।

আলহামদুলিল্লাহ্, এখানেও মুজাহিদদের সফল হামলায় অনেক সোমালিয় মুরতাদ সেনা ও কমান্ডার নিহত হয়, যার নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, তবে ২ কমান্ডারসহ “নাকিব” নামক ১ কর্নেল নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে হারাকাতুশ শাবাব, এছাড়াও আরো ২ কমান্ডার আহত হয়।
মুজাহিদদের হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মুরতাদ বাহিনীর ১টি সামরিকযান ও ১টি গাড়ি।

অপরদিকে বেশ কিছুদিন পূর্বে রাজধানী মোগাদিশুতে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের ইনগিমাসী হামলায় নিহত হয় “ওমর ফান্স” নামক সোমালিয়ার সাবেক এক সেনা প্রধান। ঐ হামলায় আরো অনেক সেনাসহ মোগাদিশুর পরিচালক “আব্দুর রহমান ইয়ারিসু”ও নিহত হয়। বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করে আফ্রিকান ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যম।

এছাড়াও কেনিয়ার “ওয়াজির” শহরেও গত ২৩ আগষ্ট একটি সফল অভিযান চালান মুজাহিদগণ। যার ফলে কেনিয়ার “আহমদ আব্দুস-সালাম” নামক মুরতাদ সংসদ সদস্যসহ তার কয়েকটা দেহরক্ষী নিহত হয়। এসময় মুজাহিদদের হামলায় তার গাড়িটিও ধ্বংস হয়ে যায়।

[আবু যুবাইর]

আল্লাহু আকবার!
আল্লাহু আকবার!!
আল্লাহু আকবার!!!
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
আল্লাহ তা‘আলা মুজাহিদীনের হামলাগুলোতে আরো বারাকাহ দান করুন এবং মুমিনদের অন্তরকে প্রশান্ত করুন। আমীন

[bokhtiar]

আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।

[abu mosa]

আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

[abu bakr al qasim]

আল্লাহু আকবর।আল্লাহ আমাদের বিজয় দিচ্ছেন। আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে আরো শক্তিশালী করুন।