কাশ্মীর |আশা এবং বিপ্লবের মৌসুমে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের মুজাহিদ সাথীদের শাহাদাত!
শুরু করছি পরম করুণাময় অসীম দায়ালু মহান আল্লাহ তা’আলার নামে।
ইসলামের দাওয়াত এবং শুধু ইসলামের জন্য জিহাদকে নিজের জীবনের লক্ষ্য বানানো এবং এই লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করা এমন একটি মহান ইবাদাত, যার জন্য সামন্য এই জিন্দেগীর সময় খুবই কম। জিহাদ, শাহাদাত ও দাওয়াত এমন একটি ইবাদাত, যা আল্লাহর রাসূল, সৎ ও নিষ্ঠাবান বান্দাদের একমাত্র আখাঙ্খা ছিল।
এই যুগে এই মহান রাস্তায় চলার অর্থ হলো সমস্ত ধরণের বিপদ ডেকে আনা। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও কাশ্মীরের মহান যোদ্ধারা, মহন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতি নিজেদের সত্য প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য, তাঁর দ্বীনের জন্য জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। তারা তো এই অঙ্গিকার করছে যে, আমাদের জীবন-মৃত্যু এবং আমাদের সকল আশা-আকাঙ্খা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার দ্বীনের বিজয়ের জন্যই।
এই গৌরবময় সময়ে, যখন খোরাসানের দখলদার সৈন্যরা নিজেদের পরাজয় স্বীকার করেছে, এবং যখন ভারতের মুসলিম ভাই-বোনেরা মুশরিক হিন্দুদের জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধ্যে গর্জে উঠেছেন। আমরা কাশ্মীর উপত্যকা থেকে সমস্ত উম্মাহকে কাশ্মীরের মহান যোদ্ধাদের কয়েকজনের শাহাদাতের সুসংবাদ শুনাচ্ছি।
নিজেদের রক্ত দিয়ে জিহাদের এই ক্যারাভান সচল রাখতে গত ২৪ জুমাদাস-সানী ১৪৪১ হিজরী, ১৯ ফেব্রূয়ারি ২০২০ তারিখে কাশ্মীরের “ট্রাল” এলাকায় মুশরিক হিন্দু সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের ৩ জন জানবায মুজাহিদিন শাহাদাত বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।
এই বীর মুজাহিদরা হলেন:
১. শহীদ ইবনে শহীদ জাহাঙ্গীর রাফীক ওয়ানি, জিহাদী নাম সালমান ফার্সি।
২. শহীদ রাজা উমার মকবুল, জিহাদী নাম আবিদ খান।
৩. শহীদ সাদাত ঠোকার, জিহাদী নাম হুজাইফাহ্।
আল্লাহ তাঁদের সকলকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন, আমিন।
এই যুবকরা শরিয়া অথবা শাহাদাত এর মুবারক ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত জীবনকে আলোকিত এবং মূলবান করে নেয়। যারা নিজেদের প্রিয় পরিবার-পরিজন, প্রিয় বন্ধু ও দুনিয়ার সমস্ত দুনিয়াবী আসবাবের আকর্ষণ ছেড়ে এই বীর যুবকেরা আল্লাহর জন্য নিজেদের কুরবান করেদেন। আল্লাহ তা’আলা এই সাথী ভাইদের শাহাদাত এবং তাদের জাহিদী ইবাদাত কবুল করুন এবং তাদের দেহের ক্ষতগুলো নূর দ্বারা পূর্ণ করে দিন। (আমিন)
এই সময়ে এই মহান বীরদের জিহাদের পথে তাঁদের সফর এবং তাঁদের দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করাকে জরুরি মনে করি। তাদের জীবনি আমাদের জন্য অন্ধোকার রাতের ধ্রুবতারার মতন।
★মুজাহিদ জাহাঙ্গীর রাফীক ওয়ানি★
তিনি দু’বছর আগে জিহাদের পথে তাঁর পথচলা শুরু করেন এবং হকের পথে সাড়া দিয়ে সঠিক পথের দাওয়াহকে বেছে নেন। যখন তার এই কথার ইয়াকিন হল যে, হক দাওয়াত ও হক পথ কি, তখন তিনি ৩ মাস আগে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দে যোগ দেন এবং মুসলিম উম্মাহর প্রতি সহানুভূতি এবং সমাজে শরিয়ার রূপায়ণের বেপারে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। এবং অবশেষে আল্লাহর প্রতি তাঁর ওয়াদা তিনি পূরণ করেছেন।
★মুজাহিদ রাজা উমার মকবুল★
তিনি আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের প্রতিষ্টাতা আমির শহিদ শাইখ জাকির মুসার (রাঃ) অধীনে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি সবসময়ে জিহাদের প্রতি নিষ্ঠা কে গুরুত্ব দিয়েছেন। অবশেষে তিনি সবুজ পাখির হৃদয়ে জায়গা করেনেন।
★মুজাহিদ সাদাত ঠোকার★
তিনি তাঁর জিহাদী সফর শুরু করেছিলেন জামাত উদ-দাউলাহ্/আইএস হতে। কিন্তু তাঁর হৃদয়ে সত্যের অনুসন্ধান এতটাই প্রকট ছিল যে, তিনি সঠিক পথের সন্ধান করতে থাকেন। পরবর্তীকালে সঠিক মানহাযের সন্ধান পেয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, শারিয়াহ বা শাহাদাতের জন্য।
এই মহান বীরদের শাহাদাতের উপলক্ষ্যে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের মুজাহিদরা আবারো প্রতিজ্ঞা করছেন যে কাশ্মীরের ভূমিকে তারা মুশরিক হিন্দুদের দখল থেকে মুক্ত করবেন এবং কাশ্মীরে শারিয়ার শাসন প্রতিষ্টা করবেন। এবং এই জিহাদ ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে যতক্ষণ না আল্লাহর রহমতে, মসজিদুল আকসা এবং বাবরি মসজিদকে দখলমুক্ত না করা হয়।
আল্লাহ আমাদের হকের পথে অবিচল রাখুন, এবং মৃত্যু পর্যন্ত চলার পথে সাহস ও দৃঢ়তা দান করুন। আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/04/33999/
শুরু করছি পরম করুণাময় অসীম দায়ালু মহান আল্লাহ তা’আলার নামে।
ইসলামের দাওয়াত এবং শুধু ইসলামের জন্য জিহাদকে নিজের জীবনের লক্ষ্য বানানো এবং এই লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করা এমন একটি মহান ইবাদাত, যার জন্য সামন্য এই জিন্দেগীর সময় খুবই কম। জিহাদ, শাহাদাত ও দাওয়াত এমন একটি ইবাদাত, যা আল্লাহর রাসূল, সৎ ও নিষ্ঠাবান বান্দাদের একমাত্র আখাঙ্খা ছিল।
এই যুগে এই মহান রাস্তায় চলার অর্থ হলো সমস্ত ধরণের বিপদ ডেকে আনা। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও কাশ্মীরের মহান যোদ্ধারা, মহন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতি নিজেদের সত্য প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য, তাঁর দ্বীনের জন্য জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। তারা তো এই অঙ্গিকার করছে যে, আমাদের জীবন-মৃত্যু এবং আমাদের সকল আশা-আকাঙ্খা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার দ্বীনের বিজয়ের জন্যই।
এই গৌরবময় সময়ে, যখন খোরাসানের দখলদার সৈন্যরা নিজেদের পরাজয় স্বীকার করেছে, এবং যখন ভারতের মুসলিম ভাই-বোনেরা মুশরিক হিন্দুদের জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধ্যে গর্জে উঠেছেন। আমরা কাশ্মীর উপত্যকা থেকে সমস্ত উম্মাহকে কাশ্মীরের মহান যোদ্ধাদের কয়েকজনের শাহাদাতের সুসংবাদ শুনাচ্ছি।
নিজেদের রক্ত দিয়ে জিহাদের এই ক্যারাভান সচল রাখতে গত ২৪ জুমাদাস-সানী ১৪৪১ হিজরী, ১৯ ফেব্রূয়ারি ২০২০ তারিখে কাশ্মীরের “ট্রাল” এলাকায় মুশরিক হিন্দু সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের ৩ জন জানবায মুজাহিদিন শাহাদাত বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।
এই বীর মুজাহিদরা হলেন:
১. শহীদ ইবনে শহীদ জাহাঙ্গীর রাফীক ওয়ানি, জিহাদী নাম সালমান ফার্সি।
২. শহীদ রাজা উমার মকবুল, জিহাদী নাম আবিদ খান।
৩. শহীদ সাদাত ঠোকার, জিহাদী নাম হুজাইফাহ্।
আল্লাহ তাঁদের সকলকে শহিদ হিসাবে কবুল করুন, আমিন।
এই যুবকরা শরিয়া অথবা শাহাদাত এর মুবারক ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত জীবনকে আলোকিত এবং মূলবান করে নেয়। যারা নিজেদের প্রিয় পরিবার-পরিজন, প্রিয় বন্ধু ও দুনিয়ার সমস্ত দুনিয়াবী আসবাবের আকর্ষণ ছেড়ে এই বীর যুবকেরা আল্লাহর জন্য নিজেদের কুরবান করেদেন। আল্লাহ তা’আলা এই সাথী ভাইদের শাহাদাত এবং তাদের জাহিদী ইবাদাত কবুল করুন এবং তাদের দেহের ক্ষতগুলো নূর দ্বারা পূর্ণ করে দিন। (আমিন)
এই সময়ে এই মহান বীরদের জিহাদের পথে তাঁদের সফর এবং তাঁদের দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করাকে জরুরি মনে করি। তাদের জীবনি আমাদের জন্য অন্ধোকার রাতের ধ্রুবতারার মতন।
★মুজাহিদ জাহাঙ্গীর রাফীক ওয়ানি★
তিনি দু’বছর আগে জিহাদের পথে তাঁর পথচলা শুরু করেন এবং হকের পথে সাড়া দিয়ে সঠিক পথের দাওয়াহকে বেছে নেন। যখন তার এই কথার ইয়াকিন হল যে, হক দাওয়াত ও হক পথ কি, তখন তিনি ৩ মাস আগে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দে যোগ দেন এবং মুসলিম উম্মাহর প্রতি সহানুভূতি এবং সমাজে শরিয়ার রূপায়ণের বেপারে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। এবং অবশেষে আল্লাহর প্রতি তাঁর ওয়াদা তিনি পূরণ করেছেন।
★মুজাহিদ রাজা উমার মকবুল★
তিনি আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের প্রতিষ্টাতা আমির শহিদ শাইখ জাকির মুসার (রাঃ) অধীনে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি সবসময়ে জিহাদের প্রতি নিষ্ঠা কে গুরুত্ব দিয়েছেন। অবশেষে তিনি সবুজ পাখির হৃদয়ে জায়গা করেনেন।
★মুজাহিদ সাদাত ঠোকার★
তিনি তাঁর জিহাদী সফর শুরু করেছিলেন জামাত উদ-দাউলাহ্/আইএস হতে। কিন্তু তাঁর হৃদয়ে সত্যের অনুসন্ধান এতটাই প্রকট ছিল যে, তিনি সঠিক পথের সন্ধান করতে থাকেন। পরবর্তীকালে সঠিক মানহাযের সন্ধান পেয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, শারিয়াহ বা শাহাদাতের জন্য।
এই মহান বীরদের শাহাদাতের উপলক্ষ্যে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের মুজাহিদরা আবারো প্রতিজ্ঞা করছেন যে কাশ্মীরের ভূমিকে তারা মুশরিক হিন্দুদের দখল থেকে মুক্ত করবেন এবং কাশ্মীরে শারিয়ার শাসন প্রতিষ্টা করবেন। এবং এই জিহাদ ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে যতক্ষণ না আল্লাহর রহমতে, মসজিদুল আকসা এবং বাবরি মসজিদকে দখলমুক্ত না করা হয়।
আল্লাহ আমাদের হকের পথে অবিচল রাখুন, এবং মৃত্যু পর্যন্ত চলার পথে সাহস ও দৃঢ়তা দান করুন। আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/04/33999/
Comment