Announcement

Collapse
No announcement yet.

চিন্তার বিষয়... আফগান শান্তি চুক্তি !!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চিন্তার বিষয়... আফগান শান্তি চুক্তি !!

    আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

    সম্মানিত মুজাহিদ ভায়েরা,
    আমার কাছে ক্রুসেডারদের আফগান শান্তি চুক্তির ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় সংশয় রয়েছেঃ

    ১. শান্তি চুক্তি হল আলহামদুলিল্লাহ... কিন্তু, সেনা প্রত্যাহার করতে ১৪ মাস সময় নেবে কেন?

    ২. নাকি এই শান্তি চুক্তির অজুহাতে আমাদেরকে নিবৃত রেখে ওরা কঠিন হামলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করবে?

    ৩. নাকি বিশ্ব-বাসির কাছে তালেবেনদের (চুক্তি ভঙ্গকারী রুপে) ভাবমুর্তি নষ্ট করার পরিকল্পনা?

    অর্থাৎ বিশ্ব-কুফর মিডিয়া গুলি ইতোমধ্যে প্রচার করেছে যে, তালেবানদের সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে... কিন্তু আগামীতে যদি তারা তালেবানদের উপর হামলা চালায় এবং তালেবানরাও যদি তার প্রতিবাদে অতর্কিত হামলা চালায়। আর তারপর তারা (কুফফাররা) নিজেদের হামলার বিষয়টি গোপন করে এবং তালেবানদের হামলার বিষয়টি বিশ্ব-বাসির কাছে উপস্থাপন করে?

    ৪. এমতাবস্তায় কোনটা জরুরি? চুড়ান্ত হামলার জন্য মুজাহিদিনদের শক্তি অর্জন করা নাকি আফগান রাস্ট্র গঠন করা?



    বিঃদ্রঃ প্রশ্নগুলি জানার উদ্দেশ্যে, ইমারতে ইসলামিয়ার সিন্ধান্তের সমালোচনা নয়।
    হাসনা-হেনার ঘ্রাণে ভরেনা হৃদয় তার, কালিমার মিষ্ক মাখা হৃদয় রয়েছে যার...

  • #2
    Originally posted by আনওয়ার আল-হিন্দ View Post
    এমতাবস্তায় কোনটা জরুরি? চুড়ান্ত হামলার জন্য মুজাহিদিনদের শক্তি অর্জন করা নাকি আফগান রাস্ট্র গঠন করা?



    মুহতারাম ভাই, মুজাহিদিনে কেরাম উভয়টাই করছেন। একটা আরেকটার বিরোধী নয়। আমীরুল মুমিনীন তাঁর বার্তায় আফগানের সকলকে আগের চেয়েও জোরালোভাবে মুজাহিদিনের নুসরত করার আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ এ কথাও পরিষ্কার বলেছেন যে, চুক্তি ভঙ্গ হলে আগের মতোই জিহাদ চলবে। এতএব, তারা উভয়টাই করছেন। তবে আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তাআলা যেন তালেবানদের কোনো ষড়যন্ত্র বা ভুলের সম্মুখীন হওয়া থেকে হিফাজত করেন।

    Comment


    • #3
      আখি,আপনাকে ধন্যবাদ।আল্লাহ আমাদের ভাইদের মতো কবুল করুন আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        আমরা সবাই কায়মনোবাক্যে দু‘আলার আমল অব্যাহত রাখি, যেন এই বিজয়ের অর্জন ভেস্তে না যায়।
        আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই তো বিজয় আসে। তিনিই আমাদের একমাত্র ভরসা।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          [quote=ইলম ও জিহাদ;83902][size=4]মুহতারাম ভাই, মুজাহিদিনে কেরাম উভয়টাই করছেন। একটা আরেকটার বিরোধী নয়। আমীরুল মুমিনীন তাঁর বার্তায় আফগানের সকলকে আগের চেয়েও জোরালোভাবে মুজাহিদিনের নুসরত করার আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ এ কথাও পরিষ্কার বলেছেন যে, চুক্তি ভঙ্গ হলে আগের মতোই জিহাদ চলবে। এতএব, তারা উভয়টাই করছেন। তবে আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তাআলা যেন তালেবানদের কোনো ষড়যন্ত্র বা ভুলের সম্মুখীন হওয়া থেকে হিফাজত করেন।


          আমিন ছুম্মাহ আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
            মুহতারাম ভাই, মুজাহিদিনে কেরাম উভয়টাই করছেন। একটা আরেকটার বিরোধী নয়। আমীরুল মুমিনীন তাঁর বার্তায় আফগানের সকলকে আগের চেয়েও জোরালোভাবে মুজাহিদিনের নুসরত করার আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ এ কথাও পরিষ্কার বলেছেন যে, চুক্তি ভঙ্গ হলে আগের মতোই জিহাদ চলবে। এতএব, তারা উভয়টাই করছেন। তবে আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তাআলা যেন তালেবানদের কোনো ষড়যন্ত্র বা ভুলের সম্মুখীন হওয়া থেকে হিফাজত করেন।
            জাযাকাল্লহু খইরন আহসানাল জাযা.... বারাকাল্লহু ফি কুল্লিক আমিন, আমিন আমিন আমিন!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              ইনশাআল্লাহ হয় শাহাদাত না হয় বিজয়।
              “তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় বের হও এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে। এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পারো”। [সূরা তওবা, আয়াত ৪১]

              Comment


              • #8
                মুজাহিদদের শক্তি বৃদ্ধি করা।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by আনওয়ার আল-হিন্দ View Post
                  আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

                  সম্মানিত মুজাহিদ ভায়েরা,
                  আমার কাছে ক্রুসেডারদের আফগান শান্তি চুক্তির ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় সংশয় রয়েছেঃ

                  ১. শান্তি চুক্তি হল আলহামদুলিল্লাহ... কিন্তু, সেনা প্রত্যাহার করতে ১৪ মাস সময় নেবে কেন?

                  ২. নাকি এই শান্তি চুক্তির অজুহাতে আমাদেরকে নিবৃত রেখে ওরা কঠিন হামলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করবে?

                  ৩. নাকি বিশ্ব-বাসির কাছে তালেবেনদের (চুক্তি ভঙ্গকারী রুপে) ভাবমুর্তি নষ্ট করার পরিকল্পনা?

                  অর্থাৎ বিশ্ব-কুফর মিডিয়া গুলি ইতোমধ্যে প্রচার করেছে যে, তালেবানদের সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে... কিন্তু আগামীতে যদি তারা তালেবানদের উপর হামলা চালায় এবং তালেবানরাও যদি তার প্রতিবাদে অতর্কিত হামলা চালায়। আর তারপর তারা (কুফফাররা) নিজেদের হামলার বিষয়টি গোপন করে এবং তালেবানদের হামলার বিষয়টি বিশ্ব-বাসির কাছে উপস্থাপন করে?

                  ৪. এমতাবস্তায় কোনটা জরুরি? চুড়ান্ত হামলার জন্য মুজাহিদিনদের শক্তি অর্জন করা নাকি আফগান রাস্ট্র গঠন করা?



                  বিঃদ্রঃ প্রশ্নগুলি জানার উদ্দেশ্যে, ইমারতে ইসলামিয়ার সিন্ধান্তের সমালোচনা নয়।

                  আসলে আল্লাহ যদি তালেবানদেরকে ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করে থাকেন, তাহলে এই চুক্তিতে কোন সমস্যা নেই। কারণ চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটা স্বীকৃতি পেল। এটা কৌশলগত দিক থেকে বেশ ভালো। আর এতে তালেবানদের কোন ক্ষতিও হয়নি। কারণ এখানে সবগুলো মার্কিন সৈন্য মেরে ফেললেও কিন্তু আমেরিকা নির্মূল বা কোমরভাঙ্গা হয়ে যেত না। অর্থাৎ এখন যা হয়েছে তার চেয়ে খুব বেশি কিছু হত না। আর তালেবানরা কিন্তু কাবুল সরকারের সাথে চুক্তি করেনি বা তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। ট্রাম্প তো নিজেই বলেছে, আমেরিকা চলে আসলে তালেবানরা সরকার গঠন করতে পারে।

                  আর এই যুদ্ধবিরতিতে শুধু যে আমেরিকা নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ও সুযোগ পাবে, তা তো নয়। মুজাহিদগণও তো পাবেন। এবং মুজাহিদগণের এটা দরকারও ছিল বলা যায়। আমেরিকা দ্বিতীয়বার আরো বেশি সৈন্য নিয়ে আসলে তো তার আরো বেশি লস হবে। এটা তো তালেবানরাও চায়, আমেরিকা সব সৈন্য নিয়ে ওখানে আসুক, আর ধ্বংস হোক।

                  আমেরিকার চূড়ান্ত পরাজয়ের সময় তাদেরকে কিছুটা ছাড় দিয়ে তালেবানগণ বিশাল একটা স্বীকৃতি ও নিরাপত্তা পেয়ে গেলেন। এখন কিন্তু আমেরিকা দ্বিতীয়বার আসাটা বিশ্ববাসীর কাছে চূড়ান্ত লজ্জাস্কর ঠেকবে। পক্ষান্তরে যদি চুক্তি ছাড়া পরাজিত হয়ে আসত, তহালে স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়বার আসতে পারতো, সর্বদাই বিমান হামলা করে যেত। কিন্তু এখন লোকলজ্জার ভয়ে হলেও সেগুলো করতে পারবে না।

                  Comment

                  Working...
                  X