পাকিস্তান | ঈদ বার্তা প্রদান করেছে হিযবুল আহরার ও টিটিপি
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপমহাদেশসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মাঝে বইছে খুশির আমেজ, একে অপরকে জানাচ্ছে অভিনন্দন।
এক্ষেত্রে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ও হিজবুল আহরার এর প্রধানরাও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানিয়ে নতুন বার্তা প্রদান করেছেন।
বার্তার শুরুতেই উভয় দলের প্রধান উমারাদ্বয় পাকিস্তানের মুসলমানদের এবং বিশেষত মুজাহিদদেরকে ঈদুল ফিতরের অভিনন্দন জানিয়ে আল্লাহ্ তা’আলার কাছে তাদের ইবাদতের কবুলিয়ত-এর জন্য দো’আ করেন।
বার্তায় হিযবুল আহরার এর আমীর কমান্ডার “উমর মোকাররম” হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত এই দেশকে তার মূল লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনা, আর আমরা সর্বদা এর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি মুজাহিদ ভাইদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সর্বদা চৌকান্না ও সচেতন থাকবেন, এবং নিজেদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখবেন।
একইভাবে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর আমির মুফতি “নূর ওয়ালী” হাফিজাহুল্লাহ্ও ভ্রাতৃত্ববোধ ও নিজেদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখতে সহযোদ্ধাদের পরামর্শ দেন। আর তিনি ঐক্যকে একটি মৌলিক প্রয়োজন বলে অভিহিত করেছেন এবং অন্য সকল দলকেও জিহাদের এই মহান লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের জনগণকে সম্বোধন করে মুফতি “নূর ওয়ালি” হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন যে, আমরা দেশ বা জাতির শত্রু নই, বরং আমরা এই উম্মাহরই অংশ; আমরা এই উম্মাহ ও তাদের দ্বীনের হেফাজতের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর আমরা এই মহান লক্ষ্য অর্জনে উলামায়ে দেওবন্দের প্রদর্শিত পথেই চলছি।
কমান্ডার “ওমর মোকাররম” হাফিজাহুল্লাহ্ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, ঐক্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এটার বিকল্প নেই। তাই এর জন্য আমাদের ছোট ছোট জিনিসকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে। শত্রু বাহিনী আমাদের মাঝে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা সবসময়ই করে যাচ্ছে, আমাদের শত্রু তাদের প্রচারের মাধ্যমে আমাদের মহান লক্ষ্যকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সুতরাং আমাদেরকে শত্রু বাহিনীর প্রোপাগান্ডা বুঝতে হবে এবং নিজেদেরকে এর থেকে দূরে রাখতে হবে।
তিনি সাম্প্রতিক “পিআইএ” ট্র্যাজেডির জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে অযোগ্য ঘোষণা করে গত দুই থেকে তিন বছরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল তা উদ্ধৃত করে বলেন, “আমরা কোনো বিষয়েই সরকারের কাছ থেকে স্বচ্ছ তদন্ত আশা করি না। আর না এই সরকারের সেই ক্ষমতা আছে।”
ওমর মোকাররম উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং অন্যান্য উপজাতি অঞ্চলে নাপাক সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন যে, এরা ব্যর্থ একটি সামরিক বাহিনী; যারা কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে সবসময়ই নিজেদের পরাজয় এবং অদূরদর্শিতা ঢাকতে জনসাধারণের উপর নানা ধরনের জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অনেক নিরপরাধ লোককে হত্যা করছে।
মুফতি “নুর ওয়ালি” হাফিজাহুল্লাহ্ পাকিস্তানি উলামাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন যে, আমরা আপনাদেরই দ্বীনি ও উৎসাহমূলক স্লোগানের ফলস্বরূপ এবং আপনাদেরই দ্বীনি পরামর্শে দ্বীনের এই মহান কাজের জন্য উত্থিত হয়েছি। আর আজ তাদের মধ্যেই কেউ কেউ আমাদেরকে সন্ত্রাসী বলছে যা অত্যন্ত আফসোস ও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
বার্তার একপর্যায়ে মুফতি “নুর ওয়ালী” হাফিজাহুল্লাহ্ বৈশ্বিক জিহাদী নেতৃবৃন্দ ও আফগানিস্তান, ইয়ামান, সিরিয়া, সোমালিয়া, মালিসহ অন্যান্য দেশের মুজাহিদদের এই পবিত্র মাসে তাদের বিজয় এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার জন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/25/38080/
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপমহাদেশসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মাঝে বইছে খুশির আমেজ, একে অপরকে জানাচ্ছে অভিনন্দন।
এক্ষেত্রে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ও হিজবুল আহরার এর প্রধানরাও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানিয়ে নতুন বার্তা প্রদান করেছেন।
বার্তার শুরুতেই উভয় দলের প্রধান উমারাদ্বয় পাকিস্তানের মুসলমানদের এবং বিশেষত মুজাহিদদেরকে ঈদুল ফিতরের অভিনন্দন জানিয়ে আল্লাহ্ তা’আলার কাছে তাদের ইবাদতের কবুলিয়ত-এর জন্য দো’আ করেন।
বার্তায় হিযবুল আহরার এর আমীর কমান্ডার “উমর মোকাররম” হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত এই দেশকে তার মূল লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনা, আর আমরা সর্বদা এর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি মুজাহিদ ভাইদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সর্বদা চৌকান্না ও সচেতন থাকবেন, এবং নিজেদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখবেন।
একইভাবে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর আমির মুফতি “নূর ওয়ালী” হাফিজাহুল্লাহ্ও ভ্রাতৃত্ববোধ ও নিজেদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখতে সহযোদ্ধাদের পরামর্শ দেন। আর তিনি ঐক্যকে একটি মৌলিক প্রয়োজন বলে অভিহিত করেছেন এবং অন্য সকল দলকেও জিহাদের এই মহান লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের জনগণকে সম্বোধন করে মুফতি “নূর ওয়ালি” হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন যে, আমরা দেশ বা জাতির শত্রু নই, বরং আমরা এই উম্মাহরই অংশ; আমরা এই উম্মাহ ও তাদের দ্বীনের হেফাজতের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর আমরা এই মহান লক্ষ্য অর্জনে উলামায়ে দেওবন্দের প্রদর্শিত পথেই চলছি।
কমান্ডার “ওমর মোকাররম” হাফিজাহুল্লাহ্ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, ঐক্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এটার বিকল্প নেই। তাই এর জন্য আমাদের ছোট ছোট জিনিসকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে। শত্রু বাহিনী আমাদের মাঝে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা সবসময়ই করে যাচ্ছে, আমাদের শত্রু তাদের প্রচারের মাধ্যমে আমাদের মহান লক্ষ্যকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সুতরাং আমাদেরকে শত্রু বাহিনীর প্রোপাগান্ডা বুঝতে হবে এবং নিজেদেরকে এর থেকে দূরে রাখতে হবে।
তিনি সাম্প্রতিক “পিআইএ” ট্র্যাজেডির জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে অযোগ্য ঘোষণা করে গত দুই থেকে তিন বছরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল তা উদ্ধৃত করে বলেন, “আমরা কোনো বিষয়েই সরকারের কাছ থেকে স্বচ্ছ তদন্ত আশা করি না। আর না এই সরকারের সেই ক্ষমতা আছে।”
ওমর মোকাররম উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং অন্যান্য উপজাতি অঞ্চলে নাপাক সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন যে, এরা ব্যর্থ একটি সামরিক বাহিনী; যারা কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে সবসময়ই নিজেদের পরাজয় এবং অদূরদর্শিতা ঢাকতে জনসাধারণের উপর নানা ধরনের জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অনেক নিরপরাধ লোককে হত্যা করছে।
মুফতি “নুর ওয়ালি” হাফিজাহুল্লাহ্ পাকিস্তানি উলামাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন যে, আমরা আপনাদেরই দ্বীনি ও উৎসাহমূলক স্লোগানের ফলস্বরূপ এবং আপনাদেরই দ্বীনি পরামর্শে দ্বীনের এই মহান কাজের জন্য উত্থিত হয়েছি। আর আজ তাদের মধ্যেই কেউ কেউ আমাদেরকে সন্ত্রাসী বলছে যা অত্যন্ত আফসোস ও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
বার্তার একপর্যায়ে মুফতি “নুর ওয়ালী” হাফিজাহুল্লাহ্ বৈশ্বিক জিহাদী নেতৃবৃন্দ ও আফগানিস্তান, ইয়ামান, সিরিয়া, সোমালিয়া, মালিসহ অন্যান্য দেশের মুজাহিদদের এই পবিত্র মাসে তাদের বিজয় এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার জন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/25/38080/
Comment