Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# | ০৭ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ১২ই ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# | ০৭ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ১২ই ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী |

    যুদ্ধবিরতি শেষে পাক-তালিবানের প্রথম হামলা : অফিসারসহ নিহত ২


    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার টাঙ্ক জেলায় দেশটির গাদ্দার পুলিশ বাহিনীর উপর একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ অফিসারসহ ২ গাদ্দার সদস্য নিহত এবং অন্য ১ গাদ্দার আহত হয়েছে।

    হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে, জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও) ডাঃ এহসানউল্লাহ জানিয়েছে যে, মোটরসাইকেলে আরোহী সশস্ত্র ব্যক্তিরা টহলরত পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে হামলাটি চালিয়েছে। আহত ও নিহত গাদ্দার পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    জেলা পুলিশ অফিসার (ডিপিও) দম্ভ প্রকাশ করে বলেছে যে, হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়েছে।

    পাকিস্তানে ইসলামিক শরিয়াহ্ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে দীর্যদিন যাবত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এনিয়ে সম্প্রতি তাঁরা সরকারের সাথেও বৈঠক এবং এক মাসের একটি যুদ্ধবিরতিও পালন করেছেন।

    কিন্তু পাকিস্তান সরকার যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা ও আলোচনাকে অবজ্ঞা করায় টিটিপি’র ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা পূণরায় লড়াইয়ের পথ বেছে নিয়েছেন। সেই ধারাবাহিতায় তাঁরা আজকে টাঙ্ক জেলায় তাদের প্রথম আক্রমণ চালিয়েছেন।

    তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুখপাত্র- মোহাম্মদ খোরাসনী (হাফি: তাঁর এক টুইট বার্তায় হামলার সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মহিমান্বিত রবের নিয়ামতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জাপন করছেন সম্ভাব্য ইসলামিক ইমারত সোমালি মুসলিমরা

    আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা, আল-কাতায়েব ফাউন্ডেশন থেকে “বিশ্বাসীদের জাগ্রত করুন” শিরোনামের ১০ মিনিটের একটি নতুন ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তাটিতে সোমালিয়ায় হিজরতকারী একজন সোয়াহিলি ভাষী মুজাহিদ সোমালিয়ার কিছু চিত্র তুলে ধরেন এবং মুসলিম যুবকদেরকে সোমালিয়ায় হিজরতে উৎসাহিত করেন।

    কামান্দ হাশেম নামে উক্ত মুহাজির মুজাহিদ বলেন, “ইসলাম প্রিয় আমার ভাইয়েরা! আমি আপনাদের নিকট কিছু বার্তা পাঠাতে চাই।

    আমি বর্তমানে সোমালিয়ায় আছি, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা একটি বনের মাঝখানে আছি, যেখানে আমরা জিহাদে শরিক হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, আমরা এই ভূমিতে বর্তমানে খুব সাধারণ জীবনযাপন করছি। মহান আল্লাহ্ তা’আলা এখানে আমাদেরকে সব ধরণের রিজিক দিয়েছেন। আমরা এখানে কোমল পানীয়ও পাই, আমরা উট, ছাগল এবং বিভিন্ন হালাল পশুর গোস্ত দিয়ে আমাদের খাবার সম্পন্ন করি, এমনকি গরুর মাংসও।

    আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন এখানে আমাদেরকে প্রতিদিনের জীবিকা নিয়ে চিন্তিত হতে হয় না।



    তিনি যোগ করেছেন: আমরা জানি যে, নবীর সময়ে নবী (সা.) ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য মুসলিমদের একটি বিশাল বাহিনী সংগঠিত করেছিলেন, শুধুমাত্র একজন মুসলিম নারীকে ইহুদীরা অপদস্থ করেছিল।

    আল্লাহর কসম যদি তাদের সময়ে এমনটা হতো! যখন কাফেররা ফিলিস্তিন ও ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের মুসলিম ভাইদের আক্রমণ করেছে?

    অথচ আমরা এখন কী করছি, কী অবস্থায় আছি? যখন আমাদের পরিবারের সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে? আমরা কি এখনো বসে থাকব, আমরা কি কিছুই করব না?

    তিনি আরও যোগ করেন: “অতএব, আমি আপনাদেরকে কোরআন পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি, জিহাদের সম্পৃক্ত সূরাগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিচ্ছি এবং সোমালিয়ায় হিজরত করার জন্য উৎসাহিত করছি। এদেশে বর্তমানে কষ্ট রয়েছে শুনে প্রতারিত হবেন না। কাফেররা মিডিয়ার মাধ্যমে সোমালিয়ায় ক্ষুধার্ত আর অভাবের যে চিত্র তুলে ধরেছে, তা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে মানুষ খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জাপন করছেন।

    তিনি তার বার্তাটি এই বলে শেষ করেছেন: “জেনে রাখুন যে সোমালিয়ায় জিহাদ চলছে, মহান রব আমাদের সর্বোত্তম বিধান প্রদান করেছেন, তিনি মহিমান্বিত। এখানে সেই মহিমান্বিত রবের বিধান দ্বারা জীবন ব্যাবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। আমি এই কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে আপনাদেরকে সোমালিয়ায় আসতে এবং আমাদের সাথে বিলম্ব ছাড়াই জিহাদের কাফেলায় যোগ দিতে উৎসাহিত করছি।”

    এরপর ভিডিওটিতে একটি ইসলামিক সংঙ্গিত সেশনের ক্লিপ দেখানোর পর, ইয়েমেনে ক্রুসেডার মার্কিন বোমা হামলায় শহীদ শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকির (র.) একটি বক্তৃতা উপস্থাপন করা হয়। যেখানে তিনি বদরের যুদ্ধের পরে ঘটে যাওয়া একটি গল্প বর্ণনা করেছিলেন। কীভাবে একজন মুসলিম এক ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন, যে মদিনার বাজারে একজন মুসলিম মহিলাকে অপদস্থ করেছিল। আর কীভাবে মহানবী (সা.) ঐ ইহুদিদেরকে শায়েস্তা করতে একটি সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করেছিলেন।


    শাইখ সেই সময়ে সাহাবীদের অবস্থার তুলনা করেছেন এবং কীভাবে নবী (সা.) একজন মুসলিম মহিলাকে সমর্থন করতে যুদ্ধের জন্য একটি সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করেছিলেন – তা বর্ণনা করেছেন।

    আর আজকে ইসলামী বিশ্বে মুসলমানদের অবস্থা কেমন? যেখানে এই জাতীর পুরুষরা মুসলিম মহিলাদের রক্ষা করার জন্য তাদের মধ্যে কোন কম্পন বা তাদের শরিরে নড়চড় তৈরি হয় না। এরপর শাইখ আব্বাসীয় খলিফা আল-মুতাসিমের গল্প উল্লেখ করেছিলেন, যিনি একজন মহিলার ডাকে সাড়া দিয়ে তার উপর নির্যাতন চালানোর প্রতিবাদ করতে একটি বাহিনীকে রোমানদের সাথে লড়াই করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৪২০০ পরিবারকে খাদ্য, বস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করল তালিবান


      আফগানিস্তানে ইসলামিক ইমারত প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নবগঠিত তালিবান সরকার দেশটির অভাবী ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে সর্বাত্মক সহায়তা করে যাচ্ছেন।



      এরই ধারাবাহিতায় ইমারতে ইসলামিয়ার ‘রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’ বাদঘিস প্রদেশে চলতি মাসে ধারাবাহিক সহায়তা পর্ব শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা প্রদেশটির আটাশ ও আবকামারি জেলায় ১১০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন

      অপরদিকে লোঘার প্রদেশের বারাকি-বারাক জেলার ২০০০ দরিদ্র পরিবারকেও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে তেল, ডাল, চাল এবং লবন রয়েছে।


      এদিকে পাঞ্জশিরের শরণার্থী বিষয়ক পরিচালক মৌলভী মোহাম্মদ আজিজ মোহাম্মদী বলেন, তুরস্কের আর্থিক সহায়তায় প্রদেশের ৫০০ অভাবী পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও একটি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে।



      এমনিভাবে হেলমান্দ প্রদেশের ‘আইআরসি’ শরণার্থী বিষয়ক বিভাগের সহযোগিতায়, প্রদেশটির নওজাদ জেলার ৬০০ অভাবী পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ২৬০০০ আফগান অর্থ দেওয়া হয়েছে৷

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘পাকিস্তান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি’, তাই যুদ্ধবিরতি আর নয়: পাক-তালিবান


        তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ঘোষণা করেছে যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, কেননা পাকিস্তান প্রশাসন তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি, বরং তারা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে।

        টিটিপি জানিয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দল গঠন এবং আলোচনা শুরু করেনি। এক মাসের যুদ্ধবিরতির শর্তে যেসকল বন্দী মুজাহিদ সদস্যদেরও মুক্ত করার কথা ছিল তাদেরকেও মুক্তি দেওয়া হয়নি।

        সেই সাথে গাদ্দার সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতির সময়েও বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন মুজাহিদকে শহীদ ও বন্দী করা হয়েছে। তাই পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে আমরা এক মাসের যুদ্ধবিরতি শেষে করার ঘোষণা করছি।

        টিটিপির মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসনী হাফিজাহুল্লাহ্ গত ৯ ডিসেম্বর এক মাসের যুদ্ধবিরতি শেষে দীর্ঘ একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন। যেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের মাঝে এই চুক্তি হয়েছিল যে, এক মাসের যুদ্ধবিরতি বিনিমেয়ে পাকিস্তান সরকার আমাদের বন্দীদের মুক্তি দিবে এবং ইমারতে ইসলামিয়ার মধ্যস্থতায় বন্দী মুক্তিদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে। সেই সাথে শান্তি আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির সময়ের মধ্যে এসবের কিছুই বাস্তবায়ন করেনি।

        বিপরীতে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন পাকিস্তান সামরিক বাহিনী গান্দাপুর, লাক্কি মারওয়াত, সোয়াত, বাজোর, দির এবং সোয়াবিতে অভিযান চালিয়ে মুজাহিদদের আত্মীয়দেরকে শহীদ করেছে। এখানেই তারা ক্ষান্ত থাকেনি বরং ৪ জন বন্দীকেও শহীদ এবং একজনকে মুক্তি দেওয়ার পর পূণরায় গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও তারা দির এবং বাজোরে নতুন ফ্রন্ট খুলেছে।

        বিবৃতিতে তিনি সোয়াত ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান চুক্তির কথা উল্লেখ করে অতীতে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন।

        বিবৃতি শেষে তিনি বলেন, “এখন পাকিস্তানের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কারা দেশে শান্তি ও ইসলাম চায়না, কারা চুক্তির শর্ত বাস্তবায়ন করেনা – টিটিপি নাকি পাকিস্তানি সেনা ও প্রশাসন?”

        সর্বশেষ তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়।

        এদিকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র- মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ্ গতকাল একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, “পাকিস্তান সরকার ও এর ব্যবস্থাপনা ইসলামিক নয়, এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা আফগানিস্তানে গত দুই দশক ধরে ছিল। মুলত পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে ইসলামের কোনো গুরুত্ব নেই।”
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X