মুজাহিদিন নিউজ# | ০৮ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী |

[Al-Firdaws News]

জাতিসংঘের সামরিক ঘাঁটিতে আল-কায়েদার হামলায় হতাহত ৭, পুড়ল ৩ তাবু


সোমালিয়ায় ক্রুসেডার জাতিসংঘের ‘আমিসোম’ সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে একে একে ৩০টি রকেট হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব। ফলে ক্রুসেডার বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বিবরণ অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুররে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর মাহাদাই জেলায় একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একে একে ৩০টি সফল রকেট হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যাতে ঘাঁটির ভিতরে অবস্থিত দখলদার বাহিনীর ৩ টি তাবু পুড়ে যায়। এসময় ঘাঁটিতে থাকা ৪ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ ক্রুসেডার সৈন্য আহত হয়েছে।

শাহাদাহ্ নিউজের তথ্য অনুযায়ী মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া সামরিক ঘাঁটিটি ছিল কুফ্ফার জাতিসংঘের AMISOM সামরিক বাহিনীর। যাদের বেশিরভাগ সৈন্যই বুরুন্ডিয়া থেকে এসেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে, একই রাজ্যে দখলদার AMISOM সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলাও চালিয়েছিলেন মুজাহিদগণ। যাতে অনেক দখলদার ক্রুসেডার সৈন্য ও তাদের রক্ষায় নিয়োজিত সোমালি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছিল।

[Al-Firdaws News]

বেনিনে ফের আল-কায়েদার হামলা, নিহত ২ শত্রুসেনা, আহত অসংখ্য
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে আল-কায়েদার ধারাবাহিক হামলায় ভেঙে পড়েছে দেশটির সীমান্তের সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিনের হামলায় ফের ২ সেনা নিহত এবং অসংখ্য সেনা আহত হয়েছে।

বিবরণ অনুযায়ী, গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার, বুরকিনা ফাঁসোর সাথে বেনিন সীমান্তের কাছে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর একটি কনভয়ে সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনীর বীর যোদ্ধারা। তাদের বরকতময় এই সফল হামলায় দেশটির ঐ গাদ্দার সেনাদের হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

বেনিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ কর্নেল ফ্রুক্টুয়েক্স গবাগুইদি এক বিবৃতিতে বলেছে যে, গেলো ৪ দিনে পর পর জিহাদিদের (ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধা) দ্বারা আমাদের সেনাদের উপর ৩টি হামলা চালানো হয়েছে, যার সর্বশেষটি আলিবোরি এলাকায় টহলরত একটি সামরিক কনভয়কে লক্ষ্য করে হয়েছিল। যাদে কমপক্ষে দুই সেনা নিহত হয়েছে।

ঐ গাদ্দার কমান্ডার আরো যোগ করেছে যে, এর আগের সপ্তাহেও তিনবার জিহাদিরা (ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা) হামলা চালিয়েছেন।

কর্নেল ফ্রুক্টুয়েক্স সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের বীর যোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এই হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

[Al-Firdaws News]

আশ-শাবাবের বীরত্বপূর্ণ হামলায় ৬ মন্ত্রীসহ নিহত ১১ এরও বেশি ক্রুসেডার


আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ-শাবাবের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা সোমালিয়ায় দখলদার ও গাদ্দার বাহিনীর উপর ২ টি বীরত্বপূর্ণ হামলা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। যার একটিতেই দেশটির ৬ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হতাহত হয়েছে।

বিবরণ অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর শনিবার দক্ষিণ সোমালিয়ার একটি দুর্দান্ত সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। যাতে হার্শাবেলী প্রশাসনের ১ সংসদ সদস্য ও নির্বাচন কমিটির ১ সদস্য নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে হার্শাবেলী প্রশাসনের ২ জন ডিপুটি ও প্রতিমন্ত্রী গাবো। এছাড়াও এই হামলায় আহত হয়েছে দেশটির ১ গোয়েন্দা অফিসার ও অপর ১ সেনা কমান্ডার।

শাহাদাহ্ এজেন্সীর তথ্যমতে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা তাদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানটি চালিয়েছেন শাবেলী রাজ্যের জোহার শহরে।

অপরদিকে একই রাজ্যের মাহদায়ী শহরে এদিন আরও একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। যাতে ক্রুসেডার বুরুন্ডিয়ান সামরিক বাহিনীর ৪ সৈন্য নিহত এবং আরও ১ সৈন্য আহত হয়েছে।

[Al-Firdaws News]

চুক্তি লঙ্ঘন করায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে টিটিপি, তিন দিনে অন্তত ২৫ গাদ্দার সেনা হতাহত


পাকিস্তান সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। টিটিপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, সামরিক বাহিনীর উপর তাদের এসব আক্রমণ আরও তীব্র হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান সরকারের সাথে টিটিপির যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর উপর ৭টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন টিটিপির মুজাহিদগণ।
টিটিপির এসব আক্রমণগুলো বাজোর এজেন্সী, উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চল এবং খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের বান্নু ও ট্যাঙ্ক জেলায় অবস্থিত সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন চেকপোস্ট, টহলরত শত্রু কাফেলা ও চৌকিগুলো টার্গেট করে পরিচালিত হয়েছিল।


আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম ও টিটিপির মুখপাত্রের একাধিক টুইট বার্তার সূত্রে জানা গেছে যে, মুজাহিদদের এসব বীরত্বপূর্ণ হামলায় অন্তত ২৫ সেনা ও পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছে।

শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে টিটিপির এসব বীরত্বপূর্ণ সফল হামলা আল্লাহর অনুগ্রহে অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

[Al-Firdaws News]

শত্রুবাহিনীর পলায়ন, সংঘর্ষ ছাড়াই আরো ২টি শহর আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে



সোমালিয়ায় ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ভয়ে ২টি শহর ছেড়ে পালিয়েছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সামরিক বাহিনী। ফলে কোনো যুদ্ধ ছাড়াই শহরগুলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে যে, গত ১২ই ডিসেম্বরে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সোমালিয়ার মাতবান অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অবস্থিত দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর একাধিক অবস্থানে অভিযান চালিয়েছেন। ফলে পশ্চিমাদের গোলাম সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিচালিত এই হামলার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিভিন্ন শহরে। এতে পশ্চিমা ক্রুসেডার ও সেক্যুলার তুরষ্কের প্রশিক্ষিত কাপুরুষ সোমালি সৈন্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে অভিযানের নিকটস্থ ২টি শহর ‘বিরজাদাদ এবং বা’আদা’ শহরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গোলাম সৈন্যরা শহরগুলো ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর হারাকাতুশ শাবাবের সশস্ত্র বাহিনী শহর দুটি কোনো যুদ্ধ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন শহর দুটির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর, মাতাবান অঞ্চলের আশপাশের সকল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। বর্তমানে মাতাবানের কেন্দ্রীয় শহর অবরোধ করে অভিযান পরিচালনা করছেন মুজাহিদগণ। আল্লাহর অনুগ্রহে হয়তো কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মাতাবানের পুরো এলাকাই চলে আসবে হারাকাতুশ শাবাবের বীর যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে।

[ASFAQ SALAM]

হে মালিক! তুমি আমাদের ক্ষমা করো। আর আমাদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দাও।