মুজাহিদীন নিউজ#| ১৭ ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

সোমালিয়ায় মুসলিম বীর যোদ্ধাদের সফল হামলায় ২১ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় পশ্চিমা গোলাম সরকারের গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর কয়েকটি সফল হলাম চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে এক ডজনেরও বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জনা গেছে।

শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ-শাবাবের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পর পর ৩টি সফল হামলা চালিয়েছেন।

সূত্রটি জানিয়েছে যে, ২২/১২ তারিখে পরিচালিত এসব হামলায় গাদ্দার সোমলি সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১১ গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ সৈন্যের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও মুজাহিদদের টার্গেট কিলিং অপারেশনে নিহত হয়েছে দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর ২ সদস্য ও গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৩ সেনা।

রাজধানী ছাড়াও সোমালিয়ার বে রাজ্য, যুবা রাজ্য ও শাবেলি রাজ্যে মুজাহিদগণ আরও ৪টি সফল অভিযান চালিয়েছেন। ঐ অভিযানগুলোতে আরও ৫ এর অধিক গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

[Al-Firdaws News]

ফটো রিপোর্ট || গাদ্দার সৈন্যদের বিরুদ্ধে আশ-শাবাবের দুর্দান্ত অভিযানের দৃশ্য

পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সম্প্রতি তাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান সমূহ নিয়ে নির্মিত ২টি ভিডিও রিলিজ করেছে। যা তাদের অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা "আল-কাতায়েব ফাউন্ডেশন" থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন এই ভিডিওগুলোতে দক্ষিণ সোমালিয়ার 'ইয়ালী' ও 'দিনুনাই' এলাকা বিজয় এবং উপসাগরীয় বাকুল ও শাবেলী রাজ্যে গাদ্দার মিলিশিয়াদের চেকপয়েন্ট, সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক অবস্থানগুলোতে মুজাহিদদের অতর্কিত অভিযান সমূহ নথিভুক্ত করা হয়েছে।

[Al-Firdaws News]

উপজাতি এলাকায় পাক-তালিবানের হামলায় পরাস্ত গাদ্দার সেনারা, হতাহত ২১ এরও অধিক


পাকিস্তান প্রশাসন কর্তৃক চুক্তি লঙ্ঘন করায় দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক সফল হামলা চালাচ্ছেন ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি-এর বীর মুজাহিদগণ।

চলমান হামলার ধারাবাহিকতায় গত ২০ ডিসেম্বর রাতে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রতিরোধ যোদ্ধারা স্নাইপার রাইফেল, আরপিজি এবং অন্যান্য হালকা অস্ত্র দিয়ে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সফল হামলা চালিয়েছেন।

সূত্র জানায় যে, অঞ্চলটির মির'আলি সীমান্ত এলাকায় দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনীর একটি চেক পোস্ট টার্গেট করে উক্ত হামলাটি চালানো হয়েছিল।

হামলায় চেক পোস্টে থাকা ৩ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও ২ গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে, সম্প্রতি এই হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দলটি।

এই হামলার একদিন আগের সন্ধ্যায় বাজোর এজেন্সির সালার্জাই সীমান্ত এলাকায় একটি পুলিশ টহল দলের গাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ করেন টিটিপির যোদ্ধারা।
টিটিপি মুখপাত্রের তথ্যমতে, এতে গাড়িতে থাকা সমস্ত পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে। তবে একটি আনঅফিশিয়াল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, হামলায় হতাহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ১৩ জন।

বরকতময় এই ২টি হামলা ছাড়াও ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরে আরও ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন টিটিপির মুজাহিদগণ। যাতে আরও ২ সেনা নিহত এবং অপর ১ সেনা গুরুতর আহত হয়েছে।
বিদেশিদের দালাল পাকিস্তানী গাদ্দার সেনা ও প্রশাসনকে এভাবেই তীব্র জবাব দিয়ে যাচ্ছেন উম্মাহ দরদী মুজাহিদগণ, যা উপমহাদেশের মুসলিমদের জুলুম থেকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করছে বলে মনে করেন হকপন্থী উলামাগণ।

[Al-Firdaws News]

আল-কায়েদার দীর্ঘ অবরোধে পরাস্ত সন্ত্রাসী মিলিশিয়া : দলে দলে আত্মসমর্পণ

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মোপ্তি রাজ্যের মারেবুগু নামক অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী 'ডোনসো' মিলিশিয়াদের দীর্ঘ ৮ মাস অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (JNIM) এর মুজাহিদগণ।

আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিশ্ছিদ্র এই অবরোধে টিকতে না পেরে গত ২০শে ডিসেম্বর বিকালে মুজাহিদদের শর্ত মেনে নিয়ে দলে দলে আত্মসমর্পণ করেছে 'ডোনসো' সন্ত্রাসবাদীরা।

এর আগে ২০১৯ সালের আগস্টে JNIM এবং ডোনসো এর মাঝে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল৷ কিন্তু ডোনসো মিলিশিয়ারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ফলে মুজাহিদরা এবছরের এপ্রিল মাস থেকেই মালির বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করেন, সেই ধারাবাহিতায় তখন 'ডোনসো' মিলিশিয়াদের ঘাঁটি মারেবুগু অঞ্চলকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন মুজাহিদগণ, সেই সাথে সন্ত্রাসী গ্রুপটির কৃষিকাজ ও অর্থনৈতিক লেনদেনের সকল পথ বন্ধ করে দেন তারা।

এরপর দীর্ঘ ৮ মাস যাবৎ মুজাহিদদের কঠোর অবরোধের শিকার হয় মিলিশিয়ারা, এই অবরোধ চলাকালে মুজাহিদিন বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে হয়। আঞ্চলিক সূত্রমতে, এসময় মুজাহিদদের হামলায় উক্ত অঞ্চলে অন্তত ১২০ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণও মারেবুগু অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন।

সুত্রে আরও জানা যায়, ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম মুজাহিদগণ এই অবরোধের সময় মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থামাতে একাধিকবার তাদের খাদ্যদ্রব্যের মজুদ জব্দ করেন এবং মিলিশিয়াদের অবস্থানে বোমা ও মর্টার হামলা চালাতে বাধ্য হন।

অবশেষে গত ২০শে ডিসেম্বর ডোনসো মিলিশিয়ারা পরাজয় শিকার করে এবং জেএনআইএম-এর শর্ত মোতাবেক তাদের সকল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মুজাহিদদের কাছে জমা দেয়। মুজাহিদরা বিনিময়ে তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ও চাষাবাদের উপর আরোপিত অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

ক্রুসেডার ফ্রান্স ও মালির মুরতাদ সরকার নিজেদের বিশাল সেনাবাহিনী দিয়ে মুজাহিদদের মোকাবেলা করতে না পেরে এসব গোত্রভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এসব সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিন্তু যেখানে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ৪টি আন্তর্জাতিক জোটের সেনারা পরাজয় শিকার করে মালি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, সেখানে এসব নামেমাত্র প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদীদেরকে মহান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সত্যিই হাস্যকর।

[Rumman Al Hind]

আল্লাহ তা'য়ালা মুজাহিদদের সারি গুলো আরো শক্তিশালী করুন..ভাইদের দ্বারা কুফফার গোষ্টিকে ক্ষতবিক্ষত করে দিন..আল্লাহুম্মা আমিন।

[forsan313]

আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনি মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
সম্মানিত দায়িত্বশীল ভাইয়েরা,, ইমারতের নতুন প্রশিক্ষণ ভিডিও ফাইলগুলো দেওয়া যায় কি না!???