মুজাহিদীন নিউজ#| ২১শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

বুর্কিনা-ফাঁসোতে আল-কায়েদার হামলায় নিহত ৪১ গাদ্দার সেনা : গনিমত ১৬টি সাঁজোয়া যান


বুরকিনা-ফাঁসোর উত্তরে লরৌম প্রদেশের টিইউ অঞ্চলে দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে অন্তত ৪১ গাদ্দার সেনা নিহত ও ৩ সেনা বন্দী হয়েছে বলে জানা গেছে।সরকারি সূত্রের বিবৃতিতেও স্বীকার করা হয়েছে, গত ২৫শে ডিসেম্বরের মুজাহিদদের অভিযানে নিহতরা সবাই সেনা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত একটি ইউনিটের সদস্য ছিল। ক্রুসেডার ফ্রান্সের গোলাম বুরকিনা-ফাঁসোর সরকার এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে।অপরদিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএস’ একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে এই হামলার পর মুজাহিদদের প্রাপ্ত গনিমতের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছেন।
সেখানে দেখা যায়, মুজাহিদগণ ৩ সেনাকে বন্দী করা ছাড়াও পাঁচটি (৫) পিক-আপ, একটি (১) সাঁজোয়া যানসহ নয়টি (৯) গাড়ি এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ 7+ AK, RPG-7 রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত পেয়েছেন।উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে বুরকিনা-ফাঁসোর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে গাদ্দার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছেন আল-কায়েদা মুজাহিদিন। এতে তাঁরা সফলতাও পাচ্ছেন এবং অনেক এলাকার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণও প্রতিষ্ঠা করেছেন।মুজাহিদিন কর্তৃক প্রাপ্ত গনিমত ও বন্দী সেনাদের কিছু ছবি দেখুন –

[Al-Firdaws News]

সোমালিয়া | আশ-শাবাবের হামলায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ নিহত ১৪ এরও বেশি গাদ্দার


পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসেনর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে ১২ জন নিহত এবং আরও ২ জন আহত হয়েছে।

শাহাদাহ নিউজের বিবরণ অনুযায়ী, আজ ২৬শে ডিসেম্বর রবিবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর দিনালি জেলায় পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সোমালি সরকারি বাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাকে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে ১ অফিসারসহ ৬ গাদ্দার সেনা নিহত এবং আরও ২ সেনা আহত হয়েছে।

দেশটির সিংহভাগ অঞ্চলের উপর কর্তৃত্বকারী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব এই আক্রমণটি চালিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশ-শাবাবের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় গাদ্দার সৈন্যরা হতাহত হওয়া ছাড়াও মুজাহিদগণ দুটি মেশিনগান গনিমত পেয়েছেন।

এদিন রাজধানী মোগাদিশু ও কিসমায়ো শহরে আরও ২টি পৃথক হামলা চালান আশ-শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এর মধ্যে কিসমায়ো শহরে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে সফল বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ, যাতে গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। সূত্রমতে আশ-শাবাব যোদ্ধারা এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে জুবাল্যান্ড প্রশাসনের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। অপরদিকে রাজধানীতে পরিচালিত হামলায় অপর এক গাদ্দার সৈন্যকে হত্যা করা হয়।

এমনিভাবে সোমালিয়ার জুবা রাজ্যে আরও একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন মুজাহিদগণ। এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ তাবতু শহরের মেয়র “মোহাম্মদ জাইস” এবং শহরের শুল্ক কর্মকর্তা “ওমর আবু বকর” এবং সেইসাথে তাদের দেহরক্ষীদের মধ্য থেকে একজনকে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযান শেষে ফিরার পথে মুজাহিদগণ নিহত গাদ্দার সদস্যদের ৩টি অস্ত্রই গনিমত হিসাবে লাভ করেন।

আল-কায়েদার এই পূর্ব আফ্রিকান শাখাটি অতি দ্রুতই গোটা সোমালিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকাজুড়ে একটি সফল ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। আর এর ফলে আফ্রিকার মুল্যবান খনিজ সম্পদগুলো পশ্চিমা দেশে পাচার না হয়ে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণেই কাজে লাগানো যাবে বলেও আশাআ প্রকাশ করেছেন তারা।

[Al-Firdaws News]

পাকিস্তানে বাড়ছে তালিবানের হামলা, দুইদিনে হতাহত আরও ১৬ গাদ্দার সেনা

পাকিস্তান প্রশাসন কর্তৃক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর থেকে দেশটিতে হামলার পরিধি বৃদ্ধি করেছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২ দিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় হতাহত হয়েছে ১৬ এরও বেশি গাদ্দার সেনা।

পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ও সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের’ (টিটিপি) মুখপাত্র কর্তৃক গত ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত টুইট বার্তা থেকে জানা গেছে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীগুলোকে টার্গেট করে ৪টি সফল হামলা চালিয়েছেন।
উক্ত হামলাগুলোতে ১৬ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। হতাহতদের এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান গাদ্দার প্রশাসনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রীও, হামলার সময় ঐ গাদ্দার মন্ত্রীর গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বরকতময় এই হামলাগুলো চালানো হয়েছিল পাকিস্তানের আদম-খাইল, হাঙু ও খাইবার জেলায়। হামলায় আরও বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়েছে, যাদের হিসাব রাখা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্।

[ASFAQ SALAM]

আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভাইদের আরো বেশি নুসরত করেন। আমীন।