আফগানিস্তানের পর….: সোমালিয়া!
২০১০ সালে ‘ডিসিশন পয়েন্টস’ শিরোনামের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এর একটি বই প্রকাশিত হয়। উল্লেখিত বইয়ে বুশ ‘কেন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার স্মৃতি মন্থন করেছে।
তার ভাষ্যমতে “আফগানিস্তান অভিযান ছিল নিশ্চিতভাবেই একটি (আফগান) জাতি গঠনের মিশন। আমরা দেশটিকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলাম এবং দেশটির জন্য ভালো কিছু রেখে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা ছিল।
আফগানিস্তানে একটি স্বাধীনচেতা সমাজ গঠনের মধ্যে আমাদের একটি কৌশলগত স্বার্থও ছিল, কারণ, আমরা জানতাম, গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান উগ্রপন্থী আফগানিস্তানের একটি আশানুরূপ বিকল্প হবে।”
২০ বছরের আগ্রাসন এবং লক্ষাধিক আফগান হত্যার পর মার্কিন প্রশাসনের হঠাৎ বোধোদয় হলো, আফগানিস্তানের চেয়ে তাদের নিজেদের নাগরিক আর অর্থনীতির প্রতি তাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি।
তাই, আনুষ্ঠানিক পরাজয়ের কয়েক মূহুর্তে পূর্বেই সার্বভৌমত্ব আর নাগরিক অধিকারের কথা বলে আমেরিকা আফগানিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
কিন্তু, আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের আগ্রাসনে ২০ বছর পর কাবুল বিমানবন্দরে যেভাবে পশ্চিমাদের এবং তাদের সহায়তাকারী আফগানদের হুড়োহুড়ি করে পালাতে দেখা গেল, তাতে বুশের ভবিষ্যদ্বাণী করা সেই ‘আশাবহ বিকল্পের’ চিহ্নমাত্র দেখা গেল না।
লাখো মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে, কোটি কোটি ডলার ঢেলে, আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে সর্বাধুনিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েও- আফগানিস্তানে পশ্চিমা সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা সফল হয়নি। সেখানে এখন তালেবান ইসলামী শাসনব্যবস্থা চালু করেছেন।
এখান থেকে সোমালিয়াতে ‘বৈশ্বিক জিহাদ’ মানহাযের অনুসারী আল-শাবাবের সাথে লড়াইরত যোদ্ধাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় অনেক বিষয়াদি রয়েছে।
পশ্চিমারা যেভাবে আফগানিস্তানে জাতি গঠনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে এসেছিল, ঠিক একইভাবে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন টু সোমালিয়া (AMISOM) সোমালিয়ায় ‘জাতি গঠনের’ চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৪ বছর ধরে পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়ে আফ্রিকান দেশগুলো এক জোট হয়ে সোমালিয়ায় আল–কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিহাদি সংগঠন আল শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
AMISOM-এর অধীনে উগান্ডা, বুরুন্ডি, জিবুতি, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার হাজার হাজার সৈন্য এক জোট হয়ে আল শাবাবকে প্রতিহত করতে সোমালিয়ার দুর্বল সরকারকে সাহায্য করে আসছে।
দেশটির বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে AMISOM এর হাতে বেসামরিক লোকবল ও পুলিশও আছে।
যেমনটা, আফরাফ ঘানি সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য আফগানের বিশ্বাসঘাতক নাগরিক ও সৈন্যদের পশ্চিমারা ব্যবহার করেছিল।
বছরে প্রায় ৯০ কোটি ডলার খরচ করে আর বহু বছর ধরে সামরিকভাবে অক্লান্ত চেষ্টা করেও, মোগাদিসু সরকার দুর্বলতরই হচ্ছে কেবল। এমনকি, সংখ্যাধিক্যের মত বিবেচনায় আনলেও দেখা যায়, জনগণের কাছে মোগাদিসু সরকারের বৈধতাও খুব একটা নেই।
আল শাবাবের যোদ্ধাদের শহরাঞ্চলে তৎপর না দেখা গেলেও; দেশের বেশির ভাগ গ্রামপ্রধান এলাকা তাদেরই দখলে এবং তারা ইচ্ছা করলে রাজধানীতে ভয়ানক বিপর্যয় ঘটানোর মতো হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখেন।
আফগানিস্তানের মতো সোমালিয়াতেও আল-শাবাব সাময়িকভাবে মোগাদিসু এবং কয়েকটি শহর থেকে পিছু হটার পর, পশ্চিমাদের মরীচিকাময় হিসাব মোতাবেক দেশটিতে কিছু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫-৬ শতাংশ।
কিন্তু এই তথ্যে দুইটি বিষয় উহ্য রয়েছে।
এক, এই প্রবৃদ্ধি ছিল শহরভিত্তিক;
দুই, বিদেশি মনিবদের দান-খয়রাত আর বিদেশে থাকা সেক্যুলার সোমালিয়ানদের দেশে পাঠানো বৈদেশিক অর্থই কাগজেকলমে পাওয়া এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সোমালিয়ায় তৎকালীন ইসলামপন্থীদের সংগঠন ‘দ্য ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস’ ক্ষমতা দখল করে ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ ডাক দেয়।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত ইথিওপিয়ার বাহিনী সোমালিয়ায় ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস (ইউআইসি)-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর সেখানে পশ্চিমাদের ভাষায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।
দ্য ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস সেখানে তালেবানের মতো শরিয়াভিত্তিক শাসন জারি করেছিলেন। তারা দেশটিতে তখন সিনেমা, সংগীত নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং নারীদের পর্দার বিধানের মত শরিয়েতের অত্যাবশকীয় আইন জারি করেছিলেন।
ইথিওপিয়ার সাধারণ জনগণ মুজাহিদদের শাসন আমলে শান্তি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন এবং মানুষ তখন অনেকটা নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারত।
কিন্তু ইথিওপিয়া দখলদারি অভিযান চালানোর পর ইউআইসির শাসনের অবসান ঘটে এবং সেই দখলদার বাহিনী এখন জঙ্গিগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি একটি কলামে লিখেছেন, “আফগানিস্তান থেকে আফ্রিকানদের শিক্ষা নিতে হবে যে, জঙ্গিদের পরাজিত করার জন্য শুধু সামরিক শক্তিই যথেষ্ট নয়।”
সে আরো বলেছে,
‘আফ্রিকা থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে তরবারি নয়, লাঙল দরকার।’
অর্থাৎ সাধারণ জনগণের রুটিরুজির নিশ্চয়তার জন্য আরও বেশি কর্মসংস্থান দরকার।
সরকারের মধ্যে দুর্নীতির আধিক্য ও ইনসাফের ঘাটতি এতই যে, তা সরকারের প্রতি মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করছে।শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা কায়েমের জন্য জনসমর্থনের পাল্লা দিন দিন আল শাবাবের দিকে ঝুকে পড়ছে।
যে পরিস্থিতি আফগানিস্তানে মার্কিন ও পশ্চিমাদের পতনের আগে তৈরি হয়েছিল; একই পরিস্থিতি সোমালিয়াতেও তৈরি হয়েছে।
সোমালিয়ার পরিস্থিতি অনেক আগেই পশ্চিমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন অপেক্ষার পালা। আর কিছুক্ষণ শত্রুদের আঘাত সহ্য করে টিকে থাকতে পারলেই, আফগানিস্তানের মতো সোমালিয়াতেও ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত।
প্রতিবেদক: আসাদ ইরফান
২০১০ সালে ‘ডিসিশন পয়েন্টস’ শিরোনামের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এর একটি বই প্রকাশিত হয়। উল্লেখিত বইয়ে বুশ ‘কেন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার স্মৃতি মন্থন করেছে।
তার ভাষ্যমতে “আফগানিস্তান অভিযান ছিল নিশ্চিতভাবেই একটি (আফগান) জাতি গঠনের মিশন। আমরা দেশটিকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলাম এবং দেশটির জন্য ভালো কিছু রেখে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা ছিল।
আফগানিস্তানে একটি স্বাধীনচেতা সমাজ গঠনের মধ্যে আমাদের একটি কৌশলগত স্বার্থও ছিল, কারণ, আমরা জানতাম, গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান উগ্রপন্থী আফগানিস্তানের একটি আশানুরূপ বিকল্প হবে।”
২০ বছরের আগ্রাসন এবং লক্ষাধিক আফগান হত্যার পর মার্কিন প্রশাসনের হঠাৎ বোধোদয় হলো, আফগানিস্তানের চেয়ে তাদের নিজেদের নাগরিক আর অর্থনীতির প্রতি তাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা অনেক বেশি।
তাই, আনুষ্ঠানিক পরাজয়ের কয়েক মূহুর্তে পূর্বেই সার্বভৌমত্ব আর নাগরিক অধিকারের কথা বলে আমেরিকা আফগানিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
কিন্তু, আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের আগ্রাসনে ২০ বছর পর কাবুল বিমানবন্দরে যেভাবে পশ্চিমাদের এবং তাদের সহায়তাকারী আফগানদের হুড়োহুড়ি করে পালাতে দেখা গেল, তাতে বুশের ভবিষ্যদ্বাণী করা সেই ‘আশাবহ বিকল্পের’ চিহ্নমাত্র দেখা গেল না।
লাখো মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে, কোটি কোটি ডলার ঢেলে, আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে সর্বাধুনিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েও- আফগানিস্তানে পশ্চিমা সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা সফল হয়নি। সেখানে এখন তালেবান ইসলামী শাসনব্যবস্থা চালু করেছেন।
এখান থেকে সোমালিয়াতে ‘বৈশ্বিক জিহাদ’ মানহাযের অনুসারী আল-শাবাবের সাথে লড়াইরত যোদ্ধাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় অনেক বিষয়াদি রয়েছে।
পশ্চিমারা যেভাবে আফগানিস্তানে জাতি গঠনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে এসেছিল, ঠিক একইভাবে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন টু সোমালিয়া (AMISOM) সোমালিয়ায় ‘জাতি গঠনের’ চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৪ বছর ধরে পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়ে আফ্রিকান দেশগুলো এক জোট হয়ে সোমালিয়ায় আল–কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিহাদি সংগঠন আল শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
AMISOM-এর অধীনে উগান্ডা, বুরুন্ডি, জিবুতি, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার হাজার হাজার সৈন্য এক জোট হয়ে আল শাবাবকে প্রতিহত করতে সোমালিয়ার দুর্বল সরকারকে সাহায্য করে আসছে।
দেশটির বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে AMISOM এর হাতে বেসামরিক লোকবল ও পুলিশও আছে।
যেমনটা, আফরাফ ঘানি সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য আফগানের বিশ্বাসঘাতক নাগরিক ও সৈন্যদের পশ্চিমারা ব্যবহার করেছিল।
বছরে প্রায় ৯০ কোটি ডলার খরচ করে আর বহু বছর ধরে সামরিকভাবে অক্লান্ত চেষ্টা করেও, মোগাদিসু সরকার দুর্বলতরই হচ্ছে কেবল। এমনকি, সংখ্যাধিক্যের মত বিবেচনায় আনলেও দেখা যায়, জনগণের কাছে মোগাদিসু সরকারের বৈধতাও খুব একটা নেই।
আল শাবাবের যোদ্ধাদের শহরাঞ্চলে তৎপর না দেখা গেলেও; দেশের বেশির ভাগ গ্রামপ্রধান এলাকা তাদেরই দখলে এবং তারা ইচ্ছা করলে রাজধানীতে ভয়ানক বিপর্যয় ঘটানোর মতো হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখেন।
আফগানিস্তানের মতো সোমালিয়াতেও আল-শাবাব সাময়িকভাবে মোগাদিসু এবং কয়েকটি শহর থেকে পিছু হটার পর, পশ্চিমাদের মরীচিকাময় হিসাব মোতাবেক দেশটিতে কিছু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫-৬ শতাংশ।
কিন্তু এই তথ্যে দুইটি বিষয় উহ্য রয়েছে।
এক, এই প্রবৃদ্ধি ছিল শহরভিত্তিক;
দুই, বিদেশি মনিবদের দান-খয়রাত আর বিদেশে থাকা সেক্যুলার সোমালিয়ানদের দেশে পাঠানো বৈদেশিক অর্থই কাগজেকলমে পাওয়া এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সোমালিয়ায় তৎকালীন ইসলামপন্থীদের সংগঠন ‘দ্য ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস’ ক্ষমতা দখল করে ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ ডাক দেয়।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত ইথিওপিয়ার বাহিনী সোমালিয়ায় ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস (ইউআইসি)-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর সেখানে পশ্চিমাদের ভাষায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।
দ্য ইউনিয়ন অব ইসলামিক কোর্টস সেখানে তালেবানের মতো শরিয়াভিত্তিক শাসন জারি করেছিলেন। তারা দেশটিতে তখন সিনেমা, সংগীত নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং নারীদের পর্দার বিধানের মত শরিয়েতের অত্যাবশকীয় আইন জারি করেছিলেন।
ইথিওপিয়ার সাধারণ জনগণ মুজাহিদদের শাসন আমলে শান্তি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন এবং মানুষ তখন অনেকটা নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারত।
কিন্তু ইথিওপিয়া দখলদারি অভিযান চালানোর পর ইউআইসির শাসনের অবসান ঘটে এবং সেই দখলদার বাহিনী এখন জঙ্গিগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি একটি কলামে লিখেছেন, “আফগানিস্তান থেকে আফ্রিকানদের শিক্ষা নিতে হবে যে, জঙ্গিদের পরাজিত করার জন্য শুধু সামরিক শক্তিই যথেষ্ট নয়।”
সে আরো বলেছে,
‘আফ্রিকা থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে তরবারি নয়, লাঙল দরকার।’
অর্থাৎ সাধারণ জনগণের রুটিরুজির নিশ্চয়তার জন্য আরও বেশি কর্মসংস্থান দরকার।
সরকারের মধ্যে দুর্নীতির আধিক্য ও ইনসাফের ঘাটতি এতই যে, তা সরকারের প্রতি মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করছে।শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা কায়েমের জন্য জনসমর্থনের পাল্লা দিন দিন আল শাবাবের দিকে ঝুকে পড়ছে।
যে পরিস্থিতি আফগানিস্তানে মার্কিন ও পশ্চিমাদের পতনের আগে তৈরি হয়েছিল; একই পরিস্থিতি সোমালিয়াতেও তৈরি হয়েছে।
সোমালিয়ার পরিস্থিতি অনেক আগেই পশ্চিমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন অপেক্ষার পালা। আর কিছুক্ষণ শত্রুদের আঘাত সহ্য করে টিকে থাকতে পারলেই, আফগানিস্তানের মতো সোমালিয়াতেও ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত।
প্রতিবেদক: আসাদ ইরফান
Comment