মুজাহিদীন নিউজ#| ৩০শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৪ ঠা জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

মালি | ফ্রান্সের পালিত মিলিশিয়াদের উপর আল-কায়েদার অভিযানে নিহত ১২ সন্ত্রাসী


মালিতে ২টি মিলিশিয়া গ্রুপের উপর পৃথক হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে ৯ মিলিশিয়া সদস্য নিহত এবং আরও ৩ সদস্য আহত হয়।

আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম’এর মুজাহিদিন মালির মোপ্তি রাজ্যে দুটি স্থানীয় মিলিশিয়া গ্রুপের উপর হামলা চালিয়েছেন। এরমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি, রাজ্যটির ডোরোবোগু এলাকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ৭ ডনসো মিলিশিয়া নিহত এবং আরও ৩ মিলিশিয়া সদস্য আহত হয়।

মুজাহিদিন কর্তৃক দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয় রাজ্যটির ডিগো এলাকায়। এতে স্থানীয় ডাননা মিলিশিয়াদের ২ সদস্য নিহত হয়। হামলার পর নিহত মিলিশিয়াদের অস্ত্রগুলো জব্দ করেন মুজাহিদগণ।

মুজাহিদদের একের পর এক তীব্র হামলায় দিশেহারা হয়য়ে একদিকে দখলদার ফ্রান্স একে একে মালির গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলো থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করছে, অন্যদিকে মুজাহিদরা তখন তাদের দখলমুক্ত করা ভূখণ্ড থেকে ফাসাদ সৃষ্টিকারী অবশিষ্ট অপরাধিদেরকেও সায়েস্তা করে যাচ্ছেন।

এভাবে তারা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে এটাও দেখিয়ে দিচ্ছেন যে- কোন তন্ত্র-মন্ত্র নয়, বরং শরিয়ার ছায়াতলেী রয়েছে প্রকৃত নিরাপত্তা ও মানবমুক্তি।

[Al-Firdaws News]

পশ্চিম আফ্রিকা | নাইজারে আল-কায়েদার অভিযানে ৬ গাদ্দার সেনা নিহত


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সম্প্রতি একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এই ঘটনায় দেশটির কমপক্ষে ১৬ সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সাঁজোয়া যানসহ অনেক অস্ত্রশস্ত্র।

আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬/১২/২০২১ তারিখ নাইজারে দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ সামরিক কাফেলায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে সামরিক বাহিনীর ৬ সদস্য নিহত এবং ১০ এরও বেশি সদস্য আহত হয়েছে।

সম্প্রতি ২:২৮ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে উক্ত হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’।

বিবরণ অনুযায়ী, প্রতিরোধ যোদ্ধারা নাইজারের টোরোডি এলাকার কাছে উক্ত হামলাটি চালিয়েছেন। যাতে ১৬ সেনা ও পুলিশ সদস্য হতাহত হয়। এছাড়াও অভিযান শেষে মুজাহিদগণ প্রচুর পরিমাণ গনিমত অর্জন করেন। যার মধ্যে রয়েছে- ২টি যানবাহন, ২টি PK লাইট মেশিনগান, ৬টি AK রাইফেল, ২০টি PG-7V-প্যাটার্ন ওয়ারহেড এবং ২১টি বুস্টার চার্জ সহ ১টি RPG-7 লঞ্চার, ৪টি হ্যান্ডগান, ২৪টি AK ম্যাগাজিন, বাক্সযুক্ত ও বাক্সমুক্ত গোলাবারুদ ছাড়াও অনেক সামরিক সরঞ্জাম।

এভাবে একের পর ভূখণ্ডে পশ্চিমা দখলদার ও তাদের স্থানীয় দোসরদের অন্যায় আগ্রাসনের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে যাচ্ছেন আল-কায়েদার বৈশ্বিক জিহাদ কনসেপ্ট অনুসারী মুজাহিদগণ। যাতে করে সকল অঞ্চল থেকে একযোগে পশ্চিমা নিপীড়ন আর বৈষম্যের বিশ্বব্যবস্থাকে সমূলে উৎখাৎ করা যায়।

ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই বলছেন, আফগানিস্তানের পর পূর্ব আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চলের মুসলিমরা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে পশ্চিমা ও তাদের দালালদেরকে বিতারিত করে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ নির্মাণের একমাত্র কারজক্রি পথ হচ্ছে নববি মানহাজ অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

[Al-Firdaws News]

ইনফোগ্রাফি || ২০ দিনে পাক-তালিবানের ৪৫ হামলা, হতাহত ১১৭ গাদ্দার সেনা


পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্প্রতি একটি ইনফোগ্রাফি প্রকাশ করেছে। যেখানে গত ডিসেম্বরে দেশটির গাদ্দার বাহিনীর উপর মুজাহিদদের পরিচালিত হামলার বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছর নভেম্বরের ৯ তারিখ থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত একমাসের যুদ্ধবিরতি পালন করে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। কিন্তু পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী এসময়ের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি এবং চুক্তি মানে নি। ফলে পাক-তালিবান যোদ্ধারা পূণরায় গাদ্দার সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলাতে শুরু করেন। সেই সূত্রে তালিবানরা ডিসেম্বরের বাকি ২০ দিনে সামরিক বাহিনীর উপর মোট ৪৫টি হামলা চালান।

এরমধ্যে উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং বাজোর এজেন্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৪টি করে ২৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, বাকি হামলাগুলো চালানো হয়েছে ডেরা ইসমাইল খান, পেশোয়ার, বান্নু, খাইবার এজেন্সি, রাওয়ালপিন্ডি, লাকি মারউত, ট্যাঙ্ক, দারা আদমখেল এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এসব হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনী, পুলিশ, এফসি এবং গোয়েন্দা সদস্যরা।

টিটিপির মতে, এসবের ১১টি হামলা স্নাইপার রাইফেল দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। বাকিগুলোর পাঁচটি অ্যামবুশ, চারটি পাল্টা আক্রমণ, একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দশটি বোমা হামলা এবং সাতটি গেরিলা অভিযানসহ ৭টি টার্গেট কিলিং অপারেশন।

ইনফোগ্রাফিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুজাহিদদের ২০ দিনের এসব সফল অভিযানে গাদ্দার সেনাবাহিনীর ৭৭ সদস্য, পুলিশ বাহিনীর ৩১ সদস্য, ভাড়াটে ৫ সদস্য, গোয়েন্দা বাহিনীর ৩ সদস্য এবং এফসি বাহিনীর ১ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে। যাদের মাঝে নিহতের সংখ্যা ৫০ এবং আহতর সংখ্যা ৬৭ হয়েছে।

[Al-Firdaws News]

আল-কায়েদার হামলায় ৩টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস, নিহত ২৫ মালিয়ান গাদ্দার সেনা


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী কর্তৃক ২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ ডজনেরও বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের গোলাম বাহিনীর উপর একইদিনে ২টি পৃথক হামলা চালানো হয়েছে। গত ২৯/১২/২১ তারিখে মালির কৌলিকারোতে এই হামলাটি চালানো হয়। হামলাটি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে চালানো হয়েছে। যাতে কমপক্ষে ৯ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ সৈন্য আহত হয়েছে।

সম্প্রতি আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ ২:৫০ মিনিটের একটি ভিডিওতে উক্ত হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। যেখানে একজন সম্মানিত মুজাহিদকে বলতে শোনা যায় যে, মুজাহিদদের উক্ত হামলায় ৯ সেনা নিহত এবং ৩ সেনা আহত হয়েছে। আর বাকি সৈন্যরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছে।

ভিডিওটিত অভিযান শেষে মুজাহিদদের প্রাপ্ত গনিমতের কিছু দৃশ্যও দেখানো হয়। যেখানে দেখা যায়, মুজাহিদগণ গাদ্দার সৈন্যদের তাড়িয়ে ৪ গাড়ি, ৮৫টি ভারী মেশিনগান, ৬টি PK মেশিনগান, ২৫টি AK, ১১ টি অ্যামো বেল্ট, ৬৫টি AK-mags সহ প্রচুর সংখ্যক বাক্সবন্দী গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন।

ভিডিওটিতে অপর একন সম্মানিত মুজাহিদ বলেন, মুজাহিদগণ প্রথমে একটি অ্যামবুশ বিস্ফোরণের মাধ্যমে সেনাদের অগ্রসর হওয়া প্রতিহত করেন। অতপর ২য় বিস্ফোরণের পর চতুর্দিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন মুজাহিদগণ। আর তৃতীয় বিস্ফোরণের পর গাদ্দার সেনাদের ৩টি যান ধ্বংস এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়।

একইদিন মালির সিকাসো এলাকায় আরও একটি হামলা চালান মুজাহিদগণ। এই হামলায় কত সেনা হতাহত হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় নি। তবে ‘জেএনআইএম’ কর্তৃক প্রকাশিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, মুজাহিদগণ এই অভিযানে শেষে গাদ্দার সামরিক বাহিনী থেকে ১ টি AK-103, ৫৬টি রাইফেল, ২টি মোটরসাইকেল ও নগদ অর্থ গনিমত লাভ করেন।

এই বরকতময় হামলাগুলোর একদিন পর, মোপ্তি রাজ্যের নিওনোতে আরও একবার সফল হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে ১৫ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও কতক সৈন্য হয়। এছাড়াও মুজাহিদগণ ৩টি গাড়িসহ প্রচুর সংখ্যক বাক্সবন্দী গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন।

এই অভিযানগুলো শেষে মুজাহিদদের প্রাপ্ত গনিমতের কিছু দৃশ্য দেখুন…

[Munshi Abdur Rahman]

আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!

[Rumman Al Hind]

আল্লাহু-আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ! আল্লাহ তা'য়ালা মুজাহিদ ভাইদের জামাত গুলো দৃঢ় রাখুন.. কুফফার বাহিনী গুলো কে ধ্বংস করে দিন, আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

[Said al hindi]

الحمد لله

الله أكبر الله أكبر لا إله إلّا الله

والله أكبر ألله أكبر ولله الحمد