Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ#| ০২রা জামাদিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৬ই জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ#| ০২রা জামাদিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৬ই জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    মালিতে রুশ সেনাদের উপর আল-কায়েদার প্রথম হামলা, হতাহত এক ডজনেরও বেশি


    সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় অভিযান রুখতে যুদ্ধে জড়িয়ত হয়েছিল দখলদার রাশিয়া। সেই লক্ষ্যে দেশটির ভাড়াটে সামরিক কোম্পানি ‘ওয়াগনার’ মালির বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় সংঘাতে জড়াতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেইসাথে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে প্রথমবারের মত হতাহতের শিকার হয়েছে ভাড়াটে বাহিনীটি।

    রাশিয়ার কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠতার জন্য পরিচিত এবং “পুতিনের গোপন বাহিনী” নামে পরিচিত বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থা ‘ওয়াগনার’।

    দখলদার ফ্রান্স দীর্ঘ যুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে যখন একে একে মালির বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছে, তখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে ফ্রান্সর পালিত মালির গোলাম সরকার। কেননা দখলদার ফ্রান্স মালি ছাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এবং তাঁরা ২০১২ সালের ন্যায় রাজধানী বামাকোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছেন।

    এর ফলে ফ্রান্সের গোলাম সরকার নিজেদের খমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে তাদের পূর্বেকার প্রভুদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে আরেক নতুন প্রভু রাশিয়ার দিকে ফিরেছে। সেই সূত্রে দখলদার রাশিয়াও তাদের নতুন গোলামদের রক্ষা করতে নিজেদের বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থা ‘ওয়াগনার’কে মালিতে মোতায়েন করতে শুরু করেছিল।

    স্থানীয় সূত্র জানায় যে ‘ওয়াগনার’ নামক এই ভাড়াটিয়া সামরিক বাহিনীটি ইতিমধ্যে মালিতে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িত হতে শুরু করেছে।

    অঞ্চলটি থেকে প্রেরিত তথ্য অনুসারে, মালির মোপ্তি রাজ্যের বান্দিয়াগাড়া এবং ব্যাঙ্কাস বসতিগুলোর কাছে ভাড়াটিয়া বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাঝে লড়াই শুরু হয়েছে। সূত্রটি জানায়, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এবং রাশিয়ান বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

    সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে যে, সংঘর্ষের সময় ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধাদের কৌশলি গেরিলা হামলায় বড়ধরণের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে রাশিয়ান বাহিনীটি। সেই সাথে এক ডজনেরও বেশি দখলদার ভাড়াটিয়া সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।

    আশা করা হচ্ছে, আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ক্রুসেডার ফ্রান্সের মতো দখলদার রাশিয়ার এই ভাড়াটিয়া সৈন্যরাও খুব শীগ্রই মালি থেকে পালাতে শুরু করবে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বার্ষিক রিপোর্ট || পাক-তালিবানের ২৮২টি অভিযানে ৯৭২ গাদ্দার সেনা হতাহত


    পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরোধ বাহিনীটি পাকিস্তানে তার কার্যকারিতা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরোধ বাহিনীর অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে একটি বার্ষিক ইনফোগ্রাফি সম্প্রচার করা হয়েছে। যাতে ২০২১ সালে সারা দেশে চালানো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অভিযানগুলোর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।

    টিটিপির মুখপাত্র ও প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে সংযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে প্রচারিত উক্ত ইনফোগ্রাফি অনুসারে, ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি’র বীর মুজাহিদগণ গত ২০২১ সালে সিন্ধু রাজ্য ছাড়া রাজধানি ইসলামাবাদসহ দেশের বাকি ১২টি রাজ্যের ১৯টি জেলায় মোট ২৮২টি অভিযান চালিয়েছেন। হামলাগুলিতে পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৯৭২ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।

    অঞ্চল হিসাবে টিটিপির বীর যোদ্ধারা সবচাইতে বেশি হামলা চালিয়েছেন উত্তর ওয়াজিরিস্তানে, ৮১টি। এরপর রয়েছে বাজোর এজেন্সিতে ৬২টি। অপরদিকে রাজ্য হিসাবে টিটিপির হামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যাক সেনা নিহত হয়েছে বান্নুতে, যেখানে টিটিপির বীর যোদ্ধারা অভিযান চালিয়ে ১০০ সেনা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছেন। এরপরে রয়েছে বাজোর এজেন্সি, যেখানে টিটিপির হামলায় সামরিক বাহিনীর ৬২ গাদ্দার সদস্য নিহত হয়েছে।

    অপরদিকে মাস হিসাবে টিটিপির হামলার পরিসংখ্যান ছিল-
    – জানুয়ারীতে: ১৭
    – ফেব্রুয়ারি: ১৫
    – মার্চে: ৩৯
    – এপ্রিলে: ১৬
    – মে: ২১
    – জুনে: ১৬
    – জুলাই: ২৬
    – আগস্টে: ৩২
    – সেপ্টেম্বরে: ৩৭
    – অক্টোবর: ২৪
    – নভেম্বর: ৪
    – ডিসেম্বরে: ৪৫

    যেহেতু ঐবছরের ৯ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামাবাদ প্রশাসন এবং টিটিপির মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, তাই নভেম্বর মাসে টিটিপি সবচেয়ে কম আক্রমণ করেছিল। অপরদিকে পাকিস্তান প্রশাসন যুদ্ধবিরতি ও চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করায় ডিসেম্বরে লক্ষণীয় হারে টিটিপির হামলা বেড়ে যায়।

    উক্ত ইনফোগ্রাফিতে দেখানো হয়েছে যে, ঐ বছর টিটিপি যোদ্ধারা সফল অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের গাদ্দার প্রশাসনের ৬৮৮ সেনা, ১৪২ এফসি, ১২০ পুলিশ, ১৭ গোয়েন্দা এবং লেভিস ফোর্সের ৫ সদস্যকে হত্যা বা আহত করেছেন।

    টিটিপি জানিয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের এসব হামলার মধ্যে তিনটি শহিদী বোমা হামলাও রয়েছে। সব মিলিয়ে টিটিপি কর্তৃক পরিচালিত ২৮২টি হামলায় গাদ্দার প্রশাসনের মোট ৫০৯ নিহত এবং ৪৬৪ সদস্য আহত হয়েছে।

    সেইসাথে মুজাহিদদের হামলায় ২৫টি সামরিক যান, ২৪টি গাড়ি এবং ১২ এরও বেশি সামরিক কাঠামো এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য এই গাদ্দার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যুগযুগ ধরে ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করে ও তাদের সরাসরি ক্ষতি করে আসছে। তাদের ধোঁকা ও প্রতারণার ফিরিস্তি এতই দীর্ঘ যে, সেটা কখনো কখনো হিন্দুত্ববাদী ভারতিয় বর্বর বাহিনীকেও হার মানায়।

    টিটিপি মুজাহিদগণ তাই ঐ গাদ্দার বাহিনীর উপর হামলা ও নির্মূল অভিযান চালিয়ে এই উপমহাদেশের আম মুসলিম জনতা ও বিশ্ব মুসলিমের এক বিরাট খেদ্মত আঞ্জাম দিচ্ছেন বলে মনে করেন হকপন্থী উলামাগণ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার কাবিরা। হে আল্লাহ! টিটিপি মুজাহিদগণ সাহায্য করুন ও পাক মুরতাদ বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দিন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        جزاك الله
        বাটনটিকে খুব মিস করি ...

        Like চিহ্ন আমার পছন্দ নয়!
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা'য়ালা পাকিস্তানের মুজাহিদ ভাইদের দ্বারা নাপাক মুরতাদ বাহিনী কে ধ্বংস করে দিন, আমিন।

          Comment

          Working...
          X