ইয়েমেনে প্রতিরোধ বাহিনী একিউএপি’র অন্যতম সামরিক কমান্ডারের শাহাদাত বরণ
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় প্রতিরোধ বাহিনীটির সামরিক ইউনিটের একজন অন্যতম সিনিয়র কমান্ডার শহিদ হয়েছেন (ইনশাআল্লাহ)।
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপের মিডিয়া শাখা আল-মালাহিম ফাউন্ডেশন সম্প্রতি দুই পৃষ্ঠার একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনীটির অন্যতম সামরিক নেতা আবু উমাইর আল-হাদরামির (রহ.) শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর হামলায় শহিদ (ইনশাআল্লাহ) হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসলাম প্রতিরোধ বাহিনীটির অন্যতম এই নেতা স্থানীয়দের কাছে সালেহ বিন সেলিম নামে পরিচিত। তবে সহযোদ্ধা ও বিশ্বের কাছে তিনি আবু উমাইর আল-হাদরামি নামেই অধিক পরিচিত। জানা যায় যে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রতিরোধ বাহিনীটির এই মহান নেতা ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার শিকার হন।
অতীতের খোরাসান থেকে বর্তমান ইয়েমেন যুদ্ধ:
হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় আল কায়েদার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে শাইখের শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আল-কায়েদার এই সিনিয়র নেতা ৮০ দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের সময়ই তিনি তৎকালীন আল-কায়েদার নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা আমীর শাইখ ওসামা বিন লাদেনের সহযোগীও ছিলেন।
আফগানিস্তানে দখলদার সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের পরে, শাইখ আল-হাদরামি দক্ষিণ ইয়েমেনে নিজের কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তিনি কিছু সময়ের জন্য কারারুদ্ধ ছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পূণরায় জিহাদের পূণ্যভূমি আফগানিস্তানে হিজরত করেন। এসময় তিনি শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্’র সাথে যুক্ত হন এবং আফগানিস্তানে অবস্থান করেন।
তিনি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে মুজাহিদদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। এবং ২০০১ সালে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর আগ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন।
এরপর তিনি ও আরও কয়েকজন মুজাহিদ বাধ্য হয়ে আফগানিস্তান থেকে হিজরত করেন। তখন কয়েকটি দেশ পাড়ি দিয়ে তাঁরা দুই পবিত্র মসজিদের ভূমিতে পৌঁছেন। কিন্তু এখানে ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম আলে-সৌদ সরকার তাদেরকে বন্দী করে এবং আল-হাইর কারাগারে বন্দী করে রাখে। পরে এক বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে তাদেরকে আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার (একিউএপি) মুজাহিদদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তিনি ইয়েমেনে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে মুজাহিদদেরকে নেতৃত্ব দেন। সেই সাথে মুজাহিদদের বীজিত অঞ্চলের আমীর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য যে, ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার মুজাহিদদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে “বিপজ্জনক জিহাদি” বলে মনে করে। কেননা আল-কায়েদা পশ্চিমা বিশ্বের অভ্যন্তরে ক্রুসেডারদের টার্গেট করে যেসব অভিযানগুলো পরিচালনা করেছে, তাঁর সিংহভাগের নেতৃত্বই দেয়া হয়েছে আরব উপদ্বীপ থেকে।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় প্রতিরোধ বাহিনীটির সামরিক ইউনিটের একজন অন্যতম সিনিয়র কমান্ডার শহিদ হয়েছেন (ইনশাআল্লাহ)।
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপের মিডিয়া শাখা আল-মালাহিম ফাউন্ডেশন সম্প্রতি দুই পৃষ্ঠার একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনীটির অন্যতম সামরিক নেতা আবু উমাইর আল-হাদরামির (রহ.) শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর হামলায় শহিদ (ইনশাআল্লাহ) হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসলাম প্রতিরোধ বাহিনীটির অন্যতম এই নেতা স্থানীয়দের কাছে সালেহ বিন সেলিম নামে পরিচিত। তবে সহযোদ্ধা ও বিশ্বের কাছে তিনি আবু উমাইর আল-হাদরামি নামেই অধিক পরিচিত। জানা যায় যে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রতিরোধ বাহিনীটির এই মহান নেতা ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার শিকার হন।
অতীতের খোরাসান থেকে বর্তমান ইয়েমেন যুদ্ধ:
হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় আল কায়েদার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে শাইখের শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আল-কায়েদার এই সিনিয়র নেতা ৮০ দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের সময়ই তিনি তৎকালীন আল-কায়েদার নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা আমীর শাইখ ওসামা বিন লাদেনের সহযোগীও ছিলেন।
আফগানিস্তানে দখলদার সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের পরে, শাইখ আল-হাদরামি দক্ষিণ ইয়েমেনে নিজের কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তিনি কিছু সময়ের জন্য কারারুদ্ধ ছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পূণরায় জিহাদের পূণ্যভূমি আফগানিস্তানে হিজরত করেন। এসময় তিনি শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্’র সাথে যুক্ত হন এবং আফগানিস্তানে অবস্থান করেন।
তিনি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে মুজাহিদদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। এবং ২০০১ সালে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর আগ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন।
এরপর তিনি ও আরও কয়েকজন মুজাহিদ বাধ্য হয়ে আফগানিস্তান থেকে হিজরত করেন। তখন কয়েকটি দেশ পাড়ি দিয়ে তাঁরা দুই পবিত্র মসজিদের ভূমিতে পৌঁছেন। কিন্তু এখানে ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম আলে-সৌদ সরকার তাদেরকে বন্দী করে এবং আল-হাইর কারাগারে বন্দী করে রাখে। পরে এক বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে তাদেরকে আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার (একিউএপি) মুজাহিদদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তিনি ইয়েমেনে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে মুজাহিদদেরকে নেতৃত্ব দেন। সেই সাথে মুজাহিদদের বীজিত অঞ্চলের আমীর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য যে, ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার মুজাহিদদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে “বিপজ্জনক জিহাদি” বলে মনে করে। কেননা আল-কায়েদা পশ্চিমা বিশ্বের অভ্যন্তরে ক্রুসেডারদের টার্গেট করে যেসব অভিযানগুলো পরিচালনা করেছে, তাঁর সিংহভাগের নেতৃত্বই দেয়া হয়েছে আরব উপদ্বীপ থেকে।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান
Comment