Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ#| ১৭ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৯শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ#| ১৭ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৯শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    আশ-শাবাবের এক ইস্তেশহাদি হামলায় উচ্চপদস্থ ১০ কর্মকর্তা সহ ৪০ এরও বেশি গাদ্দার হতাহত

    মধ্য সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনের উপর একটি সফল ইস্তেশহাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শহরে সংঘটিত উক্ত ভারী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। এবং আরও দুই ডজনেরও বেশি কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ উক্ত বীরত্বপূর্ণ অপারেশনটি পরিচালনা করছেন। যা সোমালি গাদ্দার প্রশাসনের সদর দফতরের কাছে হিরশাবেলী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একটি সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে চালানো হয়েছে। এতে গাদ্দার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভারী হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য মতে, আশ-শাবাবের দুর্দান্ত উক্ত শহিদি হামলায় সোমালি গাদ্দার প্রশাসনের অন্ততপক্ষে ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছে:

    - হিরাণ অঞ্চলের সাবেক ডেপুটি গভর্নর।

    - বালদাউইন প্রশাসনের সামাজিক বিষয়ক ডেপুটি চেয়ারম্যান।

    - হিরশাবেলী প্রশাসনের সংসদ সদস্য।

    - বালদাউইনে গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার, যার নাম সংক্ষেপে আবর।

    - ফুডক্যাড, হিরণ আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রাক্তন পরিচালক।

    - গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন ডেপুটি ইনচার্জ, এছাড়াও রয়েছে...

    - হিরাণ রাজ্য প্রশাসনের এক সচিব।

    বিস্ফোরণে গাদ্দার প্রশাসনের আরও ২ ডজনেরও বেশি সদস্য আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে বালদাউইনের ডেপুটি সিকিউরিটি কমিশনার 'দেবঘাদ' এবং বালদাউইনের ডেপুটি ফিনান্স কমিশনার। আহতদের মধ্যে আরও রয়েছে শহরটির একাধিক সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সোমালি সংসদ নির্বাচন কমিটির সদস্য এবং সরকারি মিলিশিয়া সদস্যরা।

    উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি আল-কায়েদা যোদ্ধারা সোমালিয়ার রাজধানী সহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হারাকাতুশ শাবাব খুব দ্রুততার সাথেই তাদের লক্ষ্যপানে ছুটে চলেছেন। তাঁরা সোমালিয়া জুড়ে একটি শক্তিশালী ইসলামি সরকার গঠনে বছরের পর বছর ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পাক-তালিবানের পৃথক হামলায় গাদ্দার প্রশাসনের ৯ এরও বেশি সদস্য হতাহত

    পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি সম্প্রতি দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৯ গাদ্দার সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আঞ্চলিক সূত্রমতে, প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান তাদের প্রথম সফল অভিযানটি চালান গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। যা পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খান জেলায় গাদ্দার পুলিশ বাহিনীর একটি চেক পোস্ট টার্গেট করে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে। এতে পুলিশ চেকপোস্টটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই হামলার মাধ্যমে মুজাহিদগণ ইসলামবিরোধী ২ চাঁদাবাজ পুলিশ সদস্যকেও হত্যা করতে সক্ষম হন।

    এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর ওয়াজিরিস্তানের বোবলি এলাকায় দেশটির গাদ্দার এফসি ফোর্সের একটি কনভয় টার্গেট করে বোমা হামলা চালান মুজাহিদগণ। উক্ত বোমা বিস্ফোরণে এফসি ফোর্সের ৩ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    সর্বশেষ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে পেশোয়ারে একটি পুলিশ পোস্ট টার্গেট করে সফল আক্রমণ চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যেখানে ইসলাম বিরোধী পেশোয়ার পুলিশ বাহিনীর উক্ত পোস্টে মুজাহিদগণ বেশ কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করেন৷ ফলে উক্ত হ্যান্ড গ্রেনেডগুলোর বিস্ফোরণে অন্তত ৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

    এদিকে সফলভাবে আক্রমণটি চালানোর পর নিরাপদে মুজাহিদগণ তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে যান, আলহামদুলিল্লাহ্।

    বিশ্লেষকরা তাই বলছেন, সীমান্তের অপর পার থেকে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত নিয়ে প্রায়শই উত্তেজনে, আর সীমান্তের এই পারে টিটিপি মুজাহিদিনের লাগাতার হামলা - সব মিলিয়ে গাদ্দার পাকি সেনাবাহিনী ও প্রশাসন প্রবল চাপেই রয়েছে।

    আর হক্কানি আলেমগণের মতে, উম্মাহর সাথে পাকি আর্মি ও প্রসাসনের কৃত গাদ্দারির দীর্ঘ যে ইতিহাস, খুব শীঘ্রই হয়তো তাদের কাছ থেকে এর হিসাব করায়-গন্ডায় আদায় করে নিবেন উম্মাহর বীর সন্তান মুজাহিদগণ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালিতে আল-কায়েদার সাথে এক লড়াইয়ে সামরিক বাহিনীর ২২ সেনা হতাহত

      পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনাইএম ও গাদ্দার সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। এতে অন্তত ৮ সেনা নিহত এবং আরও ১৪ সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

      আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বুরকিনা ফাঁসো সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে গাদ্দার মালিয়ান সামরিক বাহিনী ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম এর যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যা কয়েক ঘন্টা যাবৎ স্থায়ী হয়।

      সূত্রমতে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র হামলার মুখে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে গাদ্দার মালিয়ান সামরিক বাহিনী। ফলে এই হামলার ঘটনায় গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ৮ সৈন্য নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও ১৪ সেনা সদস্য। সেই সাথে গাদ্দার সেনাদের ২টি গাড়ি ধ্বংস করেন মুজাহিদগণ। এছাড়াও ৫ সৈন্যকে বন্দী করে নিয়ে যান প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

      এদিকে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় এলিসি প্রাসাদে প্রায় ত্রিশজন আফ্রিকান এবং ইউরোপীয় ক্রুসেডার নেতাদের অংশগ্রহণে মালি মিশন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভা থেকে ঘোষণা করা হয় যে, মালিতে দীর্ঘ নয় বছরের দখলদারত্বের পর দেশটি থেকে দখলদার বাহিনীকে প্রত্যাহার করা হবে।

      ধারণা করা হচ্ছে, মালি থেকে ক্রুসেডার তাকুবা ও বোরখান ফোর্সের প্রত্যাহারের পর এই অঞ্চলে হামলা দ্বিগুণ করবে আল-কায়েদা। এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, আল-কায়েদার সাথে শান্তিচুক্তির জন্য বৈঠকে বসার চেষ্টা করবে দেশটি। কেননা ইতিপূর্বে একাধিকবার দুই পক্ষ বৈঠকে বসার চেষ্টা করেছে। তখন আল-কায়েদার পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয় যে, যদি মালি সরকার দখলদার ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, কেবলমাত্র তখনই আল-কায়েদা সরকারের সাথে বৈঠকে বসবে।

      তবে এখনো প্রশ্ন থেকে যায় যে, আল-কায়েদা কি বৈঠকে বসবে? কেননা এখনো ইউরোপীয় ট্টাস্ক ফোর্স, জাতিসংঘের ব্লু-হেলম্যাট বাহিনী এবং স্থানীয় G5 ফোর্স মালিতে অবস্থান করছে। সেই সাথে নতুন করে মালিতে নিয়ে আসা হয়েছে রাশিয়ান ভাড়াটে সেনাদের।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X