Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি সুসংবাদ!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি সুসংবাদ!

    অনেকেই প্রশ্ন করেন তালেবান দীর্ঘদিন আমরিকার সাথে জিহাদ করে বিজয় অর্জন করেছে। আমরিকা দূর্বল হয়ে গেছে৷ কিন্তু আমরিকা দূর্বল হওয়ার পাশাপাশি রাশিয়া ও চীন ও উত্তর কোরিয়া সহ আরো কয়েকটি রাষ্ট্র শক্তিশালী হয়েছে।তাহলে এক রাষ্ট্র পরাজিত হবে আবার আরেক রাষ্ট্র শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এভাবে কি যুদ্ব করেই যাবে?কখন সব তাগুতিশক্তি ধ্বংস হবে?
    এ প্রশ্নের উত্তর পবিত্র কোরআন ও ইতিহাস একটু গভেষনা করলেই পেয়ে যাবেন। এবার আসুন আমরা সুরা রোমের প্রথম কয়েকটি আয়াত নিয়ে গভেষনা করি। মহান আল্লাহ বলেনঃ

    الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾غُلِبَتِ الرُّوۡمُ ۙ﴿۲﴾ فِیۡۤ اَدۡنَی الۡاَرۡضِ وَ ہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ غَلَبِہِمۡ سَیَغۡلِبُوۡنَ ۙ﴿۳﴾ فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ لِلّٰہِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَ مِنۡۢ بَعۡدُ ؕ وَ یَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾ بِنَصۡرِ اللّٰہِ ؕ یَنۡصُرُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۵﴾

    ১.আলিফ -লাম- মিম ২.রোমকরা পরাজিত হয়েছে।৩.নিকটবর্তী এলাকায় এবং অগ্র - পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগন আনন্দিত হবে।৫. আল্লাহর সাহায্য। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।( সুরা রুম)

    পারসিকদের সাথে রোমকদের যুদ্ব বাধে। মক্কার কাফেররা ছিলো পারসিকদের পক্ষে । কেননা পারসিকরা ছিলো মূর্তিপূজক। আর রোমকরা ছিলো পারসিকদের তুলনায় ধর্মের দিক থেকে ইসলামের নিকটবর্তী। ফলে মুসলিমরা চেয়েছিলো রোমকদের বিজয়।কিন্তু যুদ্বে পারসিকরা বিজয় লাভ করে। ফলে মক্কার কাফিররা আনন্দে আত্নহারা হয়ে উঠে। তারা মুসলিমদের বলতে লাগলো তোমরা যাদের সমর্থন করতে তারা পরাজিত হয়েছে । তারা আরো বলে রোমক যেভাবে আজ পরাজিত হয়েছে তোমরাও সেভাবে একদিন আমাদের কাছে পরাজিত হবে।এতে মুসলিমরা আন্তরিকভাবে দুঃ খিত হয়।আর সুরা রোমের প্রথম আয়াতগুলো এ সম্পর্কে নাযিল হয়।কয়েক বছর পরেই রোমকরা পারসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় হয়। মহান আল্লাহ বলেনঃ
    সেদিন মুমিনগন আনন্দিত হবে।৫. আল্লাহর সাহায্যে তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।( সুরা রুম)
    তাফসীরে মারিফুল কোরআনে বলা হয়েছে।
    [এখানে মুসলমানদের সাহায্যও বোঝানো যেতে পারে। দুই কারনে এটা সম্ভব পর।(এক)মুসলমানরা রোমকদের বিজয়কে কোরআন ও ইসলামের সত্যতার প্রমানস্বরুপ পেশ করেছিলো। তাই রোমকদের বিজয় প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের সাহায্য ছিলো। (২)তখনকার দিনে পারস্য রোম সাম্রাজ্যই ছিলো কাফেরদের দুই পরাশক্তি। আল্লাহ তায়ালা তাদের এককে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে উভয়কে দূর্বল করে দেন, যা ভবিষ্যতে মুসলমানদের বিজয়কে পথ প্রশস্ত করেছিলো। ( রুহুল মাআনী)
    এবার একটু ভেবে দেখুন রাসূল সাঃ এক দিকে মক্কার কাফেরদের সাথে যুদ্ব করে কাফেরদের শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। অপরদিকে আল্লাহ দুই পরাশক্তি রোম ও পারস্য কে মাঝে যুদ্ব লাগিয়ে দিয়ে তাদের উভয়কেই দূর্বল করে দিয়েছেন। ফলে মুসলিমরা এক সময় রোমও বিজয় লাভ করেছে।
    এবার আমরা আরো একটু পরের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবো। উসমানিয়রা ও মামলুকরা যখন তাতারীদের বিরুদ্বে প্রবলভাবে জিহাদ করছিলো। তখন ক্রুসেডার মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে উঠার কথা ছিলো। কিন্তু না! উসমানিয়রা যখন তৎকালীন সবচেয়ে মারাত্মক জালিম তাতারীদের দমন করতেছিলো ঠিক তখন ক্রুসেডারদের মধ্য অনৈক্য,কুসংস্কার, পোপের সাথে রাজাদের দ্বন্দ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারী দেখা দেয়।ব্লাক ডেথ ও দুর্ভিক্ষে উজাড় হয়ে যায় ইউরোপের এক তৃতীংয়াশ মানুষ।ফলে উসমানীয়রা তাতারীদের দমনের পাশাপাশি ক্রুসেডারদেরকেও দমন করতে সহজ হয়ে যায়।এদিকে তাতারীদের ভিতর থেকেও মুসলমান হওয়া শুরু হয়।স্বয়ং অনেক তাতার শাসকও মুসলমান হয়ে যায়।
    এবার আমরা বর্তমান অবস্থার দিকে তাকাই।আমরিকা ছিলো এক পরাশক্তি। দীর্ঘদিন ইয়েমেন, ইরাক, আফগান,সিরিয়ায় যুদ্বের কারনে তাদের দানবীয় অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে।যুদ্বে তাদের অনাস্থা চলে আসে। যার কারনে তারা সব দিক থেকে আস্তে আস্তে যুদ্ব থেকে নিজেদের যখন ঘুটিয়ে নিচ্ছিল। ঠিক তখন তাদের উপর এখন অর্থনৈতিক আরেক ধাক্কা আসে।আর তা হলো ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ব। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য যেখানে আমরিকা যুদ্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সেখানে এখন অনিচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ব জড়াতে হচ্ছে।
    এখন আমরিকা দূর্বল থেকে আরো দুর্বল হচ্ছে।রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিজেদের ঐক্যের মাঝে যেকোন সময় মারাত্মক ফাটল দেখা দিতে পারে। ফলে আমরিকা ধ্বংস হবে ইনশাআল্লাহ। অপরদিকে রাশিয়া এতদিনেই অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠলেও
    ইউক্রেনে যুদ্বের কারনে তারাও আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই এসব পরাশক্তির পতন হবে ইনশাআল্লাহ। আর এটা একমাত্র জিহাদের বরকত। যারা বলেন এতদিনে চিন রাশিয়া অনেক শক্তি অর্জন করেছে তারা দেখবে শীঘ্রই এসব শক্তির পতন হবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন মুসলিমদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে কনস্টান্টিনোপলের দেওয়াল ধ্বসে পড়বে।
    আসলে আমাদের কাজ আল্লাহ হুকুম মানা। বিজয় আল্লাহর হাতে। বিজয়ের জন্য কোরআন ও হাদিসের বাহিরে গিয়ে অন্য কোন পথ বেচে নেওয়া আমাদের কাজ নয়। সে পথ যতই সহজ দেখা যাক না কেন। যাকাত দিলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখা সম্পদ কমে যায়। রোজা রাখলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখা যায় স্বাস্থ্য কমে যায়। কিন্তু আসল বিষয়টা তা নয়৷ বরং সম্পদ বাড়ে ও পবিত্র হয়। রোজা রাখলে স্বাস্থ্যের ভালো হয়। বিয়ে করলে বাহ্যিকভাবে দেখা যায় খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু না। বরং আল্লাহ সুরা নূরে বলেছেন বিয়ের মাধ্যমে অভাব দূর হয়।সুতরাং জিহাদ না করে অন্যভাবে দ্বীন কায়েমের পথ যত সহজই দেখা যাক না কেন দ্বীন কায়েম সম্ভব নয়।জিহাদের বরকতই একদিন কালেমার পাতাকা সারা বিশ্বে উড়বে। ইনশাআল্লাহ।




  • #2
    বান্দার চেষ্টা এবং কর্তব্য যেখানে শেষ হয়ে যায় তখন আল্লাহর সাহায্য শুরু হয়ে যায় সুতরাং বান্দার কাজ ছিল খেলাফত কায়েম করা এবং এটাই হল তাদের শেষ চেষ্টা এবং আফগানিস্তানের মুসলমান যেহেতু তা পালন করেছেন এবং এর বেশী তাদের করার ক্ষমতা নেই তাই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর সাহায্য শুরু করে দিয়েছেন।কারণ বান্দার শেষ চেষ্টার মাধ্যমেই বান্দাটি পরিক্ষিত হয়ে যায় আর আল্লাহ পরিক্ষা অনুযায়ী ফলাফল দেন আর আল্লাহর সাহায্য এমন বিষয়ে হয়ে থাকে যেখানে বান্দার ক্ষমতা নেই আর এটাই এখন বিশ্বে প্রকাশিত হচ্ছে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লহ্ !!
      অনেক উপকারী বিষয়।

      Comment


      • #4
        যাযাকাল্লাহ ভাই।

        Comment

        Working...
        X