Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ#| ১৪ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৮ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ#| ১৪ই শাবান, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৮ই মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    বামিয়ান প্রদেশ থেকে ৬ মাসে তালিবান সরকারের রাজস্ব ১৬২ মিলিয়ন

    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান সরকার দেশটির বামিয়ান রাজ্যের কয়োটি বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়লা খনি চালু করেছেন। এসবের মধ্যে শুধু “দোয়াব মিখোজারিন” কয়লা খনি থেকেই গত ছয় মাসে ৭৬ মিলিয়ন রাজস্ব আয় করেছে সরকার।

    বামিয়ানের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন যে, গত ছয় মাসে বামিয়ান প্রদেশের কাহমার্দ জেলার ‘দুয়াব মিখাজরিন’ কয়লা খনি থেকে ইমারাতে ইসলামিয়ার তালিবান সরকারের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৬ মিলিয়ন আফগানি যোগ করা হয়েছে।



    বামিয়ান প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র সবুর সিগানি বলেছেন, এই কয়লা খনিটি ছাড়াও গত ৬ মাসে জেলাটির আরও বেশ কয়েকটি খনি থেকে রাজস্ব এসেছে।
    সিগানির মতে, এই খনিগুলি থেকে উচ্চ-টন কয়লা খনন করা হচ্ছে। এরমাধ্যমে শুধু তালেবান সরকার রাজস্বই পাচ্ছে না, বরং শত শত লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছে এখানে।

    ‘সাবাহ নিউজ’ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তালিবান সরকার গত ছয় মাসে, শুধু বামিয়ান প্রদেশ থেকেই মোট ১৬২ মিলিয়ন আফগানি সংগ্রহ করেছে।

    এছাড়াও মোস্টফিট দ্বারা ৬৬,৭০০ এর বেশি আফগানি এবং কৃষি বিভাগ থেকে ১৯,৪০০,০০০ আফগানি রাজস্ব সংগ্রহ করেছে সরকার।

    উল্লেখ্য যে, বামিয়ানের কাহমর্দ জেলার ‘দোয়াব মিখোজরিন’ কয়লা খনিটি পূর্ববর্তী পুতুল সরকারের আমলে বহু বছর ধরে বন্ধ ছিল। কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এই শীতে খনিটিতে আবারও খনন কাজ শুরু হয়েছে।

    এভাবেই একে একে নতুন-পুরানো সকল আর্থিক প্রকল্পগুলো চালু করে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করে চলেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসন। বিশ্লেষকরা তাই আশা করছেন, বিশ্ববাসীর ধারণার অনেক আগেই হয়তো তাবিলান সরকার আফগানিস্তানকে আর্থিক, সামরিক ও রাজনৈতিক – সকল দিক থেকেই শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ্‌।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার আশ-শাবাবকে রুখতে মোগাদিশু সরকারকে সামরিক সহায়তা দিল চীন



    কমিউনিস্ট চীনা সরকার মোগাদিশুর গাদ্দার সরকারকে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করার জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চীন মোগাদিশু প্রশাসনের কাছে সামরিক যান, অ্যাম্বুলেন্স, পানির ট্যাঙ্কার, মাইন ডিটেক্টর এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। এগুলো জাহাজে করে মোগাদিশু বন্দরে পাঠানো হয়েছে।ইসলামের ও মুসলিমের শত্রু উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা গ্রহণ করেছে গাদ্দার সোমালি সরকার।তাছাড়াও, পূর্ব আফ্রিকায় চীনের বিশেষ দূত জুই বিং গত ১৭ মার্চ সোমালিয়া সফর করেছে।এটি উল্লেখযোগ্য যে, পূর্ব আফ্রিকায় চীনের কার্যক্রম সম্প্রতি গতি পেয়েছে। মনে করা হয় যে, চীন পুরো হর্ন অফ আফ্রিকা জুড়ে তার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে চলেছে।গত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সোমালিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করার পরে, সেক্যুলার তুরস্কও এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা শুরু করেছে।অন্যদিকে, এই অঞ্চলে আশ-শাবাবের পুনরুত্থান এবং চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ায় পুনরায় তাদের সেনা মোতায়েন করার কথা ভাবছে।তবে উম্মাহর এই শত্রুদের সকল চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকে পাশে সরিয়ে আশ-শাবাব মুজাহিদিন তাঁদের দ্বীন কায়েমের মহান কার্যক্রম পূর্ণ উদ্যমে চালিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।





    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সোমালিল্যান্ডের প্রভাবশালী আলেমের আশ-শাবাবে যোগদান, চিন্তায় ইসলামের শত্রুরা

      সোমালিয়ার উত্তরে স্বায়ত্তশাসিত সোমালিল্যান্ড অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী আলেম শেখ আদান সুনে আশ-শাবাবে যোগ দিয়েছেন।

      সোমালিল্যান্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে জানা গেছে যে, শেখ আদান সুনে, যাকে বেশ কয়েকদিন ধরে “নিখোঁজ” হিসাবে দেখানো হয়েছিল, তিনি উত্তরাঞ্চল ছেড়ে সোমালিয়ার দক্ষিণে চলে গেছেন।

      বলা হয়েছে যে, বর্তমানে তিনি আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রিত জিলিব অঞ্চলে বসবাস করছেন। শেখ আদান এখন জিলিব অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেম শাইখ আবদুর রহমান ওয়াসিমের সাথে অবস্থান করেছেন। এখানে শেখ আদান তার পরিবারের সাথে বসতি স্থাপন করেছেন।

      সরকারি রিপোর্টে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সোমালিল্যান্ড থেকে শেখ আদানকে সরিয়ে দিয়ে, কারা তাকে আশ-শাবাবের সাথে মিলিত হতে সহায়তা করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।

      জানা যায় যে, আশ-শাবাবের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে শেখ আদান সোমালিল্যান্ড অঞ্চলের সবচাইতে প্রভাবশালী একজন আলেম ছিলেন। যার দ্বীনি মজলিশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতো। তিনি যুবকদের তাওহীদের উপর একত্রিত করতেন এবং ইসলামি শরিয়াহ্’র গুরুত্ব বুঝাতেন। ফলে যুবকদের বড় একটি অংশের মাঝেই তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তিনি যুবকদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানেও উৎসাহিত করতেন।

      আর একারণে তিনি যুবকদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো অভিযোগের সম্মুখীন হন। এবং সরকার তাকে ২০১৯ সালে বন্দী করে। কিন্তু তাঁর প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর সমর্থনের ফলে তাকে বেশি দিন বন্দী করে রাখা যায়নি। ফলে ঐবছর সরকার শেখ আদানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

      সম্প্রতি শেখ আদান হাফিজাহুল্লাহ্’র আশ-শাবাবে যোগদান সোমালিল্যান্ড ও সোমালি সরকার জন্য মরণ কামড় হয়ে দাড়িয়েছে।

      অনুমান করা হচ্ছে যে, শেখ আদান হাফিজাহুল্লাহ্’র আশ-শাবাবে যোগদান সোমালিল্যান্ড ও সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের প্রভাব আরও কয়েকগুণ বাড়াতে পারে। কেননা সোমালিল্যান্ডে তাঁর হাজার হাজার ছাত্র ও পুরো সোমালিয়া জুড়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী ও ভক্তবৃন্দ।

      এভাবেই আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়, মুজাহিদদের কৌশলের কাচে পরাজিত হয় ইসলামের সত্রুরা, এমনটাই বলেছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X