Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ #| ১৫ ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।।১৭ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ #| ১৫ ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।।১৭ই মে, ২০২২ ঈসায়ী।

    আশ-শাবাবের বিজয় ধারা রুখতে সোমালিয়ায় ফের সেনা পাঠাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


    ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমালিয়ায় মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের শত শত সদস্যকে মোতায়েন করার জন্য সেনাবাহিনীকে অনুমোদন দিয়েছে। যার লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে আশ-শাবাবের বিজয় অভিযান পতিহত করা।

    জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে পেন্টাগনকে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আশ-শাবাব সম্প্রতি সোমালিয়ায় তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের সীমানা বাড়িয়েছে। সেই সাথে ট্রাম্পের আমলে সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়টাকে পূর্ণাঙ্গরূপে কাজেও লাগিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব।

    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের এই অভিযানে মূলত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের নেতাদেকে লক্ষ্যবস্তু করা।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কথিত “সন্ত্রাস-বিরোধী” উপদেষ্টা এলিজাবেথ শেরউড-র্যান্ডাল কর্তৃক সোমালিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরে বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। শেরউড-র্যান্ডাল এবং তার দল সোমালিয়ায় সামরিক অভিযান মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় 2021 সালের অক্টোবরে সোমালিয়া, জিবুতি এবং কেনিয়া সফর করেছিল।

    জানা যায় যে, সন্ত্রাসী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিন সোমালিয়ায় নতুন করে স্পেশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েনে বাইডেনের নতুন এই সিদ্ধান্তে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। সে এবং শেরউড-র্যান্ডালের দল বাইডেনকে এমন সীদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।

    সন্ত্রাসী দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই সিদ্ধান্তটি এই কারণে নেওয়া হয়েছে যে, এটি আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে আরও কার্যকর ও সক্ষম করে তুলবে”।

    এছাড়াও, ওয়াটসন বলেছে, “এই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীর সামরিক কার্যকারিতা সর্বাধিক করতে এবং আমাদের অংশীদারদের আরও দক্ষ করে তুলতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের মিত্রদের সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ‘স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি’ পুনঃনিয়োজিত করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।

    এদিকে ‘ওয়াটসন’ আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় মোতায়েনকৃত বিশেষ বাহিনীর সেনা সদস্যদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্দিষ্ট করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন যে, আশ-শাবাবের আক্রমণ মোকাবেলা করতে প্রাথমিকভাবে ৪৫০ সেনাকে সোমালিয়ায় পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য যে, এমন এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূণরায় সোমালিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে, যখন মার্কিন সেনারা আশ-শাবাবের হাতে মার খেয়ে একবার সোমালিয়া ছেড়েছে। আর প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবও দেশের বৃহত্তর অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঘোষিত একটি ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একই সাথে আফ্রিকান জোটের অংশীদার দেশগুলোর সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।

    তাই প্রশ্ন জাগে! আশ-শাবাবকে রুখতে আমেরিকার এই সল্প সংখ্যক সৈন্য কি যথেষ্ট হবে। যখন পূর্বে কয়েক হাজারের বিশাল সেনাবাহিনী নিয়েও পরাজয়ের গ্লাণি মাথায় নিয়ে পালিয়েছে তারা। নাকি এটা শুধুই সন্ত্রাসী অ্যামেরিকার লোকদেখানো ভেল্কিবাজি, কিংবা নিজেকে জাহির করার শেষ চেষ্টা?
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    তালিবান সরকার কর্তৃক আফগানিস্তানে মাদকের আবাদ ধ্বংস


    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন দেশটিতে মাদকের চাষ ও ব্যবসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পর দেশের দক্ষিণে পপি ক্ষেত ধ্বংস করা শুরু করেছে।

    দেশটির ‘বাখতার নিউজ এজেন্সি’এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের মাদকবিরোধী কমিশন দেশটির দক্ষিণে হিলমান্দ প্রদেশে পপি চাষের ক্ষেত ধ্বংস করতে শুরু করেছে।

    হিলমিন্দ প্রদেশের ছয়টি জেলায় শুরু হওয়া অভিযানে ট্রাক্টরের সাহায্যে পপির আবাদ করা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।

    আফগানিস্তানে মাদক নিষিদ্ধ :

    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে সারা দেশে পপি চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    আর ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতা ও আমীরুল মুমিনিন শাইখ হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা (হাফি.) কর্তৃক জারি করা ডিক্রির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।



    সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ডিক্রিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল:

    ইমারাতে ইসলামিয়ার আমিরের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, আজ থেকে সমস্ত আফগানকে জানানো হচ্ছে যে, দেশের সমস্ত অঞ্চলে পপি চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    যদি কোনো ব্যক্তি এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে সে যে পপি রোপণ করেছে তা অবিলম্বে ধ্বংস করা হবে। সেই সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে শরিয়া আইন অনুযায়ী আচরণ করা হবে।

    এছাড়াও, এটি ব্যবহার, পরিবহন, বাণিজ্য, রপ্তানি ও আমদানি নিষিদ্ধ। সেই সাথে অ্যালকোহল, হেরোইন, ট্যাবলেট কে, হাশিশ এব সমস্ত ধরণের মাদকদ্রব্য ও মাদক উৎপাদনকারী কারখানায় কাজ করাও আইনগত অপরাধ ও নিষিদ্ধ।

    এই সিদ্ধান্তের মানা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের বিচার বিভাগ দ্বারা বিচার করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।

    আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্ব ও মাদক:

    একই ধরনের সিদ্ধান্ত ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে নেওয়া হয়েছিল, যখন তালিবান সরকার প্রথমবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। ২০০০ সালের মধ্যেই তালিবান পপি চাষ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে। আর তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে, আফগানিস্তানে মাদক উৎপাদন শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।



    কিন্তু ক্রুসেডার মার্কিন আগ্রাসনের প্রাদুর্ভাবের পর আফগানিস্তানে মাদকের উৎপাদন অভূতপূর্ব রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। মূলত দখলদারদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবেই এমনটা ঘটেছিল।

    আর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেও তালিবান সকল প্রকার মাদকের বিরুদ্ধে তাদের পূর্বতন কঠোরতা বজায় রেখেছেন বলেই প্রতীয়মান হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X