Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ৯ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ৮ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ৯ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ৮ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    যুদ্ধবিরতির মধ্যেই টিটিপি’র শীর্ষস্থানীয় ৩ কমান্ডারকে শহীদ করল গাদ্দার পাকিস্তান

    বিগত কয়েকমাস ধরেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে চলছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি এবং ইসলামাবাদ প্রশাসনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। আর এই আলোচনা টিমেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সহ টিটিপি’র শীর্ষস্থানীয় ৩ জন উমারাকে শহীদ করেছে গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনী।
    বিবরণ অনুযায়ী, গাদ্দার পাকি সামরিক বাহিনীর এই হামলায় টিটিপি’র প্রথম সারির সিনিয়র এক কমান্ডারও শহীদ হয়েছেন। যাকে ধরতে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।
    সূত্র মতে, পূর্ব আফগানিস্তানে এই হামলাটি চালানো হয়েছে। এতে পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) অন্যতম কমান্ডার শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানি শহীদ হয়েছেন। যাকে টিটিপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে গণ্য করা হতো।
    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বিরমিল জেলায় বোমা হামলার মাধ্যমে টিটিপি’র শীর্ষ নেতাদের গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে পাকিস্তান। শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানির গাড়ি লক্ষ্য করে পরিচালিত বোমা হামলায় তিনি ছাড়াও টিটিপি’র আরও ২জন কমান্ডার শহীদ হন।
    আঞ্চলিক সূত্র জানায় যে, খোরাসানি ছাড়াও টিটিপি কমান্ডার হাফিজ দৌলত এবং মুফতি হাসানও হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
    টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি (হাফিজাহুল্লাহ্) নিশ্চিত করেছে যে, বোমা হামলায় শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানি শহীদ হয়েছেন। অপরদিকে পাকিস্তানি মিডিয়া দেশটির সামরিক সূত্রের বরাতে জানায় যে, এই হামলাটি আমেরিকার গোলাম মুরতাদ পাকি গোয়েন্দাদের সঙ্গে যুক্ত গাদ্দার বাহিনী চালিয়েছে।
    শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানিকে (রহি.) পাকিস্তানের পাশাপাশি ক্রুসেডার সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। তাঁর মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ মিলিয়ন ডলার।
    শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানি (রহি.) টিটিপি’র শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে টিটিপি এবং গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসনের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন। যেখানে তিনি টিটিপি’র প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
    শাইখ খোরাসানির এই শাহাদাত স্পষ্টই চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনার সরাসরি লঙ্ঘন। যার মাধ্যমে গাদ্দার পাকিস্তান আবারো প্রমাণ করলো যে, তারা কখনোই শান্তি চায় না। তারা আলোচনা চলাকালীন এই হামলার মাধ্যমে তাদের অতীত চেহারা আবারো স্পষ্ট করে দিয়েছে, যখন তারা ইতিপূর্বেও আলোচনা থেকে ফেরার পথে টিটিপির একজন আমীরকে শহিদ করেছিলো। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের এই গাদ্দারির ফলে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শেষ করবে এবং আবারো লড়াইয়ের ময়দানেই গাদ্দার পাকি সেনাদের উচিৎ শিক্ষা দিবেন।
    শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানি (রহ.) টিটিপি’র প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যে একজন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামা’আতুল আহরার’এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পরে তাঁর দল বিগত সময়ে টিটিপিতে পুনরায় যোগদান করেছিল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    [QUOTE=Al-Firdaws News;n182667]যুদ্ধবিরতির মধ্যেই টিটিপি’র শীর্ষস্থানীয় ৩ কমান্ডারকে শহীদ করল গাদ্দার পাকিস্তান

    ‎‎‎إِنَّا لِلَّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
    যদিও খুব কষ্ট লেগেছ,কিন্তু ধীরে ধীরে মন থেকে এই গাদ্দার পাকিস্তানেরর প্রশাসনেরর প্রতি ঘৃণা থেকে শত্রুতা জন্ম নিয়েছে।আসা করি আগামী দিনগুলিতে এর দাত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ। ‎‎‎
    “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

    Comment


    • #3
      যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালে এই নিয়ে কতবার হল ?
      শায়েখ আইমান আয-যাওয়াহিরি সাহেবকে নিয়েও রয়েছে ঝটলা ।
      এদিকে দেশ চালাতে গিয়ে তালেবানের নেতারাও জনসম্মুখে ।
      তাও আবার হামলার স্থান আফগানিস্তানে ।
      মিডিয়ার উচিত আমাদর সামনে এই যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা ।


      নেতাশূণ্য হলে কি ঐক্য থাকবে ? এখানে আবার বাংলাদেশের অনেকে বলে যে, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের জনসম্মুখে আসতে হবে । এরা কি উসমান রাযিঃ এর সময়ের ঘটনা ভুলে গেছে ? আবু বকর ও উমর রাযিঃ এর সময়ে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ মদীনায় ছিলেন যার কারণে সকল মানুষের দৃষ্টি এক জায়গায় ছিল । কিন্তু উসমান রায়িঃ এর সময়ে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেন । যার ফলে মানুষের দৃষ্টিও একেক এলাকায় চলে যায় । বাংলাদেশেও প্রকাশ্যে আসার প্রয়োজন আছে তবে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ কখনও না । আমি ব্যক্তিগতভাবে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে আসাকে মারাত্মকভাবে অপছন্দ করি । আমি যদি বুক ছিঁড়ে দেখাতে পারতাম তবে হয়ত দেখনেওয়ালা বলত ছিহ্, তর্ হৃদয়ে এই বিষয়ে এত ঘৃণা !
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment

      Working...
      X