Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১০ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ৯ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১০ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ৯ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    কেনিয়া | আশ-শাবাবের পৃথক অভিযানে গোয়েন্দা সহ ১৮ ক্রুসেডার নিহত



    পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় দেশটির ক্রুসেডার বাহিনীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছেন সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে দেশটির অসংখ্য ক্রুসেডার সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৭দিনে দেশটিতে ১৭টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।

    সর্বশেষ গতকাল ৮ আগষ্ট দুপুরে দলটির প্রতিরোধ যোদ্ধারা কেনিয়ার মান্দিরা অঞ্চলে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানটি রাজ্যটির ইলি জেলায় কেনিয়ার বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। সরকারি সূত্র মতে, আশ-শাবাবের উক্ত হামলায় ক্রুসেডার বাহিনীর ৬ সৈন্য হতাহত হয়েছে।এই অভিযানের একদিন আগে কালবায়ু শহরে কেনিয়ান সেনাদের অন্য একটি ঘাঁটিতে হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে অন্তত ৮ ক্রুসেডার সেনা হতাহত হয়।

    এর আগে গত ২ আগষ্ট কেনিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। যার প্রথমটি চালানো হয় মান্দিরা রাজ্যের আইল-রামু এলাকায়। যেখানে ক্রুসেডার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালান হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এতে ৫ সেনা নিহত এবং আরও ৩ সেনা গুরুতর আহত হয়।একই তারিখে ‘ইলওয়াক’ শহরের উপকণ্ঠে আরও একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। যেখানে আশ-শাবাব যোদ্ধারা কেনিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার বেশ কিছু সদস্যের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালান।

    ফলে উক্ত অভিযানে কেনিয়ান দুই গোয়েন্দা সদস্য মুজাহিদদের হাতে নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।সোমালিয়ার পর ইথিওপিয়া ও কেনিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে আশ-শাবাবের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের মুসলিমরা যে পশ্চিমা-জোট ও তাদের ব্যর্থ গনতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের ছায়াতলে নিরাপত্তাবোধ করছে, সেটাও এখন প্রমাণিত সত্য বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আশ-শাবাবের শহীদি হামলায় মার্কিন প্রশিক্ষিত ৫ অফিসার সহ ৬১ সেনা হতাহত



    সোমালিয়ায় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসীদের তল্পিবাহক ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নে শহিদী হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ৩ অফিসার সহ গরগর ফোর্সের ৪২ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।

    বিবরণ অনুযায়ী, গত ৭ই আগষ্ট ভোরে সোমালিয়ার কালবির অঞ্চলে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী ও সোমালি বাহিনীর যৌথ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি বীরত্বপূর্ণ শহিদী হামলা চালানো হয়েছে। হামলাটি ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী কর্তৃক প্রশিক্ষিত ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নকে টার্গেট করে চালানো হয়। যাতে প্রায় অর্ধশতাধিক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।

    আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের উক্ত শহিদী হামলায় মার্কিন তল্পিবাহক ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার জেনারেল “টেকার সিবাগলি” এবং কালব শহরের সামরিক কমান্ডার সহ আরও ৩ অফিসার নিহত হয়েছে। এই হামলায় হাতাহত হয়েছে ‘গরগর’ ফোর্সের আরও ৪২ এরও বেশি সেনা সদস্য।

    এদিকে গত ২ আগষ্ট সোমালিয়ার হাইরান রাজ্যে একটি তীব্র লড়াই সংঘটিত হয় হারাকাতুশ শাবাব ও সোমালি গাদ্দার সেনাদের মধ্যে। যেখানে হারাকাতুশ শাবাব নিয়ন্ত্রিত রাজ্যের মাতবান এবং মাহাস শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে সোমালি বাহিনী। এসময় হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন গাদ্দার বাহিনীকে টার্গেট করে তীব্র হামলা চালান। ফলে মোগাদিশু কেন্দ্রীক সোমালি গাদ্দার বাহিনী যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে ততক্ষণে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের তীব্র হামলায় ১৯ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়।

    সার্বিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন হামলার ফলাফল বিবেচনায় ইসলামি বিশ্লেষকগণ বলছেন, সোমালিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ ভূমি জুড়ে খুব শীঘ্রই একটি শক্তিশালী ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে হারাকাতুশ-শাবাব। এর ঘোষণা কেবল কৌশলগত কারণেই স্থগিত রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুবা গাদ্দার-ক্রুসেডার জোট বর্তমানে আশ-শাবাবকে ঠেকিয়ে রাখার মতো অবস্থানে নেই বলে মত তাদের।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বেনিনে আল-কায়েদার কার্যক্রম পরিচালনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা



      আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বেনিনে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করেছে।

      গত দেড় বছর ধরেই বেনিনের উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে আল-কায়েদা। যার কয়েকটির দায়ও স্বীকার করেছে প্রতিরোধ বাহিনীটি। তবে সেখানে দলটির সদস্যদের সরাসরি উপস্থিতি আছে কিনা তা ছিলো অজানা। মনে করা হতো, প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিবেশি দেশের সীমান্ত হয়ে দেশটিতে হামলা চালাচ্ছেন। তবে নতুন করে এই ঘোষণার মাধ্যমে ‘জেএনআইএম’ দেশে আনুষ্ঠানিক উপস্থিতির জানান দিয়েছে।

      আয-যাল্লাকা মিডিয়াসূত্র কর্তৃক সরবরাহকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জেএনআইএম বেনিনে তাঁর উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। যেখানে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে দেখা যায় ‘বারিবি’ (স্থানীয়) ভাষায় জনসাধারণকে সম্বোধন করে বক্তব্য দিচ্ছেন। গত রবিবার স্থানীয় ভাষায় প্রচারিত ভিডিওটিতে জনগণকে শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শরিক হওয়ার জন্য প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’এ যোগ দিতে বলা হয়।

      ভিডিওতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে রাশিয়া-নির্মিত AK-103 এবং সার্বিয়া-নির্মিত Zastava M05E1 দেখা গেছে। এগুলো ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর কাছ গনিমত হিসাবে পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

      অন্যদিকে আরও জানা গেছে যে, দেশটির উত্তরের কয়েকটি প্রো-জিহাদি দল ইতিমধ্যে জেএনআইএম নেতা শাইখ ইয়াদ আল-গালি (হাফি.) এর কাছে আনুগত্যের বাইয়াত করেছে।

      যাইহোক, সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি এমন একটি সময়ের এসেছে, যখন আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা সহযোগী জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সমগ্র আফ্রিকাজুড়ে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করছে।

      এই প্রেক্ষাপটে ‘জেএনআইএম’ মালি থেকে দক্ষিণে তাদের কার্যকলাপের ক্ষেত্র বাড়িয়েছে। এবং পশ্চিম আফ্রিকার অভ্যন্তর থেকে উপকূলরেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের কৌশল অনুসরণ করেছে।

      সেই সূত্র ধরেই ‘জেএনআইএম’ মালি এবং বুরকিনা ফাঁসোর পর আইভরি কোস্ট, গিনি, সেনেগাল, ঘানা, টোগো এবং বেনিনের মতো দেশের সীমানার দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করছে।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X