Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১২ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১২ মুহাররম ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    বুরকিনান সেনাবাহিনীর উপর বাড়ছে হামলা: নতুন করে নিহত ১৫ শত্রুসেনা




    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাঁসোতে দেশটির গাদ্দার বাহিনীর সামরিক ইউনিটগুলি লক্ষ্য করে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিবরণ অনুযায়ী, গতকাল ১০ আগষ্ট সকালে বুরকিনা ফাঁসোর উত্তরে সেন্ট্রাল-নর্ড অঞ্চলের বাম প্রদেশে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে দেশটির সেনা ইউনিটগুলি। রাজ্যটির নামসিগুইয়া জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে গাদ্দার সেনাবাহিনীর কনভয়কে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস দ্বরা একের পর এক লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

    সামরিক বাহিনীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সেনাদের পরিবহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে। এতে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল। নতুন দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে তখন দ্বিতীয় বোমা হামলা চালানো হয়।

    এতে আরও কয়েক শত্রুসেনা হতাহত হয়।সামরিক সূত্র দাবি করেছে যে, এই হামলার ঘটনায় বুরকিনা ফাঁসোর সেনাবাহিনীর ১৫ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা বরকতময় এই হামলাটি চালিয়েছেন, যাতে হতাহতের সংখ্যা সামরিক বাহিনীর ঘোষিত পরিসংখ্যান থেকে আরও দ্বিগুণ।

    এর আগে ৪ আগস্ট দেশের উত্তরে সামরিক বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর উপর আরও একটি হামলা চালান মুজাহিদগণ। জেএনআইএম কর্তৃক একযোগে পরিচালিত ওই হামলায় ১২ সেনা নিহত হয়েছিল।এটি লক্ষণীয় যে সম্প্রতি বুরকিনা ফাঁসোতে হামলা বাড়িয়েছে আল-কায়েদা। যা পুরো দেশকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ফলে দেশের ৪০ শতাংশ এলাকাই এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে।












    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আমাদের নেতাদের শাহাদাতে এই কাফেলা থেমে যাবে না: পাক-তালিবান


    পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করেছে। যাতে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ও নেতৃত্ব পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তা শাইখ ওমর খালিদ খোরাসানির (রহ) শাহাদাতের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

    যিনি গত ৭ আগষ্ট আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে গাদ্দার পাকি-সেনাদের হামলায় শাহাদাত বরণ করেছেন।মনে করা হয় যে, গাদ্দার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এই হামলার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি এবং ইসলামাবাদ প্রশাসনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া শেষ হতে চলেছে।

    কেননা টিটিপি’র অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ওমর খালিদ খোরাসানি সহ কয়েকজনের শাহাদাতের পর প্রতিরোধ বাহিনীটির মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। টিটিপি সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্রের দাবি অনুযায়ী, শাইখের শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে সীমান্ত অঞ্চলে অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করেছে টিটিপি’র বিভিন্ন ইউনিটগুলো।

    সূত্রটি জানায় যে, পাকিস্তান কর্তৃক টিটিপি’র নেতৃস্থানীয় কয়েকজন কমান্ডারের প্রতারণামূলক শাহাদাতের পরের দুইদিন সীমান্ত অঞ্চলে বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে অফিসার সহ ৫৬ গাদ্দার সেনা নিহত হয়েছে, এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও অসংখ্য সৈন্য। এছাড়াও টিটিপি’র বীর যোদ্ধারা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২ কর্নেল সহ ৬ অফিসারকে পৃথক অপারেশনের মাধ্যমে বন্দীও করেছে। যাইহোক, শীর্ষ নেতাদের শাহাদাতের পর টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।মোহাম্মদ খোরাসানি কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে, এই অঞ্চলে যুদ্ধের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয় এবং “আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ে টিটিপি’র ভূমিকার কথাও তিনি আন্ডারলাইন করেন। এই যুদ্ধে শাইখ ওমর খালেদ খোরাসানির (রহ) গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে শহীদদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

    সেই সাথে নেতাদের শাহাদাতের পিছনে গাদ্দার পাকিস্তান জড়িত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তাদের গুটিকয়েক নেতা আর কমান্ডারদের শাহাদাত এই যুদ্ধে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটি গাজী ও শহীদদের রক্তের উপর তৈরি মজবুত এক কাফেলা।

    যেই বরকতময় কাফেলা নেতাদের শাহাদাতে দুর্বল হওয়ার পরিবর্তে আরও সুসংগঠিত এবং সক্রিয় হয়ে উঠে। কেননা শহীদরা তাদের রক্ত দিয়ে এই কাফেলার বীজ রোপণ করেছেন। আর এই কাফেলার নেতারা দৃঢ় সংকল্প ও ঈমানী শক্তি নিয়ে এতো বিপুল পরিমাণ গাজীদেরকে প্রশক্ষণ দিয়েছেন, যারা তাদের শূন্যতা পূরণ করতে সক্ষম। ইনশাআল্লাহ্ বরকতময় গাজওয়াতুল হিন্দের লড়াইয়েও এই কাফেলা শূন্যতা অনুভব করবে না।

    আমরা দৃঢ়তার সাথে বলি যে, বরকতময় এই কাফেলার বীর মুজাহিদরা যেভাবে ডুরান্ড লাইনের (ইংরেজদের তৈরি কাল্পনিক সীমান্ত) ওই প্রান্তে ইসলাম বিরোধী শক্তিকে পরাজিত করেছে, ঠিক তেমনিভাবে ডুরান্ড লাইনের এই প্রান্তের (পাকিস্তান) শত্রুদেরকে পরাজিত করা হবে।” আমাদের বীর যোদ্ধারা ডুরান্ড লাইনের উভয় প্রান্তেই বীরত্বের সাথে লড়াই করে আসছেন।

    সর্বশেষ, বিবৃতিতে পাকিস্তানি গাদ্দার সেনাবাহিনীকে “বিশ্বাসঘাতক, গোলাম এবং ডলার-খেকো” হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। এটিও বলা হয় যে, ডুরান্ড লাইন নির্মূল না হওয়া এবং দেশে একটি ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বরকতময় এই যুদ্ধ চলমান থাকবে।












    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার,

      Comment

      Working...
      X