ইথিওপিয়ার ওগাডেন রাজ্য ছাড়িয়ে এবার ওরোমিয়া অঞ্চলে আশ-শাবাব
ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত মাসের এক দুপুরে (২০/০৭/২২) সোমালিয়ার সীমান্ত ছাড়িয়ে প্রথামবারের মতো প্রতিবেশি ইথিওপিয়ায় তাদের কর্যক্রম সম্প্রসারণ করেন। এসময় তাদের অভিযানের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয় দেশটির বৃহত্তর ওগাডেন রাজ্য, যা অতীতে বৃহত্তর সোমালিয়ার অংশ ছিলো। এরপর থেকে সেখানে চলতে থাকে উভয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই। ঐসময় রাজ্যটিতে আশ-শাবাব কর্তৃক যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই পরপর ৬টি জেলার পতন ঘটে এবং অন্য জেলাগুলোতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আঞ্চলিক সংবাদ সূত্র মতে, ঐ মাসে আশ-শাবাব কর্তৃক পরিচালিত দুর্দান্ত অভিযানের প্রথম ২ দিনেই ইথিওপিয় বাহিনীর ৫ শতাধিক সৈন্য নিহত হয়। এই অভিযানে আহত হয় আরও হাজারেরও বেশি সৈন্য। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত।
রাজ্যটিতে দুটি পক্ষ্যই তখন একে অপরের মুখোমুখি হয়ে বীরত্বের সাথে লড়াই করতে থাকে। এবং নিজেদের সফলতার বিষয়ে বিবৃতি জারি রাখে। তবে আগষ্টের শুরু থেকে আশ্চর্যজনকভাবে দু’পক্ষই এই লড়াই সম্পর্কিত আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যকার লড়াই জারি রাখে। মনে করা হয় যে, এই সময়টাতে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এই সময়টাতেও আশ-শাবাবের দুর্দান্ত হামলায় ‘লিউ’ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এদিকে তুর্কি সংবাদ সংস্থা “ম্যাপা নিউজ” আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় যে, আশ-শাবাব তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর অবস্থান ধরে রেখে ইথিওপিয়ায় এখনো অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শাবাব মুজাহিদিন প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় প্রবেশ করছেন। সূত্রটি যোগ করে যে, গত ৮ আগষ্টেও ইথিওপিয়ার কুখ্যাত ‘লিউ’ বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে আশ-শাবাব। যাতে ৪০ থেকে ৫০ এর বেশি ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। এসময় অভিযানে আহত অনেক সৈন্যকে হারগেল এবং গোডাই অঞ্চলের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ার ওগাডেন রাজ্য ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিরোধ বাহিনীটির বীর যোদ্ধারা এখন ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর ‘ওরোমিয়া’ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছেন।
এবিষয়ে গত মঙ্গলবার VOA জানিয়েছে, আশ-শাবাবের যোদ্ধারা ইথিওপিয়ার সোমালি ও ওরোমিয়া অঞ্চলের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছেছে।
ইথিওপিয়ান কর্মকর্তা এবং একজন কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে VOA রিপোর্ট করেছে যে, ওরোমিয়া অঞ্চলের এল-কারি শহরের কাছাকাছি পাহাড়ী এলাকায় ৫০ থেকে ১০০ আশ-শাবাব যোদ্ধা প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকার মতে, গত সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত এলাকাটিতে হামলা অব্যাহত ছিল।
এদিকে গত ১২ আগষ্ট আশ-শাবাব সমর্থিত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হয়েছে যে, গত সপ্তাহ থেকে ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। ইতিমধ্যে তাঁরা অঞ্চলটির সীমান্ত শহর ‘এল-কারি’ এর আশপাশের কয়েকটি পাহাড়ি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মুজাহিদগণ এসব এলাকা থেকে নিয়মিত ইথিওপিয়ান সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাচ্ছেন। এবং ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলটি বিস্তীর্ন পাহাড়ি এলাকার ঘেরা। অঞ্চলটিতে পূর্ব থেকেই কয়েকটি সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লড়াই করছে। তাছাড়া অঞ্চলটির সর্ববৃহৎ ‘আমহারা’ সম্প্রদায়ের উপর বছরের পর বছর ধরে জুলুম নিপিড়ন চালায়ে আসছে ইথিওপিয় সরকার। ফলে সম্প্রদায়টি দিন দিন ইথিওপিয়া সরকারের বিরোধী হয়ে উঠছে। এমনকি টিগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীরাও তাদের দখলাভিযান চালানর সময় তাদের উপর ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে।
তাই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ধারণা করছেন যে, আশ-শাবাব অঞ্চলটির ভৌগোলিক এবং বিরাজমান অস্থির এই রাজনৈতিক অবস্থাকে নিজেদের পক্ষের শক্তি হিসাবে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আর আশ-শাবাব যদি এতে সফল হয়, তাহলে সোমালিয়ার মতো ইথিওপিয়াতেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে প্রতিরোধ বাহিনীটি। যা অদূর ভবিষ্যতে ইথিওপিয়ার রাজধানীতে আশ-শাবাবের আঘাত হানার পথ উন্মুক্ত করে দিবে, ইনশাআল্লাহ্।
ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত মাসের এক দুপুরে (২০/০৭/২২) সোমালিয়ার সীমান্ত ছাড়িয়ে প্রথামবারের মতো প্রতিবেশি ইথিওপিয়ায় তাদের কর্যক্রম সম্প্রসারণ করেন। এসময় তাদের অভিযানের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয় দেশটির বৃহত্তর ওগাডেন রাজ্য, যা অতীতে বৃহত্তর সোমালিয়ার অংশ ছিলো। এরপর থেকে সেখানে চলতে থাকে উভয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই। ঐসময় রাজ্যটিতে আশ-শাবাব কর্তৃক যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই পরপর ৬টি জেলার পতন ঘটে এবং অন্য জেলাগুলোতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আঞ্চলিক সংবাদ সূত্র মতে, ঐ মাসে আশ-শাবাব কর্তৃক পরিচালিত দুর্দান্ত অভিযানের প্রথম ২ দিনেই ইথিওপিয় বাহিনীর ৫ শতাধিক সৈন্য নিহত হয়। এই অভিযানে আহত হয় আরও হাজারেরও বেশি সৈন্য। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত।
রাজ্যটিতে দুটি পক্ষ্যই তখন একে অপরের মুখোমুখি হয়ে বীরত্বের সাথে লড়াই করতে থাকে। এবং নিজেদের সফলতার বিষয়ে বিবৃতি জারি রাখে। তবে আগষ্টের শুরু থেকে আশ্চর্যজনকভাবে দু’পক্ষই এই লড়াই সম্পর্কিত আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যকার লড়াই জারি রাখে। মনে করা হয় যে, এই সময়টাতে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এই সময়টাতেও আশ-শাবাবের দুর্দান্ত হামলায় ‘লিউ’ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এদিকে তুর্কি সংবাদ সংস্থা “ম্যাপা নিউজ” আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় যে, আশ-শাবাব তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর অবস্থান ধরে রেখে ইথিওপিয়ায় এখনো অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শাবাব মুজাহিদিন প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় প্রবেশ করছেন। সূত্রটি যোগ করে যে, গত ৮ আগষ্টেও ইথিওপিয়ার কুখ্যাত ‘লিউ’ বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে আশ-শাবাব। যাতে ৪০ থেকে ৫০ এর বেশি ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। এসময় অভিযানে আহত অনেক সৈন্যকে হারগেল এবং গোডাই অঞ্চলের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ার ওগাডেন রাজ্য ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিরোধ বাহিনীটির বীর যোদ্ধারা এখন ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর ‘ওরোমিয়া’ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছেন।
এবিষয়ে গত মঙ্গলবার VOA জানিয়েছে, আশ-শাবাবের যোদ্ধারা ইথিওপিয়ার সোমালি ও ওরোমিয়া অঞ্চলের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছেছে।
ইথিওপিয়ান কর্মকর্তা এবং একজন কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে VOA রিপোর্ট করেছে যে, ওরোমিয়া অঞ্চলের এল-কারি শহরের কাছাকাছি পাহাড়ী এলাকায় ৫০ থেকে ১০০ আশ-শাবাব যোদ্ধা প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকার মতে, গত সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত এলাকাটিতে হামলা অব্যাহত ছিল।
এদিকে গত ১২ আগষ্ট আশ-শাবাব সমর্থিত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হয়েছে যে, গত সপ্তাহ থেকে ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। ইতিমধ্যে তাঁরা অঞ্চলটির সীমান্ত শহর ‘এল-কারি’ এর আশপাশের কয়েকটি পাহাড়ি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মুজাহিদগণ এসব এলাকা থেকে নিয়মিত ইথিওপিয়ান সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাচ্ছেন। এবং ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলটি বিস্তীর্ন পাহাড়ি এলাকার ঘেরা। অঞ্চলটিতে পূর্ব থেকেই কয়েকটি সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লড়াই করছে। তাছাড়া অঞ্চলটির সর্ববৃহৎ ‘আমহারা’ সম্প্রদায়ের উপর বছরের পর বছর ধরে জুলুম নিপিড়ন চালায়ে আসছে ইথিওপিয় সরকার। ফলে সম্প্রদায়টি দিন দিন ইথিওপিয়া সরকারের বিরোধী হয়ে উঠছে। এমনকি টিগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীরাও তাদের দখলাভিযান চালানর সময় তাদের উপর ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে।
তাই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ধারণা করছেন যে, আশ-শাবাব অঞ্চলটির ভৌগোলিক এবং বিরাজমান অস্থির এই রাজনৈতিক অবস্থাকে নিজেদের পক্ষের শক্তি হিসাবে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আর আশ-শাবাব যদি এতে সফল হয়, তাহলে সোমালিয়ার মতো ইথিওপিয়াতেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে প্রতিরোধ বাহিনীটি। যা অদূর ভবিষ্যতে ইথিওপিয়ার রাজধানীতে আশ-শাবাবের আঘাত হানার পথ উন্মুক্ত করে দিবে, ইনশাআল্লাহ্।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান