১৫ আগস্ট || সম্রাজ্যবাদের পতন ও ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী
১৫ আগস্ট, ২০২১ আফগানিস্তানের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনে আফগানিস্তানে সম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও তাদের গোলামদের চূড়ান্ত পতন ঘটে। ক্রুসেডারদের এই পতনের মধ্য দিয়ে মুজাহিদগণ আরও একবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তালিবান মুজাহিদগণ এদিন ২০ বছরের মার্কিন ও ন্যাটোর দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেন। ফলে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআ’লার সাহায্যে এবং আফগানদের অবিরাম আত্মত্যাগের পর মুজাহিদগণ রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। তালিবান মুজাহিদিনের এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর আফগানিস্তানে একক ইসলামী ব্যবস্থা ও একক হুকুমত কায়েম হয়।২০০১ সালের নভেম্বরে ক্রুসেডারদের আক্রামণের মুখে রাজধানী কাবুল ছাড়েন মুজাহিদগণ। এরপর মার্কিনীরা ও তাদের স্থানীয় গোলামরা রাজধানী কাবুল দখল করে। আর এই দখলের পর গত দুই দশকে আফগানিস্তানে চুরি, দুর্নীতি ও পতিতাবৃত্তির মাত্রা চরমে পৌঁছে। আর আফগানরা হয়ে পড়েন নিপিরিত, পরাধীন। একই সময়ে আফগানিস্তান দুর্নীতিবাজদের বিশ্ববাজারে পরিণত হয়।
এরপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ১৫ আগস্ট, ২০২১-এ কাবুলে তালিবান মুজাহিদদের প্রবেশের সাথে সাথে পশ্চিমাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। এবং তালিবান মুজাহিদিন রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেন। এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের দালাল দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের ক্ষমতার অবসান ঘটে, প্রতিষ্ঠিত হয় কাঙ্খিত একক ইসলামী ব্যবস্থা।
কাবুলের পথে তালিবান মুজাহিদিন
২০১৮ সালের অক্টোবরে তালিবানদের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর কয়েক দফায় চলে এই আলোচনা। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন উপায় না দেখে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি ২০২০-এ দোহা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এই চুক্তিতে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়।
দোহা চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে তার সেনাদের প্রত্যাহার করতে ব্যস্ত, ঠিক সেই মহূর্তে তালিবান মুজাহিদিনরা আমেরিকানদের গোলাম কাবুল প্রশাসনের উপর হালকা পরিসরে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন।
ফলে অনিশ্চিত এক সময় পার করতে থাকে কাবুলের গোলাম প্রশাসন।একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়। সে ক্ষমতায় এসে দোহা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। বাইডেন ঘোষণা করে যে, তারা ২০ জানুয়ারী ২০২১-এ শপথ নেওয়ার পরপরই আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার চুক্তি পর্যালোচনা করবে।
পরে ১ মে দোহা চুক্তি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এর ফলে তালিবানরা দেশজুড়ে মার্কিনীদের গোলাম কাবুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে হামলার ঝড় তুলেন। গ্রামীণ এলাকায় শুরু হওয়া আক্রমণ শেষ পর্যন্ত জেলা ও প্রাদেশিক কেন্দ্রে বিস্তৃত হয়। এরপর আগস্টের শুরুতে মুজাহিদদের এই আক্রমণ ভিন্ন এক রূপ নেয়। যার সূত্র ধরেই মুজাহিদগণ প্রাদেশিক কেন্দ্রগুলি একে একে দখল করতে শুরু করেন। এই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদগণ সর্বপ্রথম নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারনাজ বিজয় করেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ বিজয়ের মাত্র ১০ দিনের মাথায় অর্থ ১৩-১৪ আগস্টের মধ্যে দেশের প্রায় সমস্ত প্রাদেশিক শহরের কেন্দ্র তালিবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
রাজধানী কাবুল তালিবানের নিয়ন্ত্রণে
তালিবান মুজাহিদিন ১৪ আগস্টের মধ্যে চারদিক থেকে কাবুলকে ঘিরে ফেলেন। মুজাহিদগণ কাবুল প্রশাসনের সাথে রক্তপাত ছাড়াই রাজধানী হস্তান্তর আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে কোন সাড়া দেয়নি কাবুলের পুতুল প্রশাসন। বরং এই গোলাম প্রশাসনের প্রায় সকল নেতা ও প্রতিনিধিরা তখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটেপুটে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় কাবুলে।এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও গোলামদের লুটপাটের পর রাজধানীতে থাকা রাষ্ট্রীয় সম্পাদ রক্ষা করা অতীব জুরুরি হয়ে পড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তালিবানদের কাবুলে আমন্ত্রণ জানান।
ফলশ্রুতিতে তালিবান তাদের বাহিনীকে ১৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই নির্দেশনার পর তালিবান মুজাহিদিন রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে থাকেন এবং বিনা সংঘর্ষে শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করেন। এরপর দেশে আবারও ‘ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান’ ঘোষণা করা হয়।অবশেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহরে টালবাহানা করতে থাকা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তান ছাড়তে তড়িঘড়ি শুরু করে। তারা কাবুল বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে থেকে। এবং আগস্টের শেষের দিকে রাতের আধারে সম্পূর্ণরূপে আফগানিস্তান ত্যাগ করে দখলদার মার্কিন বাহিনী।
তালিবান মুজাহিদিন কর্তৃক কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত হলে, বিশ্ববাসীর কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মার্কিন এবং ন্যাটো জোট দীর্ঘ ২০ বছর আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে অবশেষে পরাজিত হয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। অপরদিকে দেশের অতন্দ্র প্রহরী তালিবান এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
গত এক বছরে তালিবানের আত্মত্যাগী উমারাগন অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়ে এসেছেন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ আশা প্রকাশ করেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের এই সক্ষমতা আল্লাহর দয়ায় আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ্। এবং তাঁরা তাদের উপর উম্মাহর আস্থা এবং আশা-ভরসার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন ও কার্যক্রম শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ তাআলাই তৌফিকদাতা।
১৫ আগস্ট, ২০২১ আফগানিস্তানের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনে আফগানিস্তানে সম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও তাদের গোলামদের চূড়ান্ত পতন ঘটে। ক্রুসেডারদের এই পতনের মধ্য দিয়ে মুজাহিদগণ আরও একবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তালিবান মুজাহিদগণ এদিন ২০ বছরের মার্কিন ও ন্যাটোর দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেন। ফলে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআ’লার সাহায্যে এবং আফগানদের অবিরাম আত্মত্যাগের পর মুজাহিদগণ রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। তালিবান মুজাহিদিনের এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর আফগানিস্তানে একক ইসলামী ব্যবস্থা ও একক হুকুমত কায়েম হয়।২০০১ সালের নভেম্বরে ক্রুসেডারদের আক্রামণের মুখে রাজধানী কাবুল ছাড়েন মুজাহিদগণ। এরপর মার্কিনীরা ও তাদের স্থানীয় গোলামরা রাজধানী কাবুল দখল করে। আর এই দখলের পর গত দুই দশকে আফগানিস্তানে চুরি, দুর্নীতি ও পতিতাবৃত্তির মাত্রা চরমে পৌঁছে। আর আফগানরা হয়ে পড়েন নিপিরিত, পরাধীন। একই সময়ে আফগানিস্তান দুর্নীতিবাজদের বিশ্ববাজারে পরিণত হয়।
এরপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ১৫ আগস্ট, ২০২১-এ কাবুলে তালিবান মুজাহিদদের প্রবেশের সাথে সাথে পশ্চিমাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। এবং তালিবান মুজাহিদিন রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেন। এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের দালাল দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের ক্ষমতার অবসান ঘটে, প্রতিষ্ঠিত হয় কাঙ্খিত একক ইসলামী ব্যবস্থা।
কাবুলের পথে তালিবান মুজাহিদিন
২০১৮ সালের অক্টোবরে তালিবানদের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর কয়েক দফায় চলে এই আলোচনা। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন উপায় না দেখে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি ২০২০-এ দোহা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এই চুক্তিতে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়।
দোহা চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে তার সেনাদের প্রত্যাহার করতে ব্যস্ত, ঠিক সেই মহূর্তে তালিবান মুজাহিদিনরা আমেরিকানদের গোলাম কাবুল প্রশাসনের উপর হালকা পরিসরে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন।
ফলে অনিশ্চিত এক সময় পার করতে থাকে কাবুলের গোলাম প্রশাসন।একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়। সে ক্ষমতায় এসে দোহা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। বাইডেন ঘোষণা করে যে, তারা ২০ জানুয়ারী ২০২১-এ শপথ নেওয়ার পরপরই আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার চুক্তি পর্যালোচনা করবে।
পরে ১ মে দোহা চুক্তি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এর ফলে তালিবানরা দেশজুড়ে মার্কিনীদের গোলাম কাবুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে হামলার ঝড় তুলেন। গ্রামীণ এলাকায় শুরু হওয়া আক্রমণ শেষ পর্যন্ত জেলা ও প্রাদেশিক কেন্দ্রে বিস্তৃত হয়। এরপর আগস্টের শুরুতে মুজাহিদদের এই আক্রমণ ভিন্ন এক রূপ নেয়। যার সূত্র ধরেই মুজাহিদগণ প্রাদেশিক কেন্দ্রগুলি একে একে দখল করতে শুরু করেন। এই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদগণ সর্বপ্রথম নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারনাজ বিজয় করেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ বিজয়ের মাত্র ১০ দিনের মাথায় অর্থ ১৩-১৪ আগস্টের মধ্যে দেশের প্রায় সমস্ত প্রাদেশিক শহরের কেন্দ্র তালিবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
রাজধানী কাবুল তালিবানের নিয়ন্ত্রণে
তালিবান মুজাহিদিন ১৪ আগস্টের মধ্যে চারদিক থেকে কাবুলকে ঘিরে ফেলেন। মুজাহিদগণ কাবুল প্রশাসনের সাথে রক্তপাত ছাড়াই রাজধানী হস্তান্তর আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে কোন সাড়া দেয়নি কাবুলের পুতুল প্রশাসন। বরং এই গোলাম প্রশাসনের প্রায় সকল নেতা ও প্রতিনিধিরা তখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটেপুটে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় কাবুলে।এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও গোলামদের লুটপাটের পর রাজধানীতে থাকা রাষ্ট্রীয় সম্পাদ রক্ষা করা অতীব জুরুরি হয়ে পড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তালিবানদের কাবুলে আমন্ত্রণ জানান।
ফলশ্রুতিতে তালিবান তাদের বাহিনীকে ১৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই নির্দেশনার পর তালিবান মুজাহিদিন রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে থাকেন এবং বিনা সংঘর্ষে শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করেন। এরপর দেশে আবারও ‘ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান’ ঘোষণা করা হয়।অবশেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহরে টালবাহানা করতে থাকা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তান ছাড়তে তড়িঘড়ি শুরু করে। তারা কাবুল বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে থেকে। এবং আগস্টের শেষের দিকে রাতের আধারে সম্পূর্ণরূপে আফগানিস্তান ত্যাগ করে দখলদার মার্কিন বাহিনী।
তালিবান মুজাহিদিন কর্তৃক কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত হলে, বিশ্ববাসীর কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মার্কিন এবং ন্যাটো জোট দীর্ঘ ২০ বছর আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে অবশেষে পরাজিত হয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। অপরদিকে দেশের অতন্দ্র প্রহরী তালিবান এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
গত এক বছরে তালিবানের আত্মত্যাগী উমারাগন অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়ে এসেছেন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ আশা প্রকাশ করেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের এই সক্ষমতা আল্লাহর দয়ায় আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ্। এবং তাঁরা তাদের উপর উম্মাহর আস্থা এবং আশা-ভরসার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন ও কার্যক্রম শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ তাআলাই তৌফিকদাতা।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান