সেনা প্রত্যাহার না হলে কেনিয়ার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে হামলার হুমকি আশ-শাবাবের
সম্প্রতি কেনিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনই এক মুহুর্তে কেনিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পররাষ্ট্রনীতিকে সামনে রেখে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।
উক্ত চিঠিতে কেনিয়ার জনগণকে উদ্দেশ্য করে বার্তা প্রদান করে আশ-শাবাব, যাতে কেনিয়ান সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী নীতির ব্যাপারে দীর্ঘ আলোকপাত করা হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, “কঠিন প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে কেনিয়ান জনগণ নতুন এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। সেই সাথে আরেকটি সুযোগ পেয়েছে সোমালিয়ায় কেনিয়ার অবৈধ আক্রমণের ব্যাপারে ভেবে দেখার। নির্বাচনের পুরো সময়জুড়ে পদপ্রার্থীরা সোমালিয়ায় আগ্রাসনের ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিল। তাদের এই মৌনতা কেবল যুদ্ধকে বিলম্বিতই করবে, আর পশ্চিমাদের স্বার্থসিদ্ধি করবে। একই সাথে কেনিয়ার জনগণ ও তাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রবল ঝুঁকিতে ফেলবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত ১১ বছর ধরে সোমালিয়ায় চলমান কেনিয়ান আগ্রাসনে কেনিয়ার সেনারা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যেই এখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। কেনিয়ান সেনারা তাদের ঘাঁটিতেই অবরুদ্ধ। যারা বাংকার থেকে বেরই হতে পারছে না। অপরদিকে মুজাহিদিনরা ক্রমেই কেনিয়ার সীমানার আরো অনেক ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন।
তারা কেনিয়ান সেনা ও সামরিক স্থাপনাসমূহে সফল অভিযান চালাচ্ছেন। আর কেনিয়ান সরকার দেশের মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে, কেনিয়ান সেনাদের হতাহতের সংখ্যা গোপন করছে। এমনকি তারা নিজ সেনাদের দাফনেও গাফিলতি করছে, ফলে গণকবরে তাদের দাফন করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে এরপর কেনিয়ান সেনাদের পৈশাচিক নৃশংসতার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়। তুলে ধরা হয় সোমালিয়ায় সামরিক অভিযানের নামে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করে দেয়া, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা, জীবিকা কেড়ে নেওয়া ও লুটতরাজ করা সম্পর্কে। বলা হয় কেনিয়ান মুসলিমদের উপর দমন-পীড়ন, গুম ও গ্রেফতার সম্পর্কে।
এরপর কেনিয়ায় বসবাসরত মুসলিমদের উক্ত বার্তায় আহবান করা হয়, হাত-পা গুটিয়ে বসে না থাকতে। তাদের বলা হয়, কেনিয়ান ও সোমালি মুসলিমদের সম্মিলিতভাবে দ্বীনের দুশমনদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে। এসময় কুরআনুল কারীমের সূরা আত-তাওবাহ এবং আন-নাহল এর দুটি আয়াত এর উদ্বৃতি দিয়ে জনগণকে জিহাদ এবং হিজরতের আহবান করা হয়।
বিবৃতিতে সাধারণ কেনিয়ান জনগণ এবং সরকারকে লক্ষ্য করে বলা হয়,
“আমরা বারবার আপনাদেরকে অবৈধ সামরিক আগ্রাসনের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছি। যতক্ষণ না আপনাদের সরকার মুসলিম ভূমির উপর আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে, মুসলিমদের স্বার্থে আমরাও কেনিয়ার ভূখন্ডে আমাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখবো। আমরা কেনিয়ার শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত কেনিয়ার সেনারা আমাদের শহরগুলোতে অবস্থান করছে।”
“যদি নবনিযুক্ত সরকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, তাহলে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীনও এই ওয়াদা করছে যে, তাঁরা শুধু দখলদার সেনা নয়, বরং কেনিয়ার প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হানতে থাকবেন। যতদিন না সকল কেনিয়ান ক্রুসেডার সেনা মুসলিম ভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে, যতদিন না আল্লাহর শরীয়াহ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততদিন আমরা আঘাত হানতে থাকবো। আর কেনিয়ার সরকারের কার্যক্রমই দেশটির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে, তারা কোন পথে হাঁটবে। অতএব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।”
সম্প্রতি কেনিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনই এক মুহুর্তে কেনিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পররাষ্ট্রনীতিকে সামনে রেখে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।
উক্ত চিঠিতে কেনিয়ার জনগণকে উদ্দেশ্য করে বার্তা প্রদান করে আশ-শাবাব, যাতে কেনিয়ান সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী নীতির ব্যাপারে দীর্ঘ আলোকপাত করা হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, “কঠিন প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে কেনিয়ান জনগণ নতুন এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। সেই সাথে আরেকটি সুযোগ পেয়েছে সোমালিয়ায় কেনিয়ার অবৈধ আক্রমণের ব্যাপারে ভেবে দেখার। নির্বাচনের পুরো সময়জুড়ে পদপ্রার্থীরা সোমালিয়ায় আগ্রাসনের ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিল। তাদের এই মৌনতা কেবল যুদ্ধকে বিলম্বিতই করবে, আর পশ্চিমাদের স্বার্থসিদ্ধি করবে। একই সাথে কেনিয়ার জনগণ ও তাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রবল ঝুঁকিতে ফেলবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত ১১ বছর ধরে সোমালিয়ায় চলমান কেনিয়ান আগ্রাসনে কেনিয়ার সেনারা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যেই এখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। কেনিয়ান সেনারা তাদের ঘাঁটিতেই অবরুদ্ধ। যারা বাংকার থেকে বেরই হতে পারছে না। অপরদিকে মুজাহিদিনরা ক্রমেই কেনিয়ার সীমানার আরো অনেক ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন।
তারা কেনিয়ান সেনা ও সামরিক স্থাপনাসমূহে সফল অভিযান চালাচ্ছেন। আর কেনিয়ান সরকার দেশের মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে, কেনিয়ান সেনাদের হতাহতের সংখ্যা গোপন করছে। এমনকি তারা নিজ সেনাদের দাফনেও গাফিলতি করছে, ফলে গণকবরে তাদের দাফন করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে এরপর কেনিয়ান সেনাদের পৈশাচিক নৃশংসতার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়। তুলে ধরা হয় সোমালিয়ায় সামরিক অভিযানের নামে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করে দেয়া, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা, জীবিকা কেড়ে নেওয়া ও লুটতরাজ করা সম্পর্কে। বলা হয় কেনিয়ান মুসলিমদের উপর দমন-পীড়ন, গুম ও গ্রেফতার সম্পর্কে।
এরপর কেনিয়ায় বসবাসরত মুসলিমদের উক্ত বার্তায় আহবান করা হয়, হাত-পা গুটিয়ে বসে না থাকতে। তাদের বলা হয়, কেনিয়ান ও সোমালি মুসলিমদের সম্মিলিতভাবে দ্বীনের দুশমনদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে। এসময় কুরআনুল কারীমের সূরা আত-তাওবাহ এবং আন-নাহল এর দুটি আয়াত এর উদ্বৃতি দিয়ে জনগণকে জিহাদ এবং হিজরতের আহবান করা হয়।
বিবৃতিতে সাধারণ কেনিয়ান জনগণ এবং সরকারকে লক্ষ্য করে বলা হয়,
“আমরা বারবার আপনাদেরকে অবৈধ সামরিক আগ্রাসনের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছি। যতক্ষণ না আপনাদের সরকার মুসলিম ভূমির উপর আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে, মুসলিমদের স্বার্থে আমরাও কেনিয়ার ভূখন্ডে আমাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখবো। আমরা কেনিয়ার শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত কেনিয়ার সেনারা আমাদের শহরগুলোতে অবস্থান করছে।”
“যদি নবনিযুক্ত সরকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, তাহলে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীনও এই ওয়াদা করছে যে, তাঁরা শুধু দখলদার সেনা নয়, বরং কেনিয়ার প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হানতে থাকবেন। যতদিন না সকল কেনিয়ান ক্রুসেডার সেনা মুসলিম ভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে, যতদিন না আল্লাহর শরীয়াহ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততদিন আমরা আঘাত হানতে থাকবো। আর কেনিয়ার সরকারের কার্যক্রমই দেশটির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে, তারা কোন পথে হাঁটবে। অতএব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।”
Comment