Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ০২রা সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ০২রা সফর ১৪৪৪ হিজরী।। ৩০ আগস্ট ২০২২ ঈসায়ী।

    সেনা প্রত্যাহার না হলে কেনিয়ার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে হামলার হুমকি আশ-শাবাবের



    সম্প্রতি কেনিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনই এক মুহুর্তে কেনিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পররাষ্ট্রনীতিকে সামনে রেখে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।

    উক্ত চিঠিতে কেনিয়ার জনগণকে উদ্দেশ্য করে বার্তা প্রদান করে আশ-শাবাব, যাতে কেনিয়ান সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী নীতির ব্যাপারে দীর্ঘ আলোকপাত করা হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, “কঠিন প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে কেনিয়ান জনগণ নতুন এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। সেই সাথে আরেকটি সুযোগ পেয়েছে সোমালিয়ায় কেনিয়ার অবৈধ আক্রমণের ব্যাপারে ভেবে দেখার। নির্বাচনের পুরো সময়জুড়ে পদপ্রার্থীরা সোমালিয়ায় আগ্রাসনের ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিল। তাদের এই মৌনতা কেবল যুদ্ধকে বিলম্বিতই করবে, আর পশ্চিমাদের স্বার্থসিদ্ধি করবে। একই সাথে কেনিয়ার জনগণ ও তাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রবল ঝুঁকিতে ফেলবে।”

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত ১১ বছর ধরে সোমালিয়ায় চলমান কেনিয়ান আগ্রাসনে কেনিয়ার সেনারা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যেই এখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। কেনিয়ান সেনারা তাদের ঘাঁটিতেই অবরুদ্ধ। যারা বাংকার থেকে বেরই হতে পারছে না। অপরদিকে মুজাহিদিনরা ক্রমেই কেনিয়ার সীমানার আরো অনেক ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন।

    তারা কেনিয়ান সেনা ও সামরিক স্থাপনাসমূহে সফল অভিযান চালাচ্ছেন। আর কেনিয়ান সরকার দেশের মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে, কেনিয়ান সেনাদের হতাহতের সংখ্যা গোপন করছে। এমনকি তারা নিজ সেনাদের দাফনেও গাফিলতি করছে, ফলে গণকবরে তাদের দাফন করা হচ্ছে।

    বিবৃতিতে এরপর কেনিয়ান সেনাদের পৈশাচিক নৃশংসতার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়। তুলে ধরা হয় সোমালিয়ায় সামরিক অভিযানের নামে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করে দেয়া, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা, জীবিকা কেড়ে নেওয়া ও লুটতরাজ করা সম্পর্কে। বলা হয় কেনিয়ান মুসলিমদের উপর দমন-পীড়ন, গুম ও গ্রেফতার সম্পর্কে।

    এরপর কেনিয়ায় বসবাসরত মুসলিমদের উক্ত বার্তায় আহবান করা হয়, হাত-পা গুটিয়ে বসে না থাকতে। তাদের বলা হয়, কেনিয়ান ও সোমালি মুসলিমদের সম্মিলিতভাবে দ্বীনের দুশমনদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে। এসময় কুরআনুল কারীমের সূরা আত-তাওবাহ এবং আন-নাহল এর দুটি আয়াত এর উদ্বৃতি দিয়ে জনগণকে জিহাদ এবং হিজরতের আহবান করা হয়।

    বিবৃতিতে সাধারণ কেনিয়ান জনগণ এবং সরকারকে লক্ষ্য করে বলা হয়,
    “আমরা বারবার আপনাদেরকে অবৈধ সামরিক আগ্রাসনের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছি। যতক্ষণ না আপনাদের সরকার মুসলিম ভূমির উপর আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে, মুসলিমদের স্বার্থে আমরাও কেনিয়ার ভূখন্ডে আমাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখবো। আমরা কেনিয়ার শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত কেনিয়ার সেনারা আমাদের শহরগুলোতে অবস্থান করছে।”

    “যদি নবনিযুক্ত সরকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, তাহলে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীনও এই ওয়াদা করছে যে, তাঁরা শুধু দখলদার সেনা নয়, বরং কেনিয়ার প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হানতে থাকবেন। যতদিন না সকল কেনিয়ান ক্রুসেডার সেনা মুসলিম ভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে, যতদিন না আল্লাহর শরীয়াহ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততদিন আমরা আঘাত হানতে থাকবো। আর কেনিয়ার সরকারের কার্যক্রমই দেশটির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে, তারা কোন পথে হাঁটবে। অতএব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।”

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফটো রিপোর্ট | অত্যন্ত উচ্চমানের সামরিক প্রশিক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছে তালিবান




    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশটির বিশেষ পুলিশ ইউনিটকে উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জানা যায় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সকল স্পেশাল ফোর্সগুলিকে এই উন্নত প্রশিক্ষণের অধীনে সারা দেশে দ্রুতগতিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।জানা যায় যে, ইমারাতে ইসলামিয়া দেশের সকল সামরিক ইউনিটগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় করতে নতুন করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে, এবার লোগার প্রদেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৮০০ সৈন্য তাদের মাসিক পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। যারা এখন দেশের যেকোনো সেবার জন্য প্রস্তুত।প্রশিক্ষিত এই সৈন্যরা, যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত উন্নত সামরিক কৌশল এবং বিশেষ দক্ষতা শিখেছেন। তাঁরা শীঘ্রই ইমারাতে ইসলামিয়ার বিশেষ বাহিনীর পদে তাদের ব্যবহারিক পরিষেবা শুরু করবে। ইনশাআল্লাহ।মূলত ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা নতুন এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অসাধারণ সক্ষমতা অর্জন করছেন। তারা যেমনিভাবে তাকওয়াবান, তেমনি সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, নিবেদিতপ্রাণ, কৌশলী, ধৈর্যশীল, উচ্চ মনোবল ও শৃঙ্খলায় তাঁরা অতুলনীয়। তাঁরা আফগান জনগণের জন্য আস্থা ও শান্তির প্রতীক, কিন্তু শত্রুর জন্য তাদের রয়েছে শুধু রাগ ও ক্রোধ।একজন কমান্ডার জানান, সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্যে আমরা ভেঙে পড়ব না, আমরা ক্লান্ত হব না, আমরা জনগণ থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নেব না এবং আমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হব না। আমরা দৃঢ় ঈমানের আলোয় সজ্জিত ও শক্তিশালী এক বাহিনী। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এই পথে অবিচল থাকবো।লোগার প্রদেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কিছু দৃশ্য দেখুন…










    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশটির বিশেষ পুলিশ ইউনিটকে উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
      পুলিশ ?!
      কেয়া বাত হে ...

      এঁরা যদি পুলিশ হয় তবে সেনাবাহিনীর অবস্থা কেমন হবে তা কল্পনা করেই অবাক হচ্ছি ...
      আর কয়েক বছর পর না জানি কি হয় ...

      অবাক পৃথিবী হা করে তাকিয়ে রয় আর বলে, "এ কি দেখলাম!"
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment

      Working...
      X