আশ-শাবাবের উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক যুদ্ধ কৌশল আর ড্রোন হামলায় নাস্তানাবুদ কুফ্ফার বাহিনী
হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন পূর্ব আফ্রিকায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সবচাইতে জনপ্রিয় ও শক্তিধর ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী। দলটি সম্প্রতি সোমালিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইসলামবিরোধী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উন্নত প্রযুক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। যা পশ্চিমা ক্রুসেডার ও তাদের সমর্থিত সরকারগুলোর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এবিষয়ে জাতিসংঘের মার্কিন রাজনৈতিক উপদেষ্টা “জেফরি ডি লরেন্টি” সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে মোগাদিশু প্রশাসনের বিরুদ্ধে আশ-শাবাবের ব্যবহৃত সর্বশেষ প্রযুক্তিগত যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করে। তার মতে, সরকারী বাহিনীর উপর আক্রমণের জন্য আশ-শাবাব উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
সে দাবি করে যে, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আশ-শাবাবের অস্ত্রাগারে নতুন এবং উন্নয়নশীল প্রযুক্তিগত উপাদান সনাক্ত করেছে। যার মাধ্যমে তারা সরকারি বাহিনীর উপর বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
তার তথ্য মতে, আশ-শাবাব যোদ্ধারা এই লক্ষ্যে মানবহীন বিমান (ড্রোন), উচ্চমাত্রার গোয়েন্দা তথ্য, আধুনিক যুদ্ধ কৌশল এবং মিডিয়া ও দাওয়াহ সম্প্রচার কার্যক্রম জোরদার করেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে দলটি। পূর্বে আশ-শাবাব শুধু ভিডিও ধারণ আর সফট টার্গেটে হামলা জন্য ড্রোন ব্যাবহার করতো। তাঁরা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কেনিয়ার লামুতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় এধরণের ড্রোন ব্যবহার করেছিল।
এদিকে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সম্প্রতি মোগাদিশু প্রশাসনের উপর আক্রমণ বাড়িয়েছে। সেইসাথে আশ-শাবাব যোদ্ধারা কেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং ইথিওপিয়া সীমান্তসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির আন্তঃসীমান্ত অঞ্চলে আক্রমণ বাড়িয়েছে। ফলে সামরিক খাতে কঠিন চাপের মুখে পড়েছে সোমালিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলি।
আর আশ-শাবাব যোদ্ধারা গত তিন মাসে তাদের হামলা পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে বহুগুণ বাড়িয়েছে। ফলে তাঁরা ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডের ১৭০ কি.মি. ভিতরে পর্যন্ত প্রবেশ করেছে। এসময়টাতে আশ-শাবাবের হামলায় ইথিওপিয়ার লিউ সামরিক বাহিনী সহ অন্যান্য সামরিক ইউনিটগুলোর প্রায় এক হাজারেরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
অপরদিকে গত আগস্টে রাজধানী মোগাদিশুর হায়াত হোটেল অবরোধ করে তিনদিন ব্যাপী হামলা চালায় আশ-শাবাব। যেখানে আশ-শাবাবের কোনো সদস্য হতাহত হওয়া ছাড়াই প্রায় ২০০ সরকারি কর্মকর্তা নিহত এবং আহত হয়েছে। হামলা শেষে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে নানা কৌশলেরও আশ্রয় নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত অস্ত্র, তুর্কী ও মার্কিন প্রশিক্ষিত স্পেশাল ফোর্সের সামরিক পোশাক পরিধান এবং ড্রোনের সাহায্য ঘটনাস্থলে তদারকি করা। আর এসব কিছুই ঘটেছে সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। কারণ তারা ভেবেছিলো এসব ড্রোন আর সামরিক পোশাকে সজ্জিত সদস্যরা স্পেশাল ফোর্সের সদস্য।
আশ-শাবাব যোদ্ধার তাদের এই ধরনের সর্বশেষ হামলাটি শুরু করেছে হিরান ও জালাজদুদ রাজ্যে। যেখানে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সরকার সমর্থিত স্থানীয় মিলিশিয়াদের ভিতরে থেকে সরকারের সামরিক পরিকল্পনা বুঝে নিয়েছিলো। আর এরপরেই আশ-শাবাবের মাত্র ২ দিনের হামলাতেই স্থানীয় মিলিশিয়াদের কোমড় ভেঙে যায়। তাদের দেড় শতাধিক (১৫০+) সদস্যকে হত্যা এবং আরও অনেক মিলিশিয়াকে বন্দী করে আশ-শাবাব। ধ্বংস ও জব্দ করা হয় মিলিশিয়াদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো খাদ্য, সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমালিয়া ও পূর্ব-আফ্রিকায় আশ-শাবাবের নিরঙ্কুশ বিজয়কে তাই শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন ইসলামি সমরবিশারদগণ।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন পূর্ব আফ্রিকায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সবচাইতে জনপ্রিয় ও শক্তিধর ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী। দলটি সম্প্রতি সোমালিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইসলামবিরোধী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উন্নত প্রযুক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। যা পশ্চিমা ক্রুসেডার ও তাদের সমর্থিত সরকারগুলোর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এবিষয়ে জাতিসংঘের মার্কিন রাজনৈতিক উপদেষ্টা “জেফরি ডি লরেন্টি” সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে মোগাদিশু প্রশাসনের বিরুদ্ধে আশ-শাবাবের ব্যবহৃত সর্বশেষ প্রযুক্তিগত যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করে। তার মতে, সরকারী বাহিনীর উপর আক্রমণের জন্য আশ-শাবাব উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
সে দাবি করে যে, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আশ-শাবাবের অস্ত্রাগারে নতুন এবং উন্নয়নশীল প্রযুক্তিগত উপাদান সনাক্ত করেছে। যার মাধ্যমে তারা সরকারি বাহিনীর উপর বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
তার তথ্য মতে, আশ-শাবাব যোদ্ধারা এই লক্ষ্যে মানবহীন বিমান (ড্রোন), উচ্চমাত্রার গোয়েন্দা তথ্য, আধুনিক যুদ্ধ কৌশল এবং মিডিয়া ও দাওয়াহ সম্প্রচার কার্যক্রম জোরদার করেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে দলটি। পূর্বে আশ-শাবাব শুধু ভিডিও ধারণ আর সফট টার্গেটে হামলা জন্য ড্রোন ব্যাবহার করতো। তাঁরা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কেনিয়ার লামুতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় এধরণের ড্রোন ব্যবহার করেছিল।
এদিকে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সম্প্রতি মোগাদিশু প্রশাসনের উপর আক্রমণ বাড়িয়েছে। সেইসাথে আশ-শাবাব যোদ্ধারা কেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং ইথিওপিয়া সীমান্তসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির আন্তঃসীমান্ত অঞ্চলে আক্রমণ বাড়িয়েছে। ফলে সামরিক খাতে কঠিন চাপের মুখে পড়েছে সোমালিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলি।
আর আশ-শাবাব যোদ্ধারা গত তিন মাসে তাদের হামলা পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে বহুগুণ বাড়িয়েছে। ফলে তাঁরা ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডের ১৭০ কি.মি. ভিতরে পর্যন্ত প্রবেশ করেছে। এসময়টাতে আশ-শাবাবের হামলায় ইথিওপিয়ার লিউ সামরিক বাহিনী সহ অন্যান্য সামরিক ইউনিটগুলোর প্রায় এক হাজারেরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
অপরদিকে গত আগস্টে রাজধানী মোগাদিশুর হায়াত হোটেল অবরোধ করে তিনদিন ব্যাপী হামলা চালায় আশ-শাবাব। যেখানে আশ-শাবাবের কোনো সদস্য হতাহত হওয়া ছাড়াই প্রায় ২০০ সরকারি কর্মকর্তা নিহত এবং আহত হয়েছে। হামলা শেষে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে নানা কৌশলেরও আশ্রয় নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত অস্ত্র, তুর্কী ও মার্কিন প্রশিক্ষিত স্পেশাল ফোর্সের সামরিক পোশাক পরিধান এবং ড্রোনের সাহায্য ঘটনাস্থলে তদারকি করা। আর এসব কিছুই ঘটেছে সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। কারণ তারা ভেবেছিলো এসব ড্রোন আর সামরিক পোশাকে সজ্জিত সদস্যরা স্পেশাল ফোর্সের সদস্য।
আশ-শাবাব যোদ্ধার তাদের এই ধরনের সর্বশেষ হামলাটি শুরু করেছে হিরান ও জালাজদুদ রাজ্যে। যেখানে আশ-শাবাব যোদ্ধারা সরকার সমর্থিত স্থানীয় মিলিশিয়াদের ভিতরে থেকে সরকারের সামরিক পরিকল্পনা বুঝে নিয়েছিলো। আর এরপরেই আশ-শাবাবের মাত্র ২ দিনের হামলাতেই স্থানীয় মিলিশিয়াদের কোমড় ভেঙে যায়। তাদের দেড় শতাধিক (১৫০+) সদস্যকে হত্যা এবং আরও অনেক মিলিশিয়াকে বন্দী করে আশ-শাবাব। ধ্বংস ও জব্দ করা হয় মিলিশিয়াদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো খাদ্য, সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমালিয়া ও পূর্ব-আফ্রিকায় আশ-শাবাবের নিরঙ্কুশ বিজয়কে তাই শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন ইসলামি সমরবিশারদগণ।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment