ইয়েমেনে নতুন যুদ্ধ কৌশলে হামলা তীব্রতর করেছে আল-কায়েদা: হতাহতের শিকার হচ্ছে অসংখ্য গাদ্দার সৈন্য
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্রতর হচ্ছে। যার এক দিকে রয়েছে আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা “জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্” ও তাদের সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। অপর দিকে আছে ক্রুসেডার আমেরিকার সেবাদাস সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদ জোট সমর্থিত গাদ্দার ‘হাদি’ বাহিনী।
অবস্থা দৃষ্টি মনে হচ্ছে, ক্রুসেডার আমেরিকার নির্দেশেই গাদ্দার সৌদি জোট ও আরব আমিরাত সমর্থিত বাহিনী সম্প্রতি ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে, আবয়ান ও শাবওয়াহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে আল-কায়েদাকে যেকোনো মূল্যে উৎখাত করা। যার সিংহভাগ অঞ্চলই নিয়ন্ত্রণ করছে আল-কায়েদা ও তাদের সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপগুলো।
এই লক্ষ্যে আরবের এই গাদ্দাররা লাখো মুসলিমের হত্যাকারী কুখ্যাত শিয়াদের (হুতি) সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। আর সুন্নি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরেই গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই অঞ্চলগুলিতে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে আরবের গাদ্দার সামরিক জোট। আর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে উপজাতিয় সশস্ত্র সুন্নি গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে। যে সুন্নি মুসলিমরা বছরের পর বছর ধরে ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিয়াদের দখলদারত্ব থেকে মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
এমন পরিস্থিতিতে উপজাতিয় সুন্নি মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসারুশ শরিয়াহ্’র বীর যোদ্ধারা। তাঁরা গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাদ্দার আরব জোট ও তাদের সমর্থিত হাদি বাহিনীর উপর হামলা চালাতে শুরু করেন। আল-কায়েদার বীর যোদ্ধাদের প্রথম দিনের হামলাতেই এক চেকপোস্ট ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় আরব জোট। এসময় মুজাহিদদের হাতে ২৮ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও ৬ সৈন্য আহত হয়। মুজাহিদগণ কয়েকটি সাঁজোয়া যান, গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস এবং জব্দ করেন। তবে এই অভিযানের সময় ৭ জন মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আনসারুশ শরিয়াহ্।
এরপর ধারাবাহিকভাবে আবয়ানের খোবার আল-মারাকশ, ওয়াদি সিরা, আল-নাকাফ, মোগান পর্বত, আহওয়ার এবং মুদিয়ান সহ বিভিন্ন স্থানে লড়াই তীব্রতর হয়। যেখানে আল-কায়েদা ও সুন্নি মুসলিমদের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় গাদ্দার আরব জোট। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রগুলি বলছে, প্রতিটি স্থানেই মুসলিম বীর যোদ্ধাদের হামলায় গাদ্দার আরব জোটের কয়েক ডজন সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
এসবের মধ্যে শুধু মাদিয়ানেই আল-কায়েদা ও সুন্নি যোদ্ধাদের যৌথ হামলায় আরব জোটের ২৪ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। এরমধ্যে একটি মাইন বিস্ফোরণেই এক ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার সহ ৬ সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ সৈন্য আহত হয়।
সবমিলিয়ে ইয়েমেনের আবিয়ান এবং শাবওয়াহ অঞ্চলে এখন ব্যাপক প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল ও আরব জোট। মুজাহিদগণ এই গাদ্দার জোটের সামরিক কনভয়গুলি লক্ষ্য করে সবচাইতে বেশি হামলা চালাচ্ছেন। যাতে তাদের প্রচুর সংখ্যক সৈন্য হতাহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলি বলছে, আল-কায়েদা যোদ্ধারা দক্ষিণের এই সংঘাতকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। মূলত আরব জোট কর্তৃক দক্ষিণাঞ্চলে পরিচালিত হামলার প্রভাব কমাতেই নতুন এই কৌশল অবলম্বন করছে আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা। এই লক্ষ্যে আল-কায়েদা সুন্নি মুসলিমদের সহায়তায় হাদরামাউত, ইডেন, বায়দা, মারাব ও আতাক অঞ্চলে গেরিলা হামলা চালাতে শুরু করেছে। যার ফলে পুরো ইয়েমেন জুড়েই বর্তমানে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্রতর হচ্ছে। যার এক দিকে রয়েছে আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা “জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্” ও তাদের সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। অপর দিকে আছে ক্রুসেডার আমেরিকার সেবাদাস সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদ জোট সমর্থিত গাদ্দার ‘হাদি’ বাহিনী।
অবস্থা দৃষ্টি মনে হচ্ছে, ক্রুসেডার আমেরিকার নির্দেশেই গাদ্দার সৌদি জোট ও আরব আমিরাত সমর্থিত বাহিনী সম্প্রতি ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করেছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে, আবয়ান ও শাবওয়াহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে আল-কায়েদাকে যেকোনো মূল্যে উৎখাত করা। যার সিংহভাগ অঞ্চলই নিয়ন্ত্রণ করছে আল-কায়েদা ও তাদের সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপগুলো।
এই লক্ষ্যে আরবের এই গাদ্দাররা লাখো মুসলিমের হত্যাকারী কুখ্যাত শিয়াদের (হুতি) সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। আর সুন্নি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরেই গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই অঞ্চলগুলিতে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে আরবের গাদ্দার সামরিক জোট। আর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে উপজাতিয় সশস্ত্র সুন্নি গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে। যে সুন্নি মুসলিমরা বছরের পর বছর ধরে ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিয়াদের দখলদারত্ব থেকে মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
এমন পরিস্থিতিতে উপজাতিয় সুন্নি মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসারুশ শরিয়াহ্’র বীর যোদ্ধারা। তাঁরা গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাদ্দার আরব জোট ও তাদের সমর্থিত হাদি বাহিনীর উপর হামলা চালাতে শুরু করেন। আল-কায়েদার বীর যোদ্ধাদের প্রথম দিনের হামলাতেই এক চেকপোস্ট ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় আরব জোট। এসময় মুজাহিদদের হাতে ২৮ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও ৬ সৈন্য আহত হয়। মুজাহিদগণ কয়েকটি সাঁজোয়া যান, গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস এবং জব্দ করেন। তবে এই অভিযানের সময় ৭ জন মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আনসারুশ শরিয়াহ্।
এরপর ধারাবাহিকভাবে আবয়ানের খোবার আল-মারাকশ, ওয়াদি সিরা, আল-নাকাফ, মোগান পর্বত, আহওয়ার এবং মুদিয়ান সহ বিভিন্ন স্থানে লড়াই তীব্রতর হয়। যেখানে আল-কায়েদা ও সুন্নি মুসলিমদের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় গাদ্দার আরব জোট। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রগুলি বলছে, প্রতিটি স্থানেই মুসলিম বীর যোদ্ধাদের হামলায় গাদ্দার আরব জোটের কয়েক ডজন সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
এসবের মধ্যে শুধু মাদিয়ানেই আল-কায়েদা ও সুন্নি যোদ্ধাদের যৌথ হামলায় আরব জোটের ২৪ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। এরমধ্যে একটি মাইন বিস্ফোরণেই এক ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার সহ ৬ সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ সৈন্য আহত হয়।
সবমিলিয়ে ইয়েমেনের আবিয়ান এবং শাবওয়াহ অঞ্চলে এখন ব্যাপক প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল ও আরব জোট। মুজাহিদগণ এই গাদ্দার জোটের সামরিক কনভয়গুলি লক্ষ্য করে সবচাইতে বেশি হামলা চালাচ্ছেন। যাতে তাদের প্রচুর সংখ্যক সৈন্য হতাহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলি বলছে, আল-কায়েদা যোদ্ধারা দক্ষিণের এই সংঘাতকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। মূলত আরব জোট কর্তৃক দক্ষিণাঞ্চলে পরিচালিত হামলার প্রভাব কমাতেই নতুন এই কৌশল অবলম্বন করছে আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা। এই লক্ষ্যে আল-কায়েদা সুন্নি মুসলিমদের সহায়তায় হাদরামাউত, ইডেন, বায়দা, মারাব ও আতাক অঞ্চলে গেরিলা হামলা চালাতে শুরু করেছে। যার ফলে পুরো ইয়েমেন জুড়েই বর্তমানে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment