Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ অক্টোবর ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ০৫ অক্টোবর ২০২২ ঈসায়ী।

    আইএস-এর বিদেশি অর্থায়ন ও নিয়োগ প্রধান আটক; বাঘলান ও পাকতিয়ায় অস্ত্র জব্দ

    ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ ‘জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ ইন্টেলিজেন্স’ (জিডিআই)-এর জানবাজ গোয়েন্দারা খাওরিজ গোষ্ঠী আইএসআইএস গ্রুপের বৈদেশিক ও আর্থিক সম্পর্কের দায়িত্বে একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার অফিসিয়াল সাইট alemarahenglish.af-এর বিবরণ অনুসারে, আব্দুল মালিক বা “মালিকি” ইউরপের দেশ ইউক্রেন, জার্মানি এবং স্পেন থেকে খারিজি গোষ্ঠী আইএস-এর জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন। এবং আইএস-এর কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েরও দায়-দায়িত্ব ছিল তার।

    উল্লেখ্য, সারাদেশে হাসপাতালে, মসজিদে ও হক্কানি আলেম-উলামাদের মজলিশে বোমা হামলা করে সাধারণ মুসলিম হত্যাসহ নানান অপরাধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কাজ সংগঠিত করার পর, খারেজি গোষ্ঠী আইএস নির্মূলে চিরুনি অভিযান শুরু করেন তালিবান মুজাহিদগণ। জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ ইন্টেলিজেন্সের মুজাহেদিনদের এমনই একটি জটিল অভিযানের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    মালিকি এই গোষ্ঠীতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সংগঠিত ও নেতৃত্ব দেওয়ার মিশনের দায়িত্বেও ছিল।

    আইএস নির্মূলের অভিযান ছাড়াও ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ দেশের প্রতিটি মুসলিমের নিরাপত্তা ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন অভিযান অব্যাহত রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌। এই লক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মুজাহিদগণ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালাচ্ছেন।



    সেই ধারাবাহিকতায়, বাঘলান প্রদেশের গোয়েন্দা বিভাগের জেনারেল ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা প্রদেশের খানজান জেলায় বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেখানে তাঁরা অনেক অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং ৬০ কিলোগ্রাম হাশিশ খুঁজে পেয়েছেন এবং এসব কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছেন।


    অপর একটি অভিযানে পাকতিকা প্রদেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা প্রদেশের তেরওয়া জেলায় অবৈধভাবে মজুত করা বেশ কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আবিষ্কার ও জব্দ করেছেন।



    তথ্যসূত্র :
    ———
    1. Head of Khawarij Foreign Funding, Recruitment Arrested
    https://tinyurl.com/y5pvfsz5
    2.
    Weapons, Hashish recovered in Baghlan
    https://tinyurl.com/bwvy6nuh
    3. Ammunition Confiscated in Paktika Operation
    https://tinyurl.com/mx5wtw5

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বুরকিনা ফাঁসো | আল-কায়েদার যুগান্তকারী হামলায় ৬৫ শত্রুসেনা হত, ৯০টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস



    সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাঁসোতে যুগান্তকারী এক অপারেশন পরিচালনা করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন। যাতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ৯০টি ট্রাক, যুদ্ধ যান এবং ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বুরকিনা ফাঁসোর জিবোর অঞ্চলে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর জন্য সরবরাহকারী একটি কনভয় লক্ষ্য করে একটি অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিন। হামলার শিকার কনভয়টিতে বিভিন্ন ধরনের ১১৯ টি সাঁজোয়া যান ও গাড়ি ছিলো।



    ফলে গাদ্দার বাহিনীর বিশাল এই সরবরাহ কনভয়টি ধ্বংস করতে এই অভিযানে অংশ নেন ‘জেএনআইএম’ এর ১৮০ জন বীর মুজাহিদ। যারা অল্প সময়ে এই অভিযানে একটি ভালো ফলাফল অর্জন করেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

    কেননা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ এর বীর যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম এবং খাবার পরিবহনকারী এই বিশাল কনভয়টি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। সূত্র মতে, মুজাহিদরা কনভয়টির ৯০টি সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস এবং গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে কনভয়টির নিরাপত্তায় থাকা ৬৫ সৈন্যকে মুজাহিদগণ হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিরা তাদের নিহত সঙ্গীদের মৃতদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে রেখেই পালিয়ে যায়। তবে পলায়নপর সেনাদের অধিকাংশ সৈন্যও ছিলো আহত।



    ‘জেএনআইএম’ এক বিবৃতিতে জানায় যে, মহান আল্লাহ তাআ’লা এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদদেরকে বড় একটি বিজয় দিয়েছেন। কেননা মুজাহিদদের এই সামরিক ও অর্থনৈতিক আঘাত এতটাই গুরুতর ছিলো যে, এটি বুরকিনান সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে একটি গভীর সামরিক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট বা ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে, অভিযানের পরপরই দেশটিতে একটি নতুন সামরিক অভ্যূত্থান ঘটেছে।

    বিবৃতির সর্বশেষ অংশে অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় “আপনি যদি যুদ্ধ চান তবে আমরা এর পক্ষে আছি; এমনকি তার চেয়েও বেশি কিছু। আর আপনি যদি শান্তি চান তবে এরজন্য আপনি সঠিক উপায়ে দরজা খুলুন।”

    “আর জেনে রাখুন! দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উঠে আসার একমাত্র সমাধান হচ্ছে, আল্লাহর দিকে ফিরে আসা এবং হেদায়েতের পথ অনুসরণ করা। আর যারাই এই পথ অনুসরণ করবে তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।”

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      প্রাদেশিক রাজধানীতে শাবাবের ৩ ইস্তেশহাদী হামলায় ২৭ কর্মকর্তাসহ ১০০ এর বেশি নিহত



      আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক সবচাইতে সক্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। প্রতিরোধ বাহিনীটি সম্প্রতি সোমালিয়ার হিরানের প্রাদেশিক রাজধানীতে একে একে ৩টি শহীদি হামলা চালিয়েছে।

      বিবরণ অনুযায়ী, গত সোমবার দুপুরে হিরানের প্রাদেশিক রাজধানী “বালদাউইন” শহরে একে একে ৩টি বীরত্বপূর্ণ শহিদি অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। আশ-শাবাব যোদ্ধারা রাজধানীর সর্ববৃহৎ নিরাপত্তা স্কয়ার লক্ষ্য করে এই অপারেশনগুলি আঞ্জাম দেন। এই নিরাপত্তা স্কয়ারের মধ্যেই ছিলো রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ, হিরান অঞ্চলের গভর্নরের সদর দপ্তর, বালদাউইন পৌরসভার সদর দফতর, সামরিক ঘাঁটি এবং অন্যান্য সরকারি সদর দপ্তরগুলি।

      স্থানীয় সূত্র মতে, সোমবার দুপুরের কিছুক্ষণ পর আশ-শাবাবের ইস্তেশহাদী কমান্ডো ফোর্সের ২টি গাড়ি রাজধানীর নিরাপত্তা স্কয়ারে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এরপরই সেখানে বিকট শব্দে ২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে যার নেতৃত্ব দিয়েছেন আশ-শাবাবের ২জন বীর মুজাহিদ। বিস্ফোরণটি নিরাপত্তা স্কোয়ারের দুই মেরুতে পরিচালনা করা হয়।

      বরকতময় এই দুটি শহীদি হামলার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসন। কারণ এতে হার্শাবেলির আঞ্চলিক প্রশাসনের সরকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিহত হয়, পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের অনেক অফিসার এবং বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরও অসংখ্য সৈন্য।



      এই জোড়া বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজের জন্য পৌঁছে দখলদার ইথিওপিয়ান ও জিবুতীয়ান স্পেশাল ফোর্স। যারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর প্রস্তুতির লক্ষ্যে কিছুক্ষণের জন্য “ল্যামফ্লে” নিরাপত্তা কম্পাউন্ডে অবস্থান নেয়। আর তখনই আশ-শাবাবের তৃতীয় ইস্তেশহাদী মুজাহিদ তাঁর বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে কম্পাউন্ডের দিকে ছুটে যান, এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কম্পাউন্ডটি উড়িয়ে দেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর সাথে সাথে দখলদার বাহিনীরও আরও কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হয়।

      আশ-শাবাবের বীর মুজাহিদদের পরপর ৩টি বীরত্বপূর্ণ শহীদি অপারেশনের ফলে নিরাপত্তা স্কয়ারে অবস্থিত সবগুলো ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য, রাজ্যটির গভর্নর, ডিপুটি গভর্নর, একাধিক অফিসার, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যোদ্ধাবাজ নেতা ও কমান্ডার সহ উচ্চপদস্থ ২৭ জন কর্মকর্তা নিহত হয়।



      আশ-শাবাবের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাহিদদের বরকতময় এই সফল অপারেশনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও আরও ১০০ এরও বেশি কুফ্ফার ও গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছে আরও অসংখ্য কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য।

      দুর্দান্ত এই অভিযানের পর আশ-শাবাবের সামরিক মুখপাত্র শাইখ আবু মুসাব আব্দুল আজিজ (হাফি.) স্থানীয় রেডিওতে একটি দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন। যেখানে তিনি এই অপারেশনটি সফল হওয়ায় এবং মুজাহিদদের সহায়তা করায় মহান আল্লাহ্ তাআ’লা শুকরিয়া আদায় করেন। এরপর তিনি অপারেশন পরিচালনাকারী বীরদের, পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারীদের প্রশংসা করেন।

      এসময় তিনি শহীদদের লক্ষ্যে দোয়া করে বলেন, “আল্লাহ আপনাদের শাহাদাতকে কবুল করুন। আপনারা হচ্ছেন, আমাদের মধ্যে ঐসকল সর্বোত্তম ও অগ্রগামী বাহিনী, যারা আল্লাহর বাণীকে সমুন্নত করতে, দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেদের সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ জীবনকে আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করেছেন।”

      এসময় মুখপাত্র জনসাধারণকে সম্বোধন করে বলেন, “আমরা আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছি, আপনারা প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার, সামরিক ঘাঁটি ও সরকারি স্থাপনাগুলি এড়িয়ে চলুন। এসব স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। আমরা চাই, মুজাহিদদের হামলায় যেনো নিরপরাধ কারো রক্ত না ঝরে, আক্রমণে তাঁরা যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হন।”

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X