মুজাহিদিন নিউজ#| ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

সামরিক ঘাঁটি বিজয় আশ-শাবাবের: হতাহত ৬০ গাদ্দার ও কুফ্ফার সেনা


পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ধারাবাহিক বিজয় অভিযান পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে নতুন এলাকা বিজয় ছাড়াও মুজাহিদদের হামলায় অসংখ্য গাদ্দার ও কুফ্ফার সৈন্য হতাহত হচ্ছে।

গত ১০ অক্টোবরও এধরণের একডজনের বেশি অপারেশন পরিচালনা করছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এসব অভিযানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মধ্য সোমালিয়ার হিরান রাজ্যের বোলোবার্দি শহরে পরিচালিত হামলা। যেখানে শহরের উপকন্ঠে গাদ্দার সোমালি সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। হামলাটি কয়েক ঘন্টা যাবত চলতে থাকে। ফলে গাদ্দার বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত হয়।

তবে স্থানীয় সূত্রগুলো প্রাথমিক রিপোর্টে জানায়, আশ-শাবাবের দুর্দান্ত এই অভিযানে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীর অন্তত ৫ সেনা এবং এক কর্নেল সহ ৩ অফিসার নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২০ এরও বেশি সৈন্য। অভিযান শেষে আশ-শাবাব যোদ্ধারা পুরো ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় ঘাঁটিতে প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত পান মুজাহিদগণ।

এদিকে ঘাঁটিটি আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে আসার পর এটি উদ্ধারের জন্য ৪ বার হামলা চালায় সোমালি গাদ্দার সেনারা। তবে প্রতিটি আক্রমণই প্রতিহত করেন মুজাহিদগণ, এবং শত্রুসেনারা পরাজিত হয়ে ফিরে যায়। এসময়ও বহু সংখ্যক গাদ্দার সেনা নিহত এবং আহত হয়।

এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন রাজধানী মোগাদিশুর বাল’আদ, হারুয়া এবং দ্বি-নালী শহরেও ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন। এতে অন্তত ২১ গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে। সেই সাথে বুরুন্ডিয়ান বাহিনীরও ৩ সেনা নিহত এবং আরও ৫ সেনা আহত হয়েছে। এই অভিযানে ধ্বংস হয়েছে গাদ্দার বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া ও ১টি গাড়ি।

বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানগুলো ছাড়াও মুজাহিদগণ যুবা রাজ্যের রাসাঞ্জোনী শহরেও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। যাতে সোমালি সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও ২ সদস্য আহত হয়েছে।

[Al-Firdaws News]

ইডেনের পূর্ব প্রবেশদ্বারে আল-কায়দার হামলা: হতাহত ৫০ এরও বেশি



স্থানীয় উপজাতি নেতাদের মধ্যস্থতায় গত কিছুদিন ধরেই ইয়েমেনের আবয়ান অঞ্চলে চলছিল যুদ্ধবিরতি। কিন্তু ইসলামের শত্রুরা তাদের চিরাচরিত অভ্যাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে অঞ্চলটিতে হামলা চালায়। ফলে কয়েক সপ্তাহ পর আবয়ানে ফের ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা ও আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার STC বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, গত শনিবার সকালে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্ নিয়ন্ত্রণ মাহফাদ জেলায় হামলা চালিয়েছে আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার বাহিনী। গাদ্দার বাহিনী দাবী করে যে, তারা কোন লড়াই ছাড়াই আল-কায়েদা নিয়ন্ত্রিত মাহফাদ জেলা কেন্দ্রের দখল নিয়েছে। আবার এটিকে আবয়ানে আল-কায়েদার সবচাইতে শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবেও বর্ণনা করে গাদ্দার বাহিনী।

এদিকে এই হামলার একদিন পরেই মাহফাদের কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকেই নতুন করে অভিযান চালাতে শুরু করেছে আল-কায়েদা। যা স্পষ্ট করে যে, জেলাটির কেন্দ্র এখনো আল-কায়েদার নিয়ন্ত্রণে আছে। আল-কায়েদা এদিন জেলাটির কেন্দ্রীয় এলাকার বাহিরেও ২টি হামলা চালিয়েছেন। যাতে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৩টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সেই সাথে ২টি অপারেশনে ২৯ সেনা নিহত হয়েছে।



রিপোর্টে বলা হয় যে, হামলাগুলো মাহফাদ জেলায় প্রবেশের চেষ্টাকালে আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার বাহিনীকে টার্গেট করে চালানো হয়েছে।

একদিন পর অর্থাৎ গত ৯ অক্টোবর রবিবার, মুদিয়া জেলার ওয়াদি ওমরানে সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত “ট্রানজিশনাল” বাহিনীর সামরিক কনভয় লক্ষ্য করে ভারী হামলা চালান মুজাহিদগণ। জানা যায় যে, এই অভিযানে আনসারুশ শরিয়াহ্’র পাশাপাশি উপজাতিয় ইসলাহ পার্টিও অংশ নেয়। এসময় মুজাহিদগণ ও উপজাতিয় যোদ্ধারা যৌথভাবে গাদ্দার বাহিনীর উপর তীব্র হামলা চালান। ফলে গাদ্দার আরব আমিরাত সমর্থিত বাহিনী ওয়াদি ওমরানের সীমান্ত থেকে পালাতে বাধ্য হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ গাদ্দার বাহিনীকে এডেনের পূর্ব প্রবেশদ্বার থেকে আরও পিছনে পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র মতে, মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানে আরব আমিরাত সমর্থিত “ট্রানজিশনাল” ফোর্সের আরও ২৫ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং অসংখ্য সৈন্য আহত হয়েছে।