Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ অক্টোবর, ২০২২ ঈসায়ী।

    পাক-তালিবানের জোরদার হামলায় ৪৩ এর বেশি গাদ্দার সেনা সদস্য হতাহত



    পাকিস্তান জুড়ে সম্প্রতি প্রতিরক্ষামূলক অভিযানে নিয়োজিত রয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি’র বীর মুজাহিদগণ। ফলে চলতে মাসে এখন পর্যন্ত ৩৫ এরও বেশি গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আঞ্চলিক সংবাদ সূত্র থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শুরু থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে টিটিপি ও গাদ্দার প্রশাসনের মাঝে ১৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    এসব অভিযানের মধ্যে সবচাইতে দীর্ঘতম লড়াইটি সংঘটিত হয় গত ৪ অক্টোবর রাতে এশার সময়, পেশওয়ারের মাতনো থানার সীমান্ত এলাকায়। লড়াইটি প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলমান ছিলো। উক্ত এলাকায় দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনী ও এফসি কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কনভয়ের মুখোমুখি হয় টিটিপি’র বীর যোদ্ধারা।

    দীর্ঘ এই যুদ্ধের সময় টিটিপি’র ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র হামলায় গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৪ সৈন্য এবং ২ এফসি সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সহ আরও ৬ এরও বেশি সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়ছে। বিপরীতে এই লড়াইয়ে টিটিপিরও দুইজন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন। ইন্নালিল্লা ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

    তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় বীরত্বপূর্ণ অপারেশনটি চালান গত ২ অক্টোবর উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ‘স্পেন ওয়াম’ এলাকায়। ঐদিন রাত ১২টার দিকে টিটিপির বিরুদ্ধে অভিযানের উদ্দেশ্যে আসা একটি সামরিক কনভয়ে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালান মুজাহিদগণ। যা ভোররাত পর্যন্ত চলতে থাকে। এই অভিযানের সময় মুজাহিদদের হাতে ৮ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়। এছাড়াও আহত হয় আরও বহু সংখ্যক সেনা সদস্য।

    অপরদিকে মুজাহিদদের সাথে গাদ্দার বাহিনীর তৃতীয় বড় লড়াইটি সংঘটিত হয় সিন্ধুর রাজধানী করাচির জঙ্গল গোথ এলাকায়। যেখানে গাদ্দার CTD বাহিনী এবং টিটিপি’র বীর মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই লড়াইয়ে টিটিপি’র বীর যোদ্ধাদের হামলায় ৪ গাদ্দার নিহত এবং আরও কতক গাদ্দার সেনা সদস্য আহত হয়েছে। বিপরীতে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানেরও ২ জন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন। اللہم تقبل شھادتہما

    বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানগুলো ছাড়াও গত ২ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাক-সামরিক বাহিনী ও প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মাঝে আরও ১০টি লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। যাতে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের পাঁচজন মুজাহিদ শহীদ এবং অন্য তিনজন মুজাহিদ আহত হয়েছেন। বিপরীতে, মুজাহিদদের তীব্র হামলায় গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৯ সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ব্রেকিং নিউজ || ১৫০ শত্রুসেনাকে হতাহত করে ৩টি ঘাঁটি ও ২টি শহর বিজয় আশ-শাবাব



    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার বুলুবার্দি শহরের ৩টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে ব্যাপক হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ১৫০ এর বেশি সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েকগুণ বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। সেই সাথে ঘাঁটিগুলি ও ২টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদগণ।

    বিবরণ অনুযায়ী, আজ ১২ অক্টোবর ফজরের নামাজের পরপরই আশ-শাবাবের বিপুল সংখ্যক (৪০০) সৈন্য হিরান রাজ্যের বুলাবুর্দি জেলার উপকণ্ঠে জড়ো হয়। এসময় ভারী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত আশ-শাবাব যোদ্ধারা জেলাটির ৩টি সেনা ক্যাম্প এবং বিদ্রোহের সাথে জড়িত গাদ্দারদের লক্ষ্য করে একযোগে আক্রমণ করেন।

    এই তিনটি দুর্দান্ত অভিযান চালানো হয়েছে জেলাটির ইয়াসুমান শহরের দুটি সেনা শিবির এবং বির-ইয়াবাল এলাকায় অবস্থিত গাদ্দার সামরিক বাহিনীর আরেকটি শিবির লক্ষ্য করে। এদিন ভোরের আলো চতুর্দিকে পরিপূর্ণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই মুজাহিদগণ একযোগে এই বীরত্বপূর্ণ অভিযানটি শুরু করেন। শাবাব মুজাহিদিন ব্যাপক ক্ষিপ্রতার সাথে আক্রমণটি মাত্র ৩০ মিনিটেই সমাপ্ত করেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌। স্থানীয় সূত্রমতে, এই অল্প সময়ের লড়াইয়েই শত্রুপক্ষের দেড়শতাধিক সেনা নিহত এবং আরও দু-শতাধিক সেনা সদস্য আহত হয়েছে।

    এদিকে হারাকাতুশ শাবাবের সেনা কমান্ড প্রাথমিক এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, একটি দুর্দান্ত যুদ্ধের পরে, আশ-শাবাব যোদ্ধারা ৩টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। যেখানে মুজাহিদগণ ইসলাম বিরোধী সেনাবাহিনীকে পদদলিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

    অপরদিকে আশ-শাবাব মুখপাত্র জানান, “আল্লাহর রহমতে, আশ-শাবাব বাহিনী আজ সকালে বুলাবার্দি জেলার উপকণ্ঠে ইয়াসুমান এবং বিরা-ইয়াবাল এলাকার তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন। মহান রবের সাহায্যে এই অপারেশনগুলিতে আমাদের মুজাহিদ বাহিনী গুলিবর্ষণের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের কমপক্ষে ১১৭ সৈন্যকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাই ছিলো তুর্কী প্রশিক্ষিত গরগর ফোর্সের সদস্য। আলহামদুলিল্লাহ, এই অভিযানে মুজাহিদগণ নিহত সেনাদের চাইতেও বেশি সংখ্যক সৈন্যকে গুরুতর আহত করেছেন।



    মুখপাত্র শাইখ আবদুল আজিজ আবু মুস’আব (হাফি.) আরও যোগ করেন যে, এই সফল অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘাঁটিগুলি থেকে অসংখ্য গনিমত পেয়েছেন। বিশেষ করে, সোমালি বাহিনীকে তুরস্কের দেওয়া অত্যাধুনিক সামরিক যান ও অস্ত্রও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, এই যুদ্ধে শাবাব মুজাহিদগণ সেনাবাহিনী থেকে ৯টি সাঁজোয়া যান সহ অসংখ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভর্তি বক্স গনিমত পেয়েছেন, যেগুলো এখন মুজাহিদের হাতে রয়েছে। এছাড়াও যুদ্ধের সময় তাঁরা গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৬টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন। আর এই ঘাঁটিগুলি বিজয়ের সাথে সাথে এলাকাগুলোও এখন আশ-শাবাব মুজাহিদিনের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

    ইয়াসুমান এবং বির-ইয়াবালে আজ যে লড়াইটি সংঘটিত হয়েছে, তা হিরান রাজ্যে আশ-শাবাবের শুরু করা বিজয় অভিযানের ধারাবাহিকতায় চালানো হয়েছে। এর আগে এই অভিযানের সূত্র ধরেই রাজ্যটির ছয়টি গুরত্বপূর্ণ জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন। আর নতুন করে উপরোক্ত দুটি শহর বিজয়ের মাধ্যমে বুলুবার্দি জেলা বিজয়ের দার উন্মুক্ত করেছেন আশ-শাবাবের বীর যোদ্ধারা।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X